আমেরিকার টুইন টাওয়ার ধ্বংস রহস্য


"Loose Change" নামে আমেরিকার টুইন টাওয়ার ধ্বংসের উপরে একটি প্রামান্য চিত্র দেখেছিলাম। এটা গুগল ভিডিওতে ছিল; শেষ সংকলনটা প্রায় ১২৯ মিনিট লম্বা। এই প্রামান্য চিত্রতে ৯/১১ তে আমেরিকায় তথা কথিত সন্ত্রাসী হামলার তাৎক্ষনিক টেলিভিশন রিপোর্ট গুলোর সাথে আছে কিছু যৌক্তিক বিশ্লেষণ। এতে বেরিয়ে আসছে যে বুশ প্রশাসনের দেয়া ব্যাখ্যা সবই মনগড়া। দুই টাওয়ার ধ্বসে পড়ায় জেট ফুয়েলের কোন ভূমিকা নেই। ওগুলো আগে থেকে পেতে রাখা বোমা দিয়ে উড়িয়ে দেয়া হয়েছে প্রশাসনের লোকজনের ব্যক্তিগত স্বার্থ সিদ্ধির জন্য। ইন্টারনেটের মত একটা মাধ্যম না থাকলে এই ঘটনাটা অতি সহজেই ধামাচাপা দিয়ে ফেলতো সংশ্লিষ্টরা।

এটাকে কনস্পিরেসি থিওরীও বলে উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এটা বানানোর সাথে জড়িতদেরকে বিভিন্ন ভাবে নাকাল করা হচ্ছে। মুক্তচিন্তার দেশ আমেরিকার (!) প্রচার মাধ্যমে এটা কখনও প্রচার হয়নি। নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার দুটি টিভি চ্যানেল এই রকম আরেকটি ভিডিও প্রচার করে যেটার নাম, 911 in plane site। এই ডিভিডিটি ঢাকার বাজারে পাওয়া যায়। এটা প্রচার করে ঐ চ্যানেলের দায়িত্বপ্রাপ্তরা রাজনৈতিক রোষের মুখামুখি হন, অপরপক্ষে প্রচুর দর্শক এটা প্রচারের সাহস দেখানোর জন্য ধন্যবাদ দেয়।


সংক্ষেপে ঐ বিশ্লেষণ মূলক প্রামান্যগুলোর চুম্বক অংশ গুলোঃ
০১) প্রথম প্রশ্ন আসে যে ঐ সময়ে বিল্ডিং-৭ কেন একই ভঙ্গিতে ভেঙ্গে পড়লো। টুইন টাওয়ার কম্পাউন্ডে মোট ৭টি বিল্ডিং ছিল। এর মধ্যে টুইন টাওয়ার দুটি এবং বিল্ডিং-৭ মোট ৩টি বিল্ডিং একই ভঙ্গিতে ভেঙ্গে পড়ে। বিল্ডিং-৭ ভেঙ্গে পড়ে আরও ৫/৬ ঘন্টা পরে। এটাতে কোন বিমান আঘাত করেনি, তাই জেট ফুয়েল বা অন্য অযুহাত খাটে না। তবে এই বিল্ডিং এ গোয়েন্দা সংস্থার অনেকগুলো অফিস (এবং ওয়াল স্ট্রীটের বিভিন্ন কেলেঙ্কারির তদন্ত রিপোর্ট রক্ষিত) ছিল।

০২) বিল্ডিং ভেঙ্গে পড়ার মেকানিজমে বলা হয়েছে। অত্যন্ত তাপে স্টীল স্ট্রাকচার ফেইল করে। একটা ফ্লোর আরেকটার উপরে ভেঙ্গে পড়ে আর এভাবে ধারাবাহিকভাবে পুরা দালান ভেঙ্গে পড়ে।

এটার বিরূদ্ধে প্রথম যুক্তি হচ্ছে, পুরা বিল্ডিং দুইটা মোট ১১ ও ৯ সেকেন্ডে ভেঙ্গে পড়েছে। টুইন টাওয়ারের ছাদ থেকে অভিকর্ষের প্রভাবে কোন বস্তু পড়লেও সেটা মাটিতে পৌছাতে একই সময় লাগবে। অর্থাৎ পুরা ভবনটি মোটামুটি ফ্রী ফল বা মুক্ত ভাবে পড়ার গতিতে নেমে এসেছে। এক ফ্লোর ভেঙ্গে আরেক ফ্লোরের উপরে পড়লে এবং তার প্রভাবে ভাঙ্গলে সময় আরেকটু বেশি লাগার কথা।

বিরূদ্ধে দ্বিতীয় যুক্তি হচ্ছে, জেট ফুয়েলে সৃষ্ট আগুনে তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ২০০০ ডিগ্রী ফারেনহাইট হতে পারে, আর স্টীল স্ট্রাকচার ভেঙ্গে পড়তে হলে কমপক্ষে ৩০০০ ডিগ্রী তাপমাত্রা দরকার (এই ব্যাপারে বিভিন্ন মতামত আছে)। এছাড়া ভেঙ্গে পড়ার সময়ও আগুন লাগা ঐ তলাগুলোর জানালাতে মানুষ সাহায্যের জন্য হাত নাড়ছিল। এত তাপমাত্রায় মানুষের বাষ্পীভূত হয়ে যাওয়ার কথা। এছাড়া ভবন দুইটা থেকে কালো ধোঁয়া বের হচ্ছিল, অর্থাৎ আগুনের তেজ ছিল না কারণ সঠিকভাবে জ্বলা আগুনে ধোঁয়ার রং অন্যরকম হয়।

০৩) ঐ তিনটি ভবন ছাড়া আগুন লেগে পৃথিবীতে কোন ভবন সম্পুর্ন ভেঙ্গে পড়েনি। (ভাল কথা ভবন-৭ কেন ভেঙ্গে পড়লো, ওখানে তো জেট ফুয়েলের ছিটেফোটাও পড়েনি)।

০৪) ৯/১১ এর সকাল বেলা পর্যন্ত ঐ তিন ভবনের নিরাপত্তার দায়িত্ব যে কম্পানির হাতে ছিল, ঐ নিরাপত্তা কম্পানির মালিক কে জানেন কি? জেব বুশ, জর্জ বুশের ছোট ভাই।

০৫) মোট ৭টি বিল্ডিং এর মধ্যে শুধুমাত্র ঐ তিনটিই একজন মালিকের লিজ নেয়া ছিল এবং মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই ঐ তিনটি বিল্ডিং এর নিরাপত্তার জন্য প্রায় সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলারের ইন্সুরেন্স করা হয়েছিল যার মধ্যে সন্ত্রাসী হামলার একটা বিশেষ ধারা বা অনুচ্ছেদ ছিল। বিল্ডিং ধ্বংসের পরে দুটি বিল্ডিং দুটি আলাদা সন্ত্রাসী হামলা এই দাবী দেখিয়ে আদালতের রায় পেয়ে উনি ৮ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ নিয়েছেন।

০৬) ফায়ার সার্ভিসের কথোপকথনের টেপ থেকে জানা যায়, ঐ ভবনগুলোর আগুনের অংশগুলোতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী পৌঁছে গিয়েছিল এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে বলে রিপোর্ট করছিল। (এই টেপ অনেকদিন পর আদালতের নির্দেশে অবমুক্ত করা হয়)।

০৭) ভবন ভেঙ্গে পড়ার ভিডিওগুলো মনোযোগ দিয়ে দেখলে দেখা যায় যে যেই তলা ভাঙ্গছে সেই তলা থেকে বেশ কয়েক তলা নিচের জানালাগুলো থেকে বিষ্ফোরণের ধোঁয়া বেরিয়ে আসছে। (ধারাবাহিক ভাবে)। এছাড়া তাৎক্ষনিক টিভি রিপোর্ট এবং অন্য প্রত্যক্ষদর্শীদের রিপোর্টেও ভবনের ভেতরে প্রচুর বিষ্ফোরণের কথা এবং ক্লিপ আছে, যেগুলো ঐ একবার ছাড়া আর প্রচার হয়নি!

০৮) এক তলার উপরে আরেক তলা ভেঙ্গে পড়লে খুব জোরে ছিটকে কিছু বাইরে আসার কথা না। কিন্তু আশে পাশের ভবনে অনেক ভারী বস্তুকে গেথে থাকতে দেখা গিয়েছে যেটা বিষ্ফোরণের শক্তি ছাড়া সম্ভব না। (ছড়িয়ে পড়ার জন্য আনুভুমিক বল আসলো কোথা থেকে)

০৯) ভবন ভেঙ্গে পড়ার মোট সময়, নিচের ফ্লোরগুলো থেকে ধারাবাহিক বিষ্ফোরণের ধোঁয়া এবং কেন্দ্রে সুনিয়ন্ত্রিত ভাবে ভেঙ্গে পড়া দেখে বোঝা যায় যে টুইন টাওয়ার এবং ভবন ৭ আগে থেকে পরিকল্পিত ভাবে পুতে রাখা বিষ্ফোরকের সাহায্যে কন্ট্রোল্ড ডিমোলিশনের মাধ্যমে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। (রিপ্লিস বিলিভ ইট অর নট এ ধরণের ভবন ধ্বংস দেখায় মাঝে মাঝেই শতকরা ১০০ ভাগ সাদৃশ্য)

১০) এই ঘটনার ফলে লাভবান হয়েছে কারা (মোটিভ?)। এটাকে অযুহাত বানিয়ে দ্রুত জনগণের সমর্থন নিয়ে ইরাক আক্রমণ করা হয়েছে। আর যুদ্ধ মানেই যুদ্ধাস্ত্র আর সেগুলো কেনা হয় সমরাস্ত্র কারখানা থেকে ওগুলোর মালিক কে? সরকারী কোষাগারের টাকা সহজেই তাদের পকেটস্থ।

১১) ক্রাইসিস সৃষ্টি করে জনগণের সমর্থন আদায়ের কৌশল অনেক পুরানা রাজনৈতীক কৌশল।

১২) যেই বিমানগুলো টাওয়ারে আঘাত করেছিল তাৎক্ষনিক রিপোর্টে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছে যে ওগুলোতে কোন জানালা ছিল না। প্রথম আঘাতের মাত্র একটি ভিডিও ফুটেজ আছে তাই পরিষ্কার ছবি দিয়ে সত্যতা যাচাই করা যাচ্ছে না, কিন্তু ২য় আঘাতের বিভিন্ন ক্যামেরার ভিডিও ফ্রেম বাই ফ্রেম দেখলে দেখা যায় যে ঐ বিমানটি স্বাভাবিক কোন বিমান নয়। বিমানের নিচে পেটের মধ্যে বিশাল কিছু একটা লাগানো। এই ধরণের বিমান সেনাবাহিনী রিমোটকন্ট্রোল বিমান হিসেবে ব্যবহার করে যার কিছু ছবি দেখলে এই দুইয়ের সাদৃশ্য বোঝা যায়।

১৩) দুইটি বিমান ভবনে আঘাত করার ঠিক আগ মূহুর্তে (সেকেন্ডের ভগ্নাংশ) আঘাত স্থলের ভেতরে বিষ্ফোরণের আলো দেখা যায়। সম্ভবত জেট ফুয়েল প্রজ্জ্বলন নিশ্চিত করার জন্য ওগুলো করা হয়েছে। (911 in plane site)

১৪) পেন্টাগণে আসলেই কোন বিমান আঘাত করেছে বলে মনে হয় না। বিস্তারিত বিশ্লেষন 911 in plane site এবং loose change এ বলা আছে।

১৫) সাজানো ঘটনার মনগড়া রিপোর্ট আগেই ওদের নিয়ন্ত্রনাধীন সমস্ত চ্যানেলে চলে গিয়েছিল। বিবিসির একটা রিপোর্টে রিপোর্টার বলছে ভবন-৭ ও ধ্বসে পড়েছে, কিন্তু তখনও তাঁর পেছনে ভবন ৭ দাঁড়িয়ে ছিল এবং আরও ২০ মিনিট পরে ওটা ধ্বংস হয় wink। ডকুমেন্টারিটা দেখলে আরো অনেক কিছুই জানতে পারবেন। বিষ্ফোরণের শব্দ বিশ্লেষন দেখানো আছে, সেটাতেও বিষ্ফোরণ করানো হয়েছে বোঝা যায়।

911 In Plane Site এর ডিভিডি আছে, দোকানেও পাবেন। আর Loose Change এবং 911 Misteries Part: 01 নামে দুইটা ভিডিও ডাউনলোড করতে পারেন (প্রায় ৩০০ মেগা)। যাদের ইন্টারনেট স্পীড বেশি তাঁরা লুজ চেঞ্জ গুগল ভিডিও থেকে দেখতে পারেন।

কিছু দারুন লিংকঃ


এত সময় ধরে আপনাদের সাথে বার বার একটি ভিডিও নিয়ে কথা বলছি, কি ভাবছেন আমি যে ভিডিওর কথা বলছি না জানি তাতে আরো কত তথ্য দেওয়া আছে? হুম তা ঠিক বলেছেন। ভিডিওটি বেশ বড় মন দিয়ে দেখবেন। তাহলে আসুন এবার ভিডিওটি দেখে নেওয়া যাক,



সব তথ্য প্রমান এখন আপনার সামনে কি বিশ্বাস করবেন আর করবেন না এখন আপনার নিতান্ত একান্ত বিষয়।

লেখকঃ জানা অজানার পথিক।
hybridknowledge.info

৩টি মন্তব্য:

জানার কোন অন্ত নাই, জানার ইচ্ছা বৃথা তাই, ভেবে যদি জানার ইচ্ছাকে দমন করে রাখা হয় তবে সে জীবনের কোন অর্থ নাই। কিন্তু সব জানতে হবে এমন কোন কথা নাই, তবে জানার ইচ্ছা থাকা চাই। আমাদের এই জানা জানির ইচ্ছকে সূত্র করে, আমাদের ছোট্ট একটি প্রয়াস ❝আমি জানতে চাই❞। আমাদের জানতে চাওয়ার ইচ্ছা পুরনের লক্ষে কখনো জেনেছি মহাকাশ নিয়ে, কখনো জেনেছি সমুদ্র নিয়ে, কখনো ডুব দিয়েছি কৌতুক এর মাঝে, আবার ভয়ে কেঁপেছি ভুতের গল্প পড়ে, কখনোবা শিউরে উঠেছি কিছু মানুষের কার্যকলাপ জেনে। কখনো জেনেছি নতুন আবিষ্কারের কথা, আবার জেনেছি আদি ঐতিহ্যের কথা, এত সব কিছু করেছি শুধু জানতে চাওয়ার ইচ্ছা থেকে।

hybridknowledge.info hybridknowledge.info