শেক্সপিয়ার

'রোমিও-জুলিয়েট' এর নাম শুনেছেন? কিংবা হ্যামলেটের নাম? কিংবা ম্যাকবেথ বা কিং লিয়রের নাম? অনেকের কাছেই নামগুলো চেনা চেনা ঠেকছে, তাই না? বিশেষ করে রোমিও-জুলিয়েটের নাম তো অনেকেই শুনেছেন। সবগুলোই মানুষের নাম হলেও ওরা কেউ-ই কিন্তু সত্যিকারের মানুষ নন। ওরা সবাই এক-একটি নাটকের প্রধান চরিত্র। আর এই নাটক গুলোর স্রষ্টা কে? তাকে নিয়েই আমাদের আজকের গল্প। নাম তার উইলিয়াম শেক্সপিয়ার। জন্মেছিলেন ইংল্যান্ডের ওয়্যারউইকশ্যায়ারের অ্যাভন-এ। রহস্যময় এই লোকটিকে নিয়ে যুগে যুগে তার সৃষ্টি করা চরিত্রগুলোর মতই নানা গল্প উপকথা ছড়িয়েছে। নাটকের জগতে তাকে দেবতার মতো মর্যাদা দেয়া হয়। নাটক লিখেছেন মোটমাট ৩৮টি। শুধু নাট্যকারই নন, তিনিও কবিও ছিলেন। সনেট নামে এক বিশেষ কবিতার কথা শুনেছো না, ১৪ লাইনে ১৪ মাত্রার হিসেবের ছকে কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে যে কবিতা লেখা হয়? ইংরেজিতে এই সনেট রচনাও বলা যায় তিনিই শুরু করেছিলেন। সনেটের রাজ্যেও তিনি বেশ প্রভাবশালী কবি। তার লেখা প্রায় দেড়শ’ সনেট পাওয়া যায়। ভাবছেন, হঠাৎ এই মহান লেখককে নিয়ে কেন বলতে বসলাম? ২৬ এপ্রিল যে তার জন্মদিন! তাকে শুভ জন্মদিন জানাতে হবে না?

শেক্সপিয়ারের লেখা নাটকের আজও জগৎ জোড়া খ্যাতি। তিনি লিখতেন ইংরেজি ভাষায়। কিন্তু এতো ভাল যে নাটকগুলো, সেগুলো কি অন্য ভাষার লোকজন পড়বে না? তাই পৃথিবীর নানা ভাষায় তার লেখা নাটক অনূদিত হয়েছে। আমাদের বাংলা ভাষাতেও তার নাটক অনূদিত হয়েছে। প্রথম তার নাটক অনুবাদ করেন কে জানেন? ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তিনিও কিন্তু অনেক বড়ো মাপের মানুষ ছিলেন। তিনি শেক্সপিয়ারের নাটক ‘দ্য কমেডি অফ এরর্স’ নাটকের অনুবাদ করে নাম দেন ‘ভ্রান্তিবিলাস’। অনুবাদের নামটিও কিন্তু খুব সুন্দর হয়েছিল, তাই না? পরে আরো অনেকেই তার নাটক বাংলায় অনুবাদ করেছেন। তাদের মধ্যে একজনের নাম না বললেই নয় 'মুনীর চৌধুরী'। তিনি শেক্সপিয়ারের ‘টেমিং অফ দ্য শ্রং’ নাটকের অনুবাদ করেন ‘মুখরা রমণী বশীকরণ’ নামে।

শেক্সপিয়ারের জীবনের গল্প শুনতে আর তর সইছে না? সেই গল্পই বলছি, তার আগে আরেকটি কথা জানিয়ে রাখি। এ বছরের অলিম্পিক গেইমস কোন শহরে হচ্ছে বলেন তো? ইংল্যান্ডের লন্ডনে। ইংল্যান্ডে এতো বড়ো খেলার আসর বসছে, তাতে শেক্সপিয়ার থাকবেন না, তাও হয়? গেইমস উপলক্ষে গ্লোব নাট্যমঞ্চে শেক্সপিয়ারের ৩৭টি নাটকের প্রদর্শনী হবে বিশ্বের ৩৭টি ভাষায়। আর তাতে কিন্তু আমাদেরও অংশগ্রহণ থাকছে। আমাদের দেশের নাট্যদল ‘ঢাকা থিয়েটার’ সেখানে তার ‘টেম্পেস্ট’ নাটকটি মঞ্চায়ন  করবে। অনেক গালগল্প হলো, এবার চলেন, আসল গল্পে যাওয়া যাক।


শেক্সপিয়ারের ছেলেবেলাঃ
একাধারে নাট্যকার ও কবি শেক্সপিয়ার জন্মগ্রহণ করেন ১৫৬৪ সালের ২৬ এপ্রিল। তবে তার জন্মদিন নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। অনেকে বলেন তিনি জন্ম নেন ২৩ এপ্রিল। তার বাবা জন শেক্সপিয়ার পেশায় ছিলেন উচ্চপদস্থ প্রশাসক, বেশ ধনীও ছিলেন। তার মা মেরি অ্যাডের্নও বেশ বড়ো ঘরের মেয়েই ছিলেন। আর এই দম্পত্তির আট সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়, ছেলেদের মধ্যে সবচেয়ে বড়ো।

তিনি যে আসলে কোন স্কুলে পড়েছিলেন তা জানা যায়নি। তবে অনুমান করা হয়, তিনি পড়াশুনা করেছিলেন স্ট্র্যাটফোর্ড গ্রামার স্কুলে। তার ছাত্রজীবন সম্পর্কে এই তথ্যটি দিয়েছে বিবিসি। এরপর তার বিয়ের বিষয়টি ছাড়া আর কোন তথ্যই নিশ্চিতভাবে জানা যায়না। তবে তার স্কুল জীবন নিয়ে বেশ মজার একটা গল্প চালু আছে। ছাত্র হিসেবে তিনি নাকি তেমন সুবিধের ছিলেন না। চেষ্টা করেও খুব একটা ভালো ফল করতে পারতেন না। বিরক্ত হয়ে একবার নাকি তার এক শিক্ষক বলেই দিয়েছিলেন, তোমার তো ভবিষ্যত একেবারেই অন্ধকার। তোমাকে দিয়ে কিছুই হবে না। আর পরে তিনি যে কী হয়েছিলেন, সে তো আপনারা এরমধ্যেই একটু একটু জেনে গেছেন।

শেক্সপিয়ার বিয়ে করেন ১৫৮২ সালে, মোটে ১৯ বছর বয়সে। জানেন তো, আগে মানুষ একটু আগেভাগেই বিয়ে করতো! তবে বিয়ের ক্ষেত্রে তিনি কিন্তু একটু ব্যতিক্রমীই ছিলেন বলতে হবে। তার স্ত্রী অ্যানা হ্যাথওয়ে যে তারচেয়েও বয়সে আট বছরের বড়ো ছিলেন! পরের বছরেই তাদের প্রথম সন্তান হয়, নাম রাখেন সুসানা হ্যাল। আর ১৫৮৫ সালে হয় তাদের জমজ শিশু হ্যামলেট আর জুডিথ। বিয়ের পর আরো প্রায় পাঁচ সাত বছর তিনি স্ট্র্যাটফোর্ডেই বাস করেন। তবে এরই মধ্যে তিনি লন্ডনের প্রেমে পড়ে যান, বিশেষ করে লন্ডনের নাট্যদলগুলোর গল্প শুনে। সম্ভবত এরই মধ্যে কিছু ভ্রাম্যমাণ নাট্যগোষ্ঠীর সঙ্গেও তার পরিচয় হয়। এদিকে পরিবারের খরচপত্রও দিন দিন বেড়ে যাচ্ছিল। সব মিলিয়ে তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন, পৈত্রিক ভিটা ছেড়ে এবার লন্ডনের পথেই পা বাড়াতে হবে। কাউকে কিছু না বলে পাড়ি জমালেন লন্ডনের পথে।


নাটকের ভুবনে স্বাগতমঃ
ছোটবেলা থেকেই কবিতা ও নাটকের প্রতি তার একটি ভালোলাগা ছিলো। সেই ভালোলাগা ডালপালা ছড়াতে শুরু করে যখন তিনি লন্ডনে আসেন। এখন তার একমাত্র লক্ষ্য, নাটকের দলে যোগ দেয়া। নাটকের দলে যোগ দেবেন; থিয়েটার ভর্তি দর্শকের সামনে জাঁদরেল অভিনয় করবেন। নাটক লেখার স্বপ্নও তার ছিল। লন্ডনের বেশ কিছু নাটকের দলের সঙ্গে তার আলাপও হলো। তাদের সঙ্গে তিনি নাটকে নানা ধরণের কাজও করতে শুরু করলেন।

একটা ব্যাপার আছে না, প্রতিভাবানরা কীভাবে কীভাবে যেন ভাগ্যর সহায়তা পেয়ে যায়। তেমনি ঘটনা ঘটে শেক্সপিয়ারের বেলাতেও। সে সময়ের এক বিত্তশালী লোকের সাথে তার পরিচয় হয়। সেই লোকটি শুধু ধনীই ছিলেন না, নাটকও ভালোবাসতেন। তিনিই শেক্সপিয়ারকে সহযোগিতা করলেন। ১৫৯৪ সালে শেক্সসপিয়ার ‘লর্ড চেমবারলেন’স কোম্পানি’ এর নিয়মিত সদস্য হিসেবে যোগ দেন। তিনি যতোদিন নাটক করেছেন, ততোদিনই এই দলটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই দলের প্রায় সব নাটকই আবার মঞ্চস্থ হতো ‘গ্লোব থিয়েটার’ নামের একটি মঞ্চে। পরে একসময় তিনি এই মঞ্চের মালিকানারও একটা অংশ পেয়ে যান।


নাট্যকার শেক্সপিয়ারঃ
লন্ডনে গিয়ে তো তিনি নাটকে অভিনয় করতে শুরু করলেন। কিছুদিন পরে তিনি নাটকও লিখতে শুরু করলেন। ঠিক কবে তিনি নাটক লিখতে শুরু করেছিলেন? সেটা অবশ্য ঠিক ঠিক করে জানা যায়নি। ধারণা করা হয়, ১৫৯১ সালের দিকে তিনি নাটক লিখতে শুরু করেন। আর খুব তাড়াতাড়িই তিনি নাটক লিখিয়ে হিসেবে, মানে নাট্যকার হিসেবে তুমুল জনপ্রিয় হয়ে গেলেন। শুধু তাই নয়, নাটক লিখে তার বেশ আয়ও হতে লাগল; এইবার তিনি আর্থিকভাবেও বেশ স্বচ্ছল হলেন। আর সেই টাকা দিয়ে তিনি নিজ শহর স্ট্র্যাটফোর্ডে বেশ কিছু জায়গাজমিও কিনলেন, তারপর সেখানে বাড়িও বানালেন। বাড়িটি এখনো অবিকল দাঁড়িয়ে আছে সেখানেই। তিনি সম্ভবত ১৬১১ সাল পর্যন্ত নাটক লিখেছেন। আর তারপর একেবারে নাট্যজগত থেকেই সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।


মারা গেলেন পৃথিবীর সেরা নাট্যকারঃ
নাট্যজগতের সঙ্গে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করে নিজের শহরে ফিরে এলেন শেক্সপিয়ার। জীবনের বাকি সময়টুকু তিনি কাটিয়ে দেন ছোট্ট এই শহরেই, নিজের বাড়িতে। পাঁচ বছরের মাথায়, ১৬১৬ সালের ২৩ এপ্রিল তিনি মারা যান। তাকে সমাহিত করা হয় জন্মভূমিতেই, অ্যাভনের একটি গির্জায়।


শেক্সপিয়ারের যতো লেখাঃ
শেক্সপিয়ারের লেখা ৩৬টি নাটক নিয়ে ১৬২৩ সালে একটি বই প্রকাশিত হয়। সেখানে তার লেখা নাটকগুলোকে তিন ভাগে ভাগ করা হয় হাস্যরসাত্তক বা কমেডি, বিয়োগাত্মক বা ট্র্যাজেডি এবং ঐতিহাসিক, মানে যেগুলো তিনি ইতিহাসের বিভিন্ন কাহিনী অবলম্বনে লিখেছেন। পরে অবশ্য আরো দু’টি নাটক এই সংকলনটিতে যোগ করা হয় ‘লাভ’স লেবার’স ওউন’ আর ‘দি হিস্ট্রি অফ কার্ডেনিও’। আসলে এই নাটক দু’টোর পাণ্ডুলিপিই হারিয়ে গিয়েছিল। পরে অবশ্য পাণ্ডুলিপি দু’টো খুঁজে পাওয়া যায়; সংকলনে যুক্তও করা হয়। কিন্তু ততোদিনে শেক্সপিয়ার নিজেই মারা গেছেন।

তার বিখ্যাত কিছু নাটকের নাম শোনেন। তার বিখ্যাত কমেডি নাটকগুলোর মধ্যে আছে ‘অল’স ওয়েল দ্যাট এন্ডস্ ওয়েল’, ‘অ্যাজ ইউ লাইক ইট’, ‘দি কমেডি অফ এরর্স’, ‘মেজার ফর মেজার’, ‘দি মার্চেন্ট অফ ভেনিস’, ‘এ মিড সামার নাইট’স ড্রিম’, ‘মাচ অ্যাডো অ্যাবাউট নাথিং’, ‘প্রাইসলেস, প্রিন্স অফ টায়ার’, ‘দি টেমিং অফ দি শ্রং’, ‘দি টেম্পেস্ট’, ইত্যাদি। তবে কমেডির চেয়ে বেশি বিখ্যাত তার ট্র্যাজেডিগুলো ‘রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট’, ‘জুলিয়াস সিজার’, ‘ম্যাকবেথ’, ‘হ্যামলেট’, ‘কিং লিয়ার’, ‘ওথেলো’ ইত্যাদি। আর তার ঐতিহাসিক নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘কিং জন’, ‘রিচার্ড টু’, ‘হেনরি ফাইভ’, ‘রিচার্ড থ্রি’, ‘হেনরি এইট’ ইত্যাদি।

আগেই তো বলেছিলাম, তিনি শুধুই নাট্যকার ছিলেন না, কবিও ছিলেন। তিনি অনেক কবিতাও লিখেছিলেন। তবে তিনি কবি হিসেবে বেশি বিখ্যাত তার সনেটগুলোর জন্য। ইংল্যান্ডে ১৫৯৩-৯৪ সালে মহামারি আকারে প্লেগ রোগ ছড়িয়ে পরে। ওই দু’বছর তাই মঞ্চগুলোও বন্ধ রাখা হয়। তাই বলে তো আর শেক্সপিয়ারের কলম থেমে থাকতে পারে না! সে সময় তিনি বর্ণানাত্মক কবিতার দু'টি বই লিখে ফেলেন। এ ছাড়াও তার সনেটের বইতেও তিনি এরকম একটি কবিতা অন্তভর্ক্ত করেছিলেন।

তার সনেটগুলো তিনি নাটক রচনার পাশাপাশিই লিখে গেছেন। অনেকেরই ধারণা, তিনি সনেটগুলো লিখেছিলেন তার নিজের আবেগ থেকেই। সনেটে ‘আমি’ বলতে তিনি নিজেকেই বলেছেন। অবশ্য, এ কথা প্রমাণ করার কোন উপায় নেই। তিনি নিজে এ ব্যাপারে যে কিছুই বলেননি! সম্ভবত, তার রচিত মোট সনেটের সংখ্যা ১৫৪।


শেক্সপিয়ার দেখতে কেমন ছিলেন?
শেক্সপিয়ারের সব গল্পই তো হলো। কিন্তু তিনি দেখতে কেমন ছিলেন, সেটাই তো বলা হলো না! ভাবছেন, এতো দিনের পুরোনো একজন মানুষ, তার চেহারার বর্ণনা আমি কীভাবে দেব, তাই তো? আরে, জীবদ্দশাতেই যে নাট্যকার এতো বিখ্যাত হয়ে গিয়েছিলেন, তার কোন ছবি কোন শিল্পী আঁকবেন না, তাও কী হয়? তার একটা পোরট্রেইট তো লন্ডনের ন্যাশনাল পোর্টফোলিও গ্যালারিতেই রাখা আছে। আর পৃথিবীজুড়ে তার যে কতো মূর্তি আছে! সে সব দেখে তার চেহারার একটা বর্ণনা দেয়া কী খুব কঠিন নাকি?


তার কিন্তু মাথায় টাক ছিল। আর কপালও ছিল একটু উঁচু। সম্ভবত অল্প বয়স থেকেই তার মাথায় টাক পড়তে শুরু করেছিল। চোখ ছিল বেশ উজ্জ্বল, বুদ্ধিদীপ্ত আর স্নিগ্ধ। নাক ছিল মাংসল। ভরাট মুখটির আকৃতি ছিল অনেকটা ডিমের মতো, ডিম্বাকৃতির মুখ আরকি। মাথার তালুতে গিয়ে শেষ হওয়া টাকের পেছন থেকে লম্বা চুলগুলো একেবারে ঘাড় পর্যন্ত নামানো ছিলো, লম্বা চুলে তার কানও ঢেকে যেত। ঠোঁটের উপরে সামান্য গোঁফ, চিবুকে হালকা ছোট ছোট দাঁড়ি। সব মিলে চেহারায় কিন্তু বেশ একটা জ্যোতির্ময় ভাব ছিল।

চেহারার বর্ণনা পড়ে ভাবছেন, এখন থেকে রাস্তায় লোকজনের মধ্যে খুঁজবেন, কাকে দেখতে শেক্সপিয়ারের মতো লাগছে? উহু, তাতে খুব একটা লাভ নেই। একজন লোক দেখতে শেক্সপিয়ারের মতো হলেই বা কী! শেক্সপিয়ার কী আর তার চেহারার জন্য বিখ্যাত? মানুষ কখনোই তার চেহারার জন্য বিখ্যাত হতে পারে না। নটর ডেমের কুঁজো গল্পটা পড়েননি? সেই বিদঘুটে কুঁজো লোকটি কিন্তু বিখ্যাত হয়ে আছেন তার ভালমানুষীর জন্যই। তেমনি শেক্সপিয়ার তার চেহারার জন্য বিখ্যাত হয়ে নেই, বিখ্যাত হয়ে আছেন তার অসাধারণ সব নাটক আর সনেটের জন্য।

লেখকঃ রাশেদ শাওন।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
hybridknowledge.info

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

জানার কোন অন্ত নাই, জানার ইচ্ছা বৃথা তাই, ভেবে যদি জানার ইচ্ছাকে দমন করে রাখা হয় তবে সে জীবনের কোন অর্থ নাই। কিন্তু সব জানতে হবে এমন কোন কথা নাই, তবে জানার ইচ্ছা থাকা চাই। আমাদের এই জানা জানির ইচ্ছকে সূত্র করে, আমাদের ছোট্ট একটি প্রয়াস ❝আমি জানতে চাই❞। আমাদের জানতে চাওয়ার ইচ্ছা পুরনের লক্ষে কখনো জেনেছি মহাকাশ নিয়ে, কখনো জেনেছি সমুদ্র নিয়ে, কখনো ডুব দিয়েছি কৌতুক এর মাঝে, আবার ভয়ে কেঁপেছি ভুতের গল্প পড়ে, কখনোবা শিউরে উঠেছি কিছু মানুষের কার্যকলাপ জেনে। কখনো জেনেছি নতুন আবিষ্কারের কথা, আবার জেনেছি আদি ঐতিহ্যের কথা, এত সব কিছু করেছি শুধু জানতে চাওয়ার ইচ্ছা থেকে।

hybridknowledge.info hybridknowledge.info