"প্রাচ্যের সিংহ" নামে পরিচিত এই ভাষ্কর্যের নির্মাতা "Dengding Rui Yao"। নির্মাতার নাম শুনে নিশ্চই বুঝে গেছেন এটি কোন দেশে স্থাপিত হয়েছে? না বুঝলে একটু অপেক্ষা করুন সব বলছি। ৫ মিটার উচু, ১৫ মিটার লম্বা এবং ৪ মিটার চওড়া এই ভাষ্কর্যটি স্থাপিত হয়েছে চায়নার বেইজিং শহরে। চাইনিজরা সিংহকে "শক্তি ও মহানতা" এর প্রতিক মনে করে, আর এ কারনেই এর স্থাপনা। চায়নার বেশির ভাগ মন্দিরের প্রবেশ দ্বারে সিংহ এর ভাষ্কর্য খুঁজে পাওয়া যায়।
সিংহ এর এই ভাষ্কর্যের বিশেষত্ব হচ্ছে এই ভাষ্কর্যটি তৈরি করা হয়েছে একটি মাত্র গাছের গুড়ি দিয়ে। এমনকি মাথা, পায়ের নখ আর লেজ বাদে এই ভাষ্কর্যের আর কোথাও পালিশ করা হয় নি। দেহের বেশির ভাগই গাছের মূল আকৃতি ধারন করে করে আছে।
ভাষ্কর আনুষ্ঠানিক ভাবে কোন গাছ দিয়ে এই ভাষ্কর্য বানিয়েছেন তা জানান দেননি। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে এটি তৈরি হয়েছে পাইন পরিবারের সিচুয়ান গাছ দিয়ে। আর এই গাছ খুঁজে পাওয়া যায় চিনের হুবেই প্রদেশে।
তিন বছর Dengding Rui Yao আরো ২০ জন সহযোগী নিয়ে মায়ানমারে এই সিংহ তৈরি করেন। তৈরি হবার পরে ৫০০০ কিঃমিঃ পথ পাড়ি দিয়ে এই সিংহ এর ভাষ্কর্যটি স্থাপিত হয় চিনের "Wuhan’s Fortune Plaza Times Square" প্লাজার সামনে। আর এটি স্থাপিত হয় ২০১৫ সালে।
লেখকঃ জানা অজানার পথিক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন