মানুষের পুরাতন ব্যবহার্য জিনিষপত্র (২য় পর্ব)

পূর্বের পর্বঃ মানুষের পুরাতন ব্যবহার্য জিনিষপত্র (১ম পর্ব)

মানুষের ইতিহাস কিন্তু বেশ পুরাতন। বিজ্ঞানের ভাষায় ডায়নোসরের বিলুপ্তির পর থেকেই এই পৃথিবীতে স্তন্যপায়ী প্রাণীদের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যায়। আর তারমধ্যে সব থেকে প্রাদুর্ভাব বাড়ে মানুষ নামের স্তন্যপায়ী প্রাণীদের। যা হোক এসব ভারী ভারী কথা বাদ দিয়ে এবার আসল কথায় আসি। মানুষের ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় বেশ আগের থেকেই মানুষ তার নিজের প্রয়োজনেই অনেক কিছুই তৈরি করেছে। আর আজ এ নিয়েই আমাদের এই আয়োজন। আজ আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিব মানুষের পুরাতন ব্যবহার্য ১৫টি জিনিষপত্র।


০৬) সব থেকে পুরাতন প্যান্টঃ
এই প্যান্টটি খুঁজে পাওয়া যায় পশ্চিম চায়নায়। এই প্যান্টটি তৈরিতে ব্যবহার করা হয় উল দিয়ে। প্যান্টটির বুনন শিল্প বেশ জটিল যা একে অনেক বেশি সুশোভিত করে তোলে। প্যান্টটির তৈরি কাল জানা না গেলেও এটির বয়স সীমা ৩,৩০০ বছর। এটি মূলত তৈরি করা হয় যাযাবর কোন এক জাতিগোষ্টির জন্য।


০৭) সব থেকে পুরাতন ব্রাঃ
এই ব্রার বয়স প্রায় ৫০০ বছর। এই ব্রা-টি তৈরি করা হয় অষ্ট্রিয়াতে, আর এর তৈরি সাল ১৩৯০ থেকে ১৪৮৫ সালের মধ্যে কোন এক সময়। যদিও এটি সংরক্ষিত সব থেকে পুরাতন ব্রা কিন্তু তৎকালীন সময়ে এটি পরিচিত ছিল "স্তন প্যাকেটে" নামে।


০৮) প্রাচীনতম মেয়েদের ব্যাগঃ
প্রায় ৪,৫০০ বছর পুরাতন এই ব্যাগ। এই ব্যাগটি খুঁজে পাওয়া যায় বর্তমান জার্মানিতে। এই ব্যাগটি যে চামড়া দিয়ে তৈরি করা হয় তা প্রায় পোঁচে যাবার উপক্রম হয়েছে। তবে এই ব্যাগ সাজাতে কুকুরের যে দাঁত গুলি ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলি এখনও অক্ষত রয়েছে।


০৯) প্রাচীনতম কৃত্রিম অঙ্গঃ
প্রাচীনতম এই কৃত্রিম অঙ্গের বয়স প্রায় ৩,০০০ বছর। প্রাচীন মিশরে কোন এক বংশীয় ব্যক্তির জন্য তৈরি করা হয় এই কৃত্রিম অঙ্গটি। দেখলেই বোঝা যায় এটি পায়ের একটি অংশ।


১০) প্রাচীনতম কনডমঃ
প্রাচীনতম এই কনডমের বয়স ৩৭০ বছর। জন্মনিরোধই করন প্রযুক্তির এই ব্যবহার প্রাচীন সুইডিনে ১৬ শতকে শুরু হয়। যেহেতু এই কনডমটি বারবার ব্যবহৃত হত। তাই একে এক বার ব্যবহারের পরে গরম দুধ দিয়ে ধোয়া হত যাতে কোন প্রকার জীবানু এতে জন্ম না নেই। আর তা কতটা কার্যকর ছিল তা বর্তমান অবস্থা দেখলেই বোঝা যায়।

লেখকঃ জানা অজানার পথিক।
hybridknowledge.info

২টি মন্তব্য:

জানার কোন অন্ত নাই, জানার ইচ্ছা বৃথা তাই, ভেবে যদি জানার ইচ্ছাকে দমন করে রাখা হয় তবে সে জীবনের কোন অর্থ নাই। কিন্তু সব জানতে হবে এমন কোন কথা নাই, তবে জানার ইচ্ছা থাকা চাই। আমাদের এই জানা জানির ইচ্ছকে সূত্র করে, আমাদের ছোট্ট একটি প্রয়াস ❝আমি জানতে চাই❞। আমাদের জানতে চাওয়ার ইচ্ছা পুরনের লক্ষে কখনো জেনেছি মহাকাশ নিয়ে, কখনো জেনেছি সমুদ্র নিয়ে, কখনো ডুব দিয়েছি কৌতুক এর মাঝে, আবার ভয়ে কেঁপেছি ভুতের গল্প পড়ে, কখনোবা শিউরে উঠেছি কিছু মানুষের কার্যকলাপ জেনে। কখনো জেনেছি নতুন আবিষ্কারের কথা, আবার জেনেছি আদি ঐতিহ্যের কথা, এত সব কিছু করেছি শুধু জানতে চাওয়ার ইচ্ছা থেকে।

hybridknowledge.info hybridknowledge.info