আচ্ছা আপনাদের কি বাতাস দেখার কথা মনে আছে? ঐ যে "চলুন বাতাস দেখি" লেখায় আপনাদের বাতাস দেখিয়েছিলাম। আজ আপনাদের আলোর গতিপথ দেখাব। অনেকেই নিশ্চই ভাবছেন আলোর গতিপথ দেখলেই তো বোঝা যায়, এতে আবার দেখার কি আছে? তা ঠিক বলেছেন কিন্তু ধরুন আপনি আলোর এই গতি পথ দেখবেন লেজার লাইট দিয়ে। ধোয়ার মধ্যে দিয়ে এই লেজার লাইট চালনা করলেই কিন্তু আলোর গতিপথ দেখা যায়, তাই না? কিন্তু জানেন কি? লেজার লাইটের আলো এক টানা বের না হয়ে। বরং বিন্দু বিন্দু আকারে বের হয় কিন্তু তা এত দ্রুত বের হয় যে আমাদের মনে হয় তা এক টানা বের হচ্ছে। আর এই বিন্দু গুলি দেখার সাধ্য নেই সাধারন ক্যামেরা বা চোখের। তবে বিজ্ঞানীরা কিন্তু বসে নেই। এই বিন্দু গুলিকে দেখার জন্যই তারা আবিস্কার করেছে এমন এক ক্যামেরা যা কিনা প্রতি সেকেন্ডে ট্রিলিয়ন ফ্রেম ধারন করতে সম্ভব। এই ট্রিলিয়নের হিসাব সাধারন ক্যালকুলেটারে করতে যেয়েন না তাহলে তা হিসাব করাই সম্ভব না। একটা উদাহরন দেই তাহলেই সব পরিস্কার হয়ে যাবে। ধরুন একটা গুলি একটা আপেলকে ভেদ করে গেল। এই গুলি আপেলের মধ্যে ঢোকা থেকে বের হওয়া পর্যন্ত হিসাব করতে গেলে কয়েক ন্যানো সেকেন্ড লাগে কিন্তু এই ক্যামেরায় ধারন কৃত ভিডিওটি আপনি যদি দেখতে চান সাধরন ভিডিওর গতিতে তাহলে আপনার সময় লাগবে ৩৬৫ দিন অর্থাৎ এক বছর। তাহলে এবার বুঝে নিন ব্যাপারটা। আর এই ক্যামেরা দিয়ে যে শুধু গতিশীল বস্তুকে ধারন করা যায় তাই না, বরং এটিকে দিয়ে সোনার (শব্দের) রাডারের মত আলোর রাডার হিসেবেই ব্যবহার করা যায়। আর জটিল না করে এ নিয়ে তৈরি একটা প্রতিবেদন চলুন দেখে নেই। তাহলে সব কিছু সহজেই বুঝতে পারবেন।
ভিডিও সংগ্রহেঃ জানা অজানার পথিক।
ধন্যবাদ
উত্তরমুছুনvalo laglo
উত্তরমুছুনআপনার ভাল লেগেছে জেনে আমারো ভাল লাগল...
মুছুন