রুনির ডিজাইন করা মটরসাইকেল


ইংলিশ প্রমিয়ারলীগ দেখেন কিন্তু "ম্যাঞ্চেষ্টার ইউনাইটেড" ফুটবল দলকে চেনেন না এমন কেউ আছে বলে আমার মনে হয় না। আর এই দলের সব থেকে নাম করা এবং সফল স্ট্রাইকারের নাম হল "ওয়েন রুনি" (Wayne Rooney)। ষ্ট্রাইকার হিসেবে বেশ নাম করা এই খেলোয়ারের মটরসাইকেল বা বাইক এর প্রতি যে ফুটবলের মতই আকর্ষন রেয়েছে তা হয়ত অনেকেরই অজানা। তবে এক্ষেত্রে তিনি শুধু বাইক কিনেই ক্ষান্ত হন নাই বরং নিজেই ডিজাইন করে ফেলেছেন একটি বাইকের। আর আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় এই বাইক কে ঘিরে।

hybridknowledge.info hybridknowledge.info

শুরুটা হয়েছিল ২০১২ সালে, এসময় হঠাৎ করেই রুনি সিদ্ধান্ত নেন যে তিনি বাইক ডিজাইন করবেন আর তা করবেন সম্পূর্ন নিজের মত করে। এর জন্য তিনি যোগাযোগ করেন বিখ্যাত ড্যানিশ বাইক নির্মাতা "লীগ জ্যান্সন" (Lauge Jensen) এর সাথে। তারপর এই বিখ্যাত বাইক নির্মাতা কম্পানির সহযোগিতায় একদম নিজের মন মত তৈরি করে ফেলেন রুনি জীবনের প্রথম ডিজাইন করা বাইকটি।


এখন আপনার নিশ্চয়ই ভাবছেন, নিজের ডিজাইন করা বাইক নিয়ে বেশ আয়েশ করেই ঘুরে বেড়িয়েছেন রুনি। কিন্তু ঘটনা একদম উল্টা। তিনি এই বাইকটি নিজের জন্য ডিজাইন করেননি। তিনি প্রথম থেকেই ঠিক করে রেখেছিলেন এই বাইকটি তিনি নিলামে বিক্রি করবেন।

ঠিক সেই কাজটি করলেন তিনি। আর বাইকটি নিলামে উঠানোর পরে ৬৬,০০০ মার্কিন ডলার বা ৫০,০০০ ইউরোতে নিলাম হয়ে যায় বাইকটি। বাইকের দামেই শুধু বিস্ময়ের ইতি টানলে হয়ত বেপারটা শেষ হয়ে যেত, কিন্তু না আরো কিছু বিস্ময়ের বাকি ছিল। রুনির জীবনের প্রথম ডিজাইন করা বাইকের নিলামে প্রাপ্ত সকল অর্থ তিনি দান করলেন KidsAid নামক এক সংস্থায়। এদের কাজ হল অসুস্থ শিশুদের সেবা যত্ন করা। রুনির এই দান করা অর্থ হয়ত কোন এক অসুস্থ শিশুর জীবন বাঁচাবে। আমাদেরও উচিৎ নিজ নিজ সাধ্য অনুযায়ী অন্যদের সহায়তা করা।


এবার একটু বাইকটির বর্ননা দেওয়া যাক। প্রথমেই আসি এর তেল ট্যাংকে। এখানে আঁকা হয়েছে ম্যনাচেষ্টার ইউনিটেডে রুনির জার্সির ছবি। আর তার উপর রয়েছে রুনির স্বাক্ষর।


রুনির স্বাক্ষর সম্বলিত সিটের কভার।


একদম পিছনে রুনির একটি ছবি দেওয়া হয়েছে। এটি হচ্ছে ২০১২ সিজনের রুনির করা "Best Goal Of The Season" এর পরের অভিব্যাক্তি।


একটি টাইটেনিয়াম রড দিতে তৈরি ওয়েন রুনির সিম্বল "WR 10", যেখানে আছে ২১ টি কাল হীরা এবং একটি সাদা হীরা আছে।


লেখকঃ জানা অজানার পথিক।
hybridknowledge.info

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

জানার কোন অন্ত নাই, জানার ইচ্ছা বৃথা তাই, ভেবে যদি জানার ইচ্ছাকে দমন করে রাখা হয় তবে সে জীবনের কোন অর্থ নাই। কিন্তু সব জানতে হবে এমন কোন কথা নাই, তবে জানার ইচ্ছা থাকা চাই। আমাদের এই জানা জানির ইচ্ছকে সূত্র করে, আমাদের ছোট্ট একটি প্রয়াস ❝আমি জানতে চাই❞। আমাদের জানতে চাওয়ার ইচ্ছা পুরনের লক্ষে কখনো জেনেছি মহাকাশ নিয়ে, কখনো জেনেছি সমুদ্র নিয়ে, কখনো ডুব দিয়েছি কৌতুক এর মাঝে, আবার ভয়ে কেঁপেছি ভুতের গল্প পড়ে, কখনোবা শিউরে উঠেছি কিছু মানুষের কার্যকলাপ জেনে। কখনো জেনেছি নতুন আবিষ্কারের কথা, আবার জেনেছি আদি ঐতিহ্যের কথা, এত সব কিছু করেছি শুধু জানতে চাওয়ার ইচ্ছা থেকে।