ড্রাগনের খুলি'র ফুল


এই প্রজাতির ফুল গুলি পশ্চিমা বিশ্বে বেশ যত্নের সাথেই বাগানে চাষ করা হয়। এই ফুল গুলি 'Snapdragon' নামেও বেশ পরিচিত, তবে বেশির ভাগ লোকই চেনে 'Dragon Flower' (ড্রাগন ফুল) নামেই। আর এই নামের পিছের রহস্য সম্পর্কে আশা করি খুব বেশি বুঝিয়ে বলতে হবে না, মূলত এই ফুলের আকৃতি অনেকটাই ড্রাগনের খুলির মত আর সেই কারনেই এর এই নামকরণ।


ফুল গুলিকে যদি চাপ দেওয়া হয়, তাহলে অনেকটা মুখ 'হা' করার মত করে মুখ খুলে ফেলে ফুলটি। আর ফুলটি শুকিয়ে গেলেই এর রঙ সবুজ থেকে হয়ে যায় একদম খুলির রঙয়ের। মূলত এই খোলা মুখের পিছেই থাকেই এই গাছের বীজ। আর ফুল গুলি শুকিয়ে গেলেই এই মুখ দিয়ে বাতাসের ঝটকায় ঝরে পরে এই বীজ গুলি।


উদ্ভট দেখতে এই ফুল নিয়ে কিন্তু অতীতে বিভিন্ন প্রকার লোককথা প্রচলিত ছিল। অতীতে অনেকেই এই ফুল গুলির মধ্যে অতিপ্রাকৃতিক কোন শক্তি আছে বলে মনে করা হত। বিশেষ করে ডাইনী বিদ্যায় এই ফুলের ব্যবহার ছিল বেশ প্রচলিত। অনেকেই এই ফুল বাগানে চাষ করতেন ডাইনীদের হাত থেকে নিজেদের রক্ষার জন্য। কেননা, তৎকালীন ধারনা ছিল ডাইনীরা এই ফুল গুলি ব্যবহার করত চির-যৌবন ধরে রাখতে। আর যে ফুল তাদের এত উপকারে আসে, আর সেই ফুল যে বাড়িতে চাষ করা হয়, সেই বাড়ির কি কোন অপকার কেউ করতে পারে।


আবার অনেক সময় মহিলারা নিজেদের ধন্যবাদ জানাতে, ফুল গুলি অন্য মহিলাদের পাঠাতেন। যাতে তারা এই ফুল ব্যবহার করে নিজেদের যৌবন ধরে রাখতে পারে। তবে এই ফুল গুলির যে কোন অতিপ্রাকৃতিক গুনাগুণ নেই তা বলার নিঃশ্চয়ই আর দরকার নেই।


লেখকঃ জানা অজানার পথিক।
hybridknowledge.info

২টি মন্তব্য:

জানার কোন অন্ত নাই, জানার ইচ্ছা বৃথা তাই, ভেবে যদি জানার ইচ্ছাকে দমন করে রাখা হয় তবে সে জীবনের কোন অর্থ নাই। কিন্তু সব জানতে হবে এমন কোন কথা নাই, তবে জানার ইচ্ছা থাকা চাই। আমাদের এই জানা জানির ইচ্ছকে সূত্র করে, আমাদের ছোট্ট একটি প্রয়াস ❝আমি জানতে চাই❞। আমাদের জানতে চাওয়ার ইচ্ছা পুরনের লক্ষে কখনো জেনেছি মহাকাশ নিয়ে, কখনো জেনেছি সমুদ্র নিয়ে, কখনো ডুব দিয়েছি কৌতুক এর মাঝে, আবার ভয়ে কেঁপেছি ভুতের গল্প পড়ে, কখনোবা শিউরে উঠেছি কিছু মানুষের কার্যকলাপ জেনে। কখনো জেনেছি নতুন আবিষ্কারের কথা, আবার জেনেছি আদি ঐতিহ্যের কথা, এত সব কিছু করেছি শুধু জানতে চাওয়ার ইচ্ছা থেকে।

hybridknowledge.info hybridknowledge.info