বাংলায় একটা প্রবাদ বাক্যে আছে, "বিড়াল দিয়ে পেয়াজ বাটানো সম্ভব না"। যার অর্থ এই দাঁড়ায়, অনেকেই দিয়ে অনেক কিছু সম্ভব না। সত্যি কি তাই? নাকি চেষ্টা করলে সব কিছুই সম্ভব! যা হোক আজ আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিব এমন এক গৃহপালিত গরুর (গাভী) সাথে যা কিনা তার প্রাকৃতিক অভ্যাসের বিপরীতে কাজ করতে সক্ষম। কি ভাবছেন? কি এমন কাজ করেছে এই গাভী? এই গাভী কাজ কর্ম অনেকটাই ঘোড়ার মত! সে ঘোড়ার মত পিঠে মানুষ নিয়ে দৌড়াতে পছন্দ করে আবার ঘোড়ার মত লাফাতেও। কি অবাক হচ্ছেন? অবাক না হয়ে চলুন এবার এই গাভী সম্পর্কে বিস্তর জেনে নেওয়া যাক,
জার্মানির এই "লুনা" (Luna) নামের গরুটি অনেকটাই ঘোড়ার অভ্যাসে অভ্যস্ত। যেমনঃ দৌড়া দৌড়িতে, তেমনি ঘোড়ার মত লাফালফিতে। তবে এটা কিন্তু তার জন্মগত কোন অভ্যাস না। লুনার এই অভ্যাসের জন্য যে দায়ি তান নাম "রেজাইনা মেইর" (Regina Mayer) নামে এক স্কুল পড়ুয়া একটি মেয়ে। রেজাইনার বসবাস জার্মানির একটি ফার্মে। তার বাবা একজন কৃষক সেই সুবাদের গরুর একটি ফার্ম আছে তাদের। রেজাইনার খুব শখ তার নিজের একটি ঘোড়া থাকবে আর সে সেই ঘোড়ার পিঠে চড়ে তাদের ফার্ম জুড়ে ঘুরে বেড়াবে। কিন্তু আর্থিক সামর্থ না থাকায় তার বাবা তাকে ঘোড়া কিনে দিতে পারেন নাই। কিন্তু তাই বলে কি আর রেজাইনার শখ মুছে যেতে পারে বলুন?!
এসময় রেজাইনা তার সব থেকে প্রিয় লুনা নামের গরুটিকে (গাভী) প্রশিক্ষন দেওয়া শুরু করে। প্রথমে লুনার পিঠে চড়া ধীরে ধীরে তাকে ঘোড়াদের মত লাফানো পর্যন্ত শিখিয়ে ফেলেন। বর্তমানে রেজাইনা বেশ আয়েশ করেই লুনাকে দিয়ে তার ঘোড়ার শখ মিটাচ্ছেন। তবে রাজাইনার বাবা তার এই কাজ দেখে তাকে সত্যি একটি ঘোড়া কিনে দিতে চাইলেই রেজাইনা তা আর নিতে চায় নাই, কেননা লুনা যে তার সকল আবদার পূর্ন করেছে। সে এখন লিনার পিঠে করেই ঘুরে বেড়ায় তাদের বিশাল ফার্ম আবার ঘোড়ার পিঠে বসে লাফালাফি করার স্বাদও মিটাচ্ছেন দিব্বি।
রেজাইনা লুনার সম্পর্কে বলেন, "লুনা নিজেকে ঘোড়াই মনে করে। অন্যান্য গরুদের সাথে লুনার তেমন কোন ভাব নাই। এমনকি অন্যান্য গরুরা নুলাকে তেমন একটা পছন্দ করেও না। আর লুনা সব সময় দৌড়াতে পছন্দ করে তাই অনেক গরু লুনার ধারে কাছেও আসে না, কেননা তারা অলসের মত শুধু হেঁটে বেড়ায়।"
লেখকঃ জানা অজানার পথিক।