নব্য আবিস্কৃত জোঁক ।। Newly Discovered Leech


নব্য আবিস্কৃত এই জোঁকের বৈজ্ঞানিক প্রজাতির নাম এখন পর্যন্ত জানা সম্ভব হয় নাই, কিন্তু এটি এপর্যন্ত আবিস্কৃত সব থেকে বড় লাল রঙয়ের জোঁক। এই জোঁকের সন্ধান মেলে মালয়শিয়ার বর্নিও অঞ্চলে অবস্থিত সেখানকার সব থেকে উঁচু "মাউন্ট কিনাবলি" (Mount Kinabalu) পাহাড়ের উপর অবস্থিত জংগলে। যদিও এর কোন বৈজ্ঞানীক নাম নেই কিন্তু স্থানীয় ভাবে এই জোঁকের নাম "দৈত্য লাল জোঁক" (Giant Red Leech)। BBC তে প্রচারিত "Wonders of the Monsoon" অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মত এই জোঁকের অস্তিত্ব সম্পর্কে বিশ্ববাসির সামনে তুলে ধরা হয়।
hybridknowledge.info

তামিল নায়কের পাওয়ার ।। The Power Of Tamil Hero


গত লেখা "রাশিয়ানদের বিস্ময়কর চিকিৎসা বিজ্ঞান" এ আপনাদের বলেছিলাম কিভাবে সোভিয়ের ইউনিয়নের বিজ্ঞানীরা মৃত জীবকে পুনঃরায় জীবিত করছে বা দেহ থেকে মাথা আলাদা করে কি ভাবে শুধু মাথাকে বাঁচিয়ে রাখছে তারা। কিন্তু তখন যদি সোভিয়েতরা জানত যে বিশ্বের মানচিত্রে "তামিল" নামে একটা অঞ্চল আছে, আমার ধারনা তাহলে তারা তাদের সব গবেষনা সব বন্ধো করে দিয়ে চলে আসত এই তামিলে। এক কথায় আপনাদের এখন যে ভিডিও দেখাবো তা যদি না দেখেন তাহলে আপনার ৫০% জীবনটাই বৃথা থেকে যাবে।

রাশিয়ানদের বিস্ময়কর চিকিৎসা বিজ্ঞান ।। Russian Bizarre Medical Science

"চিকিৎসা বিজ্ঞান" মানুষের আবিস্কৃত সব থেকে পুরাতন বিজ্ঞান। যতটুকু খোঁজ মিলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের সূচনা ঘটে ধ্বংস হয়ে যাওয়া রোমান সম্রাজ্যে, তবে সব থেকে বেশি উন্নত হয় প্রাচীন গ্রীসে। এ সময় গ্লাডিয়েটরদের মৃত দেহ অনেক বড় একটা ভূমিকা পালন করে। তবে স্নায়ু তন্ত্র প্রথম আবিস্কার হয় এই গ্রীসেই। যা হোক আজ এই চিকিৎসা বিজ্ঞানের উৎপত্তি স্থান নিয়ে নয় বরং আজ আলোচনা করব রাশিয়ানদের (সোভিয়েত ইউনিয়ন) চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে। আমি এ লেখায় মোটামুটি তুলে ধরব ১৯৩৭ থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের চিকিৎসা বিজ্ঞানের কিছু বিস্ময়কর আবিস্কারের কথা।

শুরু করার আগে শুধু এতটুকু বলে রাখি আমি এখন যে কথা গুলি বলব তা আপনার কাছে সম্পূর্ন কল্পনা জগতের কথার মত মনে হবে। কিন্তু প্রতিটি তথ্যের প্রমান লেখার সাথে দিয়ে যাব। বিশ্বাস করুন এই বাস্তবতা আপনার কল্পনার জগতকেও হার মানাবে। তবে চলুন শুরু করা যাক।

http://content.time.com/time/magazine/article/0,9171,851883,00.html

২২শে নভেম্বর, ১৯৪৩ সালঃ আমেরিকার বিখ্যাত "টাইম" (বর্তমানে অনলাইন সংস্করনে পাবেন) পত্রিকায় রিপোর্ট করা হয়, "A thousand U.S. scientists in Manhattan last week saw dead animals brought back to life. It was the first public U.S. showing of a film picturing an experiment by Soviet biologists. They drained the blood from a dog. Fifteen minutes after its heart had stopped beating, they pumped the blood back into its lifeless body with a machine called an autojector, serving as artificial heart and lungs. Soon the dog stirred, began to breathe; its heart began to beat. In twelve hours it was on its feet, wagging its tail, barking, fully recovered."

বাঘের হাতে মৃত্যু ।। Tiger Kills Man

"যারা মানষিক ভাবে দূর্বল, তারা অনুগ্রহ করে ভিডিওটি দেখবেন না"


ঘটনাটি ঘটে ভারতে দিল্লিতে অবস্থিত "National Zoological Park" এ। আর এই মর্মান্তিক ঘটনার শিকার মানষিক ভারসাম্যহীন যুবক "মাকসুদ"।

ভিডিওটিতে দেখা যায়, কোন এক কারনে মাকসুদ অসতর্কতার কারনে বাঘের নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে পরে যায়, পরে যাবার পর সাদা বাঘকে দেখে মাকসুদ ভীষণ ভাবে আতংকগ্রস্ত হয়ে পরে এবং নিজের জীবন বাঁচাতে না না ভাবে বাঘের সামনে হাত নাড়াতে থাকে। মাকসুদ নিচে পরে যাবার সাথে সাথেই বাঘ তার উপর হামলে না পরে ১৫ মিনিট পর্যন্ত বাঘ তাকে পরিলক্ষন করে। এসময় বাঘ অনেক বার তার গায়ে হাত দেয় এবং গর্জন করে। কিন্তু শেষ মরন কামড় দেয় যখন উপরে থাকা লোকজন বাঘের দিকে ছোট ছোট পাথর নিক্ষেপ করতে থাকে। হয়ত পাথর নিক্ষেপের কারনে বাঘ রেগে যায়, হয়ত শিকাড় হারাবার আগেই শিকারকে কাবু করার জন্যই হামলে পরে। শেষ মরন কামড়েই মৃত্যু হয় মাকসুদের।

পাথুরে বন ।। Stone Forest


বন দেখতে কেমন হয়? প্রশ্নটা শুনে নিশ্চয়ই খুব হাসি পাচ্ছে আপনার। এ আবার কেমন কথা? বন দেখতে তো বনের মতোই হয়! ঘন আর সবুজ পাতায় ভরা। বড় বড় গাছের গুড়ি দিয়ে সাজানো।

কিন্তু আজকে আপনাদের এমন এক বনের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব, যেটার গায়ে কোনো সবুজ রঙ নেই। অবাক হচ্ছেন? আরও অবাক হয়ে যাবেন বনটার নাম শুনলে। আর এই অবাক করা বনটার নাম হল "শিলিন পাথুরে বন"।

রহস্যময় সিসিলির মমি ।। Mysterious Sicily's Mummy

চোখ বন্ধো এবং খোলা অবস্থায় তোলা ছবি
সিসিলি শহরে সংরক্ষিত ২ বছর বয়সের মেয়ের সংরক্ষিত মৃত দেহ সকলের কাছেই বেশ রহস্যের। কেননা খেয়াল করলে দেখা যায় যে সে প্রতিদিন সে একবার করে চোখ খোলে আর বন্ধো করে। যা যে কোন মৃত দেহের পক্ষে করা অসম্ভব বিষয়।

"রোজেলিয়া ল্যাম্বার্ড" (Rosalia Lombardo) নামের ছোট এই মেয়েটি মারা যায় ১৯২০ সালে নিউমোনিয়া রোগের কারনে। রোজেলিয়ার বাবা তার ছোট আদরের মেয়ের মৃত্যুর কারনে এতটাই শোকাহত হয়ে পরেন যে তৎকালীন সময়ের ট্যাক্সিডের্মিস্ট এবং এমবেলমিংষ্ট "এলফ্রেডো সেলাফিয়া" কে (Alfredo Salafia) অনুরোধ করেন তার মৃত মেয়ের দেহকে সংরক্ষন করার উপযোগি করে তুলতে।

ক্যামেরায় ধরা পরা ক্ষুদ্র জীব ।। Tiny Creature Caught On Camera


আপনাদের এখন যে ভিডিওটি দেখাতে যাচ্ছি তা আপনার সারা শরীরে শীতল স্পর্শ বইয়ে দিয়ে যাবে। তার আগে পরিচয় করিয়ে দিয়ে এই ভিডিওটির বাচ্চাটির সাথে। ওর নাম "বেঞ্জামিন"। ভিডিওটি ধারন করা ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে। বেঞ্জামিনের মা "সিলভিয়া" এই ভিডিওটি ধারন করেন।

সিলভিয়া সব সময় খেয়াল করত যে তার ছেলে বেঞ্জামিন সব সময় একা একা কোন এক কল্পনার (!!!) খেলার সাথির সাথে খেলত, আর বেশির ভাগ সময় সে ঘরের আনাচে কানাচে তাকিয়ে কাকে যে বার বার ডাকত খেলার জন্য। সে সময় সকলেই ভেবেছিল এটি ছোট বেলার কাল্পনিক (!!!) কোন খেলার সাথি মাত্র। কিন্তু খুব শীগ্রই তাদের এই ধারনা পাল্টে গেল। কেন আর কি ভাবে পাল্টালো চলুন এবার তা জেনে নেই।

কেন আপনি দুবাই যাবেন ।। For What Reason You Will Visit Dubai

"City Of Gold" নামে খ্যাত দুবাই নামের এই শহর সত্যিকার অর্থেই মরুভূমির মধ্যে গড়ে ওঠা এক টুকরা সোনার শহর। কি নেই এই শহরে? প্রাচুর্যের এই শহর সম্পর্কে অনেক কিছুই হয়ত আপনারা শুনেছেন আর জেনেছেন। কিন্তু আসলে কতটুকু জেনেছেন? হয়ত সবটুকু জানা কখনই সম্ভব হবে না তবে আজ আপনাদের এই শহরের এমন কয়েকটি জায়গার সাথে পরিচয় করিয়ে দিব, যা না দেখলে হয়ত অনেক কিছুই না দেখা রয়ে যাবে। আর কেন আপনি জীবনে একবার হলেও এই শহর একবার হলেও ঘুরতে যাবেন তার উত্তরটাও পেয়ে যাবেন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক আমাদের দুবাই ভ্রমন।

০১) দুবাইতে আছে পৃথিবীর সব থেকে বড় ফুলের বাগানঃ

নিমো ৩৩: বিশ্বের সব থেকে গভীরতম পুল ।। Nemo 33: The World’s Deepest Pool


আজ আপনাদের ঘুরিয়ে নিয়ে আসব ব্রাসেলে তৈরি মানুষের তৈরি পৃথিবীর সব থেকে গভীরতম সুইমিং পুলের মধ্যে দিয়ে। এই সুইমিং পুলের নাম "নিমো ৩৩"। তবে ঘুরতে যাবার আগে এই নিমো ৩৩ সম্পর্কে একটু তথ্য জানিয়ে দেই,
  • এই পুলে পানির পরিমান ২,৫০০,০০০ লিটার।
  • এই পুলের মধ্যে আছে ৩টা খন্দ আর ২ টা পুল।
চলুন তাহলে এবার ঘুরে আসি পুলের মধ্য দিয়ে,

বিস্ময়কর শব্দ গবেষনা ।। Amazing Sound Experiment


শব্দ এমন এক শক্তি যা না থাকলে আমরা বর্তমানে যত সহজে একে অপরের সাথে ভাবের আদান প্রদান করি ততসহজে হয়ত করতে পারতাম না। আলো, তাপ যেমন শক্তি তেমনই এই শব্দ একটা শক্তির রূপ। এখন অনেকের ধারনা হতে পারে এই শব্দ শুধু মাত্র শোনার কাজেই ব্যাবহৃত হয়! হ্যাঁ এর মূল কাজ এটা হলেও এই শব্দকে কিন্তু বিভিন্ন ভাবে ব্যাবহার করা হয়। যেমনঃ প্রানী জগতে বাদুড় পথ চলতে আর মানুষ রাডার দিয়ে বিমান পর্যবেক্ষনের জন্য ব্যাবহার করে এই শব্দ, পূর্বে এ নিয়ে "বাদুড় এবং রাডার" লেখায় বিস্তারিত আলোচনা করেছিলাম। আর আর এই সব নিয়ে নয় বরং আপনাদের শব্দের ক্ষমতার আরেক রূপ দেখাবো। আচ্ছা আপনারাতো জানেন যে শব্দ চলাচলের জন্য কোন না কোন মাধ্যমের দরকার হয় আর কঠিন মাধ্যমের মধ্যে দিয়ে সব থেকে দ্রুত সঞ্চারিত হয়। আচ্ছা এই শব্দকে যদি বিভিন্ন কম্পাংকে পানির মধ্য দিয়ে চালনা করা হয় তাহলে কি হয়? এর জবাব পাবেন নিচের ভিডিও দু'টিতে। তবে এই ভিডিও দু'টি দেখার পরে আপনার মনে হবে আপনি বাস্তব কোন জিনিষ নয় বরং অবাস্তব কোন জিনিষ দেখছেন। তাহলে চলুন দেখে নেই ভিডিও দু'টি,

অনুরণন গবেষণা ।। Resonance Experiment


প্রথমেই শুরু করে "নিকোলা টেসলা" এর একটি উক্তি দিয়ে,
"If you want to find secrets of the universe, think in terms of energy, frequency and vibration"
অর্থাৎ, আপনি যদি এই মহাবিশ্বের গোপর রহস্য সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আপনাকে তা জানতে শক্তি, কম্পাঙ্ক এবং কম্পন দিয়ে।

আমরা অনেকেই জানি যে শব্দ এক ধরনের শক্তি কিন্তু আপরা কি কখনও এই শক্তি কেমন দেখতে বা এর কম্পাঙ্ক গুলি দেখতে কেমন তা জানার চেষ্টা করেছি? না তা করি নাই, যা নাই চোখের সামনে তা নিয়ে চিন্তা করে লাভ কি তাই না? আসলেই কি তাই? বলা হয় কাউকে যদি ৪৫ মিনিট শব্দহীন পরিস্থিতে রাখা হয় তাহলে সে উন্মাদের মত আচারন করা শুরু করবে। তার মানে আপনি কখনই শব্দহীন ভাবে থাকেন না। আর আপনাদের এই শব্দের কম্পাঙ্ক গুলি দেখাবো বিভিন্ন "হার্জ" (HZ) এ (কম্পাঙ্কের একক) এর আঁকার কেমন হয়, আর যা আপনার কানে যাবার কারনে আপনি শুনতে পারেন। তাহলে চলুন দেখে নেই এই কম্পাঙ্ক গুলি,

নিখুঁত চুরি ।। Perfect Crime


বাস্তব জীবনে অথবা সিনেমা জগতের নিখুঁত ভাবে চুরির অনেক ঘটনাই দেখেছেন, কিন্তু আজ আপনাদের এমন এক চুরির ঘটনা দেখাবো যা দেখে আপনি অবাক আর হতবাক দু'টাই একই সাথে না হয়ে পারবেন না। আর শুধু একটা কথাই ভাববেন এটা করল কি ভাবে? তাহলে চলুন আপনাদের দেখাই তাহলে ঐতিহাসিক সেই নিখুঁত চুরির ভিডিওটি।

আজব আকৃতির ফুল ।। Strange Shaped Flowers

পৃথিবীতে বিচিত্র কত কিছুই না দেখা যায়। আশেপাশের কোনো ফুলের বাগানে গোলাপ, জবা, গাঁদা ইত্যাদি পরিচিত ফুল ছাড়াও যদি হঠাৎ দেখেন বিচিত্র রঙ কিংবা বিচিত্র আকারের কোনো ফুল, খুব অবাক লাগবে না? সেরকমই কিছু অবাক করা ফুলের সন্ধান দিতে আজকের এই লেখা। চলেন জেনে নিই কিছু অপরিচিত বিচিত্র ফুল সম্পর্কে।


ব্লিডিং হার্ট ফ্লাওয়ারঃ
আপনারা নিশ্চয়ই ‘হার্ট’ বা ‘হৃদয়’ এর আকৃতির সঙ্গে পরিচিত। এক অদ্ভুত রকমের ফুল আছে যার আকৃতি পুরোপুরি হার্ট এর মতো। ফুলটার নাম ‘ব্লিডিং হার্ট ফ্লাওয়ার’। এর বৈজ্ঞানিক নাম 'Lamprocapnos spectabilis'। এই ফুল গুলো সাধারণত লাল রংয়ের হয়ে থাকে আর আকৃতিটাও  হয় এমন, যেন হৃদয় থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এই ব্যাপারটাই ফুলের নামে ফুটে উঠেছে। আসল ঘটনাটা কিন্তু এমন না। এই ফুলের বাইরের পাপড়িগুলো গোলক আকৃতির এবং লাল রংয়ের হয়। ভিতরের পাপড়ি গুলো চিকন লম্বা ও সাদা হয়। বাইরের পাপড়ি এবং ভিতরের পাপড়ি গুলো একসঙ্গে দেখলে মনে হয়, যেন হৃদয় ফুড়ে রক্ত বের হয়ে আসছে। এই গাছকে ‘ফুল’ গাছ হিসেবে প্রথম দেখানো হয় ইংল্যান্ডে। ১৮৪০ সালে জাপান থেকে আনা চারার মাধ্যমে ইংল্যান্ডে এর গাছ লাগানো হয় আর ফুল ফোটার পর সবাই এর নাম জানতে পারে। বসন্তে বা গ্রীষ্মের শুরুর দিকে এই ফুল ফোটে। অনন্য এ আকৃতির জন্য অনেকেই তাদের বাগান এই ফুল দিয়ে সাজায়।