গুহা মন্দির


'বাটু গুহা' (Batu Caves), মালয়শিয়ার গম্ব্যাক অঞ্চলে প্রাকৃতিক ভাবে গড়ে ওঠা গুহার নাম। চুনাপাথরের তৈরি পাহাড়ের অবস্থান মালয়শিয়ার রাজধানী কোয়ালালামপুর থেকে ১৩ কিঃমিঃ উত্তরে অবস্থিত। এই এলাকার নাম 'সুংগাই বাটু' বা 'বাটু নদী', যা এই পাহাড়ের পাশ ঘেঁষে বয়ে চলেছে। এমনকি এই বাটু গুহার নামে এখানে একটি গ্রামও রয়েছে। ধারাবাহিক ভাবে গড়ে ওঠা এই গুহা গুলিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ধর্মালয়।

hybridknowledge.info hybridknowledge.info


এই ধর্মালয় মূলত গড়ে উঠেছে বিশাল আকৃতির হিন্দু দেবতার মূর্তিকে কেন্দ্র করে। এই মন্দিরে প্রবেশের মূল দরজায় রয়েছে ২৭২টি সিড়ি। বিশেষজ্ঞদের মতে এই গুহার বয়স ৪০০ মিলিয়ন বছর। এই গুহার মধ্যে ঢুকার অনেক গুলি প্রবেশদ্বার রয়েছে। এই গুহা গুলির দরজা গুলি মূলত ব্যবহৃত হত মালয়শিয়ার আদিবাসীদের দ্বারা। তারা অন্যান্য গোত্রদের থেকে নিজেদের বাঁচাতে এই গুহা গুলি ব্যবহৃত হত। মালয়শিয়ার আদিবাসিদের নাম, 'Orang Asli


চুনাপাথরের তৈরি এই গুহা গুলি বিখ্যাত হয়ে ওঠে প্রথম ১৮৭৮ সালে, যখন ঔপনিবেশিকদের নিয়ন্ত্রনে ছিল মালয়শিয়া। এসময় সর্ব প্রথম আমেরিকার প্রকৃতিবীদ 'William Hornaday' চুনাপাথরের তৈরি এই গুহা গুলিকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরে। আর তখন থেকেই বিখ্যাত হয়ে ওঠে বাটু গুহা।


বাটু গুহাকে প্রথম ধর্মালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে ভারতীয় ব্যবসায়ী 'K. Thamboosamy Pillay'। তিনি এই মন্দির তৈরি করেন 'মুরগান দেবতা' এর জন্য। আর তিনি এই মন্দির তৈরি করেন ১৮৯০ সালে। আর তখন থেকেই এখানে প্রতিষ্ঠিত হয় ধর্মালয়। আর ১৮৯২ সাল থেকে এই গুহা গুলির পুনঃনামকরন হয় গুহা মন্দির (The Temple of Cave) হিসেবে।


২০০৬ সালে মন্দিরে প্রবেশের সিড়ির সামনে বসান হয় ১৪০ ফুট উঁচু মুরগান দেবতার মূর্তি। মুরগান দেবতার এই মূর্তি মালায়শিয়ার সব থেকে বড় হিন্দুদের দেবতার মূর্তি আর বিশ্বে ২য় বৃহত্তম হিন্দু দেবতার মূর্তি। অনেকের কাছে এই গুহা ক্যাথেড্রাল মন্দির হিসেবেও পরিচিত। কেননা এই গুহা গুলির মধ্যে রয়েছে অনেক গুলি দেবতাদের মঠ। বছরের জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে আর ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুর দিকে বেশ ধুমধাম করে থেপুসাম উৎসব উদযাপন করা হয়।


লেখকঃ জানা অজানার পথিক।
hybridknowledge.info

২টি মন্তব্য:

জানার কোন অন্ত নাই, জানার ইচ্ছা বৃথা তাই, ভেবে যদি জানার ইচ্ছাকে দমন করে রাখা হয় তবে সে জীবনের কোন অর্থ নাই। কিন্তু সব জানতে হবে এমন কোন কথা নাই, তবে জানার ইচ্ছা থাকা চাই। আমাদের এই জানা জানির ইচ্ছকে সূত্র করে, আমাদের ছোট্ট একটি প্রয়াস ❝আমি জানতে চাই❞। আমাদের জানতে চাওয়ার ইচ্ছা পুরনের লক্ষে কখনো জেনেছি মহাকাশ নিয়ে, কখনো জেনেছি সমুদ্র নিয়ে, কখনো ডুব দিয়েছি কৌতুক এর মাঝে, আবার ভয়ে কেঁপেছি ভুতের গল্প পড়ে, কখনোবা শিউরে উঠেছি কিছু মানুষের কার্যকলাপ জেনে। কখনো জেনেছি নতুন আবিষ্কারের কথা, আবার জেনেছি আদি ঐতিহ্যের কথা, এত সব কিছু করেছি শুধু জানতে চাওয়ার ইচ্ছা থেকে।