আচ্ছা একজন মানুষ এ পৃথিবীতে কতবার জন্ম নেয়? পুনর্জন্ম কি সত্য? অনেক ধর্ম বিশ্বাসে পুনর্জন্ম লাভের কথা রয়েছে। মানুষ কি তার অতীত জন্মের কথা মনে রাখতে পারে? আজকে আমরা সেরকমই কিছু ঘটনার কথা জানবো। বেশিরভাগ ঘটনার কোন যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা নেই। তো শুরু করা যাক। আজ দেয়া হলো দ্বিতীয় পর্ব।


০৫) ব্রুস হুইটিয়ারঃ
এই ভদ্রলোক প্রায়ই এক অদ্ভূত স্বপ্ন দেখতেন। তিনি দেখতেন তিনি আসলে 'ব্রুস' নন, তিনি হচ্ছেন ইহুদী ধর্মাবলম্বী একজন ব্যক্তি যিনি কিনা তার পরিবারের সাথে একটি বাড়িতে লুকিয়ে আছেন। স্বপ্নে দেখা ইহুদী ব্যক্তিটির নাম 'স্টেফান হরোইৎজ'। স্টেফান নেদারল্যান্ডের অধিবাসী ছিলেন। তিনি যেখানে লুকিয়ে ছিলেন সেখান থেকে ১৯৪২ সালে তাকে ও তার পরিবারকে ধরে অসউইৎসে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে স্টেফান মারা যান। স্বপ্নের এই জায়গায় ব্রুসের ঘুম ভেঙ্গে যায় ও তিনি চিৎকার দিয়ে জেগে উঠেন। তিনি স্বপ্নের বর্ণনা লিখে রাখতে শুরু করেন। একদিন তিনি স্বপ্নে একটি ঘড়ি দেখলেন, যেটা তাকে তার স্বপ্নের ব্যাখ্যা দিতে সাহায্য করলো। তিনি স্বপ্নে দেখলেন সেই ঘড়িটি কোন একটি প্রাচীন জিনিসপত্রের দোকানে রয়েছে। স্বপ্নের বর্ণনা অনুযায়ী তিনি দোকানটি খুঁজে বের করলেন ও সেখানে ঘড়িটি পেয়েও গেলেন! তিনি বিক্রেতাকে জিজ্ঞেস করলেন যে ঘড়িটি তিনি কোথায় পেয়েছেন। বিক্রেতা জানান তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত জার্মান মেজরের সম্পত্তির মাঝে পেয়েছেন। জার্মানীর নাৎসীরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইহুদীদের উপর ভয়াবহ অত্যাচার চালায় ও স্টেফান ছিলেন সেটারই শিকার।
০৬) পিটার হিউমঃ
বার্মিংহাম, ইংল্যান্ডের পিটার হিউম স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন যে তিনি ১৬৪৬ সালের একজন সেনা, যিনি স্কটিশ সীমান্তরক্ষীর দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি কর্ণওয়েলের সেনাবাহিনীর একজন পদাতিক সেনা হিসেবে কাজ করছেন ও তার নাম পিটার হিউম নয়, জন রাফায়েল। পিটারকে যখন সম্মোহিত করা হলো, তখন তিনি তার পূর্ব জীবনের অবস্থানস্থল সম্পর্কে আরো পরিষ্কার ভাবে বলতে সক্ষম হলেন। শুধু তাই নয়, রাফায়েল হিসেবে পিটার এটাও বলতে সক্ষম হলেন যে, রাফায়েল ও তার ভাই সেই মধ্যযুগে ঘোড়ায় চড়ে কোথায় কোথায় ঘুরে বেড়িয়েছিলেন। দক্ষিণ ইংল্যন্ডের একজন ইতিহাসবিদের সাহায্য নিয়ে পিটার এক প্রাচীন গির্জার সন্ধান পেলেন যেটা ১৬৭৬ সাল পর্যন্ত সেনাবাহিনীর পর্যবেক্ষণ টাওয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হতো। স্থানীয় রেজিস্টারে রেকর্ড ছিল যে, রাফায়েল এই গির্জাতেই তার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন।
০৭) রুথ সিমন্সঃ
১৯৫২ সালে রুথ সিমন্সের ব্যক্তিগত থেরাপিস্ট মোরি বার্নস্টাইন হিপ্নোসিস বা সম্মোহনের মাধ্যমে তাকে তার পূর্বজন্মে ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন। হঠাৎ করেই রুথ ভারী আইরিশ কণ্ঠে কথা বলতে শুরু করলেন। শুধু তাই নয়, উনবিংশ শতাব্দীতে আয়ারল্যান্ডের বেলফাস্টে বসবাসকারী ব্রিডি মারফি নামে এক তরুণীর কথা বললেন। পূর্ব জীবনের খুব বেশি কিছু মনে করতে না পারলেও রুথ দু'জন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেন, 'জন ক্যারিগান' ও 'ফার'। ব্রিডি এ দু’জনের কাছ থেকে খাবার কিনতেন। শহরের ডিরেক্টরি থেকে জানা যায়, ১৮৬৫-৬৬ সালে এ দু’জন ব্যক্তি সেই শহরে মুদি দোকান চালাতো।
০৮) প্রমোদ শর্মাঃ
প্রমোদ শর্মা ১৯৪৪ সালে ভারতে জন্মগ্রহণ করেন। যখন তার বয়স ছিল ২ বছর একদিন তিনি তার মাকে ডেকে বলেন, 'মা, তোমার রান্না করার প্রয়োজন নেই, তোমার বৌ রান্না করছে!' প্রমোদ আরো বলেন যে তার স্ত্রী মোরাদাবাদে থাকেন। প্রমোদের জন্মস্থান থেকে মোরাদাবাদ ছিল ১৪৫ কিলোমিটার দূরে। তিন ও চার বছর বয়সে প্রমোদ ‘মোহন ব্রাদার্স’ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কথা বলেন, যেখানে নাকি তিনি ও তার পরিবারে সদস্যরা হাতে বানানো বিস্কিট ও পানি বিক্রি করতেন। ব্যবসাটি বেশ লাভজনক ভাবেই চলছিল। প্রমোদ তার বাবা-মাকে দই খেতে নিষেধ করেন ও নিজেও সেটা স্পর্শ করতেন না। তিনি বলেন, পূর্ব জন্মে তিনি দই খেয়ে মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তিনি স্নান করতে চাইতেন না কারণ তার বক্তব্য অনুযায়ী বাথটাবে ডুবে তার মৃত্যু হয়েছিল। প্রমোদের বাবা-মা তাকে মোরাদাবাদ নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে তারা জানতে পারলেন যে, সেখানে ‘মোহন ব্রাদার্স’ নামে একটি বিস্কিট ও খাবার সোডা পানীয় বিক্রির একটি দোকান ছিল, যেটার মালিক ছিলেন পরমানন্দ মেহরা। ১৯৪৩ সালে দই খেয়ে পরমানন্দ মারাত্মভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পেটের প্রচণ্ড ব্যথায় ভুগে তিনি মারা যান। মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগেই তাকে ঔষধি উপাদান দিয়ে গোসল করানো হয়েছিল!
লেখকঃ জানা অজানার পথিক।
এই ভদ্রলোক প্রায়ই এক অদ্ভূত স্বপ্ন দেখতেন। তিনি দেখতেন তিনি আসলে 'ব্রুস' নন, তিনি হচ্ছেন ইহুদী ধর্মাবলম্বী একজন ব্যক্তি যিনি কিনা তার পরিবারের সাথে একটি বাড়িতে লুকিয়ে আছেন। স্বপ্নে দেখা ইহুদী ব্যক্তিটির নাম 'স্টেফান হরোইৎজ'। স্টেফান নেদারল্যান্ডের অধিবাসী ছিলেন। তিনি যেখানে লুকিয়ে ছিলেন সেখান থেকে ১৯৪২ সালে তাকে ও তার পরিবারকে ধরে অসউইৎসে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে স্টেফান মারা যান। স্বপ্নের এই জায়গায় ব্রুসের ঘুম ভেঙ্গে যায় ও তিনি চিৎকার দিয়ে জেগে উঠেন। তিনি স্বপ্নের বর্ণনা লিখে রাখতে শুরু করেন। একদিন তিনি স্বপ্নে একটি ঘড়ি দেখলেন, যেটা তাকে তার স্বপ্নের ব্যাখ্যা দিতে সাহায্য করলো। তিনি স্বপ্নে দেখলেন সেই ঘড়িটি কোন একটি প্রাচীন জিনিসপত্রের দোকানে রয়েছে। স্বপ্নের বর্ণনা অনুযায়ী তিনি দোকানটি খুঁজে বের করলেন ও সেখানে ঘড়িটি পেয়েও গেলেন! তিনি বিক্রেতাকে জিজ্ঞেস করলেন যে ঘড়িটি তিনি কোথায় পেয়েছেন। বিক্রেতা জানান তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত জার্মান মেজরের সম্পত্তির মাঝে পেয়েছেন। জার্মানীর নাৎসীরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইহুদীদের উপর ভয়াবহ অত্যাচার চালায় ও স্টেফান ছিলেন সেটারই শিকার।
০৬) পিটার হিউমঃ
বার্মিংহাম, ইংল্যান্ডের পিটার হিউম স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন যে তিনি ১৬৪৬ সালের একজন সেনা, যিনি স্কটিশ সীমান্তরক্ষীর দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি কর্ণওয়েলের সেনাবাহিনীর একজন পদাতিক সেনা হিসেবে কাজ করছেন ও তার নাম পিটার হিউম নয়, জন রাফায়েল। পিটারকে যখন সম্মোহিত করা হলো, তখন তিনি তার পূর্ব জীবনের অবস্থানস্থল সম্পর্কে আরো পরিষ্কার ভাবে বলতে সক্ষম হলেন। শুধু তাই নয়, রাফায়েল হিসেবে পিটার এটাও বলতে সক্ষম হলেন যে, রাফায়েল ও তার ভাই সেই মধ্যযুগে ঘোড়ায় চড়ে কোথায় কোথায় ঘুরে বেড়িয়েছিলেন। দক্ষিণ ইংল্যন্ডের একজন ইতিহাসবিদের সাহায্য নিয়ে পিটার এক প্রাচীন গির্জার সন্ধান পেলেন যেটা ১৬৭৬ সাল পর্যন্ত সেনাবাহিনীর পর্যবেক্ষণ টাওয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হতো। স্থানীয় রেজিস্টারে রেকর্ড ছিল যে, রাফায়েল এই গির্জাতেই তার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন।
০৭) রুথ সিমন্সঃ
১৯৫২ সালে রুথ সিমন্সের ব্যক্তিগত থেরাপিস্ট মোরি বার্নস্টাইন হিপ্নোসিস বা সম্মোহনের মাধ্যমে তাকে তার পূর্বজন্মে ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন। হঠাৎ করেই রুথ ভারী আইরিশ কণ্ঠে কথা বলতে শুরু করলেন। শুধু তাই নয়, উনবিংশ শতাব্দীতে আয়ারল্যান্ডের বেলফাস্টে বসবাসকারী ব্রিডি মারফি নামে এক তরুণীর কথা বললেন। পূর্ব জীবনের খুব বেশি কিছু মনে করতে না পারলেও রুথ দু'জন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেন, 'জন ক্যারিগান' ও 'ফার'। ব্রিডি এ দু’জনের কাছ থেকে খাবার কিনতেন। শহরের ডিরেক্টরি থেকে জানা যায়, ১৮৬৫-৬৬ সালে এ দু’জন ব্যক্তি সেই শহরে মুদি দোকান চালাতো।
০৮) প্রমোদ শর্মাঃ
প্রমোদ শর্মা ১৯৪৪ সালে ভারতে জন্মগ্রহণ করেন। যখন তার বয়স ছিল ২ বছর একদিন তিনি তার মাকে ডেকে বলেন, 'মা, তোমার রান্না করার প্রয়োজন নেই, তোমার বৌ রান্না করছে!' প্রমোদ আরো বলেন যে তার স্ত্রী মোরাদাবাদে থাকেন। প্রমোদের জন্মস্থান থেকে মোরাদাবাদ ছিল ১৪৫ কিলোমিটার দূরে। তিন ও চার বছর বয়সে প্রমোদ ‘মোহন ব্রাদার্স’ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কথা বলেন, যেখানে নাকি তিনি ও তার পরিবারে সদস্যরা হাতে বানানো বিস্কিট ও পানি বিক্রি করতেন। ব্যবসাটি বেশ লাভজনক ভাবেই চলছিল। প্রমোদ তার বাবা-মাকে দই খেতে নিষেধ করেন ও নিজেও সেটা স্পর্শ করতেন না। তিনি বলেন, পূর্ব জন্মে তিনি দই খেয়ে মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তিনি স্নান করতে চাইতেন না কারণ তার বক্তব্য অনুযায়ী বাথটাবে ডুবে তার মৃত্যু হয়েছিল। প্রমোদের বাবা-মা তাকে মোরাদাবাদ নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে তারা জানতে পারলেন যে, সেখানে ‘মোহন ব্রাদার্স’ নামে একটি বিস্কিট ও খাবার সোডা পানীয় বিক্রির একটি দোকান ছিল, যেটার মালিক ছিলেন পরমানন্দ মেহরা। ১৯৪৩ সালে দই খেয়ে পরমানন্দ মারাত্মভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পেটের প্রচণ্ড ব্যথায় ভুগে তিনি মারা যান। মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগেই তাকে ঔষধি উপাদান দিয়ে গোসল করানো হয়েছিল!
লেখকঃ জানা অজানার পথিক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন