‘বাংলাদেশকে জানো’ এই শিরোনামে গত ১০ জুলাই থেকে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের আয়োজনে শুরু হয়েছে এক ব্যাতিক্রমধর্মী সাইকেল ভ্রমণ কার্যক্রম। সাইকেলে চড়ে বাংলাদেশের নানা প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঘুরে বেড়ানো আর এভাবে নিজ দেশকে চেনা ও জানার এক অনন্য সুযোগ এটা। বছরব্যাপী এই কার্যক্রমে নিবন্ধন করে এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা জমা দিলেই পাওয়া যাবে একটি সাইকেল। তারপরই দল বেঁধে ঘুরতে যাওয়া।
শুধু বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের এই আয়োজনই নয়, প্রতিবছর বিশ্বের অসংখ্য উদ্যেমী কিশোর তরুণ সাইকেলে চড়ে বিশ্ব ভ্রমণ করছে। একই সাথে তারা জন সচেতনতামুলক অনেক কাজেও অংশ নিচ্ছে এই বাইসাইকেলে চেপে। সাইকেল চালাতে যারা ভালবাসে, আর ঘোরাঘুরির কথাতে যাদের মনটা চনমন করে ওঠে তাদের জন্য এটা নিঃসন্দেহে একটি অপুর্ব সুযোগ। যে গাড়িতে করে এমন মজার ভ্রমণ আয়োজন করা হয়েছে তার সম্পর্কে কতটুকু জানি আমরা। চলেন আজ এই ফাঁকে জেনে নেই সাইকেলের জানা অজানা নানান কথা।
শুধু বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের এই আয়োজনই নয়, প্রতিবছর বিশ্বের অসংখ্য উদ্যেমী কিশোর তরুণ সাইকেলে চড়ে বিশ্ব ভ্রমণ করছে। একই সাথে তারা জন সচেতনতামুলক অনেক কাজেও অংশ নিচ্ছে এই বাইসাইকেলে চেপে। সাইকেল চালাতে যারা ভালবাসে, আর ঘোরাঘুরির কথাতে যাদের মনটা চনমন করে ওঠে তাদের জন্য এটা নিঃসন্দেহে একটি অপুর্ব সুযোগ। যে গাড়িতে করে এমন মজার ভ্রমণ আয়োজন করা হয়েছে তার সম্পর্কে কতটুকু জানি আমরা। চলেন আজ এই ফাঁকে জেনে নেই সাইকেলের জানা অজানা নানান কথা।
দুই চাকার দারুণ গাড়িঃ
দুই চাকার কি দারুণ গাড়ি, চলে তেল পানি ছাড়াই বহুদুর, বহুদিন। মানুষের দুই পায়ের মতোই সাইকেলের চাকা দুটো। বাচ্চা যেমন হোঁচট খেয়ে হাঁটতে শেখে তেমনি সাইকেলে দুই চাকার উপর ভারসাম্য রেখে প্যাডেল মারতে কতইনা কসরৎ করতে হয় শুরুতে। সামনের চাকাটা যেন কিছুতেই কথা শুনতে চায়না, বড্ড বেয়ারা আর ত্যাদড়। দুই হাতে যতোই শক্ত করে হাতল চেপে ধরেন না কেন ঠিকই গোত্তা খেয়ে একদিকে বেঁকে যাবে রাস্তা থেকে বাইরে। কিন্তু একরোখা নতুন চালক তাকে বশে আনবেই, তাই এবার হালকা করে ধরে আদর করেই প্যাডেল মারছে সে, মনোযোগ ঠিক সামনের চাকার রাস্তায়। এদিকে পা চালিয়ে যচ্ছে তার কাজ সমান তালে। এই তো সে চলছে, দুলকি চালে। সাইকেল চলছে হেলেদুলে। এবার দিই স্পিডটা বাড়িয়ে?
প্রথম দিকে সবাই এমন ছোটখাটো আঘাত আঁচড় পেয়েই পোষ মানায় সাইকেলকে, বেয়াড়া যন্ত্রটা তখন হয়ে পড়ে শখের আদুরে গাড়ি। তবে সাইকেল সবসময় শখ কিংবা খেলাধুলার বস্তু নয়। চীনের কথাই বলি। অল্প কিছুদিন হলো সে দেশের লোকজন ঝুঁকে পড়তে শুরু করেছে তাদের দেশে তৈরি মোটরগাড়ির দিকে। এর আগ পর্যন্ত চীনকে বলা হতো ‘বাইসাইকেলের দেশ’। ছোট থেকে শুরু করে জোয়ান বুড়ো সকলেরই সাধারণ বাহন সাইকেল। এক বেইজিংয়ের রাস্তা ঘাটেই গড় পড়তায় প্রায় ৮০ লাখ সাইকেল রাস্তা দখল করে থাকতো।
সাইকেলে নাই কোন দুষণ, নাই রাস্তায় বাড়তি জায়গা দখল করে রাখার ঝক্কি। ভাঙ্গা রাস্তা? তো কি হয়েছে? সাইকেলটা কাঁধে উঠিয়ে নিয়ে ভালো রাস্তার দিকে চলেন! মোটরগাড়ির মতো দামী নয় সাইকেল। সস্তার এই বাহনটি দিয়ে এমন অনেক দুর্লঙ্ঘ পথও পাড়ি দেওয়া যায় যা হয়তো গাড়িতে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই কমবেশি অ্যান্টার্কটিকা ছাড়া আর সব দেশেই কমবেশি জনপ্রিয় বাহন সাইকেল।
দুই চাকার কি দারুণ গাড়ি, চলে তেল পানি ছাড়াই বহুদুর, বহুদিন। মানুষের দুই পায়ের মতোই সাইকেলের চাকা দুটো। বাচ্চা যেমন হোঁচট খেয়ে হাঁটতে শেখে তেমনি সাইকেলে দুই চাকার উপর ভারসাম্য রেখে প্যাডেল মারতে কতইনা কসরৎ করতে হয় শুরুতে। সামনের চাকাটা যেন কিছুতেই কথা শুনতে চায়না, বড্ড বেয়ারা আর ত্যাদড়। দুই হাতে যতোই শক্ত করে হাতল চেপে ধরেন না কেন ঠিকই গোত্তা খেয়ে একদিকে বেঁকে যাবে রাস্তা থেকে বাইরে। কিন্তু একরোখা নতুন চালক তাকে বশে আনবেই, তাই এবার হালকা করে ধরে আদর করেই প্যাডেল মারছে সে, মনোযোগ ঠিক সামনের চাকার রাস্তায়। এদিকে পা চালিয়ে যচ্ছে তার কাজ সমান তালে। এই তো সে চলছে, দুলকি চালে। সাইকেল চলছে হেলেদুলে। এবার দিই স্পিডটা বাড়িয়ে?
প্রথম দিকে সবাই এমন ছোটখাটো আঘাত আঁচড় পেয়েই পোষ মানায় সাইকেলকে, বেয়াড়া যন্ত্রটা তখন হয়ে পড়ে শখের আদুরে গাড়ি। তবে সাইকেল সবসময় শখ কিংবা খেলাধুলার বস্তু নয়। চীনের কথাই বলি। অল্প কিছুদিন হলো সে দেশের লোকজন ঝুঁকে পড়তে শুরু করেছে তাদের দেশে তৈরি মোটরগাড়ির দিকে। এর আগ পর্যন্ত চীনকে বলা হতো ‘বাইসাইকেলের দেশ’। ছোট থেকে শুরু করে জোয়ান বুড়ো সকলেরই সাধারণ বাহন সাইকেল। এক বেইজিংয়ের রাস্তা ঘাটেই গড় পড়তায় প্রায় ৮০ লাখ সাইকেল রাস্তা দখল করে থাকতো।
সাইকেলে নাই কোন দুষণ, নাই রাস্তায় বাড়তি জায়গা দখল করে রাখার ঝক্কি। ভাঙ্গা রাস্তা? তো কি হয়েছে? সাইকেলটা কাঁধে উঠিয়ে নিয়ে ভালো রাস্তার দিকে চলেন! মোটরগাড়ির মতো দামী নয় সাইকেল। সস্তার এই বাহনটি দিয়ে এমন অনেক দুর্লঙ্ঘ পথও পাড়ি দেওয়া যায় যা হয়তো গাড়িতে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই কমবেশি অ্যান্টার্কটিকা ছাড়া আর সব দেশেই কমবেশি জনপ্রিয় বাহন সাইকেল।
কেমন করে এলো বাই-সাইকেলঃ
প্রশ্ন জাগাটা স্বাভাবিক, এতো জনপ্রিয় বাহনটির আবিষ্কার কবে, কোথায়? কেইবা এটা বানালো? নানা জনের নানা মত। ফরাসিদের দাবি সাইকেল তাদের আবিষ্কার। এমনি ভাবে একই দাবী জার্মান, স্কটিশ, ইংরেজদেরও। কেউ একচুল দাবি ছাড়তে চায় না বাইসাইকেল নিয়ে। এমনকি অনেক সময় আমেরিকানরাও হাঁক ছাড়ে সাইকেল তাদেরই উদ্ভাবনী ক্ষমতার ফসল।
আবার আজকের দু'চাকার বাইসাইকেল দেখলে কে বলবে আগের দিনে বাই সাইকেল এরকম ছিলো না। সত্যিই প্রথম যুগের বাই সাইকেল দেখলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। আসলে বাই সাইকেলকে আজকের রূপে আসতে হয়েছে অনেকগুলো বিবর্তনের মধ্য দিয়ে। সেই গল্পই বলবো আপনাদের।
প্রশ্ন জাগাটা স্বাভাবিক, এতো জনপ্রিয় বাহনটির আবিষ্কার কবে, কোথায়? কেইবা এটা বানালো? নানা জনের নানা মত। ফরাসিদের দাবি সাইকেল তাদের আবিষ্কার। এমনি ভাবে একই দাবী জার্মান, স্কটিশ, ইংরেজদেরও। কেউ একচুল দাবি ছাড়তে চায় না বাইসাইকেল নিয়ে। এমনকি অনেক সময় আমেরিকানরাও হাঁক ছাড়ে সাইকেল তাদেরই উদ্ভাবনী ক্ষমতার ফসল।
আবার আজকের দু'চাকার বাইসাইকেল দেখলে কে বলবে আগের দিনে বাই সাইকেল এরকম ছিলো না। সত্যিই প্রথম যুগের বাই সাইকেল দেখলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। আসলে বাই সাইকেলকে আজকের রূপে আসতে হয়েছে অনেকগুলো বিবর্তনের মধ্য দিয়ে। সেই গল্পই বলবো আপনাদের।
ব্যারনের হাঁটার মেশিন (ড্রেইজিন):
কিছু ইতিহাসের বইয়ে দেখা যায় ঘোড়ার গাড়ি নির্মাতা ফরাসি দুই পিতা পুত্র পিয়েরে ও আর্নস্ট মাইকক্স প্রথম বাইসাইকেল আবিষ্কার করেন ১৮৬০ সালে। কিন্তু আধুনিক ইতিহাসবিদরা দেখাচ্ছেন, সাইকেলের ইতিহাসটি তারও আগেকার। যদিও তারা এটা স্বীকার করেন যে, বাইসেকেলের প্যাডেল ও ক্রাঙ্ক এই দুটি আর্নস্ট মাইকক্সেরই উদ্ভাবণ, ১৮৬১ সালে।
আসল কথা হলো ১৮১৭ সালে জার্মানীর এক ব্যারন, নাম তার কার্ল ড্রাইজ ভন সয়্যারব্রন, তার বিশাল রাজকীয় বাগানের ভিতর দিয়ে দ্রুত গতিতে চলাচলের জন্য কাঠ দিয়ে তৈরি একটি মেশিন তৈরি করেন। এটির সামনে ও পিছনে দুটি সমানাকৃতির চাকা, যার সামনেরটা একদিক ওদিক ঘোরানো যেতো এবং এটা সংযুক্ত ছিল উচু একটা ফ্রেমে যেটায় দুইপা ছড়িয়ে উঠে বসা যেত। সম্পূর্ণ কাঠ দিয়ে তৈরি যন্ত্রটা চলতো মাটিতে পা দিয়ে ধাক্কা দিলে। সেসময় এটা পরিচিত হয় ড্রাইসিয়েন বা হবি হর্স নামে। এটা অবশ্য খুব বেশি দিন টেকেনি কারণ বাস্তব সম্মত বাহন হিসেবে এটা খুব দক্ষ কিছু ছিল না। কেবল বাগান কিংবা পার্কের বাধানো রাস্তাতেই এটা ভালো কাজে দিত।
কিছু ইতিহাসের বইয়ে দেখা যায় ঘোড়ার গাড়ি নির্মাতা ফরাসি দুই পিতা পুত্র পিয়েরে ও আর্নস্ট মাইকক্স প্রথম বাইসাইকেল আবিষ্কার করেন ১৮৬০ সালে। কিন্তু আধুনিক ইতিহাসবিদরা দেখাচ্ছেন, সাইকেলের ইতিহাসটি তারও আগেকার। যদিও তারা এটা স্বীকার করেন যে, বাইসেকেলের প্যাডেল ও ক্রাঙ্ক এই দুটি আর্নস্ট মাইকক্সেরই উদ্ভাবণ, ১৮৬১ সালে।
আসল কথা হলো ১৮১৭ সালে জার্মানীর এক ব্যারন, নাম তার কার্ল ড্রাইজ ভন সয়্যারব্রন, তার বিশাল রাজকীয় বাগানের ভিতর দিয়ে দ্রুত গতিতে চলাচলের জন্য কাঠ দিয়ে তৈরি একটি মেশিন তৈরি করেন। এটির সামনে ও পিছনে দুটি সমানাকৃতির চাকা, যার সামনেরটা একদিক ওদিক ঘোরানো যেতো এবং এটা সংযুক্ত ছিল উচু একটা ফ্রেমে যেটায় দুইপা ছড়িয়ে উঠে বসা যেত। সম্পূর্ণ কাঠ দিয়ে তৈরি যন্ত্রটা চলতো মাটিতে পা দিয়ে ধাক্কা দিলে। সেসময় এটা পরিচিত হয় ড্রাইসিয়েন বা হবি হর্স নামে। এটা অবশ্য খুব বেশি দিন টেকেনি কারণ বাস্তব সম্মত বাহন হিসেবে এটা খুব দক্ষ কিছু ছিল না। কেবল বাগান কিংবা পার্কের বাধানো রাস্তাতেই এটা ভালো কাজে দিত।
হাইহুইল বাইসাইকেল থেকে কিডস বাইসাইকেলঃ
পুরো দুস্তর মেটালিক বাইসাইকেল এলো ১৮৭০ সালে। প্যাডেল দুটো সামনের চাকার সঙ্গে কোন রকম ফ্রি হুইলিং মেকানিজম ছাড়াই সংযুক্ত ছিল। টায়ারে এলো রাবারের আস্তরণ এবং অভ্যন্তর ভাগ লম্বা স্পোক দিয়ে জোড়ালো কাঠামো। বাইসাইকেল মানে জানেন কি? এর মানে হলো দুই চাকা। আর প্রকৃত অর্থে হাইহুইলের প্রথম এই সাইকেলটির নামই হলো বাইসাইকেল। তখনকার তরুণদের মধ্যে সাইকেলটির জনপ্রিয়তা ছিল বহুদিন, প্রায় ১৮৮০ পর্যন্ত। সেসময়কার তরুণদের গড়পড়তা ছয় মাসের আয়ের সমান ছিল এই সাইকেলটির দাম।
এভাবেই শুরু হলো আধুনিক বাইসাইকেলের বিবর্তন। এলো দি ভেলোস্পিড বা বোনশেকার, উঁচু চাকার হাইহুইল বাইসাইকেল এবং তারপর একই মডেলের ট্রাইসাকেল।
তবে সাইকেলে কেবল বড়রাই চড়বে, ছোটরা চড়বে না তাই কি হয়? তাই একটু দেরীতে হলেও ছোটদের সাইকেল এলো প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর পরই অর্থাৎ প্রায় উনিশশো আঠারোর শেষ দিকে। মিড (Mead), সিয়ার্স রয়বাক (Sears Roebuck) এবং মন্টগমারি ওয়ার্ড (Montgomery Ward) এমনি বেশ কিছু সাইকেল প্রস্তুতকারকরা বাইক ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন প্রাণের সঞ্চার ঘটালো একটি নতুন ডিজাইন দিয়ে যেটাকে আজকের দিনে আমরা চিনি ‘ক্লাসিক’ বাইসাইকেল নামে।
ক্লাসিকের বৈশিষ্ট্য ছিল অটোমোবাইল ও মোটরসাইকেলের যন্ত্রাংশ দিয়ে সেসকল অল্পবয়েসীদের আকৃষ্ট করা যাদের নজরটা হয়তো মোটরগাড়ির দিকেই ছিলো। সাইকেলের যদি কখনো মোটর দরকার হয় তবে এটাই ছিল সেই সাইকেল। স্বাভাবিক ভাবেই এধরনের সাইকেলগুলো ছিল অত্যন্ত আকর্ষণীয়, চমৎকার, জাঁকালো এবং সেকালের ভারিক্কি ডিজাইনের সাইকেলগুলোর মধ্যে অন্যতম। আজকের দিনে এটা অবিশ্বাস্য শোনাতে পারে যে, এখনকার ১৪ বছরের কোন ছেলে সাইকেলে যেসব কসরত দেখায় ৬৫ পাউন্ড ওজনের এই মেশিন দিয়ে একই রকম কসরৎ দেখিয়েছে সেকালের ছেলেরাও!
১৯৫০ মাঝামাঝি সময়ে ক্লাসিকের ডিজাইনে জেট এয়ারক্রাফট, এমনকি রকেটের সরঞ্জামও ব্যবহার করা হয়েছিল। ষাটের দশকে এসে সাইকেলটির ডিজাইনকে অনেকখানি পাতলা ও সরল করা হলো।
পুরো দুস্তর মেটালিক বাইসাইকেল এলো ১৮৭০ সালে। প্যাডেল দুটো সামনের চাকার সঙ্গে কোন রকম ফ্রি হুইলিং মেকানিজম ছাড়াই সংযুক্ত ছিল। টায়ারে এলো রাবারের আস্তরণ এবং অভ্যন্তর ভাগ লম্বা স্পোক দিয়ে জোড়ালো কাঠামো। বাইসাইকেল মানে জানেন কি? এর মানে হলো দুই চাকা। আর প্রকৃত অর্থে হাইহুইলের প্রথম এই সাইকেলটির নামই হলো বাইসাইকেল। তখনকার তরুণদের মধ্যে সাইকেলটির জনপ্রিয়তা ছিল বহুদিন, প্রায় ১৮৮০ পর্যন্ত। সেসময়কার তরুণদের গড়পড়তা ছয় মাসের আয়ের সমান ছিল এই সাইকেলটির দাম।
এভাবেই শুরু হলো আধুনিক বাইসাইকেলের বিবর্তন। এলো দি ভেলোস্পিড বা বোনশেকার, উঁচু চাকার হাইহুইল বাইসাইকেল এবং তারপর একই মডেলের ট্রাইসাকেল।
তবে সাইকেলে কেবল বড়রাই চড়বে, ছোটরা চড়বে না তাই কি হয়? তাই একটু দেরীতে হলেও ছোটদের সাইকেল এলো প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর পরই অর্থাৎ প্রায় উনিশশো আঠারোর শেষ দিকে। মিড (Mead), সিয়ার্স রয়বাক (Sears Roebuck) এবং মন্টগমারি ওয়ার্ড (Montgomery Ward) এমনি বেশ কিছু সাইকেল প্রস্তুতকারকরা বাইক ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন প্রাণের সঞ্চার ঘটালো একটি নতুন ডিজাইন দিয়ে যেটাকে আজকের দিনে আমরা চিনি ‘ক্লাসিক’ বাইসাইকেল নামে।
ক্লাসিকের বৈশিষ্ট্য ছিল অটোমোবাইল ও মোটরসাইকেলের যন্ত্রাংশ দিয়ে সেসকল অল্পবয়েসীদের আকৃষ্ট করা যাদের নজরটা হয়তো মোটরগাড়ির দিকেই ছিলো। সাইকেলের যদি কখনো মোটর দরকার হয় তবে এটাই ছিল সেই সাইকেল। স্বাভাবিক ভাবেই এধরনের সাইকেলগুলো ছিল অত্যন্ত আকর্ষণীয়, চমৎকার, জাঁকালো এবং সেকালের ভারিক্কি ডিজাইনের সাইকেলগুলোর মধ্যে অন্যতম। আজকের দিনে এটা অবিশ্বাস্য শোনাতে পারে যে, এখনকার ১৪ বছরের কোন ছেলে সাইকেলে যেসব কসরত দেখায় ৬৫ পাউন্ড ওজনের এই মেশিন দিয়ে একই রকম কসরৎ দেখিয়েছে সেকালের ছেলেরাও!
১৯৫০ মাঝামাঝি সময়ে ক্লাসিকের ডিজাইনে জেট এয়ারক্রাফট, এমনকি রকেটের সরঞ্জামও ব্যবহার করা হয়েছিল। ষাটের দশকে এসে সাইকেলটির ডিজাইনকে অনেকখানি পাতলা ও সরল করা হলো।
নানান ধরনের বাইসাইকেলঃ
সাইকেল মোটামুটি ছয় ধরনের হতে পারে। ট্যুরিং, মাউন্টেইন, হাইব্রিড বা ক্রস, ইউটিলিটি, রেসিং বা স্পেশিয়ালিটি এই ছয়টি টাইপ দিয়েই সাইকেল চেনা যায় এ যুগে। সহজ সরল বাধানো রাস্তায় চলার জন্য ব্যবহার করা হয় ট্যুরিং বাইসাইকেল। পাহাড়ি ঢালু এবং এবড়ো খেবড়ো পথে চলতে চাই মাউন্টেইন বাইক। আর এই দুই ধরণের অর্থাৎ ট্যুরিং ও মাউন্টেইন সাইকেলের সম্বিলিত প্রযুক্তি ও সুবিধা নিয়ে যে সব সাইকেল পাওয়া যায় সেগুলো হাইব্রিড বা ক্রস বাইসাইকেল।
চৌদ্দ কেজির বেশি ওজন আর দামে সস্তা ইউটিলিটি বাইসাইকেল ব্যবহৃত হয় মূলত মালামাল পরিবহনের জন্য, ছোটরাও এগুলো চালায়। সবচেয়ে হালকা সাইকেল হিসেবে সুনাম আছে রেসিং বাইসাইকেলের। বাতাস কেটে দ্রুত গতিতে চালানোর জন্য এগুলোকে হালকা করে তৈরি করা হয়।
বিশেষ প্রয়োজন মেটানোর জন্য অন্য যেকোন ডিজাইনের সাইকেলকেই স্পেশালিটি বাইসাইকেল বলে। এর একটি উদাহরণ হতে পারে ইলেকট্রিক বাইসাইকেল। এর মধে থাকে ব্যাটারি আর ছোট্ট ইলেকট্র্রিক মোটর থাকে ব্যাক হুইলে। মোটরটা একা পুরো সাইকেলকে চালানোর মতো শক্তিশালি নয়, এর জন্য সাইকেল চালকেরও দরকার আছে।
সাইকেল মোটামুটি ছয় ধরনের হতে পারে। ট্যুরিং, মাউন্টেইন, হাইব্রিড বা ক্রস, ইউটিলিটি, রেসিং বা স্পেশিয়ালিটি এই ছয়টি টাইপ দিয়েই সাইকেল চেনা যায় এ যুগে। সহজ সরল বাধানো রাস্তায় চলার জন্য ব্যবহার করা হয় ট্যুরিং বাইসাইকেল। পাহাড়ি ঢালু এবং এবড়ো খেবড়ো পথে চলতে চাই মাউন্টেইন বাইক। আর এই দুই ধরণের অর্থাৎ ট্যুরিং ও মাউন্টেইন সাইকেলের সম্বিলিত প্রযুক্তি ও সুবিধা নিয়ে যে সব সাইকেল পাওয়া যায় সেগুলো হাইব্রিড বা ক্রস বাইসাইকেল।
চৌদ্দ কেজির বেশি ওজন আর দামে সস্তা ইউটিলিটি বাইসাইকেল ব্যবহৃত হয় মূলত মালামাল পরিবহনের জন্য, ছোটরাও এগুলো চালায়। সবচেয়ে হালকা সাইকেল হিসেবে সুনাম আছে রেসিং বাইসাইকেলের। বাতাস কেটে দ্রুত গতিতে চালানোর জন্য এগুলোকে হালকা করে তৈরি করা হয়।
বিশেষ প্রয়োজন মেটানোর জন্য অন্য যেকোন ডিজাইনের সাইকেলকেই স্পেশালিটি বাইসাইকেল বলে। এর একটি উদাহরণ হতে পারে ইলেকট্রিক বাইসাইকেল। এর মধে থাকে ব্যাটারি আর ছোট্ট ইলেকট্র্রিক মোটর থাকে ব্যাক হুইলে। মোটরটা একা পুরো সাইকেলকে চালানোর মতো শক্তিশালি নয়, এর জন্য সাইকেল চালকেরও দরকার আছে।
শেষ কথাঃ
গাড়ির দিকে ঝুকে পড়া সত্তেও চীনে এখনো রাস্তার পাশে সারি সারি সাইকেল রাখা স্ট্যান্ড দেখা যায়। চীনের মতোই আমাদের বাংলাদেশের শহুরে অঞ্চল গুলোতে লোকজনের বেশি বেশি সাইকেল চালানোর প্রচলন হওয়া দরকার ছিল, বিশেষ করে ঢাকায়। কিন্তু তার বদলে এর প্রচলনটা বেশি দেখা যায় গ্রামে ও মফস্বলে। অথচ ঢাকা শহরের অধিকাংশ মানুষই যদি রিক্সা বা গাড়ির বদলে সাইকেল ব্যাবহার করতো তবে কেমন হতো ব্যাপারটা, ভাবেন তো? ট্রাফিক জ্যাম কমে যেত রাস্তায়, পরিবেশ দুষণ কম হতো, ঝুকিপূর্ণ অ্যাক্সিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যেতো অনেক। সেই সঙ্গে বেড়ে যেতো লোকজনের এনার্জি। জানেনতো, সাইকেল চালানোটা অনেক ভালো ব্যায়ামের মধ্যে একটা!
লেখকঃ তামিম আব্দুল্লাহ।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
গাড়ির দিকে ঝুকে পড়া সত্তেও চীনে এখনো রাস্তার পাশে সারি সারি সাইকেল রাখা স্ট্যান্ড দেখা যায়। চীনের মতোই আমাদের বাংলাদেশের শহুরে অঞ্চল গুলোতে লোকজনের বেশি বেশি সাইকেল চালানোর প্রচলন হওয়া দরকার ছিল, বিশেষ করে ঢাকায়। কিন্তু তার বদলে এর প্রচলনটা বেশি দেখা যায় গ্রামে ও মফস্বলে। অথচ ঢাকা শহরের অধিকাংশ মানুষই যদি রিক্সা বা গাড়ির বদলে সাইকেল ব্যাবহার করতো তবে কেমন হতো ব্যাপারটা, ভাবেন তো? ট্রাফিক জ্যাম কমে যেত রাস্তায়, পরিবেশ দুষণ কম হতো, ঝুকিপূর্ণ অ্যাক্সিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যেতো অনেক। সেই সঙ্গে বেড়ে যেতো লোকজনের এনার্জি। জানেনতো, সাইকেল চালানোটা অনেক ভালো ব্যায়ামের মধ্যে একটা!
লেখকঃ তামিম আব্দুল্লাহ।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
প্রথম বাইসাইকেল তৈরি হয় কত সালে?
উত্তরমুছুনhttps://en.wikipedia.org/wiki/History_of_the_bicycle
মুছুন