সুদুর প্রাচীন কাল থেকেই মানুষ খুজে আসছে এমন কিছু যা আসলেই রহস্যময় ও যাদের সহজে ব্যাখ্যা করা যায়না । এটা হতে পারে স্বর্ন মুদ্রা কিংবা বৃহৎ পিরামিড। ঠিক সেই রকম রহস্যই মানুষ খুজে বেরাচ্ছে বিভিন্ন সময় খুজে পাওয়া খুলির মাঝেও। এই খুলি গুলো যেমন বিবর্তনের তত্বকে প্রভাবিত করেছে ঠিক তেমনি তাকে করেছে প্রশ্নবিদ্ধ। তা যাই হোক আজ আপনাদেরকে পরিচিত করিয়ে দিচ্ছি এমন কিছু খুলির সাথে যে গুলো হাজার বছর ধরে মানুষকে রহস্যের সাগরে ডুবিয়ে রেখেছে।
ভ্যম্পায়ার বা রক্ত চোষার খুলিঃ
আমরা যারা ইংরেজি ছবি দেখি তাদের কাছে ভ্যাম্পায়ার শব্দটি অতি পরিচিত। কিন্ত অতি পরিচিত এই ভ্যাম্পায়ার কি আসলেই ছিল? নাকি তা এসেছিল গল্পকারদের উর্বর মস্তিস্ক থেকে? এর উত্তর পাওয়া যায় প্রাচীণ বিভিন্ন গ্রন্থ ও মিথ থেকে।
বেশ কিছু বছর থেকে ভেনিসের বিভিন্ন কবর স্থান গুলো থেকে ভ্যাম্পায়ারের কঙ্কাল খুজে পাওয়ার কথা শোনা যায়। ২০০৯ সালের দিকে প্রত্নতাত্বিকদের একটি দল যখন ভেনিসের Venetian দ্বীপের Lazzaretto Nuovo তে পুরাতন প্লেগের শিকার মানুষদের কবরস্থান খনন করছিল তখন আশ্চর্য ভাবে একটি ব্যাতিক্রমি কবরের সন্ধান পায়। সেখানে তারা এমন একটি কঙ্কালের সন্ধান পায় যার খুলির দুই চোয়ালের মাঝে একটি পাথরের স্লাব বসানো। প্রাচীন নথি থেকে জানা যায় ঠিক এই ভাবেই প্রাচীন কালে ভ্যাম্পায়ারদের কবর দেওয়া হত।
আমরা যারা ইংরেজি ছবি দেখি তাদের কাছে ভ্যাম্পায়ার শব্দটি অতি পরিচিত। কিন্ত অতি পরিচিত এই ভ্যাম্পায়ার কি আসলেই ছিল? নাকি তা এসেছিল গল্পকারদের উর্বর মস্তিস্ক থেকে? এর উত্তর পাওয়া যায় প্রাচীণ বিভিন্ন গ্রন্থ ও মিথ থেকে।
বেশ কিছু বছর থেকে ভেনিসের বিভিন্ন কবর স্থান গুলো থেকে ভ্যাম্পায়ারের কঙ্কাল খুজে পাওয়ার কথা শোনা যায়। ২০০৯ সালের দিকে প্রত্নতাত্বিকদের একটি দল যখন ভেনিসের Venetian দ্বীপের Lazzaretto Nuovo তে পুরাতন প্লেগের শিকার মানুষদের কবরস্থান খনন করছিল তখন আশ্চর্য ভাবে একটি ব্যাতিক্রমি কবরের সন্ধান পায়। সেখানে তারা এমন একটি কঙ্কালের সন্ধান পায় যার খুলির দুই চোয়ালের মাঝে একটি পাথরের স্লাব বসানো। প্রাচীন নথি থেকে জানা যায় ঠিক এই ভাবেই প্রাচীন কালে ভ্যাম্পায়ারদের কবর দেওয়া হত।
তবে ভ্যম্পায়ারদের নিয়ে সবচেয়ে রহস্যময় ঘটনাটা পাওয়াযায় আমেরিকার Andover থেকে। ১৯৫০ সালের দিকে নতুন বিবাহিত দম্পতি Mr. F. moris ও Mrs. B. Moris আমেরিকারর Andover Massachusetts এ একটি বাড়ি ক্রয় করেন। বাড়িটিতে প্রবেশ করার পর তারা পুরনো কিছু আসবাবপত্র দেখতে পান। আসবাবপত্র গুলো ছিলো বেশির ভাগই ভাঙ্গা আর পুরাতন। সেখানে যাওয়ার এক বছর পর তারা একটি সিলগালা করা সিন্দুকের সন্ধান পায়। অনেক কষ্ট করে তারা যখন সিন্দুকটি ভাঙ্গল, তখন আশ্চর্য ভাবে ভয়ঙ্কর একটি কঙ্কালের সন্ধান পান তারা। কঙ্কালটি ছিল অন্য যে কোন কঙ্কালের চেয়ে ভিন্ন। সবচেয়ে রোমহর্ষক ছিল এর খুলি। আঠা দিয়ে মরিস সাহেব যখন মাথার বিভিন্ন অংশ জোড়া লাগাল তখন দেখতে পেল, তার চোখের কোটোর গুলি অনেক বড়। খুলি ছিল অনেক বড় এবং দুপাশের দাত দুটি অনেক লম্বা এবং ধারালো।
এলিয়েনের খুলিঃ
ছবিতে দেখা এই খুলি আমি প্রথম দেখি NET GEO এর একটি জনপ্রিয় অনুষ্ঠান "Is it Real" থেকে। তারপর এটা নিয়ে নেটে অনেক ঘাটা ঘাটি করলাম এবং এটা নিশ্চিত হলাম যে এই খুলির অস্তিত্ব যে সত্য এতে কোনো সন্দেহ নেই।
"স্টারচাইল্ড" নামের এই খুলি নিয়ে রয়েছে অনেক বিতর্ক ও আলোচনা ও গবেষনা। এটি সম্ভবত ৯০০ বছরের পুরোনো। এটি প্রথম আবিষ্কৃত হয় ম্যাক্সিকোর চিহুয়াহুয়া স্টেটের কপার ক্যানিয়ন থেকে। শোনা যায় এটিকে প্রথম পেয়েছিল একটি আমেরিকান কিশোরি। সে মারা যাবার পর এটি চলে আসে এল পাসো এর বাসিন্দা Ray এবং Melanic এর কাছে। এটা পাওয়ার পর Ray এবং Melanic বুজতে পারছিল না যে এটা নিয়ে কি করবে তারা। তারপর তারা খুলিটিকে নিয়ে Mr. Lloyed Pye নামের একজন গবেষকের কাছে যায়। তার কিছুদিন পর Mr. Lloyed Pye খুলিটিকে নিয়ে "Starchild Project" নামে একটি গবেষনা শুরু করেন। তার উদ্দশ্য ছিল খুলিটি সম্পর্কে ভাল ভাবে জানা। এখানে কোন সন্দেহ ছিল না যে খুলিটি আসল। পরিক্ষা করে দেখা গেছে যে খুলিটির হাড় অন্য যেকোন খুলির চেয়ে অনেক পাতলা এবং মনে হয় এটি ৫ থেকে ৬ বছরের কোন শিশুর খুলি।
ছবিতে দেখা এই খুলি আমি প্রথম দেখি NET GEO এর একটি জনপ্রিয় অনুষ্ঠান "Is it Real" থেকে। তারপর এটা নিয়ে নেটে অনেক ঘাটা ঘাটি করলাম এবং এটা নিশ্চিত হলাম যে এই খুলির অস্তিত্ব যে সত্য এতে কোনো সন্দেহ নেই।
"স্টারচাইল্ড" নামের এই খুলি নিয়ে রয়েছে অনেক বিতর্ক ও আলোচনা ও গবেষনা। এটি সম্ভবত ৯০০ বছরের পুরোনো। এটি প্রথম আবিষ্কৃত হয় ম্যাক্সিকোর চিহুয়াহুয়া স্টেটের কপার ক্যানিয়ন থেকে। শোনা যায় এটিকে প্রথম পেয়েছিল একটি আমেরিকান কিশোরি। সে মারা যাবার পর এটি চলে আসে এল পাসো এর বাসিন্দা Ray এবং Melanic এর কাছে। এটা পাওয়ার পর Ray এবং Melanic বুজতে পারছিল না যে এটা নিয়ে কি করবে তারা। তারপর তারা খুলিটিকে নিয়ে Mr. Lloyed Pye নামের একজন গবেষকের কাছে যায়। তার কিছুদিন পর Mr. Lloyed Pye খুলিটিকে নিয়ে "Starchild Project" নামে একটি গবেষনা শুরু করেন। তার উদ্দশ্য ছিল খুলিটি সম্পর্কে ভাল ভাবে জানা। এখানে কোন সন্দেহ ছিল না যে খুলিটি আসল। পরিক্ষা করে দেখা গেছে যে খুলিটির হাড় অন্য যেকোন খুলির চেয়ে অনেক পাতলা এবং মনে হয় এটি ৫ থেকে ৬ বছরের কোন শিশুর খুলি।
সবচেয়ে মজার ব্যাপারটি বেড়িয়ে আসল যখন খুলিটির DNA টেষ্ট করা হল। এর DNA পরিক্ষা করার পর দেখা গেল এতে X এবং Y এই দু'রকমেরই ক্রোমোজমই আছে। তাই একে কোনো মানুষের খুলি বলে বিবেচনা করা হয়। পরবর্তিতে ঠিক একই ধরনের দুটি গবেষক দল খুলিটিকে নিয়ে গবেষনা করেন। একদল তাদের গবেষনায় এমন কিছু ব্যাতিক্রম লক্ষ করেন যে তারা খুলি টিকে মানুষ ও এলিয়েনের সংকর বলে দাবী করেন। অন্য একটি দল বিশ্বাস করেন যে খুলিটির এই বিক্রিতি হয়ত কোনো রোগের ফলাফল। তারা বিশ্বাস করেছিল যে এটা সম্ভবত Brachycephaly, Crouzon Syndrom কিংবা অন্যান্য কোনো জেনেটিক রোগের কারনে হয়েছিল। তবে দু'দলই বিশ্বাস করত যে এই খুলিটি এমন কোনো কিছুর উদাহরন যা আসলেই আলাদা ও অদ্বীতিয়।
রানী নেফারতিতিরঃ
চুনা পাথরে খোদাই করা উপরের যে ছবিটা আপনারা দেখছেন, তা হল প্রাচীন মীশরীয় সুন্দরী "নেফারতিতির"। The Relief of a Royal Couple টাইটেলের এই ছবিটির দিকে তাকিয়েই আপনারা হয়ত নেফেরতিতির সৌন্দর্যের ব্যাতিক্রম দিকটা লক্ষ করেছেন। হ্যা নেফারতিতি ছিলেন ব্যাতিক্রম। তিনি ব্যাতিক্রম হয়ে ছিলেন তার মাথার খুলির ব্যাতিক্রম আকৃতির জন্যই। আর এই বিশেষ আকৃতিই তাকে হাজার বছর ধরে রহস্যে আবৃত্ত করে রেখেছে।
নেফারতিতি ছিলেন মিশরীয় রানী (18 dynesty circa 1330bc) তিনি ছিলেন ফারাও রাজা Akahenaton এর স্ত্রী। Akahenaton ছিলেন অন্য ফারাওদের চেয়ে ভিন্ন ও শক্তিশালী। তিনি জোর পুর্বক প্রজাদের মদ্ধে কিছু ধর্মীয় ও সামাজিক সংস্কার আনতে সক্ষম হয়েছিল। এই সংস্কার গুলোর মাঝে অন্যতম ছিল সুর্য ও তারার পুজা। তার রানী নেফারতিতি ছিল অন্য রানীদের চেয়ে আলাদা ও সুন্দরী। তার কিছু অলৌকিক ক্ষমতা ছিল বলেও ধারনা করা হয়। তার সৌন্দর্যের সবচেয়ে আকর্ষনীয় দিক ছিল তার চৌকো মাথার আকৃতি। তাকে নিয়ে আঁকা যে সকল চিত্রকর্ম আবিস্কৃত হয়েছে তার প্রত্যেকটিতেই তার মাথার ব্যতিক্রম আকৃতি লক্ষ করা যায়। প্রায় সকল চিত্রকর্মেই লক্ষ করা যায় যে তিনি তার চৌক মাথাটাকে নানা রকম অলঙ্কারে সজ্জিত করে রেখেছেন।
অনেক বছর ধরেই ইজিপ্টোলজিস্টরা ছবিতে পাওয়া নেফারতিতির খুলির এই আকৃতিকে অবিশ্বাস করে আসছিল। তবে তারা একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করে যে, মিশরীয় শিল্পীরা যখন কারো ছবি অঙ্কন করত তখন তারা কখনই চেহারা বা দেহের আকৃতিতে পরিবর্তন আনত না, বরং তারা তাদের সুনিপুন হাতের ছোয়ায় মানুষকে আরো সুন্দর ভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করতে কার্পন্ন করত না।
যদি এটা সত্য হয় যে নেফারতিতির মাথা আসলেই এই রকম চৌক ও ব্যাতিক্রম ছিল তাহলে এটাও সত্য হবে যে নেফারতিতি ছিল অন্য যে কোন মানব রমনীর থেকে আলাদা। তার মাথার এই ব্যতিক্রম আকৃতি তাকে যেমন করে ছিল সুন্দরি, ঠিক তেমনি করেছিল শক্তিশালী।
লেখকঃ বঙ্গবাসী হাসান।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
চুনা পাথরে খোদাই করা উপরের যে ছবিটা আপনারা দেখছেন, তা হল প্রাচীন মীশরীয় সুন্দরী "নেফারতিতির"। The Relief of a Royal Couple টাইটেলের এই ছবিটির দিকে তাকিয়েই আপনারা হয়ত নেফেরতিতির সৌন্দর্যের ব্যাতিক্রম দিকটা লক্ষ করেছেন। হ্যা নেফারতিতি ছিলেন ব্যাতিক্রম। তিনি ব্যাতিক্রম হয়ে ছিলেন তার মাথার খুলির ব্যাতিক্রম আকৃতির জন্যই। আর এই বিশেষ আকৃতিই তাকে হাজার বছর ধরে রহস্যে আবৃত্ত করে রেখেছে।
নেফারতিতি ছিলেন মিশরীয় রানী (18 dynesty circa 1330bc) তিনি ছিলেন ফারাও রাজা Akahenaton এর স্ত্রী। Akahenaton ছিলেন অন্য ফারাওদের চেয়ে ভিন্ন ও শক্তিশালী। তিনি জোর পুর্বক প্রজাদের মদ্ধে কিছু ধর্মীয় ও সামাজিক সংস্কার আনতে সক্ষম হয়েছিল। এই সংস্কার গুলোর মাঝে অন্যতম ছিল সুর্য ও তারার পুজা। তার রানী নেফারতিতি ছিল অন্য রানীদের চেয়ে আলাদা ও সুন্দরী। তার কিছু অলৌকিক ক্ষমতা ছিল বলেও ধারনা করা হয়। তার সৌন্দর্যের সবচেয়ে আকর্ষনীয় দিক ছিল তার চৌকো মাথার আকৃতি। তাকে নিয়ে আঁকা যে সকল চিত্রকর্ম আবিস্কৃত হয়েছে তার প্রত্যেকটিতেই তার মাথার ব্যতিক্রম আকৃতি লক্ষ করা যায়। প্রায় সকল চিত্রকর্মেই লক্ষ করা যায় যে তিনি তার চৌক মাথাটাকে নানা রকম অলঙ্কারে সজ্জিত করে রেখেছেন।
অনেক বছর ধরেই ইজিপ্টোলজিস্টরা ছবিতে পাওয়া নেফারতিতির খুলির এই আকৃতিকে অবিশ্বাস করে আসছিল। তবে তারা একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করে যে, মিশরীয় শিল্পীরা যখন কারো ছবি অঙ্কন করত তখন তারা কখনই চেহারা বা দেহের আকৃতিতে পরিবর্তন আনত না, বরং তারা তাদের সুনিপুন হাতের ছোয়ায় মানুষকে আরো সুন্দর ভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করতে কার্পন্ন করত না।
যদি এটা সত্য হয় যে নেফারতিতির মাথা আসলেই এই রকম চৌক ও ব্যাতিক্রম ছিল তাহলে এটাও সত্য হবে যে নেফারতিতি ছিল অন্য যে কোন মানব রমনীর থেকে আলাদা। তার মাথার এই ব্যতিক্রম আকৃতি তাকে যেমন করে ছিল সুন্দরি, ঠিক তেমনি করেছিল শক্তিশালী।
লেখকঃ বঙ্গবাসী হাসান।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।