আপনারা সবাই সাধারনত টাওয়ার বলতে বোঝেন সোজা লম্বা আকাশ চুম্বি কোন স্থাপত্যের কথা। এই ধরনীর বুকে অনেক টাওয়ার মানুষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছে তার উচ্চতার কারনে। কিন্তু আমি যদি বলি এমন এক টাওয়ার আছে যা উচ্চতার জন্য নয় বরং তা কাত হয়ে দাড়িয়ে আছে বলে বিখ্যাত হয়েছে!! কি বিশ্বাস হচ্ছে না? বিশ্বাস হবার কথাও না। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে পরিচিত হয়ে নেই হেলান সেই বিখ্যাত টাওয়ারের সাথে।
পিসা টাওয়ার বা পিসার হেলানো টাওয়ার যাকে ইতালীয় ভাষায় বলা হয় Torre di Pisa অথবা Torre pendente di Pisa। ইতালির পিসা প্রদেশের অবস্থিত তাই হয়ত এই নামকরন। এ টাওয়ারটি চার্চের ঘন্টা বাজানোর উদ্দেশ্যে নির্মিত হয়েছিল। এটির এক দিক হেলানো থাকার কারণে সমগ্র বিশ্বে এর জনপ্রিয়তা আজো অক্ষুণ্ন এছাড়াও এর বিশেষ উল্লেখ যোগ্য দিক রয়েছে। নির্মাণের শুরু থেকেই টাওয়ারের এক দিক থেকে ক্রমশ হেলতে থাকে। বর্তমানে এ অবকাঠামোটিকে রক্ষার জন্য উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করায় এর হেলানো রোধ ও ভূপাতিত হওয়া থেকে রক্ষা করা হয়েছে। যদিও এক সময় ধরে নেওয়া হয়েছিল অদূর ভবিষ্যতে এটি সম্পূর্ন ভূপাতিত হবে। একুশ বছর ধরে এর চতুর্দিকে অস্থায়ীভাবে মাঁচা তৈরী করা হয়েছিল। ২৬ এপ্রিল, ২০১১ সালে এর সর্বশেষ মাঁচাটি অপসারণ করা হয়। এর ফলে টাওয়ারটিকে পুণরায় সঠিক ভাবে দার করিয়ে রাখা সম্ভব হয়েছে।
পিসা টাওয়ার বা পিসার হেলানো টাওয়ার যাকে ইতালীয় ভাষায় বলা হয় Torre di Pisa অথবা Torre pendente di Pisa। ইতালির পিসা প্রদেশের অবস্থিত তাই হয়ত এই নামকরন। এ টাওয়ারটি চার্চের ঘন্টা বাজানোর উদ্দেশ্যে নির্মিত হয়েছিল। এটির এক দিক হেলানো থাকার কারণে সমগ্র বিশ্বে এর জনপ্রিয়তা আজো অক্ষুণ্ন এছাড়াও এর বিশেষ উল্লেখ যোগ্য দিক রয়েছে। নির্মাণের শুরু থেকেই টাওয়ারের এক দিক থেকে ক্রমশ হেলতে থাকে। বর্তমানে এ অবকাঠামোটিকে রক্ষার জন্য উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করায় এর হেলানো রোধ ও ভূপাতিত হওয়া থেকে রক্ষা করা হয়েছে। যদিও এক সময় ধরে নেওয়া হয়েছিল অদূর ভবিষ্যতে এটি সম্পূর্ন ভূপাতিত হবে। একুশ বছর ধরে এর চতুর্দিকে অস্থায়ীভাবে মাঁচা তৈরী করা হয়েছিল। ২৬ এপ্রিল, ২০১১ সালে এর সর্বশেষ মাঁচাটি অপসারণ করা হয়। এর ফলে টাওয়ারটিকে পুণরায় সঠিক ভাবে দার করিয়ে রাখা সম্ভব হয়েছে।
বেল টাওয়ার যাওয়ার প্রবেশ দরজা |
বিবরণঃ
ভূমি থেকে আটতলা বিশিষ্ট এ টাওয়ারের উচ্চতা প্রায় ৫৬ মিটার। এর সর্বমোট ওজন প্রায় ১৪,৫০০ টন। বর্তমানে এটি প্রায় ৩.৯৯ ডিগ্রী কোণে হেলে রয়েছে। এর ২৯৪টি সিঁড়ি আছে।
১১৭৮ সালে তৃতীয় তলা নির্মাণের পর টাওয়ারটি হেলতে শুরু করে। নরম মাটিতে এটি মাত্র তিন মিটার গভীরতায় এর ভিত্তি গড়ে তোলাই এর মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এছাড়াও টাওয়ারের নকশাও এর জন্যে দায়ী। অবকাঠামোটির নির্মাণ কার্য মাঝখানে শতাধিক বছর বন্ধ ছিল। কারণ পিসার অধিবাসীরা প্রায়শই জেনোয়া, লুক্কা এবং ফ্লোরেন্সের সাথে যুদ্ধ করতে ব্যাস্ত থাকতো। এই যুদ্ধের মধ্যে কে আবার টাওয়ার বানাবে নিজেরাই চিন্তা করুন।
ভূমি থেকে আটতলা বিশিষ্ট এ টাওয়ারের উচ্চতা প্রায় ৫৬ মিটার। এর সর্বমোট ওজন প্রায় ১৪,৫০০ টন। বর্তমানে এটি প্রায় ৩.৯৯ ডিগ্রী কোণে হেলে রয়েছে। এর ২৯৪টি সিঁড়ি আছে।
১১৭৮ সালে তৃতীয় তলা নির্মাণের পর টাওয়ারটি হেলতে শুরু করে। নরম মাটিতে এটি মাত্র তিন মিটার গভীরতায় এর ভিত্তি গড়ে তোলাই এর মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এছাড়াও টাওয়ারের নকশাও এর জন্যে দায়ী। অবকাঠামোটির নির্মাণ কার্য মাঝখানে শতাধিক বছর বন্ধ ছিল। কারণ পিসার অধিবাসীরা প্রায়শই জেনোয়া, লুক্কা এবং ফ্লোরেন্সের সাথে যুদ্ধ করতে ব্যাস্ত থাকতো। এই যুদ্ধের মধ্যে কে আবার টাওয়ার বানাবে নিজেরাই চিন্তা করুন।
![]() |
গালিলেও গালিলেই এর পরীক্ষাসমূহের স্মৃতির ফলক |
স্থপতিঃ
হেলানো পিসার টাওয়ারটির প্রকৃত স্থপতি কে ছিলেন তা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। অনেক বছর ধরে গাগলিমো এবং বোনানো পিসানোকে এর নকশাকার হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে।
বোনানো পিসানো ছিলেন দ্বাদশ শতকের সুপ্রসিদ্ধ পিসা নগরীর অধিবাসী ও শিল্পী। তিনি ব্রোঞ্জ দিয়ে গড়া পিসা টাওয়ারের দরজা তৈরির জন্যে স্মরণীয় হয়ে আছেন। ১১৮৫ সালে তিনি পিসা ত্যাগ করে সিসিলি'র মনরিলে এলাকায় চলে যান এবং পুনঃরায় নিজ শহরে ফিরে আসা মাত্র মৃত্যুবরণ করেন। ১৮২০ সালে টাওয়ারের পাদদেশে তাঁর নামাঙ্কিত এক টুকরো চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায়, যা ১৫৯৫ সালে ধ্বংস হয়ে যাওয়া ক্যাথেড্রেলের ব্রোঞ্জের দরজার সাথে সম্পর্কিত ছিল।
সাম্প্রতিক কালের গবেষণায় দেখা গেছে যে, দিওতিসালভি নামীয় ব্যক্তি টাওয়ারের প্রকৃত স্থাপত্যবিদ। নির্মাণ কার্যের সময়কাল, দিওতিসালভির কাজ কর্ম, স্যান নিকোলা টাওয়ারের ঘন্টা ইত্যাদিতে এর প্রতিফলন ঘটেছে। কেননা সচরাচর তিনি তাঁর কাজ কর্মগুলোয় স্বাক্ষর করতেন কিন্তু টাওয়ারের ঘন্টায় তিনি কোন স্বাক্ষর করেননি। কেন করেন নাই তা জানা নেই, বলতে পারেন একটা রহস্য। এটি বাদে আর বাদবাকি সব কাজেই তার সাক্ষর রয়েছে।
হেলানো পিসার টাওয়ারটির প্রকৃত স্থপতি কে ছিলেন তা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। অনেক বছর ধরে গাগলিমো এবং বোনানো পিসানোকে এর নকশাকার হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে।
বোনানো পিসানো ছিলেন দ্বাদশ শতকের সুপ্রসিদ্ধ পিসা নগরীর অধিবাসী ও শিল্পী। তিনি ব্রোঞ্জ দিয়ে গড়া পিসা টাওয়ারের দরজা তৈরির জন্যে স্মরণীয় হয়ে আছেন। ১১৮৫ সালে তিনি পিসা ত্যাগ করে সিসিলি'র মনরিলে এলাকায় চলে যান এবং পুনঃরায় নিজ শহরে ফিরে আসা মাত্র মৃত্যুবরণ করেন। ১৮২০ সালে টাওয়ারের পাদদেশে তাঁর নামাঙ্কিত এক টুকরো চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায়, যা ১৫৯৫ সালে ধ্বংস হয়ে যাওয়া ক্যাথেড্রেলের ব্রোঞ্জের দরজার সাথে সম্পর্কিত ছিল।
সাম্প্রতিক কালের গবেষণায় দেখা গেছে যে, দিওতিসালভি নামীয় ব্যক্তি টাওয়ারের প্রকৃত স্থাপত্যবিদ। নির্মাণ কার্যের সময়কাল, দিওতিসালভির কাজ কর্ম, স্যান নিকোলা টাওয়ারের ঘন্টা ইত্যাদিতে এর প্রতিফলন ঘটেছে। কেননা সচরাচর তিনি তাঁর কাজ কর্মগুলোয় স্বাক্ষর করতেন কিন্তু টাওয়ারের ঘন্টায় তিনি কোন স্বাক্ষর করেননি। কেন করেন নাই তা জানা নেই, বলতে পারেন একটা রহস্য। এটি বাদে আর বাদবাকি সব কাজেই তার সাক্ষর রয়েছে।
![]() |
নিচ থেকে উপরের দৃশ্য |
কিছু ঘটনাবলীঃ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কালীন জার্মান সেনাদেরা এই টাওয়ারটিকে পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করতো। মার্কিন সেনাবাহিনীর একজন সার্জেন্ট জার্মান বাহিনীর অবস্থান নিশ্চিত করতে টাওয়ারে যান এবং তিনি টাওয়ারের শৈল্পিক দক্ষতায় অভিভূত হন এবং ক্যাথেড্রালের সৌন্দর্য্য উপভোগ শেষে সেনাবাহিনীকে টাওয়ার আক্রমণ না করতে নির্দেশ দেন। এভাবেই টাওয়ারটি নিশ্চিত ধ্বংসের মুখোমুখি থেকে রক্ষা পায়। আর যদি আক্রমন করার নির্দেশ দিয়েই দিতেন তাহলে হয়ত এই সুন্দর নিদর্শন পৃথিবীর বুক থেকে চিরতরে হারিয়ে যেত।
১৯৮৭ সালে পিজা ডেল ডুমো ও তার পার্শ্ববর্তী ক্যাথেড্রাল, বেপ্টিসটেরি এবং সিমেট্রিকে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান দেয়া হয়।
কি খুব দেখতে ইচ্ছা করছে এই টাওয়ারের বিতরের দৃশ্য। চলুন তাহলে দেখে নেই টাওয়ারটির ভিতরের কয়েকটি ছবি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কালীন জার্মান সেনাদেরা এই টাওয়ারটিকে পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করতো। মার্কিন সেনাবাহিনীর একজন সার্জেন্ট জার্মান বাহিনীর অবস্থান নিশ্চিত করতে টাওয়ারে যান এবং তিনি টাওয়ারের শৈল্পিক দক্ষতায় অভিভূত হন এবং ক্যাথেড্রালের সৌন্দর্য্য উপভোগ শেষে সেনাবাহিনীকে টাওয়ার আক্রমণ না করতে নির্দেশ দেন। এভাবেই টাওয়ারটি নিশ্চিত ধ্বংসের মুখোমুখি থেকে রক্ষা পায়। আর যদি আক্রমন করার নির্দেশ দিয়েই দিতেন তাহলে হয়ত এই সুন্দর নিদর্শন পৃথিবীর বুক থেকে চিরতরে হারিয়ে যেত।
১৯৮৭ সালে পিজা ডেল ডুমো ও তার পার্শ্ববর্তী ক্যাথেড্রাল, বেপ্টিসটেরি এবং সিমেট্রিকে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান দেয়া হয়।
কি খুব দেখতে ইচ্ছা করছে এই টাওয়ারের বিতরের দৃশ্য। চলুন তাহলে দেখে নেই টাওয়ারটির ভিতরের কয়েকটি ছবি।
![]() |
বাহ্যিক loggia |
![]() |
ষষ্ঠ থেকে সপ্তম তালার ভেতরের সিঁড়ি |
সপ্তম থেকে অষ্টম (শীর্ষ) তালার ভেতরের সিঁড়ি |
উপরের দৃশ্য |
পাস্কুয়ারেচ্চা বেল |
আসসুন্তা বেল |
![]() |
উপর থেকে নিচের দৃশ্য |
আর ছবি দেখে যদি মন না ভরে তাহলে আর কি ভিসা নিয়ে প্লেনের টিকিট কেটে সোজা ইতালির পিসা শহরে উড়ে যেতে হবে। তাহলেই দেখা হয়ে যাবে। যদিও আঁট তলা সিড়ি বেয়ে উঠতে অনেক কষ্টো হবে তারপরেও এরকম একটা স্থাপত্য দেখার আনন্দে কি আর কষ্টো করার কথা মনে থাকবে?
সব শেষে একটা কথা না বললেই নয়, "আপনি যতই এই হ্যালানো টাওয়ার ধরে নড়াচড়া করেন না কেন তা ভেংগে পরবে না, যেমন ভাবে সাভারে ক'দিন আগে কিছু মানুষের লোভ আর লালসার জন্য নির্মম ভাবে বিল্ডিং ধ্বসে পরার ঘটনা ঘটেছে।"
লেখকঃ জানা অজানার পথিক।
সব শেষে একটা কথা না বললেই নয়, "আপনি যতই এই হ্যালানো টাওয়ার ধরে নড়াচড়া করেন না কেন তা ভেংগে পরবে না, যেমন ভাবে সাভারে ক'দিন আগে কিছু মানুষের লোভ আর লালসার জন্য নির্মম ভাবে বিল্ডিং ধ্বসে পরার ঘটনা ঘটেছে।"
লেখকঃ জানা অজানার পথিক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন