রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অনেক আগে লিখেছিলেন,
‘বহু পথ ঘুরে বহু ক্রোশ দূরে
দেখিতে গিয়াছি পবর্তমালা,
দেখিতে গিয়াছি সিন্ধু
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া
একটি ধানের শীষের উপর একটি শিশির বিন্দু।’
দেখিতে গিয়াছি পবর্তমালা,
দেখিতে গিয়াছি সিন্ধু
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া
একটি ধানের শীষের উপর একটি শিশির বিন্দু।’
আজ এতদিনে পরও তার সেই কথাটির আবেদন ফুরায়নি। কম্পিউটার ইন্টারনেট যুগের মানুষ আমরা। মাকড়শার জালের বিস্তৃত সাবমেরিন ক্যাবল বেয়ে আমরা মুহূর্তের মধ্যেই ঘুরে আসতে পারছি পৃথিবীর সব প্রান্ত থেকে। কিন্তু আমাদের বাসা বাড়ির পাশের ছোট্ট গাছের ছোট্ট টুনটুনিটির খবর রাখা হয় না তেমন করে। শোনা হয় না তার মিষ্টি গানের সুর। অনেকের কাছে এক প্রকার অবহেলায় থেকে যায় আমাদের দেশের এসব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। অথচ আমাদের দেশের বৈচিত্র্যময় এসব পাখিদের জীবনেও আছে অনেক মজার মজার ঘটনা। এবার তবে চলেন চেনা কিছু পাখির অজানা কথা জেনে নিই।


বাচ্চা ডাহুকের বুদ্ধিঃ
আমাদের দেশে যে ক’টি পাখি ডাকের জন্য বিখ্যাত তাদের মধ্যে ডাহুক অন্যতম। প্রয়াত সাহিত্যিক হুমায়ুন আজাদ ডাহুকের ডাককে লালন ফকিরের গানের সাথে তুলনা করেছেন। ডাহুক অনেক সময় পোষও মানে। এই অনুগত পোষা পাখিটি দিয়ে অনেকে বুনো ডাহুকও শিকার করে। সারা বছর ডাহুকের ডাকাডাকি তেমন শোনা না গেলেও বর্ষাকালে এরা বেশি ডাকাডাকি করে। আষাঢ়- শ্রাবন মাস এদের প্রজননকাল। জলাশয়ের ধারে ঝোপের মধ্যে এরা বাসা বানায়। মেয়ে পাখিটি ৬-৭টি ডিম দেয়। স্বামী স্ত্রী মিলে ডিম তা দেয়। তবে অদ্ভুত ব্যাপার হল এ পাখির বাচ্চাগুলো কালো রঙের। পোকামাকড়, শামুক, উদ্ভিদের ডগা, শস্যদানা এদের প্রিয় খাবার। তবে বাচ্চার খাবার গ্রহণের সময় ঘটে সবচেয়ে মজার ঘটনা। অন্য বেশিরভাগ পাখিরা তাদের বাচ্চাকে মুখে তুলে খাইয়ে দেয়। কিন্তু মা ডাহুকী কখনও বাচ্চাদের তুলে খাওয়ায় না। তাহলে কীভাবে খায় ওরা? ডিম থেকে বাচ্চা বের হবার সাথে সাথে প্রাকৃতিক নিয়মেই বাচ্চাগুলো ২০ ফিট উঁচু থেকে লাফ দিয়ে নামে মাটিতে। শরীরটা পাতলা বলে লাফ দিয়ে মাটিতে পড়লেও তাদের কিছুই হয় না। মাটিতে নেমেই বাচ্চাগুলো মা বাবার পিছনে পিছনে হেঁটে হেঁটে খাবার খুঁটে খুঁটে খায়।
আমাদের দেশে যে ক’টি পাখি ডাকের জন্য বিখ্যাত তাদের মধ্যে ডাহুক অন্যতম। প্রয়াত সাহিত্যিক হুমায়ুন আজাদ ডাহুকের ডাককে লালন ফকিরের গানের সাথে তুলনা করেছেন। ডাহুক অনেক সময় পোষও মানে। এই অনুগত পোষা পাখিটি দিয়ে অনেকে বুনো ডাহুকও শিকার করে। সারা বছর ডাহুকের ডাকাডাকি তেমন শোনা না গেলেও বর্ষাকালে এরা বেশি ডাকাডাকি করে। আষাঢ়- শ্রাবন মাস এদের প্রজননকাল। জলাশয়ের ধারে ঝোপের মধ্যে এরা বাসা বানায়। মেয়ে পাখিটি ৬-৭টি ডিম দেয়। স্বামী স্ত্রী মিলে ডিম তা দেয়। তবে অদ্ভুত ব্যাপার হল এ পাখির বাচ্চাগুলো কালো রঙের। পোকামাকড়, শামুক, উদ্ভিদের ডগা, শস্যদানা এদের প্রিয় খাবার। তবে বাচ্চার খাবার গ্রহণের সময় ঘটে সবচেয়ে মজার ঘটনা। অন্য বেশিরভাগ পাখিরা তাদের বাচ্চাকে মুখে তুলে খাইয়ে দেয়। কিন্তু মা ডাহুকী কখনও বাচ্চাদের তুলে খাওয়ায় না। তাহলে কীভাবে খায় ওরা? ডিম থেকে বাচ্চা বের হবার সাথে সাথে প্রাকৃতিক নিয়মেই বাচ্চাগুলো ২০ ফিট উঁচু থেকে লাফ দিয়ে নামে মাটিতে। শরীরটা পাতলা বলে লাফ দিয়ে মাটিতে পড়লেও তাদের কিছুই হয় না। মাটিতে নেমেই বাচ্চাগুলো মা বাবার পিছনে পিছনে হেঁটে হেঁটে খাবার খুঁটে খুঁটে খায়।
ধৈর্য্যশীল পাখি মাছরাঙ্গাঃ
গ্রীক পুরাণে আছে, একবার রাজা সমুদ্র যাত্রায় গিয়ে জাহাজ ডুবে মারা গেল। এ খবর রাণী যখন পেল তখন তিনি সহ্য করতে পারলেন না। ভালবাসার টানে সমুদ্রে ডুবে তিনিও মারা গেলেন। আকাশের দেবতারা তার উপর সহমর্মী হয়ে তাকে একটি মাছারাঙ্গা পাখিতে পরিণত করলেন। মাছরাঙ্গা পাখিটিকে দেখলেই মনে হবে অত্যন্ত শান্ত ও ধৈর্য্যশীল। জলাশয়ের কাছাকাছি কোন ডালে বা কোন তারে বসে থাকে, নড়াচড়াও কম করে। মাছ কোন এঙ্গেলে আছে সেটা তার সূক্ষ্ম দৃষ্টি দিয়ে দেখে নেয়। আর যখনই মাছের অবস্থান টের পায় সাথে সাথে তীর গতিতে মাছের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। মাছ কিছু বুঝে ওঠার আগেই মাছরাঙা তাকে ধরে ফেলে। কিছুক্ষণ পর দেখা যায় একটা ছোট্ট মাছ চঞ্চুর ফাঁকে ঝটপট করছে। সব প্রজাতির মাছরাঙ্গার মাছ ধরার পদ্ধতি একই রকমের নয়। কোন কোন মাছরাঙ্গা জলাশয় বা পুকুরের কিনারের মাছ ধরতে বেশি পছন্দ করে। আবার কেউবা ধরে জলাশয়ের মাছখানের মাছ। প্রতিসরণ বোঝার ক্ষমতা আর প্রতিযোগিতা এড়াতেই তাদের এ প্রবণতা। বাংলাদেশে ১২ জাতের মাছারাঙ্গা আমাদের দেশে দেখা যায়। এদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট মাছরাঙ্গার নাম পাতি মাছরাঙ্গা। এদের দেশের প্রায় সব জলাশয়েই দেখা যায়।
গ্রীক পুরাণে আছে, একবার রাজা সমুদ্র যাত্রায় গিয়ে জাহাজ ডুবে মারা গেল। এ খবর রাণী যখন পেল তখন তিনি সহ্য করতে পারলেন না। ভালবাসার টানে সমুদ্রে ডুবে তিনিও মারা গেলেন। আকাশের দেবতারা তার উপর সহমর্মী হয়ে তাকে একটি মাছারাঙ্গা পাখিতে পরিণত করলেন। মাছরাঙ্গা পাখিটিকে দেখলেই মনে হবে অত্যন্ত শান্ত ও ধৈর্য্যশীল। জলাশয়ের কাছাকাছি কোন ডালে বা কোন তারে বসে থাকে, নড়াচড়াও কম করে। মাছ কোন এঙ্গেলে আছে সেটা তার সূক্ষ্ম দৃষ্টি দিয়ে দেখে নেয়। আর যখনই মাছের অবস্থান টের পায় সাথে সাথে তীর গতিতে মাছের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। মাছ কিছু বুঝে ওঠার আগেই মাছরাঙা তাকে ধরে ফেলে। কিছুক্ষণ পর দেখা যায় একটা ছোট্ট মাছ চঞ্চুর ফাঁকে ঝটপট করছে। সব প্রজাতির মাছরাঙ্গার মাছ ধরার পদ্ধতি একই রকমের নয়। কোন কোন মাছরাঙ্গা জলাশয় বা পুকুরের কিনারের মাছ ধরতে বেশি পছন্দ করে। আবার কেউবা ধরে জলাশয়ের মাছখানের মাছ। প্রতিসরণ বোঝার ক্ষমতা আর প্রতিযোগিতা এড়াতেই তাদের এ প্রবণতা। বাংলাদেশে ১২ জাতের মাছারাঙ্গা আমাদের দেশে দেখা যায়। এদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট মাছরাঙ্গার নাম পাতি মাছরাঙ্গা। এদের দেশের প্রায় সব জলাশয়েই দেখা যায়।
অদ্ভুত আচরণের পাখি শামুকখোলঃ
এক সময় বাংলাদেশের সব জায়গায় শামখোল দেখা যেতো। শুধু শামুক-ঝিনুক খেয়েই বেঁচে থাকতে পারে এরা। শামুকের প্রতি আসক্তির কারণেই বাংলার মানুষ তার নাম দিয়েছিল শামুকভাঙ্গা, শামুকখোর, শামুকখোল কিম্বা শামখোল। শামখোল বেশ ঢ্যাঙ্গা আর বড়সড় পাখি। পানিতে হেঁটে বেড়াবার জন্যে লম্বা পা আছে বলে মাটি থেকে তার উচ্চতা আড়াই ফুট পর্যন্ত হয়। ছড়ানো দুই ডানার মাপ তিন ফুটের কম হবে না। দুই চঞ্চুর মধ্যে একটা বড় ফাঁক থাকায় বড় অদ্ভুত দেখায় শামখোলের ঠোঁট। শামখোলের ইংরিজি নাম ওপেন-বিল, যার অর্থ খোলাঠোঁট। শামখোলের বৈজ্ঞানিক নামটা আরো মজার- অ্যানাস্টোমাস অসিট্যান্স - যার মানে ‘হাই-তোলা মুখ’। শামখোলের খোলা ঠোঁটের রহস্যের মতই তার কিছু কিছু আচরণেরও ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না। একবার আংটি-পরানো এক শামখোল-ছানাকে থাইল্যান্ডে তার বাসা ছেড়ে বিদায় হবার কয়েক দিনের মধ্যেই ১৫০০ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশে পাওয়া গেল। শামখোল সাধারণত দূর-পাল্লার পরিব্রাজক নয়। তাই ঐ ছানাটির বাংলাদেশ সফরের রহস্য আজও ব্যাখ্যা করা যায়নি। এক হিসেবে দেখা গেছে, পৃথিবীতে এখন মাত্র এক লক্ষ শামখোল টিকে আছে। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান আর শ্রীলঙ্কাই তাদের শেষ আশ্রয়। বাংলাদেশ আর শ্রীলঙ্কায় এখন শামখোলের কোন প্রজননভূমি নেই। ভারতের প্রজননভূমিতেও প্রচন্ড খরার জন্যে কোন কোন বছর শামখোলের প্রজনন বন্ধ থাকে।
এক সময় বাংলাদেশের সব জায়গায় শামখোল দেখা যেতো। শুধু শামুক-ঝিনুক খেয়েই বেঁচে থাকতে পারে এরা। শামুকের প্রতি আসক্তির কারণেই বাংলার মানুষ তার নাম দিয়েছিল শামুকভাঙ্গা, শামুকখোর, শামুকখোল কিম্বা শামখোল। শামখোল বেশ ঢ্যাঙ্গা আর বড়সড় পাখি। পানিতে হেঁটে বেড়াবার জন্যে লম্বা পা আছে বলে মাটি থেকে তার উচ্চতা আড়াই ফুট পর্যন্ত হয়। ছড়ানো দুই ডানার মাপ তিন ফুটের কম হবে না। দুই চঞ্চুর মধ্যে একটা বড় ফাঁক থাকায় বড় অদ্ভুত দেখায় শামখোলের ঠোঁট। শামখোলের ইংরিজি নাম ওপেন-বিল, যার অর্থ খোলাঠোঁট। শামখোলের বৈজ্ঞানিক নামটা আরো মজার- অ্যানাস্টোমাস অসিট্যান্স - যার মানে ‘হাই-তোলা মুখ’। শামখোলের খোলা ঠোঁটের রহস্যের মতই তার কিছু কিছু আচরণেরও ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না। একবার আংটি-পরানো এক শামখোল-ছানাকে থাইল্যান্ডে তার বাসা ছেড়ে বিদায় হবার কয়েক দিনের মধ্যেই ১৫০০ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশে পাওয়া গেল। শামখোল সাধারণত দূর-পাল্লার পরিব্রাজক নয়। তাই ঐ ছানাটির বাংলাদেশ সফরের রহস্য আজও ব্যাখ্যা করা যায়নি। এক হিসেবে দেখা গেছে, পৃথিবীতে এখন মাত্র এক লক্ষ শামখোল টিকে আছে। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান আর শ্রীলঙ্কাই তাদের শেষ আশ্রয়। বাংলাদেশ আর শ্রীলঙ্কায় এখন শামখোলের কোন প্রজননভূমি নেই। ভারতের প্রজননভূমিতেও প্রচন্ড খরার জন্যে কোন কোন বছর শামখোলের প্রজনন বন্ধ থাকে।
অবিরাম ডাকের পাখি সেঁকড়া বসন্তঃ
সেঁকড়া বসন্তকে অনেকেই অবিরাম ডাকের পাখি বলে। কারণ এরা প্রায় সবসময় ডাকাডাকি করে। অবিরাম ডাকের পাখি হলেও শীতে এরা ডাকে খুবই কম। তাই চোখেও পড়ে কম। বসন্তের শুরু থেকেই এরা টুক্-টুক্-টুক্ শব্দ করে এমন ভাবে ডাকে যেন কামার লৌহার উপর হাতুড়ি দিয়ে পেটাচ্ছে। প্রায় সারা দিনভর এরা ডেকে চলে। আর দুপুরের নির্জনতা ভাঙ্গতে এদের তো জুড়িই নেই। ঘন ঘন ডাকের কারনে এদের কাঁসারীও বলা হয়। সেঁকড়া বসন্ত উষ্ণমন্ডলীয় পাখি। তবে অস্ট্রেলিয়ায় এদের দেখা যায় না। বাংলাদেশে মোট ৫ প্রজাতির বসন্ত দেখা মেলে। এদের মধ্যে সেঁকড়া বসন্ত দেশের সব জায়গায় আছে বলেই ধরা হয়। ছোট পাখি বলেই তাদের ঝুট ঝামেলা কম, শত্রু ও কম। সেঁকড়া বসন্ত খুবই উজ্জ্বল রঙয়ের একটি পাখি। এদের কপালের লাল দাগটা দেখলে মনে হবে কেউ যেন সিঁদুর পড়ে দিয়েছে। বুকটাও লাল। বুক থেকে নিচের দিকটা সোনালী হলুদ, চঞ্চু কালো, লেজের শেষ প্রান্ত সবুজাভ নীল। এরা গাছের পাতার মধ্যে আহার ও প্রেমপর্ব সারে। মাটিতে নামে না। বট-পাকুরের ফল এদের প্রধান খাদ্য। তবে উঁইপোকা ধরে খাবার স্বভাবটাও চোখে পড়ে।
সেঁকড়া বসন্তকে অনেকেই অবিরাম ডাকের পাখি বলে। কারণ এরা প্রায় সবসময় ডাকাডাকি করে। অবিরাম ডাকের পাখি হলেও শীতে এরা ডাকে খুবই কম। তাই চোখেও পড়ে কম। বসন্তের শুরু থেকেই এরা টুক্-টুক্-টুক্ শব্দ করে এমন ভাবে ডাকে যেন কামার লৌহার উপর হাতুড়ি দিয়ে পেটাচ্ছে। প্রায় সারা দিনভর এরা ডেকে চলে। আর দুপুরের নির্জনতা ভাঙ্গতে এদের তো জুড়িই নেই। ঘন ঘন ডাকের কারনে এদের কাঁসারীও বলা হয়। সেঁকড়া বসন্ত উষ্ণমন্ডলীয় পাখি। তবে অস্ট্রেলিয়ায় এদের দেখা যায় না। বাংলাদেশে মোট ৫ প্রজাতির বসন্ত দেখা মেলে। এদের মধ্যে সেঁকড়া বসন্ত দেশের সব জায়গায় আছে বলেই ধরা হয়। ছোট পাখি বলেই তাদের ঝুট ঝামেলা কম, শত্রু ও কম। সেঁকড়া বসন্ত খুবই উজ্জ্বল রঙয়ের একটি পাখি। এদের কপালের লাল দাগটা দেখলে মনে হবে কেউ যেন সিঁদুর পড়ে দিয়েছে। বুকটাও লাল। বুক থেকে নিচের দিকটা সোনালী হলুদ, চঞ্চু কালো, লেজের শেষ প্রান্ত সবুজাভ নীল। এরা গাছের পাতার মধ্যে আহার ও প্রেমপর্ব সারে। মাটিতে নামে না। বট-পাকুরের ফল এদের প্রধান খাদ্য। তবে উঁইপোকা ধরে খাবার স্বভাবটাও চোখে পড়ে।
পাখির রাজা ফিঙেঃ
ছোটখাট পাখি হলেও ফিঙের মত চটপটে পাখি বলতে গেলে দেখা যায় না। ফিঙে ছোট পাখি হলে কী হবে অনেক বড় পাখিদের চেয়েও তার সাহস অনেক বেশি। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ফিঙে তার চাইতে বড় পাখি যেমন-কাক, চিল, বাজ, পেঁচা এমনকি শকুনকেও আক্রমন করে। এদের চলাফেরায় কেউ ঝামেলা পাকালেই কিছুতেই সে ছাড় দেয় না। এ স্বভাবটা ফিঙের বেশি দেখা যায় প্রজননকালে। এসময় তার বাসার চারপাশে কাউকেই পাখিটি সহ্য করতে পারে না। কিছু কিছু শান্ত, নিরীহ পাখি আছে যারা ফিঙে যে গাছে বাসা বানায় সে গাছেই নিজেদের নিরাপত্তার জন্য বাসা বানায়। এসব গুণ আর বাহাদুরির জন্যই মনে হয় অনেকেই ফিঙেকে পাখির রাজা বলে। ফিঙে করভিডি পরিবারের গায়ক পাখি। মিষ্টি সুরে ডাকার পাশাপাশি এরা কর্কশ কন্ঠেও ডাকে। এদের নকল ডাকের অভ্যাসও আছে। ফিঙেকে অনেক এলাকায় ফিচকা, ফিঙা, ধেথচুয়া,রাজাপাখি এমনকি ডাকাতপাখি নামেও চেনে। এদের দেহ সম্পূর্ণরূপে কালো, তার উপর নীলের আভা। লম্বা লেজ খানিকটা চেরা। ফিঙের প্রজননকাল ফেব্রুয়ারি-আগষ্ট মাসে শুরু হয়। এ সময় এরা দু’ডালের মাঝখানে নরম ঘাস, লতাপাতা দিয়ে বাসা বানায়। ৩-৪টি বাদামী ফোঁটাযুক্ত ডিম পারে। স্বামী-স্ত্রী একত্রে মিলে সংসার দেখাশুনা করে।
ছোটখাট পাখি হলেও ফিঙের মত চটপটে পাখি বলতে গেলে দেখা যায় না। ফিঙে ছোট পাখি হলে কী হবে অনেক বড় পাখিদের চেয়েও তার সাহস অনেক বেশি। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ফিঙে তার চাইতে বড় পাখি যেমন-কাক, চিল, বাজ, পেঁচা এমনকি শকুনকেও আক্রমন করে। এদের চলাফেরায় কেউ ঝামেলা পাকালেই কিছুতেই সে ছাড় দেয় না। এ স্বভাবটা ফিঙের বেশি দেখা যায় প্রজননকালে। এসময় তার বাসার চারপাশে কাউকেই পাখিটি সহ্য করতে পারে না। কিছু কিছু শান্ত, নিরীহ পাখি আছে যারা ফিঙে যে গাছে বাসা বানায় সে গাছেই নিজেদের নিরাপত্তার জন্য বাসা বানায়। এসব গুণ আর বাহাদুরির জন্যই মনে হয় অনেকেই ফিঙেকে পাখির রাজা বলে। ফিঙে করভিডি পরিবারের গায়ক পাখি। মিষ্টি সুরে ডাকার পাশাপাশি এরা কর্কশ কন্ঠেও ডাকে। এদের নকল ডাকের অভ্যাসও আছে। ফিঙেকে অনেক এলাকায় ফিচকা, ফিঙা, ধেথচুয়া,রাজাপাখি এমনকি ডাকাতপাখি নামেও চেনে। এদের দেহ সম্পূর্ণরূপে কালো, তার উপর নীলের আভা। লম্বা লেজ খানিকটা চেরা। ফিঙের প্রজননকাল ফেব্রুয়ারি-আগষ্ট মাসে শুরু হয়। এ সময় এরা দু’ডালের মাঝখানে নরম ঘাস, লতাপাতা দিয়ে বাসা বানায়। ৩-৪টি বাদামী ফোঁটাযুক্ত ডিম পারে। স্বামী-স্ত্রী একত্রে মিলে সংসার দেখাশুনা করে।
পরের ঘরে মানুষ হওয়া কোকিল ছানাঃ
পরনির্ভরশীল পাখির কথা বললে প্রথমেই কোকিলের কথা আসে। কোকিল কখনও বাসা বাঁধে না। এরা অন্য পাখির বাসায় ডিম পাড়ে বিশেষ করে পাতিকাক, বুলবুলি, বাঘাটিকি, বনছাতারে এমনকি বসন্তবৌরির বাসায়ও ডিম পাড়ে। তবে পরজীবী পাখি হলেও বসন্তকালে এদের বিশেষ ডাকের কারণে সবার কাছেই পরিচিত এই পাখি। কোকিলের ডিম থেকে বাচ্চা ফোটার পর পরই অন্য ডিম বা বাচ্চা ফেলে দেয় বাসার মালিক পাখিরা। কালা কোকিল সবচেয়ে বেশি ডিম পাড়ে কাকের বাসায়। কোকিল ও কাকের ডিম পাড়ার সময় এপ্রিল-আগষ্ট মাসে। এ সময় কাকের ডিমে তা দেবার সময়। বাসার চারদিকে পুর"ষ কোকিল ঘুরঘুর করে কাককে রাগান্বিত করে। কাক কোকিলকে তাড়া করে আর সে এ সুযোগে মেয়ে কোকিল কাকের বাসায় ডিম পেড়ে আসে। কাক যেন টের না পায় সে জন্য তার কয়েকটি বা সবকটি ডিম ফেলে দিয়ে ডিম পাড়ে। অথবা কাক যখন সামান্য সময়ের জন্য বাসা ছেড়ে যায় তখনই কোকিল ডিম দেয়। বোকা কাক কিছু বুঝতে পারে না। সে নিজের ডিমের সঙ্গে কোকিলের ডিমে তা দিয়ে বাচ্চা ফোটায়। বাংলাদেশে কুকুলিডি গোত্রের অধীনে ১৮ প্রজাতির কোকিল রয়েছে। এর মধ্যে ১৬ জাতের কোকিল অন্য পাখির বাসায় ডিম পাড়ে। বাকি দুইটি প্রজাতি নিজেরাই বাসা বানায়। এরা হচ্ছে সবুজ ঠোঁট মালকোয়া ও মেটে মালকোয়া। আমাদের দেশে সচরাচর যে কোকিল দেখা যায় তার নাম কালা কোকিল। কাছ থেকে পুরুষ কোকিলের শরীর উজ্জ্বল কালোর উপর নীলাভ-সবুজের প্রলেপ মনে হয়। চোখ লাল টকটকে। ঠোঁট হালকা হলুদ। স্ত্রী কোকিল পুরুষ কোকিলের থেকে একেবারেই আলাদা। স্ত্রী কোকিল বাদামী রংয়ের এবং তার উপর সাদা ফোঁটা ও দাগ রয়েছে।
পরনির্ভরশীল পাখির কথা বললে প্রথমেই কোকিলের কথা আসে। কোকিল কখনও বাসা বাঁধে না। এরা অন্য পাখির বাসায় ডিম পাড়ে বিশেষ করে পাতিকাক, বুলবুলি, বাঘাটিকি, বনছাতারে এমনকি বসন্তবৌরির বাসায়ও ডিম পাড়ে। তবে পরজীবী পাখি হলেও বসন্তকালে এদের বিশেষ ডাকের কারণে সবার কাছেই পরিচিত এই পাখি। কোকিলের ডিম থেকে বাচ্চা ফোটার পর পরই অন্য ডিম বা বাচ্চা ফেলে দেয় বাসার মালিক পাখিরা। কালা কোকিল সবচেয়ে বেশি ডিম পাড়ে কাকের বাসায়। কোকিল ও কাকের ডিম পাড়ার সময় এপ্রিল-আগষ্ট মাসে। এ সময় কাকের ডিমে তা দেবার সময়। বাসার চারদিকে পুর"ষ কোকিল ঘুরঘুর করে কাককে রাগান্বিত করে। কাক কোকিলকে তাড়া করে আর সে এ সুযোগে মেয়ে কোকিল কাকের বাসায় ডিম পেড়ে আসে। কাক যেন টের না পায় সে জন্য তার কয়েকটি বা সবকটি ডিম ফেলে দিয়ে ডিম পাড়ে। অথবা কাক যখন সামান্য সময়ের জন্য বাসা ছেড়ে যায় তখনই কোকিল ডিম দেয়। বোকা কাক কিছু বুঝতে পারে না। সে নিজের ডিমের সঙ্গে কোকিলের ডিমে তা দিয়ে বাচ্চা ফোটায়। বাংলাদেশে কুকুলিডি গোত্রের অধীনে ১৮ প্রজাতির কোকিল রয়েছে। এর মধ্যে ১৬ জাতের কোকিল অন্য পাখির বাসায় ডিম পাড়ে। বাকি দুইটি প্রজাতি নিজেরাই বাসা বানায়। এরা হচ্ছে সবুজ ঠোঁট মালকোয়া ও মেটে মালকোয়া। আমাদের দেশে সচরাচর যে কোকিল দেখা যায় তার নাম কালা কোকিল। কাছ থেকে পুরুষ কোকিলের শরীর উজ্জ্বল কালোর উপর নীলাভ-সবুজের প্রলেপ মনে হয়। চোখ লাল টকটকে। ঠোঁট হালকা হলুদ। স্ত্রী কোকিল পুরুষ কোকিলের থেকে একেবারেই আলাদা। স্ত্রী কোকিল বাদামী রংয়ের এবং তার উপর সাদা ফোঁটা ও দাগ রয়েছে।
লড়াকু স্বভাবের বাংলা বুলবুলঃ
বুলবুলির শান্ত মেজাজটা শুধু চোখে পড়লেও এদের লড়াকু স্বভাবেরও ঐতিহ্য আছে। একসময় এরা রাজা বাদশা ও বাবুদের পোষা পাখি ছিল সে। একসময় বছরের বিভিন্ন সময় তাদের ট্রেনিং দেওয়া হত প্রতিযোগিতার জন্য। কলকাতার বাবুদের ঘুড়ি উড়ানো আর বুলবুলি লড়ায় খুবই উপভোগের একটা বিষয় ছিল আগের দিনে। বছরের নির্দিষ্ট সময়ে বহু লোকের সমাগমে বুলবুলির লড়াই হতো। যার বুলবুলি লড়াই-এ জিতলে সে পেতো মোটা অংকের পুরষ্কার। মোঘল আমলে এই প্রচলনটা বেশ ছিল। বাংলাদেশে পিকনোটিডি পরিবারের বুলবুল পাখি আছে ৯ প্রজাতির। এদের মধ্যে বাংলা বুলবুল আমাদের দেশের সর্বত্রই দেখা যায়। প্রাণবন্ত স্বভাবের এ পাখিটির ঠোঁট, মাথা, চূঁড়া ও গলা কালো। পেট সাদা ও নিতম্ব ছাড়া দেহের বাকী অংশ হালকা খয়েরি। লেজের গোড়ার উপরের অংশ সাদা এবং নিচের অংশ লাল। লেজটা পাখির তুলনায় লম্বায় বলা যাবে। লেজের রং কালো। ব্যস্ততম শহর থেকে শুরু করে নিরিবিলি গ্রামের সবখানেই এদের সবর উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। এপ্রিল-আগষ্ট মাসে এরা চিকন ঘাস দিয়ে বাটির মতন বাসা বানায়। ২-৪টি ডিম দেয়। সংসার পরিচালনায় স্বামী-স্ত্রীর সমান দরদ আছে।
বুলবুলির শান্ত মেজাজটা শুধু চোখে পড়লেও এদের লড়াকু স্বভাবেরও ঐতিহ্য আছে। একসময় এরা রাজা বাদশা ও বাবুদের পোষা পাখি ছিল সে। একসময় বছরের বিভিন্ন সময় তাদের ট্রেনিং দেওয়া হত প্রতিযোগিতার জন্য। কলকাতার বাবুদের ঘুড়ি উড়ানো আর বুলবুলি লড়ায় খুবই উপভোগের একটা বিষয় ছিল আগের দিনে। বছরের নির্দিষ্ট সময়ে বহু লোকের সমাগমে বুলবুলির লড়াই হতো। যার বুলবুলি লড়াই-এ জিতলে সে পেতো মোটা অংকের পুরষ্কার। মোঘল আমলে এই প্রচলনটা বেশ ছিল। বাংলাদেশে পিকনোটিডি পরিবারের বুলবুল পাখি আছে ৯ প্রজাতির। এদের মধ্যে বাংলা বুলবুল আমাদের দেশের সর্বত্রই দেখা যায়। প্রাণবন্ত স্বভাবের এ পাখিটির ঠোঁট, মাথা, চূঁড়া ও গলা কালো। পেট সাদা ও নিতম্ব ছাড়া দেহের বাকী অংশ হালকা খয়েরি। লেজের গোড়ার উপরের অংশ সাদা এবং নিচের অংশ লাল। লেজটা পাখির তুলনায় লম্বায় বলা যাবে। লেজের রং কালো। ব্যস্ততম শহর থেকে শুরু করে নিরিবিলি গ্রামের সবখানেই এদের সবর উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। এপ্রিল-আগষ্ট মাসে এরা চিকন ঘাস দিয়ে বাটির মতন বাসা বানায়। ২-৪টি ডিম দেয়। সংসার পরিচালনায় স্বামী-স্ত্রীর সমান দরদ আছে।
রাতের ভূত নিশাচর পেঁচাঃ
পেঁচা নিশাচর শিকারী পাখি। পেঁচার হুদ--হুদ; বুম...বুম-বউ; দিবি না ঝিদিবি ডাক রহস্যময় ও নানা কুসংস্কারের জন্ম দেয়। অনেক সম্প্রদায় যেমন মান্দি, হাজং, হদি, গারোদের কাছে পূজনীয় একটি পাখি পেঁচা। বাংলাদেশে প্রায় ১৬ প্রজাতির পেঁচা দেখা যায়। এদের মধ্যে খয়রা মেছো পেঁচাকে দেশের প্রায় সব জায়গায় কমবেশি পাওয়া যায়। এদের প্রধান খাবার মাছ হলেও এরা অনেক সময় কাঁকড়া, সাপ, ইঁদুরও খেয়ে থাকে। পানির কাছাকাছি বড় কোন গাছে এরা জোড়ায় জোড়ায় বাস করে। এদের প্রজনন কাল নভেম্বর থেকে মার্চের মধ্যে। এ সময় এরা গাছের ফোঁকরে বা পুরনো বাসায় ১-২টি ডিম পাড়ে। ডিম থেকে বাচ্চা বের হতে প্রায় ৩৫ দিন লাগে। পেঁচা দিনের পাখি নয়। রাতের আধাঁরে এরা মানুষের অনেক উপকার করে থাকে।
পেঁচা নিশাচর শিকারী পাখি। পেঁচার হুদ--হুদ; বুম...বুম-বউ; দিবি না ঝিদিবি ডাক রহস্যময় ও নানা কুসংস্কারের জন্ম দেয়। অনেক সম্প্রদায় যেমন মান্দি, হাজং, হদি, গারোদের কাছে পূজনীয় একটি পাখি পেঁচা। বাংলাদেশে প্রায় ১৬ প্রজাতির পেঁচা দেখা যায়। এদের মধ্যে খয়রা মেছো পেঁচাকে দেশের প্রায় সব জায়গায় কমবেশি পাওয়া যায়। এদের প্রধান খাবার মাছ হলেও এরা অনেক সময় কাঁকড়া, সাপ, ইঁদুরও খেয়ে থাকে। পানির কাছাকাছি বড় কোন গাছে এরা জোড়ায় জোড়ায় বাস করে। এদের প্রজনন কাল নভেম্বর থেকে মার্চের মধ্যে। এ সময় এরা গাছের ফোঁকরে বা পুরনো বাসায় ১-২টি ডিম পাড়ে। ডিম থেকে বাচ্চা বের হতে প্রায় ৩৫ দিন লাগে। পেঁচা দিনের পাখি নয়। রাতের আধাঁরে এরা মানুষের অনেক উপকার করে থাকে।
মেয়ে দলপিপির আজব স্বভাবঃ
দলপিপি খুবই বুদ্ধিমান পাখি। এরা প্রজননের সময় এমনভাবে বাসা বানায় যেন তাদের আশেপাশে থাকা মানুষ ও অন্যান্য প্রাণী সহজে বুঝতে না পারে। তারা যে ডিম পারে তাও ব্রোঞ্জ ও বাদামী ফোঁটা মিশানো থাকে যাতে কোন শত্রু বুঝতেই না পারে এগুলো ডিম। পাখি জগতে সাধারণত ডিমে তা দেয়া ও বাচ্চাদের দেখাশুনার দায়িত্ব স্বামী-স্ত্রী দু’জনে মিলেই করে। কিন্তু এদের জীবনচক্রে একটু ভিন্নতা দেখা যায়। স্ত্রী পাখিটা একই মৌসুমে চার পাঁচবার পর্যন্ত ডিম দিতে পারে। মেয়ে দলপিপি প্রজনন মৌসুমে চার-পাঁচটি পুরুষ পাখির সাথে জোড় বাঁধে। এক জায়গায় ডিম দিয়ে অন্য আরেক পুরুষের কাছে চলে যায়। পুরুষ পাখিটির কাজই হল ডিমে তা দেওয়া। এখন প্রশ্ন হল, মেয়ে পাখিটি ডিমে তা দিচ্ছে না কেন? এর উত্তর হল, মেয়ে পাখিটি একজায়গায় একই সাথে সব ডিম পেড়ে একসাথে সব ডিম নষ্ট করতে চায় না। শত্রু র ভয়ে সে একই মৌসুমে বিভিন্ন জায়গায় ডিম দেয়। আর এ কারণেই সে বেশ ক’টি পুরুষের সাথে জোড় বাঁধে। বাংলাদেশে জাকানিডি পরিবারের ২ প্রজাতির পাখি দেখা যায়। দলপিপি ও নেউপিপি। এর মধ্যে দলপিপির উপস্থিতি সচরাচর চোখে পড়ে। এদের মাথা, গলা, বুক চকচকে কালো। তবে চোখের পাশ থেকে চওড়া একটা সাদা দাগ আছে যা তার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
দলপিপি খুবই বুদ্ধিমান পাখি। এরা প্রজননের সময় এমনভাবে বাসা বানায় যেন তাদের আশেপাশে থাকা মানুষ ও অন্যান্য প্রাণী সহজে বুঝতে না পারে। তারা যে ডিম পারে তাও ব্রোঞ্জ ও বাদামী ফোঁটা মিশানো থাকে যাতে কোন শত্রু বুঝতেই না পারে এগুলো ডিম। পাখি জগতে সাধারণত ডিমে তা দেয়া ও বাচ্চাদের দেখাশুনার দায়িত্ব স্বামী-স্ত্রী দু’জনে মিলেই করে। কিন্তু এদের জীবনচক্রে একটু ভিন্নতা দেখা যায়। স্ত্রী পাখিটা একই মৌসুমে চার পাঁচবার পর্যন্ত ডিম দিতে পারে। মেয়ে দলপিপি প্রজনন মৌসুমে চার-পাঁচটি পুরুষ পাখির সাথে জোড় বাঁধে। এক জায়গায় ডিম দিয়ে অন্য আরেক পুরুষের কাছে চলে যায়। পুরুষ পাখিটির কাজই হল ডিমে তা দেওয়া। এখন প্রশ্ন হল, মেয়ে পাখিটি ডিমে তা দিচ্ছে না কেন? এর উত্তর হল, মেয়ে পাখিটি একজায়গায় একই সাথে সব ডিম পেড়ে একসাথে সব ডিম নষ্ট করতে চায় না। শত্রু র ভয়ে সে একই মৌসুমে বিভিন্ন জায়গায় ডিম দেয়। আর এ কারণেই সে বেশ ক’টি পুরুষের সাথে জোড় বাঁধে। বাংলাদেশে জাকানিডি পরিবারের ২ প্রজাতির পাখি দেখা যায়। দলপিপি ও নেউপিপি। এর মধ্যে দলপিপির উপস্থিতি সচরাচর চোখে পড়ে। এদের মাথা, গলা, বুক চকচকে কালো। তবে চোখের পাশ থেকে চওড়া একটা সাদা দাগ আছে যা তার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
খাঁচায় বন্দি মুনিয়াঃ
বাংলাদেশে চার জাতের মুনিয়া পাওয়া যায়। এগুলো হল ধলাকোমর মুনিয়া, কালাগলা মুনিয়া, বুটিমুনিয়া, কালামাথা মুনিয়া। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় বুটি মুনিয়া। তিলা মুনিয়ার মাথার থেকে লেজের আগা পর্যন্ত বাদামী। পেটের দিকে কালচে বাদামী ফোঁটা আছে। দূর থেকে দেখলে মোজাইক করা মনে হবে। ঠোঁটটি গাঢ় ধূসর। পা, আঙুল ও নখ নীলচে ধূসর। মুনিয়ার বাসা বানানোর কৌশল খুবই সুন্দর। ঘাস, লতা-পাতা দিয়ে গোলাকৃতির বাসা বানায় এরা। ৬-৮টি সাদা ডিম পাড়ে। মুনিয়ার ঝাঁক, খাবার কৌশল, বাসা বানানো দেখাই আজ দূরূহ ব্যাপার। আজকাল প্রকৃতিতে মুনিয়ার দেখা পাওয়াই মুশকিল। চোখের সামনেই দেখা যায়, অনেক বিজ্ঞ ব্যক্তিও শখের বসে মুনিয়া কিনছে। এরই ফলে অসাধু ব্যবসায়ীরা প্রকৃতি থেকে যেমন মুনিয়া ধরছে তেমনি খাঁচার মধ্যেও কৃত্রিমভাবে মুনিয়ার প্রজনন করা হচ্ছে। মুনিয়া পাখির সংসারসহ সমস্ত জীবন প্রণালীই এখন কৃত্রিম। মুনিয়ার কিচির মিচির ডাক এখন গানের সুর নয়, যেন কান্নার সুর।
শুধু মাছরাঙা, কোকিল, মুনিয়া বা ডাহুকই নয়, আমাদের দেশে এরকম অনেক প্রজাতির পাখি দেখা যায়। এসব বৈচিত্র্যময় পাখি আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ। তাই এদের বাঁচিয়ে রাখা আমাদের দায়িত্ব। তবে বাসাবাড়ির লোহার খাঁচায় নয় তাদের নিজস্ব প্রাকৃতিক পরিবেশেই এদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে। জানেনইতো তো, "বন্যেরা বনেই সুন্দর আর শিশুরা মাতৃ কোলে"।
লেখকঃসীমান্ত দীপু।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
বাংলাদেশে চার জাতের মুনিয়া পাওয়া যায়। এগুলো হল ধলাকোমর মুনিয়া, কালাগলা মুনিয়া, বুটিমুনিয়া, কালামাথা মুনিয়া। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় বুটি মুনিয়া। তিলা মুনিয়ার মাথার থেকে লেজের আগা পর্যন্ত বাদামী। পেটের দিকে কালচে বাদামী ফোঁটা আছে। দূর থেকে দেখলে মোজাইক করা মনে হবে। ঠোঁটটি গাঢ় ধূসর। পা, আঙুল ও নখ নীলচে ধূসর। মুনিয়ার বাসা বানানোর কৌশল খুবই সুন্দর। ঘাস, লতা-পাতা দিয়ে গোলাকৃতির বাসা বানায় এরা। ৬-৮টি সাদা ডিম পাড়ে। মুনিয়ার ঝাঁক, খাবার কৌশল, বাসা বানানো দেখাই আজ দূরূহ ব্যাপার। আজকাল প্রকৃতিতে মুনিয়ার দেখা পাওয়াই মুশকিল। চোখের সামনেই দেখা যায়, অনেক বিজ্ঞ ব্যক্তিও শখের বসে মুনিয়া কিনছে। এরই ফলে অসাধু ব্যবসায়ীরা প্রকৃতি থেকে যেমন মুনিয়া ধরছে তেমনি খাঁচার মধ্যেও কৃত্রিমভাবে মুনিয়ার প্রজনন করা হচ্ছে। মুনিয়া পাখির সংসারসহ সমস্ত জীবন প্রণালীই এখন কৃত্রিম। মুনিয়ার কিচির মিচির ডাক এখন গানের সুর নয়, যেন কান্নার সুর।
শুধু মাছরাঙা, কোকিল, মুনিয়া বা ডাহুকই নয়, আমাদের দেশে এরকম অনেক প্রজাতির পাখি দেখা যায়। এসব বৈচিত্র্যময় পাখি আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ। তাই এদের বাঁচিয়ে রাখা আমাদের দায়িত্ব। তবে বাসাবাড়ির লোহার খাঁচায় নয় তাদের নিজস্ব প্রাকৃতিক পরিবেশেই এদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে। জানেনইতো তো, "বন্যেরা বনেই সুন্দর আর শিশুরা মাতৃ কোলে"।
লেখকঃসীমান্ত দীপু।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
ফিঙে Corvidae গোত্রের পাখি নয়, সে Dicruridae গোত্রের পাখি। দয়া করে সংশোধন করে নেবেন।
উত্তরমুছুনফিঙে পাখির গোত্র নিয়ে ঠিক কথায় আলোচনা করেছি... খুঁজে পাচ্ছি না...
মুছুনফিঙে করভিডি পরিবারের গায়ক পাখি। মিষ্টি সুরে ডাকার পাশাপাশি এরা কর্কশ কন্ঠেও ডাকে।
মুছুনখুজে পাইছি... দেখি... আর ধন্যবাদ ভুল ধরিয়ে দেবার জন্য।
মুছুন