সাপ কথাটা শুনলেই ভিতরে যেন কেমন করে ওঠে, তাই না? মুহূর্তেই মনে হয় কিলবিলে একটা বিষধর প্রাণীর কথা। মনে হয় এই বুঝি সামনে ফণা তুলে দাঁড়িয়ে গেলো কোনো বিষধর সাপ। তবে যাই বলেন না কেন, সাপ যতই হিংস্র আর বিষাক্ত হোক না কেন, সুন্দর সুন্দর বেশ কিছু সাপও কিন্তু রয়েছে। কথা শুনে ক্ষেপে গেলেন নাকি? বলি নি তো যে সাপগুলো ভালো। বলেছি, দেখতে সুন্দরের কথা। মানে ভয়ঙ্কর সুন্দর আর কি। আজকে চলেন আমরা পৃথিবীর সবচেয়ে রঙিন আর সুন্দর সাপগুলোর সঙ্গে পরিচিত হয়ে আসি।


ব্রাজিলের রঙধনু বোয়া (Brazilian Rainbow Boa):
প্রথমেই ভাবছেন এ আবার কেমন নাম। বোয়া হলো অজগরের একটা জাত। এদের বিষ নেই ঠিকই তবে শিকারকে জড়িয়ে ধরে দুমড়িয়ে মুচড়িয়ে খেয়ে ফেলে। তবে সে আবার কেন রঙধনুর মতো, তাই তো প্রশ্ন? দেখলে অবশ্য এ কথা বলতেন না। কারণ সাপটি দেখতে সত্যিই রঙধনুর মতো। হরেক রকম রঙে রঙিন এই সাপটিকে তাই সবার প্রথমে রাখতেই হচ্ছে। এখন নিশ্চয়ই জানতে চাইছো এদেরকে কোথায় পাওয়া যায়? এদেরকে দেখা যায় দক্ষিণ আমেরিকাতে।
প্রথমেই ভাবছেন এ আবার কেমন নাম। বোয়া হলো অজগরের একটা জাত। এদের বিষ নেই ঠিকই তবে শিকারকে জড়িয়ে ধরে দুমড়িয়ে মুচড়িয়ে খেয়ে ফেলে। তবে সে আবার কেন রঙধনুর মতো, তাই তো প্রশ্ন? দেখলে অবশ্য এ কথা বলতেন না। কারণ সাপটি দেখতে সত্যিই রঙধনুর মতো। হরেক রকম রঙে রঙিন এই সাপটিকে তাই সবার প্রথমে রাখতেই হচ্ছে। এখন নিশ্চয়ই জানতে চাইছো এদেরকে কোথায় পাওয়া যায়? এদেরকে দেখা যায় দক্ষিণ আমেরিকাতে।
সবুজ গেছো অজগর (Emerald Tree Boa):
এটি একটি বিষহীন সাপ। এদেরকেও দক্ষিণ আমেরিকার রেইন ফরেস্টে দেখতে পাওয়া যায়। গায়ের রঙ পুরো সবুজ, আর থাকেও গাছে গাছে। এজন্যই এর নাম হয়েছে সবুজ গেছো অজগর। প্রাপ্তবয়স্ক হলে এরা প্রায় ৬ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এদের সামনে যে দাঁত দুটো আছে সেগুলো অন্য যে কোনো বিষহীন সাপের চেয়ে বড়।
এটি একটি বিষহীন সাপ। এদেরকেও দক্ষিণ আমেরিকার রেইন ফরেস্টে দেখতে পাওয়া যায়। গায়ের রঙ পুরো সবুজ, আর থাকেও গাছে গাছে। এজন্যই এর নাম হয়েছে সবুজ গেছো অজগর। প্রাপ্তবয়স্ক হলে এরা প্রায় ৬ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এদের সামনে যে দাঁত দুটো আছে সেগুলো অন্য যে কোনো বিষহীন সাপের চেয়ে বড়।
বার্মার অ্যালবিনো অজগর (Albino Burmese Python):
যখন কারো শরীরের রঙ অর্থাৎ চামড়া, চুল এবং চোখে স্বাভাবিক রঙ থাকে না তাকে অ্যালবিনো বলা হয়। সেরকমই একটি অজগর হলো এই সাপটি। অর্থাৎ এই সাপটিও স্বাভাবিক অজগরের মতো নয়। অন্তত রঙের দিক থেকে তো নয়ই। অদ্ভূত সুন্দর এর গায়ের রঙ। ভারতীয় উপমহাদেশে যতগুলো অজগর দেখা যায় তার মধ্যে এরাই সবচেয়ে বড় হয়ে থাকে। আর যদি সারা বিশ্বের কথা চিন্তা করা যায় তবে এটি দৈর্ঘ্যরে দিক থেকে ৬ষ্ঠ স্থান দখল করে আছে। এদেরকে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার রেইন ফরেস্টেও দেখা যায়।
যখন কারো শরীরের রঙ অর্থাৎ চামড়া, চুল এবং চোখে স্বাভাবিক রঙ থাকে না তাকে অ্যালবিনো বলা হয়। সেরকমই একটি অজগর হলো এই সাপটি। অর্থাৎ এই সাপটিও স্বাভাবিক অজগরের মতো নয়। অন্তত রঙের দিক থেকে তো নয়ই। অদ্ভূত সুন্দর এর গায়ের রঙ। ভারতীয় উপমহাদেশে যতগুলো অজগর দেখা যায় তার মধ্যে এরাই সবচেয়ে বড় হয়ে থাকে। আর যদি সারা বিশ্বের কথা চিন্তা করা যায় তবে এটি দৈর্ঘ্যরে দিক থেকে ৬ষ্ঠ স্থান দখল করে আছে। এদেরকে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার রেইন ফরেস্টেও দেখা যায়।
নেলসনের দুধসাপ (Nelson's Milksnake):
নামের মতো এই সাপটিও দেখতে আসাধারণ। লাল আর সাদার অপূর্ব মিশ্রণে সাপটির চেহারা সত্যিই আকর্ষণীয়। এদেরকে পাওয়া যায় মেক্সিকোর সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায়। গড়ে এরা ৪২ ইঞ্চি দীর্ঘ হয়ে থাকে। তবে ব্যাপার হলো গিয়ে এদেরও কিন্তু বিষ নেই।
নামের মতো এই সাপটিও দেখতে আসাধারণ। লাল আর সাদার অপূর্ব মিশ্রণে সাপটির চেহারা সত্যিই আকর্ষণীয়। এদেরকে পাওয়া যায় মেক্সিকোর সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায়। গড়ে এরা ৪২ ইঞ্চি দীর্ঘ হয়ে থাকে। তবে ব্যাপার হলো গিয়ে এদেরও কিন্তু বিষ নেই।
ইঁদুরখেকো লাল সাপ (Red Rat Snake):
এই ইঁদুরখেকো সাপটিকে সাধারণত উত্তর আমেরিকাতে দেখা যায়। এদেরকে অবশ্য ভুট্টা ক্ষেতের সাপও বলা হয়। কারণ এরা ভুট্টার জমিতে থাকে আর সেখানে যত ইঁদুর আছে সেগুলো ধরে ধরে খায়। তবে তাদের শরীরের বাহারি রঙ বেশ আকর্ষণীয়। সেদিক থেকে চিন্তা করলে এই সাপগুলোও সুন্দর সাপের তালিকাতেই পড়ে। প্রাপ্তবয়স্ক ইঁদুরখেকোগুলো ১.২ থেকে ১.৮ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে।
এই ইঁদুরখেকো সাপটিকে সাধারণত উত্তর আমেরিকাতে দেখা যায়। এদেরকে অবশ্য ভুট্টা ক্ষেতের সাপও বলা হয়। কারণ এরা ভুট্টার জমিতে থাকে আর সেখানে যত ইঁদুর আছে সেগুলো ধরে ধরে খায়। তবে তাদের শরীরের বাহারি রঙ বেশ আকর্ষণীয়। সেদিক থেকে চিন্তা করলে এই সাপগুলোও সুন্দর সাপের তালিকাতেই পড়ে। প্রাপ্তবয়স্ক ইঁদুরখেকোগুলো ১.২ থেকে ১.৮ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে।
কার্পেট অজগর (Morelia spilota):
বাহারি বুটিদার চেহারার জন্যই এই প্রজাতির অজগর সাপকে কার্পেট অজগর বলা হয়ে থাকে। তবে কোনো কোনো সময় এদেরকে ডায়মন্ড অজগরও বলা হয়। এই সাপের শরীরে চমৎকার কিছু নকশা দেখা যায়। সৌন্দর্যের দিক থেকে এরাও কোনো অংশে কম যায় না। কার্পেট অজগর পাওয়া যায় অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং নিউ গিনিতে। এদের গড় দৈর্ঘ্য ২ থেকে ৪ মিটার এবং একেকটার ওজন ১৫ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে।
বাহারি বুটিদার চেহারার জন্যই এই প্রজাতির অজগর সাপকে কার্পেট অজগর বলা হয়ে থাকে। তবে কোনো কোনো সময় এদেরকে ডায়মন্ড অজগরও বলা হয়। এই সাপের শরীরে চমৎকার কিছু নকশা দেখা যায়। সৌন্দর্যের দিক থেকে এরাও কোনো অংশে কম যায় না। কার্পেট অজগর পাওয়া যায় অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং নিউ গিনিতে। এদের গড় দৈর্ঘ্য ২ থেকে ৪ মিটার এবং একেকটার ওজন ১৫ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে।
শিংওলা সাপ (Bitis nasicornis):
জানেন, সাপেরও শিং থাকে। বিশ্বাস হচ্ছে না? শিংওলা এই সাপটি দেখা যায় আফ্রিকার জঙ্গলে। শুধু শিং না, এদের সারা শরীরে আছে বাহারি রঙের নকশা। এই কারণেও এরা বিখ্যাত। এই সাপটি কিন্তু বিষাক্ত। কাজেই যদি কখনো এই সাপের সামনাসামনি হয়েই যান, তবে এদের সৌন্দর্যে সবকিছু ভুলে গিয়ে আবার ধরতে চলে যাবেন না। তাহলেই কিন্তু কম্মো কাবার। এদের গড় দৈর্ঘ্য ৭২ সেমি থেকে ১০৭ সেমি পর্যন্ত হয়।
জানেন, সাপেরও শিং থাকে। বিশ্বাস হচ্ছে না? শিংওলা এই সাপটি দেখা যায় আফ্রিকার জঙ্গলে। শুধু শিং না, এদের সারা শরীরে আছে বাহারি রঙের নকশা। এই কারণেও এরা বিখ্যাত। এই সাপটি কিন্তু বিষাক্ত। কাজেই যদি কখনো এই সাপের সামনাসামনি হয়েই যান, তবে এদের সৌন্দর্যে সবকিছু ভুলে গিয়ে আবার ধরতে চলে যাবেন না। তাহলেই কিন্তু কম্মো কাবার। এদের গড় দৈর্ঘ্য ৭২ সেমি থেকে ১০৭ সেমি পর্যন্ত হয়।
রাবার সাপ (Coast Garter Snake):
মোজার মধ্যে এবং অন্যান্য জায়গায় হরেক রকম রঙের রাবার ব্যবহার করা হয়। এ তো আপনাদের অজানা নয়। যদি এরকম একটি রাবার বেশ নড়েচড়ে বেড়ায় তবে কেমন লাগবে! হ্যাঁ, রাবার ঠিক নড়েচড়ে না কিন্তু এক ধরণের সাপ আছে যেগুলো দেখতে রাবারের মতো, অনেক রঙ তাদের গায়ে। আর এগুলো তো নড়েচড়ে বেড়াবেই। এদেরকে দেখা যায় আমেরিকাতে। তবে এদের তেমন বিষ নেই। কাজেই তেমন বিপজ্জনক হিসেবে এগুলোকে ধরা হয় না।
মোজার মধ্যে এবং অন্যান্য জায়গায় হরেক রকম রঙের রাবার ব্যবহার করা হয়। এ তো আপনাদের অজানা নয়। যদি এরকম একটি রাবার বেশ নড়েচড়ে বেড়ায় তবে কেমন লাগবে! হ্যাঁ, রাবার ঠিক নড়েচড়ে না কিন্তু এক ধরণের সাপ আছে যেগুলো দেখতে রাবারের মতো, অনেক রঙ তাদের গায়ে। আর এগুলো তো নড়েচড়ে বেড়াবেই। এদেরকে দেখা যায় আমেরিকাতে। তবে এদের তেমন বিষ নেই। কাজেই তেমন বিপজ্জনক হিসেবে এগুলোকে ধরা হয় না।
স্বর্গীয় গেছো সাপ (Paradise Tree Snake):
ভাবছেন নিশ্চয়ই, এ আবার কেমন কথা! স্বর্গ থেকে নেমে এলো নাকি এই সাপ! আসলে ব্যাপারটা তা নয়। এদের শরীরের উজ্জ্বল রঙের কারণে দেখতে লাগে অসাধারণ সুন্দর। এ কারণেই এদেরকে বলা হয় স্বর্গীয় সাপ। এদের আরো একটা নাম রয়েছে। কোনো কোনো জায়গায় উড়ন্ত সাপ নামেও ডাকা হয় এদেরকে। এরা গাছের উপর থেকে ১০০ মিটার পর্যন্ত লাফ দিতে পারে। এজন্যই এই নামকরণ। এই স্বর্গীয় গেছো সাপগুলোকে পাওয়া যায় এশিয়াতেই।
ভাবছেন নিশ্চয়ই, এ আবার কেমন কথা! স্বর্গ থেকে নেমে এলো নাকি এই সাপ! আসলে ব্যাপারটা তা নয়। এদের শরীরের উজ্জ্বল রঙের কারণে দেখতে লাগে অসাধারণ সুন্দর। এ কারণেই এদেরকে বলা হয় স্বর্গীয় সাপ। এদের আরো একটা নাম রয়েছে। কোনো কোনো জায়গায় উড়ন্ত সাপ নামেও ডাকা হয় এদেরকে। এরা গাছের উপর থেকে ১০০ মিটার পর্যন্ত লাফ দিতে পারে। এজন্যই এই নামকরণ। এই স্বর্গীয় গেছো সাপগুলোকে পাওয়া যায় এশিয়াতেই।
নীল উপকূলীয় সাপ (Blue Coral Snake):
বেগুনী অথবা গাঢ় নীল রঙের এই সাপটিকে পাওয়া যায় ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর এবং থাইল্যান্ডে। মজার ব্যাপার হচ্ছে সাপটির পুরো গায়ের রঙ নীল হলেও মাথা এবং লেজের রঙ গাঢ় লাল রঙের। এ কারণেই একে দেখতে অসাধারণ সুন্দর লাগে। তবে এও কিন্তু ভয়ংকর সুন্দর। মানে হলো এটিও বিষধর সাপ।
লেখকঃ শুভ অংকুর।
সম্পাদকঃ জানা অজানার পথিক।
বেগুনী অথবা গাঢ় নীল রঙের এই সাপটিকে পাওয়া যায় ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর এবং থাইল্যান্ডে। মজার ব্যাপার হচ্ছে সাপটির পুরো গায়ের রঙ নীল হলেও মাথা এবং লেজের রঙ গাঢ় লাল রঙের। এ কারণেই একে দেখতে অসাধারণ সুন্দর লাগে। তবে এও কিন্তু ভয়ংকর সুন্দর। মানে হলো এটিও বিষধর সাপ।
লেখকঃ শুভ অংকুর।
সম্পাদকঃ জানা অজানার পথিক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন