প্রথমে চিন্তা করা যাক একটি বেলুনের কথা। ধরুন, আপনার এক হাতে একটি বেলুন আছে এবং অপর হাতে আছে একটি আলপিন। মাথায় হয়তো একটু দুষ্টু বুদ্ধি চাপলো। তাই সুন্দর করে বেলুনটিকে আলপিনের সাথে সাক্ষাত করিয়ে দিলেন। এই তো! সব শেষ!!! BOOMMMMM…!!!
কিন্তু এই আপনিই যদি বেলুনের পেছনে যেখানে গিঁট দেয়া আছে তা একটু খুলে দেন, তাহলে ভেতরের পুরো বাতাস ধীরে ধীরে বের হয়ে যাবে। ফলে কোনো শব্দই হবে না। আর ঠিক এমন একটি কৌশলই কাজে লাগানো হয়ে থাকে বন্দুকে ব্যবহৃত সাইলেন্সার-এর বেলায়।
বন্দুক থেকে বুলেট বের হবার প্রক্রিয়াটিকে কয়েকটি ছোট ছোট ধাপে ভাগ করে নেয়া যাক।
গুলি করার জন্য প্রথমেই বুলেটের পেছনের গান পাউডার-এ অগ্নিসংযোগ করা হয়। এই গান পাউডার তখন বেশ উচ্চ চাপযুক্ত গরম বায়ুর উৎপত্তি ঘটায়। উচ্চ চাপযুক্ত এই বায়ু পরে বুলেটটিকে দ্রুতবেগে ব্যারেলের মধ্য দিয়ে যেতে বাধ্য করে। এই বুলেটটিই যখন বন্দুকের ব্যারেল থেকে বের হচ্ছে, তখন ব্যাপারটি অনেকটা একটা বোতলের ছিপি খোলার মতো হয়ে যায় (শ্যাম্পেনের বোতল দিয়ে চিন্তা করতে পারেন, টম এন্ড জেরীতে যেমন দেখা যায় আর কি)।
কিন্তু এই আপনিই যদি বেলুনের পেছনে যেখানে গিঁট দেয়া আছে তা একটু খুলে দেন, তাহলে ভেতরের পুরো বাতাস ধীরে ধীরে বের হয়ে যাবে। ফলে কোনো শব্দই হবে না। আর ঠিক এমন একটি কৌশলই কাজে লাগানো হয়ে থাকে বন্দুকে ব্যবহৃত সাইলেন্সার-এর বেলায়।
বন্দুক থেকে বুলেট বের হবার প্রক্রিয়াটিকে কয়েকটি ছোট ছোট ধাপে ভাগ করে নেয়া যাক।
গুলি করার জন্য প্রথমেই বুলেটের পেছনের গান পাউডার-এ অগ্নিসংযোগ করা হয়। এই গান পাউডার তখন বেশ উচ্চ চাপযুক্ত গরম বায়ুর উৎপত্তি ঘটায়। উচ্চ চাপযুক্ত এই বায়ু পরে বুলেটটিকে দ্রুতবেগে ব্যারেলের মধ্য দিয়ে যেতে বাধ্য করে। এই বুলেটটিই যখন বন্দুকের ব্যারেল থেকে বের হচ্ছে, তখন ব্যাপারটি অনেকটা একটা বোতলের ছিপি খোলার মতো হয়ে যায় (শ্যাম্পেনের বোতল দিয়ে চিন্তা করতে পারেন, টম এন্ড জেরীতে যেমন দেখা যায় আর কি)।
তবে বুলেটটি যদি শুধু বেরিয়ে আসতো তাহলে আর চিন্তার কিছু ছিলো না। কিন্তু বুলেটটির পেছনে থাকে অত্যন্ত উচ্চমাত্রার এক বায়ুচাপ- প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে প্রায় ৩,০০০ পাউন্ড এর মতো। ফলে বন্দুকের এই ‘বোতল খোলা’ অর্থাৎ বুলেট বের হবার সময় এত জোরে শব্দ হয়ে থাকে।
এতক্ষণ তো জানা গেলো শব্দ হবার কারণ সম্বন্ধে। এবার চলুন জেনে নেয়া যাক কীভাবে এই শব্দ বন্ধ করা যায় সে সম্পর্কে অর্থাৎ আমাদের আলোচ্য ‘সাইলেন্সার’ কীভাবে কাজ করে তা নিয়ে।
সাইলেন্সারটিকে লাগানো হয়ে থাকে ব্যারেলের শেষ প্রান্তে। আর আয়তনেও এটি ব্যারেল থেকে বেশ বড়, প্রায় ২০ থেকে ৩০ গুণের মতো। একটু কি জট খুলতে পারছেন এবার?
আমরা জেনেছি, গান পাউডারে অগ্নিসংযোগের ফলে বেশ উচ্চ চাপের বায়ুর উৎপত্তি হয়। কিন্তু এই উচ্চ চাপযুক্ত বায়ুই সাইলেন্সার-এ এসে প্রসারণের জন্য অনেক জায়গা পেয়ে যায়। আর বায়ুর প্রসারণের ফলে তার চাপও উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়। ফলে এবার যখন বুলেটটি সাইলেন্সার দিয়ে বের হচ্ছে (ব্যারেল না কিন্তু) তখন এর পেছনে বায়ুচাপ থাকছে বেশ কম, প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে মাত্র ৬০ পাউন্ডের মতো। ফলে গুলি করার শব্দও ‘একেবারে নাই হয়ে যায়’ বললেই চলে। আর এভাবেই কাজ করে থাকেন আমাদের ‘জনাব সাইলেন্সার’।
লেখকঃ মুহাইমিনুল ইসলাম অন্তিক।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
এতক্ষণ তো জানা গেলো শব্দ হবার কারণ সম্বন্ধে। এবার চলুন জেনে নেয়া যাক কীভাবে এই শব্দ বন্ধ করা যায় সে সম্পর্কে অর্থাৎ আমাদের আলোচ্য ‘সাইলেন্সার’ কীভাবে কাজ করে তা নিয়ে।
সাইলেন্সারটিকে লাগানো হয়ে থাকে ব্যারেলের শেষ প্রান্তে। আর আয়তনেও এটি ব্যারেল থেকে বেশ বড়, প্রায় ২০ থেকে ৩০ গুণের মতো। একটু কি জট খুলতে পারছেন এবার?
আমরা জেনেছি, গান পাউডারে অগ্নিসংযোগের ফলে বেশ উচ্চ চাপের বায়ুর উৎপত্তি হয়। কিন্তু এই উচ্চ চাপযুক্ত বায়ুই সাইলেন্সার-এ এসে প্রসারণের জন্য অনেক জায়গা পেয়ে যায়। আর বায়ুর প্রসারণের ফলে তার চাপও উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়। ফলে এবার যখন বুলেটটি সাইলেন্সার দিয়ে বের হচ্ছে (ব্যারেল না কিন্তু) তখন এর পেছনে বায়ুচাপ থাকছে বেশ কম, প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে মাত্র ৬০ পাউন্ডের মতো। ফলে গুলি করার শব্দও ‘একেবারে নাই হয়ে যায়’ বললেই চলে। আর এভাবেই কাজ করে থাকেন আমাদের ‘জনাব সাইলেন্সার’।
লেখকঃ মুহাইমিনুল ইসলাম অন্তিক।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
nice post
উত্তরমুছুনJanlan onek kichu,
উত্তরমুছুননতুন কিছু জানতে পেরেছেন জেনে খুশি হলাম :)
মুছুনআজ আনেক কিছু জানলাম
উত্তরমুছুনকিছু জানাতে পেরেছি জেনে খুশি হলাম
মুছুনTHANKS
উত্তরমুছুনপড়েছেন বলে আপনাকেও ধন্যবাদ...
মুছুন