উদ্ভট রূপ চর্চা (১ম পর্ব) ।। Bizarre Beauty Treatment (1st Part)

মেয়েরা নিজেদের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য কত কিছুই না করে। বিউটি পার্লারের মালিকদের করেছে কোটিপতি আর অর্থের উৎসকে করেছে ফুটোপতি এই মেয়েরা। নিত্য নতুন রূপ চর্চার পদ্ধতি আবিস্কার হচ্ছে, আর তা ব্যাবহার করে নিজেদের বাহ্যিক সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে তারা কি না করছে। আজ আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিব কিছু রূপ চর্চার মাধ্যমের সাথে। যে গুলি সম্পর্কে জানলে আপনি হতবাক না হয়ে পারবেন না। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।


মাছ দিয়ে পেডিকিউরঃ
পায়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য বর্তমানে পেডিকিউর কিন্তু বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মেয়েদের মধ্যে। কিন্তু মাছ দিয়ে পেডিকিউর করার কথা শুনেছেন? মাছ দিয়ে পেডিকিউর করার সময় একটা চৌবাচ্চায় যাতে মাছ আছে তার মধ্যে শুধু পা ডুবিয়ে রাখলেই হবে। এই ছোট ছোট মাছ আপনার পায়ের ময়লা খেয়ে ফেলবে বা মরা চামড়া খেয়ে পাকে একদম পরিস্কার করে দিবে। এটা কিন্তু ১০০% কাজ করে, কিন্তু অনেক দেশে এটা নিষিদ্ধ কেননা মাছ যখন পায়ের উপরের চামড়া খেয়ে ফেলে তখন পানিতে থাকা ব্যাকটেরিয়ার জন্য পায়ে হালকা সংক্রামন ছড়ায়। অবশ্য এই পেডিকিউরের পরে যদি জীবানুবারক ক্রিম পায়ে মেখে নেওয়া যায় তাহলে এই অনাকাঙ্ক্ষিত সংক্রামন থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।



মৌমাছির হুলঃ
অনেক মেয়ে আছে যারা মোটা ঠোট পছন্দ করে। অবশ্য আকর্ষনিয় ঠোট যে ছেলেদের নজর কাড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এই ঠোট মোটা করার সব থেকে কার্যকর উপায় হল মৌমাছির হুল। কোন ভাবে ধরে যদি মৌমাছির হুল ঠোটে বিধিয়ে দেওয়া যায় তাহলেই ঠোট ফুলে উঠবে আর তা আকর্ষনিয় উঠবে। এই পদ্ধতি যেমন সভ্যতার প্রাক কালে প্রচলিত ছিল তেমনি বর্তমান যুগেই এর ব্যাবহার রয়েছে।


রক্তের ফেসিয়ালঃ
বিশেষ উদ্ভট এই রক্ত ফেসিয়াল (The Vampire Facial) পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে প্রথমে সুচের মাধমে আপনার শরীর থেকে রক্ত বের করে আনা হবে। তারপর শুক্ষ সুচের মাধ্যমে সেই রক্ত আপনার মুখের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় ঢুকিয়ে দেওয়া হবে। ধারনা করা হয় এতে চেহার পূনর্জীবিত হয়ে ওঠে।


তীক্ষ পিন থেরাপিঃ
আচ্ছা এক্যুপাংচারের সাথে আপনারা সকলেই তো পরিচিত। এটা ঠিক তারই একটা অংশ। অসংখ্য তীক্ষ পিন খাড়া ফুটিয়ে দেওয়া হবে আপনার মুখের উপর। কিন্তু এই পদ্ধতি আসলে এর সহজ ব্যাপার না। এই পিন ফোটানোর সময়কার ব্যাথার তুলনা করলে বলতে হয় ট্যাটু করার সময় যেমন ব্যাথা হবে তেমনি হবে বা সিরিশ কাগজ দিয়ে যদি কেউ আপনার মুখ ডলে দেয় ঠিক তেমন ব্যাথা করবে। এই পদ্ধতি কিন্তু ১০০% কাজ করে। এই থেরাপির ফলে বয়স বৃদ্ধির ফলে মুখে যে চামড়া কুঁচকে যায়, সেটার বেশির ভাগ দূর করা সম্ভব। বয়স লুকাবার জন্য আর সৌন্দর্যকে বৃদ্ধি করতে এইটুকু ব্যাথা সহ্য করা আসলে কোন ব্যাপার না। কি বলেন? যেহেতু এই পদ্ধতি কাজ করে তাই এই থেরাপির খরচ কিন্তু একটু বেশিই। এই ধরেন ১৮০$ মার্কিন ডলার খরচ করলে একজন দক্ষ এক্যুপাংচার বিশেষজ্ঞ আপনার মুখে পিন ফুটিয়ে দিবে।


জোঁক দিয়ে রূপচর্চাঃ
এই পদ্ধতি কিন্তু এক সময়ের বহুল প্রচলিত রূপচর্চা করার পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে জোঁক গুলিকে মুখের উপর ছেড়ে দেওয়া হয়, আর জোঁক গুলি মহাআনন্দে মুখের উপরে বসে রক্ত খায়। অনেকেই বিশ্বাস করেন এর ফলে মুখের চামড়ায় সহজে বয়সের ছাপ পরে না। এই পদ্ধতি কিন্তু বর্তমান বিশ্বেও বেশ ব্যাবহার করা হয়; যেমনঃ হলিউডের অভিনেত্রি Demi Moore প্রতি সপ্তাহে শত শত মার্কিন ডলার খরচ করেন জোঁক সংগ্রহ করার জন্য, যাতে তিনি এই জোঁক দিয়ে রূপ চর্চা করতে পারেন। তার মতে তিনি যে জোঁক গুলি ক্রয় করেন সেগুলি কোন সাধারন জোঁক না বরং তার ভাষায় "highly trained medical leeches"। ঠিক জানিনা জোঁক কোন মেডিকেল কলেজে পড়ে কিনা! পড়তেও পারে কি বলেন?

লেখকঃ জানা অজানার পথিক।
hybridknowledge.info

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

জানার কোন অন্ত নাই, জানার ইচ্ছা বৃথা তাই, ভেবে যদি জানার ইচ্ছাকে দমন করে রাখা হয় তবে সে জীবনের কোন অর্থ নাই। কিন্তু সব জানতে হবে এমন কোন কথা নাই, তবে জানার ইচ্ছা থাকা চাই। আমাদের এই জানা জানির ইচ্ছকে সূত্র করে, আমাদের ছোট্ট একটি প্রয়াস ❝আমি জানতে চাই❞। আমাদের জানতে চাওয়ার ইচ্ছা পুরনের লক্ষে কখনো জেনেছি মহাকাশ নিয়ে, কখনো জেনেছি সমুদ্র নিয়ে, কখনো ডুব দিয়েছি কৌতুক এর মাঝে, আবার ভয়ে কেঁপেছি ভুতের গল্প পড়ে, কখনোবা শিউরে উঠেছি কিছু মানুষের কার্যকলাপ জেনে। কখনো জেনেছি নতুন আবিষ্কারের কথা, আবার জেনেছি আদি ঐতিহ্যের কথা, এত সব কিছু করেছি শুধু জানতে চাওয়ার ইচ্ছা থেকে।

hybridknowledge.info hybridknowledge.info