আজ আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিব অতীতের উদ্ভট কিছু আবিস্কারের সাথে, যা আপনাকে কিছুটা হলেও অবাক করবে। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক অতীতের উদ্ভট কিছু আবিস্কার।
এক চাকার মটরসাইকেল। আবিস্কার করেন ইতালির M. Goventosa de Udine। এই বাইকের গতি প্রতি ঘন্টায় ১৫০ কিঃমিঃ।
যারা বাংলাদেশের দক্ষিন অঞ্চলে গেছেন তারা নিশ্চই পদ্মা নদী পাড়ি দিয়েছেন ফেরিতে অথব স্পীডবোটে। দেখেছেন নিশ্চই নদী নাব্যতা রক্ষার জন্য প্রতি নিয়ত নদীর ড্রেজিং করা হয় ড্রেজার দিয়ে। এই ড্রেজারের আবিস্কারের প্রথম দিকের নকশা ছিল উপরের ছবির মত।
১৯২৫ সালে জার্মানিতে তোলা ছবি। এখানে দেখতে পাচ্ছেন প্রথম দিকের Swimming Jacket। এটি অবশ্য বানানো হয়েছিল সাইকেলের টায়ার দিয়ে।
House Car এর সাথেতো সবাই পরিচিত কিন্তু এই গাড়ি যখন আবিস্কার হয়নি তখন ঘোড়ার গাড়ির সাথে বাষ্প চালিত ইঞ্জিন সংযুক্ত করে বানানো Steam Automobile design Circa। আর উপরের ডিজাইন করা হয় ১৮৪৫ সালে।
১৯৩২ সালে প্যারিসে বানানো উভচর সাইকেল। এটি মোট ১২০ পাউন্ডের ওজন নিয়ে পানির উপর দিয়ে চলতে পারে।
আঁকাবাঁকা আর উঁচুনিচু পথে চলার যোগ্য করে বানানো ট্রাক, যা ৬৫ ডিগ্রি কোনে ড্রাইভারকে একদম কোন ঝাকুনি না দিয়ে পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নেমে আসতে পারে। এই ট্রাক তৈরি করা হয় ইংল্যান্ডে ১৯৩৬ সালে।
ছোট বাচ্চারা যাতে কান্নাকাটি না করে তাই ছোট বাচ্চাদের রাখার ট্রলির সাথে সংযুক্ত করে দেওয়া হয়ছে বড় এক এন্টিনা সহ রেডিও আর সাথে মাইক। বাচ্চা এখন গান শুনবে না কানবে বলুন দেখি? এটি আবিস্কার হয় ১৯২১ সালে আমেরিকাতে।
কাঠের তৈরি গোছলের পোষাক। এটি আবিস্কার হয়েছিল সাঁতারের সুবিধার জন্য, কিন্তু এই পোষাকটি কতটুকু সাঁতারে সাহায্য করত তা প্রশ্নবিদ্ধ। ১৯২৯ সালে আবিস্কার হয় এই পোষাক আমেরিকাতে।
১৬ দশকের দিকে ইউরোপে শীতের প্রাদুর্ভাব একটু বেশি ছিল। এসময় মূল যাতায়ত ব্যাবস্থা ছিল নৌ পথে। আর শীতের কারনে পানি জমে যাওয়ায় নৌ চলাচল ব্যাবস্থা মারাত্মক ভাবে বাধাগ্রস্থ হয়। এই নৌকাটি ডিজাইন করা হয় যাতে তা সহজে বরফ ভেংগে এগিয়ে যেতে পারে। এই নৌকার ডিজাইন করেন A. Terrier, ৭ই জানুয়ারি ১৬০০ সালে।
রেডিও টুপি, আবিস্কার হয় ১৯৩১ সালে।
১৫৮৯ সালে C.D. Muys ডিজাইন করেন এই বাতচক্রের। এটির মূল লক্ষ্য ছিল বাতাস দিয়ে আবহাওয়া নিয়ন্ত্রন করা। কিন্তু এই বাতচক্র কোন দিন আবিস্কার হয়নি।
১৯৩১ সালে আবিস্কৃত বুলেট প্রুফ গ্লাস। NYPD এর এক জন পুলিশ কাঁচে গুলি চালাচ্ছেন।
১৯৩৬ সালে R. Handl প্রথম এই Movable Heel Plate বা বরফের স্কেট। কিন্তু ১৯৯৬ সালের আগ পর্যন্ত এর ব্যাবহার শুরু হয়নি। তবে ১৯৯৬ সালে মূল ডিজাইন থেকে কিছুটা পরিবর্তন করা হয়।
১৯৩৪ সালে বানানো বিশাল আকৃতির ক্যারাভ্যান।
১৯৩৫ সালে আবিস্কার হয় অলস পিয়ান বাদকদের জন্য এক মহা মূল্যবান জিনিষ। এর ফলে বিছানায় শুয়ে শুয়ে পিয়ানো বাজানো সম্ভব।
ঘুমানোর আগে বই পড়ার অভ্যাস নিশ্চই অনেকের আছে, আর ঘাড় সামনের দিকে একটু কাত করে বই পড়তে নিশ্চই একটু হলেও বিরক্ত লাগে। কোন সমস্যা নাই ১৯৩৬ সালে এই আবিস্কৃত এই চশমা পরে টানটান হয়ে শুয়ে বই পড়তে পারবেন।
১৯৩২ সালে আমেরিকার পুলিশদের জন্য আবিস্কৃত হিটারের জ্যাকেট। ঠান্ডার মধ্যে যাতে গরম থাকা যায় তাই এই ব্যাবস্থা। আর এটি চালাতে বৈদ্যুতিক থাম্বার সাথে লাগানো হয়েছিল বৈদ্যুতিক প্লাগ।
১৯২৯ সালে এই প্রোজেক্টরের ডিজাইন করেন F.B.A. Prinsen। এটিকে আবার টেবিল হিসেবেও ব্যাবহার করা যায় আর এতে একসাথে তিনটা রিল লাগিয়ে রাখা যায়। তাই বারবার বদলানো ঝামেলা নাই।
১৯২৪ সালে প্যারিসে প্রায় প্রতিটি গাড়ির সামনে এরকম লাগানো হত। এটি লাগানোর মূল উদ্দেশ্য ছিল, পথচারিদের যদি গাড়ি ধাক্কা মারে তাহলে পথচারি এই গ্রীলের উপরে আটকে যাবে, ফলে আহত কম হবে। কিন্তু এই জিনিষ মনে হয় তেমন কোন কাজে লাগেনি।
যাদের কানে সমস্যা তাদের জন্য আবিস্কার করা প্রথম শ্রবন যন্ত্র। এটি আবিস্কার হয় ১৯১২ সালে।
১৯৩২ সালের GPS। এটি গাড়ির গতির সাথে এবং ডানে বামে মোড় হিসাব করে গাড়ির অবস্থান নির্নয় করত।
নেদারল্যান্ডে ১৯২৬ সালে L. Deth এর তৈরি করা প্রথম ভাজ করা সেতু।
১৯১৫ সালে নেডারল্যান্ডে তৈরি হত এই রাবারের বুট যুক্ত নৌকা। এটি মূলত ব্যাবহার হত জলাশয়ের মধ্যে মাছ ধরার জন্য।
বর্তমানেতো অনেকেই ইন্টারনেটে পত্রিকা পড়েন। যখনকার সংবাদ তখনই। কিন্তু জানেন কি এর প্রচলন প্রথম কবে শুরু হয়? নিউয়র্ক শহরে ১৯৩৮ সালে WOR Radio Station প্রথম চালু করে ফ্যাক্স পত্রিকার। আর এই পত্রিকার নাম Missouri Paper।
১৯৩৯ সালে ক্যানাডায় চালু ছিল এই স্বচ্ছ তুষার মুখশের।
১৯৩৮ সালে ইংল্যান্ড সব সময় যুদ্ধের আতংকে থাকত। আর এই কারনে সন্তানকে বিষাক্ত ধোয়া থেকে বাচাতে এই ব্যাবস্থা।
১৯৩৮ সালে পিস্তলের সাথে লাগানো শুরু হয় এই ক্যামেরার। এটি ছটি ছবি তুলতে সক্ষম। কাউকে গুলি করলে কেন গুলি করলেন তা আদালতে সহজেই যাতে প্রমান করা যায় তাই এই ব্যাবস্থা চালু হয়েছিল।
লেখকঃ জানা অজানার পথিক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন