আজ আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিব বিশ্বের সব থেকে লম্বা মেয়ের সাথে। ১৪ বছর বয়সে সে বিশ্বের সব থেকে লম্বা মেয়ের খেতাব পায়। তার নাম "এলিজা সিলভা", বসবাস ব্রাজিলে। মাত্র ১৪ বছর বয়সেই তার উচ্চতা ২০৬ সেঃমিঃ।
যদিও সে বিশ্বের সব থেকে লম্বা মেয়ে হিসেবে পরিচিত কিন্তু এটা তার জন্য মোটেও সুখকর কোন বিষয় না। তার এই লম্বা হবার পিছনে দায়ি বৃহৎ আকৃতির পিটুটারি গ্লান্ড (Pituitary Gigantism), এই পিটুটারি গ্রান্ড থেকে শরীর বৃদ্ধির হরমন (Growth Hormone) বের হয় যা শরীর বৃদ্ধির জন্য দায়ি। পিটুটারি গ্লান্ড বড় থাকায় তার শরীরে এই শরীর বৃদ্ধিকারি হরমন বেশি নির্গত হয় ফলে তার শরীরের এই নিয়ন্ত্রনহীন বৃদ্ধি ঘটে। আর এই শরীর বৃদ্ধিকারি হরমনের কারনে মাথা ব্যাথা আর চোখের সমস্যা দেখা দেয় আর সর্বশেষ ফলাফল হিসেবে ক্যান্সার।
পারিবারিক স্বচ্ছলতা না থাকায় এলিজার চিকিৎসা করাতে সক্ষম নয় তার মা বাবা। এর ফলে ১৪ বছর বয়সেই তাকে স্কুল ছেড়ে দিতে হয়। কেননা, স্কুলে যাবার বাসে সে বসতে পারে না, এছাড়া পড়ার বেঞ্চেও তার পক্ষে বসা সম্ভব হয় না।
পারিবারিক স্বচ্ছলতা না থাকায় এলিজার চিকিৎসা করাতে সক্ষম নয় তার মা বাবা। এর ফলে ১৪ বছর বয়সেই তাকে স্কুল ছেড়ে দিতে হয়। কেননা, স্কুলে যাবার বাসে সে বসতে পারে না, এছাড়া পড়ার বেঞ্চেও তার পক্ষে বসা সম্ভব হয় না।
পরিসংখান অনুযায়ি সে প্রতি বছর ১৫ সেঃমিঃ করে উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে। এখন চিন্তা করুন তাহলে আজ থেকে ১০ বছর পরে তার উচ্চতা কত হবে!
এলিজা সিলভাকে নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে আসা প্রথম প্রতিবেদনটি দেখে নেই এবার,
এলিজা সিলভাকে নিয়ে প্রথম এই প্রতিবেদনটি প্রচার হয় যখন তার বয়স ১৪ বছর। এসময় তাকে উপাধি দেওয়া হয় "ব্রাজিলের সব থেকে লম্বা মেয়ে", এছাড়াও বিশ্ব রেকর্ডটি তা দখলেও চলে আসে। সকলের সামনে তার এই শারিরিক অবস্থার কথা প্রচারিত হলে, কিছু ডাক্তর তাকে বিনা পয়সায় চিকিৎসা করাতে রাজি হয় এবং অপারেশনের মাধ্যমে তার পিটুটারি গ্লান্ড কেটে সাভাবিক আকারে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়। ফলে তার অনিয়ন্ত্রিত শারিরিক বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রনের মধ্যে চলে আসে। সে অন্যান্য সাভাবিক মেয়েদের মত নিজের জীবনকে চালনা করতে সক্ষম হয়।
১৭ বছর বয়সের মধ্যে সে ব্রাজিলের মডেলিং দুনিয়ায় পা রাখে আর বেশ অল্প সময়ের মধ্যেই বেশ নাম করা মডেলে পরিনত হয়। এমন কি এসময়ের মধ্যে সে একজন প্রেমিকও খুজে পান। মডেল হবার পরে তার উপর আরেকটি প্রতিবেদন তৈরি হয় যেখানে দেখানো হয় তার সাভাবিক জীবন যাপনের চিত্র। চলুন তাহলে এবার সেই ভিডিও প্রতিবেদনটি দেখে নেওয়া যাক,
কথায় আছে, "যেখানে জীবন থাকে, সেখানেই আশা জন্ম নেয়", এলিজা সিলভা যেন সেই কথাই আবার পুনরায় প্রমান করল। তার জীবনের সকল বাধা বিপত্তিকে টপকে এখন সে একজন সাধারন মেয়ের মত নিজের ভবিষ্যত নিয়ে স্বপ্ন দেখে। হয়ত ২ বছর আগে ১৪ বছর বয়সের এলিজা সিলভা এই স্বপ্ন গুলি কোন দিন দেখার সাহস পায়নি।
লেখকঃ জানা অজানার পথিক।