রহস্যে ঘেরা ইস্টার দ্বীপ

আমাদের চেনা পৃথিবীতে ইস্টার দ্বীপ যেন এক অচেনা ভূবন। ইস্টার দ্বীপ আমাদের চেনা পৃথিবী থেকে অনেক দূরে। ইস্টার দ্বীপ থেকে সবচেয়ে কাছের দ্বীপটি হল চৌদ্দশ মাইল দূরে। একজন ডাচ নাবিক ১৭৭২ সালের ইস্টার ডে তে দ্বীপটি অবিষ্কার করেন। এখানে কেন মানুষের বসতি নেই খুব একটা, তবে অতীতে মানুষের বসবাসের প্রমাণ এখানে পাওয়া যায়। ইস্টার দ্বীপটি ঘেরা হাজারো দানবীয় মূর্তি দিয়ে। এর কেনটা ত্রিশ ফুট উচু এবং ওজনে কয়েক টন ভারী।


প্রশ্ন হল এই মূর্তি গুলো কারা বানাল? কেন বানাল? কিভাবে বানাল? কি দিয়ে বানাল?

অনেক প্রশ্ন তাই না। অনেক প্রত্নতাত্বিক গবেষণার ফলে জানা যায়, এই দ্বীপে পলিনেশীয় গোষ্ঠীর লোকেরা বসবাস করত। তারা এই দ্বীপে আসে ৪০০ খ্রীষ্টপূর্বে। আরো জানা যায় যে দ্বীপি দুই শ্রেণীর জনগোষ্ঠী বাস করত একদল শাসক আর অন্যদল দাস। এই পলিনেশীয়রাই ছিল দাস। এই তথ্যটা খুব রহস্যজনক কারণ ওই সময়ে পলিনেশীয়রা প্রচন্ড শক্তিশালী ছিল। তাহলে তাদের দাস বানল কারা?

মূর্তিগুলো গ্রানাইট পাথর খোদাই করে বানানো। গ্রানাইট পাথর আগ্নেয়গিরি উদগিরণ এর সাথে ভূগর্ভ থেকে বের হয়। প্রচন্ড ভারী এবং শক্ত। ইস্টার দ্বীপ এর মাঝখানে একটি আগ্নেয়গিরি আছে।


কথা হল এত শক্ত পাথর কি দিয়ে কাটা হল?

একদল বিজ্ঞানী পাথর এর ছেনি দিয়ে কাটতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পারেন নি, তাহলে কারা এত নিখুত ভাবে কাটল এই শক্ত পাথর আর কি দিয়ে? আমরা আমেরিকাতে পাহাড় খোদাই করে আমেরিকান প্রেসিডেন্টদের মূর্তি দেখেছি। এগুলো আধুনিক যুগে তৈরী। তবে এগুলো তৈরী করতেও অনেক ঝামেলা হয়েছে। তাহলে আদিমকালে এই বিশাল মূর্তি কারা বানাল?

আর নিচের ছবিটি দেখুন আগ্নেয়গিরি দ্বীপের মাঝখানে কিন্তু মুর্তিগুলো সব সাগর তীরে। তাহলে এত ভারী জিনিষ কি দিয়ে টেনে আনা হল।


প্রশ্নের উত্তর খুজতে যেয়ে অনেক প্রশ্ন এসে গেল। কেন বানানো হল মনে হয়?

আমরা যারা আর্মি বা নেভি তে আছি বা ছিলাম (land mark) শব্দটার সাথে আমরা পরিচিত। কোন জায়গা আকাশ বা সমুদ্র থেকে সঠিক ভাবে সনাক্ত করতে (land mark) ব্যবহার করা হয়। মূর্তি গুলো দেখলে কিন্তু তাই মনে হয়। তাহলে আবার প্রশ্ন জাগে এত উন্নত নেভিগেশন কারা জানত নিশ্চয় পলিনেশীয়রা না।


উপরের ছবিটি দেখুন, কিছু অসমাপ্ত মূর্তি, তাহলে বোঝা যাচ্ছে একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে মূর্তি বানানো হয়েছিল। কাজ শেষ হয়ে যাওয়ায় এগুলো আর শেষ করা হয়নি।

আমরা ধরে নিই মূর্তি গুলো পলিনেশীয় লোকদের বানানো নিচের ছবিটি দেখুন,


কিছূ মূর্তির মাথায় টুপি আর এই টুপি গুলো পরে বানানে। আর খুবই কাচা হাতের কাজ। যারা মূর্তি বানিয়েছে তারা আরো উন্নত ছিল। আর মূর্তির মাথায় টুপি পরানোর দরকার হল কেন?

তাহলে কি অনেক উন্নত কেউ ছিল আমাদের মাঝে কারা তারা? ইস্টার দ্বীপের আদিবাসীদের পুরাণে বলে আকাশ থেকে দেবতারা নেমে এসেছিল পৃথিবীতে। তারা ছিল অভিশপ্ত। পরে তাদের আকাশ দেবতা রথে করে স্বর্গে ফিরিয়ে নেন।

একটু কল্পনা করি কোন কারণে একদল অতি উন্নত ভিনগ্রহবাসী আটকা পড়ে ইস্টার দ্বীপে। তারা এই মূর্তি গুলো বানিয়েছিল যাতে তাদের অন্য সঙ্গীরা এই মূর্তি দেখে তাদের উদ্ধার করতে পারে। তারপর অনেকদিন পরে কেউ তাদের উদ্ধার করে। ফলে অনেক মূর্তি অসম্প্ত পাওয়া গেছে। আর স্থানীয় রূপকথার সাথেও মিলে যাই।

তাহলে কি সত্যি ইস্টার দ্বীপে কোন ভিনগ্রহের প্রাণীর আগমন ঘটেছিল? নাকি অন্যকিছূ? অনেক রহস্যের মত এই রহস্যের কোন সমাধান নেই।

লেখকঃ সাদিক।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
hybridknowledge.info

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

জানার কোন অন্ত নাই, জানার ইচ্ছা বৃথা তাই, ভেবে যদি জানার ইচ্ছাকে দমন করে রাখা হয় তবে সে জীবনের কোন অর্থ নাই। কিন্তু সব জানতে হবে এমন কোন কথা নাই, তবে জানার ইচ্ছা থাকা চাই। আমাদের এই জানা জানির ইচ্ছকে সূত্র করে, আমাদের ছোট্ট একটি প্রয়াস ❝আমি জানতে চাই❞। আমাদের জানতে চাওয়ার ইচ্ছা পুরনের লক্ষে কখনো জেনেছি মহাকাশ নিয়ে, কখনো জেনেছি সমুদ্র নিয়ে, কখনো ডুব দিয়েছি কৌতুক এর মাঝে, আবার ভয়ে কেঁপেছি ভুতের গল্প পড়ে, কখনোবা শিউরে উঠেছি কিছু মানুষের কার্যকলাপ জেনে। কখনো জেনেছি নতুন আবিষ্কারের কথা, আবার জেনেছি আদি ঐতিহ্যের কথা, এত সব কিছু করেছি শুধু জানতে চাওয়ার ইচ্ছা থেকে।

hybridknowledge.info hybridknowledge.info