পৃথিবীর সব থেকে বড় সিলেন্ডার আকৃতির এক্যুরিয়াম

এর আগে "পৃথিবীর সব থেকে বড় এক্যুরিয়াম" লেখাটিতে আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলাম পৃথিবীর সব থেকে বড় এক্যুরিয়ামের সাথে, আজ আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিব পৃথিবীর সব থেকে বড় সিলিন্ডার আকৃতির এক্যুরিয়ামের সাথে।

"AquaDom" নামে বিশ্বের সব থেকে বড় এই সিলিন্ডার আকৃতির বা শুদ্ধ বাংলায় নলাকৃতির এই এক্যুরিয়াম জার্মানির বার্লিন শহরে অবস্থিত। এই এক্যুরিয়াম তৈরি করা হয়েছে একটি ক্যাপ্সুল লিফটকে ঘিরে। মজার বিষয় হচ্ছে এই লিফটের দেওয়াল আবার কাঁচ দিয়ে তৈরি, মানে আপনি যখন এই লিফটে উঠবেন তখন আপনার মনে হবে যেন আপনি এই এক্যুরিয়ামের মধ্যে দিয়ে উঠানামা করছেন। বার্লিনের "Radisson Blu Hotel" এ তৈরি করা হয়েছে এই এক্যুরিয়াম। এটা যে শুধু মাত্র হোটেল তা নয়, এখানে আছে বিভিন্ন কম্পানির অফিস, দোকান, রোস্তারা ইত্যাদি।


hybridknowledge.info hybridknowledge.info

এই এক্যুরিয়াম ২০০৪ সালে জনসাধারনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এটি বানাতে খরচ হয়েছে ১২.৮ মিলিয়ন ইউরো। এই এক্যুরিয়ামের নকশা থেকে তৈরি করে  International Concept Management Inc নামে একটি প্রতিষ্ঠান। এর যে নলাকৃতির কাঁচের দেওয়াল রয়েছে তা তৈরি করেছে আমেরিকার Reynolds Polymer Technology নামক কম্পানি।


এই এক্যুরিয়ামের ব্যাস ১১ মিটার আর এটি দাঁড়িয়ে আছে ৯ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট একটি পিলারের উপর। আর এই এক্যুরিয়ামে পানি আছে ১,০০০,০০০ লিটার, আর মাছ আছে ৫০ প্রজাতির ১৫০০টি মাছ। এই বিশাল আকৃতির এক্যুরিয়ামের মাছের খাবার এবং পরিস্কার করার দ্বায়িত্য পালন করে ৩ থেকে ৪ জন ডুবুরি। প্রতিদিন প্রায় ৪ কেজির মত খাবার দিতে হয় এই এক্যুরিয়ামে সংরক্ষিত মাছদের।

দারুন না দেখতে? তাহলে চলুন দেখে নেই  পৃথিবীর সব থেকে বড় সিলেন্ডার আকৃতির এক্যুরিয়ামের কিছু ছবি,



লেখকঃ জানা অজানার পথিক।
hybridknowledge.info

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

জানার কোন অন্ত নাই, জানার ইচ্ছা বৃথা তাই, ভেবে যদি জানার ইচ্ছাকে দমন করে রাখা হয় তবে সে জীবনের কোন অর্থ নাই। কিন্তু সব জানতে হবে এমন কোন কথা নাই, তবে জানার ইচ্ছা থাকা চাই। আমাদের এই জানা জানির ইচ্ছকে সূত্র করে, আমাদের ছোট্ট একটি প্রয়াস ❝আমি জানতে চাই❞। আমাদের জানতে চাওয়ার ইচ্ছা পুরনের লক্ষে কখনো জেনেছি মহাকাশ নিয়ে, কখনো জেনেছি সমুদ্র নিয়ে, কখনো ডুব দিয়েছি কৌতুক এর মাঝে, আবার ভয়ে কেঁপেছি ভুতের গল্প পড়ে, কখনোবা শিউরে উঠেছি কিছু মানুষের কার্যকলাপ জেনে। কখনো জেনেছি নতুন আবিষ্কারের কথা, আবার জেনেছি আদি ঐতিহ্যের কথা, এত সব কিছু করেছি শুধু জানতে চাওয়ার ইচ্ছা থেকে।