এই পৃথিবীর পুরোটাই কি আমরা জানি? একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে এমন কথা হাস্যকর মনে হবে বৈকি। কিন্তু মজার বিষয়টা হচ্ছে, আসলে এই পৃথিবীর অনেক কিছুই আমাদের অজানা। বিশেষ করে আধুনিক পৃথিবীর এমন অনেক গোপনীয়তা আছে যা চাইলেও একজন সাধারণ মানুষ জানতে পারে না, এমন অনেক স্থান আছে যা সাধারণ মানুষের জন্য নিষিদ্ধ। এমনই কিছু রহস্যময় স্থানের কথা বলবো আজ, যেগুলো সাধারণ মানুষের কাছে সবসময় অধরাই থেকে গেছে। সাধারণ মানুষ পরতের পর পরত রহস্যের গল্প বুনে গেছে এগুলো নিয়ে, কিন্তু কূলকিনারা করা হয়নি কোনো রহস্যের।
(০১) White’s Gentlemen’s Club:
এটা মূলত ডিজনিল্যান্ডের 'ক্লাব ৩৩' এর মত একটি ক্লাব। পৃথিবীর সবচেয়ে অভিজাত ক্লাব হিসেবে ধরা হয় এটাকে। লন্ডনে অবস্থিত ক্লাবটিতে শুধুমাত্র সমাজের অভিজাত শ্রেণীর মানুষেরই পদচিহ্ন পড়ে। অবশ্য ক্লাবটির শুরুর ইতিহাস ভিন্ন কথা বলে। ফ্রাঞ্চিস বিয়াঙ্কো নামে এক লোক এটা তৈরি করে নতুন ধরনের চকলেট বিক্রির জন্য, অথচ এটা এখন পৃথিবীর সেরা ক্লাব গুলোর একটি। এই ক্লাবের সদস্য হওয়া রীতিমত একটি সম্মানের বিষয়। টাকা থাকুক, কিন্তু চাইলেই আপনি এর সদস্য হতে পারবেন না, হাজারটা কাঠ-খড় পুড়িয়ে আপনাকে এই ক্লাবের সদস্য হতে হবে।
কী হয় এই ক্লাবে?
জানেন কেবল এর সদস্যরা!
এটা মূলত ডিজনিল্যান্ডের 'ক্লাব ৩৩' এর মত একটি ক্লাব। পৃথিবীর সবচেয়ে অভিজাত ক্লাব হিসেবে ধরা হয় এটাকে। লন্ডনে অবস্থিত ক্লাবটিতে শুধুমাত্র সমাজের অভিজাত শ্রেণীর মানুষেরই পদচিহ্ন পড়ে। অবশ্য ক্লাবটির শুরুর ইতিহাস ভিন্ন কথা বলে। ফ্রাঞ্চিস বিয়াঙ্কো নামে এক লোক এটা তৈরি করে নতুন ধরনের চকলেট বিক্রির জন্য, অথচ এটা এখন পৃথিবীর সেরা ক্লাব গুলোর একটি। এই ক্লাবের সদস্য হওয়া রীতিমত একটি সম্মানের বিষয়। টাকা থাকুক, কিন্তু চাইলেই আপনি এর সদস্য হতে পারবেন না, হাজারটা কাঠ-খড় পুড়িয়ে আপনাকে এই ক্লাবের সদস্য হতে হবে।
কী হয় এই ক্লাবে?
জানেন কেবল এর সদস্যরা!
(০২) এরিয়া ৫১ঃ
এটা নিয়ে আর নতুন ভাবে কি বলব; তবে যদি একটু বিস্তারিত জানতে চান তাহলে 'এরিয়া ৫১' লেখাটি পড়তে পারেন।
এটা নিয়ে আর নতুন ভাবে কি বলব; তবে যদি একটু বিস্তারিত জানতে চান তাহলে 'এরিয়া ৫১' লেখাটি পড়তে পারেন।
(০৩) RAF Menwith Hill:
সারা বিশ্বের গোয়েন্দা সংস্থা গুলোর কাছে এক বিস্ময়ের নাম এই মেনওয়িদ হিল। এটা আমেরিকার ইয়র্কশায়ারে অবস্থিত। এটা একটি মিলিটারি বেইজ যা ইখেলন গ্লোবাল স্পাই নেটওয়ার্কিং এর সাথে সংযুক্ত। আমেরিকা আর ইংল্যান্ডকে ইন্টিলিজেন্স সাপোর্ট দেওয়ার জন্যই এটা তৈরি করা হয়। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ইলেকট্রনিক মনিটরিং স্টেশান এখানেই রয়েছে। তবে পুরো জায়গার চারপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা এতটাই জটিল সাধারণ মানুষের ওই পুরো এলাকায় ঢোকা এক্কেবারেই অসম্ভবের পর্যায়ে পড়ে। রোমাঞ্চ প্রিয় কেউ যদি সে স্বপ্ন কখনো দেখেও থাকে তা স্রেফ আকাশকুসুম কল্পনাই হবে।
সারা বিশ্বের গোয়েন্দা সংস্থা গুলোর কাছে এক বিস্ময়ের নাম এই মেনওয়িদ হিল। এটা আমেরিকার ইয়র্কশায়ারে অবস্থিত। এটা একটি মিলিটারি বেইজ যা ইখেলন গ্লোবাল স্পাই নেটওয়ার্কিং এর সাথে সংযুক্ত। আমেরিকা আর ইংল্যান্ডকে ইন্টিলিজেন্স সাপোর্ট দেওয়ার জন্যই এটা তৈরি করা হয়। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ইলেকট্রনিক মনিটরিং স্টেশান এখানেই রয়েছে। তবে পুরো জায়গার চারপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা এতটাই জটিল সাধারণ মানুষের ওই পুরো এলাকায় ঢোকা এক্কেবারেই অসম্ভবের পর্যায়ে পড়ে। রোমাঞ্চ প্রিয় কেউ যদি সে স্বপ্ন কখনো দেখেও থাকে তা স্রেফ আকাশকুসুম কল্পনাই হবে।
(০৪) Ise Grand Shrine, Japan:
জাপানের সবচেয়ে গোপনীয়,পবিত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থান। খ্রিস্টপূর্ব ৪ সালে এটা নির্মাণ করা হয় বলে ধারনা করা হয়। জাপানের রাজকীয় পরিবার আর প্রিস্ট ছাড়া এখানে আজ পর্যন্ত কেউ প্রবেশ করতে পারে নাই। এই শ্রাইনটি প্রতি ২০ বছর পরে ভেঙ্গে আবার নতুন করে নির্মাণ করা হয়।
কেন এত গোপনীয়তা???
ইতিহাসবিদদের মতে এককালের জাপানিজ সাম্রাজ্যের অনেক পুরনো মূল্যবান নথিপত্র ওখানে লুকায়িত আছে,যেগুলো বিশ্বের সামনে আগে কখনই আসেনি।
আর জেনে রাখুন, জাপানিরা ধর্মীয় গোপনীয়তা রক্ষা করতে কিন্তু দারুণ পটু!
জাপানের সবচেয়ে গোপনীয়,পবিত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থান। খ্রিস্টপূর্ব ৪ সালে এটা নির্মাণ করা হয় বলে ধারনা করা হয়। জাপানের রাজকীয় পরিবার আর প্রিস্ট ছাড়া এখানে আজ পর্যন্ত কেউ প্রবেশ করতে পারে নাই। এই শ্রাইনটি প্রতি ২০ বছর পরে ভেঙ্গে আবার নতুন করে নির্মাণ করা হয়।
কেন এত গোপনীয়তা???
ইতিহাসবিদদের মতে এককালের জাপানিজ সাম্রাজ্যের অনেক পুরনো মূল্যবান নথিপত্র ওখানে লুকায়িত আছে,যেগুলো বিশ্বের সামনে আগে কখনই আসেনি।
আর জেনে রাখুন, জাপানিরা ধর্মীয় গোপনীয়তা রক্ষা করতে কিন্তু দারুণ পটু!
(০৫) Vatican Secret Archives:
যুগ যুগ ধরেই ভ্যাটিকান সিটি মানুষের রহস্যের খোরাক যুগিয়েছে, সেই যীশুর আমলের আগ থেকেই পৃথিবীর অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসের সাক্ষী এই ভ্যাটিকান। এই জায়গাটিকে 'Storehouse Of Secret' বলা হয়। খুব কম সংখ্যক স্কলারই এই জায়গায় ঢুকতে পারেন, তাও পোপের বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষে।
এখানে প্রায় ৮৪,০০০টি বই আছে আর এই জায়গাটি প্রায় ৮৪ কিঃমিঃ দীর্ঘ। ধারনা করা হয় খ্রিষ্টান, মেসনারি, প্যাগান আরও অনেক ধর্ম আর মতবাদের অনেক গোপন ডকুমেন্ট এখানে সংরক্ষিত আছে।
যুগ যুগ ধরেই ভ্যাটিকান সিটি মানুষের রহস্যের খোরাক যুগিয়েছে, সেই যীশুর আমলের আগ থেকেই পৃথিবীর অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসের সাক্ষী এই ভ্যাটিকান। এই জায়গাটিকে 'Storehouse Of Secret' বলা হয়। খুব কম সংখ্যক স্কলারই এই জায়গায় ঢুকতে পারেন, তাও পোপের বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষে।
এখানে প্রায় ৮৪,০০০টি বই আছে আর এই জায়গাটি প্রায় ৮৪ কিঃমিঃ দীর্ঘ। ধারনা করা হয় খ্রিষ্টান, মেসনারি, প্যাগান আরও অনেক ধর্ম আর মতবাদের অনেক গোপন ডকুমেন্ট এখানে সংরক্ষিত আছে।
(০৬) Room 39:
১৯৭০ সালে গঠিত এই সংস্থাটি উত্তর কোরিয়ার একটি গোপন সংস্থা। ঠিক কি উদ্দেশ্য নিয়ে এটা গঠিত হয় তা এখন পর্যন্ত জানা যায় নাই। তবে এই সংস্থাটিকে পৃথিবীর অনেক বড় বড় অপরাধের সাথে জড়িত বলে ধরা হয় এবং এই কাজগুলো সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানেই করা হয়।
আপনারা কি সুপার ডলারের নাম শুনেছেন??
যাদের জন্য ব্যাপারটি নতুন তাদের জন্য বলছি এগুলো হচ্ছে আমেরিকান ডলারের নকল ভার্সন অথবা জাল ডলার যেটি পৃথিবীর সব গোয়েন্দা সংস্থা অথবা আমেরিকার মত দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হলো, এগুলো ছিল মূল ডলারের মতই উন্নতমানের কটন-লিনেন বেন্ড দিয়ে তৈরি এবং আমেরিকার মুদ্রার অনেক সিকিউরিটি ফিচার এখানে রিক্রিয়েট করা হয়েছিল। এই পুরো ব্যাপারটার জন্য রুম ৩৯ এর দিকেই আঙ্গুল তোলা হয়েছিল সরাসরি। বিভিন্ন রকমের নিষিদ্ধ অস্ত্র কেনাবেচা এবং সুইস ব্যাংকের কিছু একাউন্টের মাধ্যমে পুরো পৃথিবীতে ইন্সিওরেন্স ফ্রডের জন্য এই অরগেনাইজেসনটি দায়ী। যেখানে পৃথিবীর সব বড় বড় গোয়েন্দা সংস্থা গুলো সবসময়ই এদের কাছে নাকানি চুবানি খায় হর হামেশাই আমাদের মত সাধারণ মানুষের তাদের আস্তানায় ঢোকার কল্পনা নেহাতই হাস্যকর।
১৯৭০ সালে গঠিত এই সংস্থাটি উত্তর কোরিয়ার একটি গোপন সংস্থা। ঠিক কি উদ্দেশ্য নিয়ে এটা গঠিত হয় তা এখন পর্যন্ত জানা যায় নাই। তবে এই সংস্থাটিকে পৃথিবীর অনেক বড় বড় অপরাধের সাথে জড়িত বলে ধরা হয় এবং এই কাজগুলো সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানেই করা হয়।
আপনারা কি সুপার ডলারের নাম শুনেছেন??
যাদের জন্য ব্যাপারটি নতুন তাদের জন্য বলছি এগুলো হচ্ছে আমেরিকান ডলারের নকল ভার্সন অথবা জাল ডলার যেটি পৃথিবীর সব গোয়েন্দা সংস্থা অথবা আমেরিকার মত দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হলো, এগুলো ছিল মূল ডলারের মতই উন্নতমানের কটন-লিনেন বেন্ড দিয়ে তৈরি এবং আমেরিকার মুদ্রার অনেক সিকিউরিটি ফিচার এখানে রিক্রিয়েট করা হয়েছিল। এই পুরো ব্যাপারটার জন্য রুম ৩৯ এর দিকেই আঙ্গুল তোলা হয়েছিল সরাসরি। বিভিন্ন রকমের নিষিদ্ধ অস্ত্র কেনাবেচা এবং সুইস ব্যাংকের কিছু একাউন্টের মাধ্যমে পুরো পৃথিবীতে ইন্সিওরেন্স ফ্রডের জন্য এই অরগেনাইজেসনটি দায়ী। যেখানে পৃথিবীর সব বড় বড় গোয়েন্দা সংস্থা গুলো সবসময়ই এদের কাছে নাকানি চুবানি খায় হর হামেশাই আমাদের মত সাধারণ মানুষের তাদের আস্তানায় ঢোকার কল্পনা নেহাতই হাস্যকর।
(০৭) Club 33 Disneyland:
সারাবিশ্বের মানুষের জন্য ডিজনিল্যান্ড একটি বিনোদনের জায়গা। পুরো জায়গাটিই সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত শুধুমাত্র ক্লাব ৩৩ ছাড়া। খুব খুব রেস্ট্রিক্তেড করে রাখা হয়েছে ওই জায়গাটি। স্বয়ং ওয়াল্ট ডিজনি এই ক্লাবটির প্রতিষ্ঠাতা।
খুব আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, আপনি যদি আজকে আবেদন করেন এই ক্লাবটির সদস্য হতেই আপনার প্রায় ১৪ বছর সময় লাগবে।
বলতে পারেন কেউ, কী এমন আহামরি আছে এই ক্লাবে?
সারাবিশ্বের মানুষের জন্য ডিজনিল্যান্ড একটি বিনোদনের জায়গা। পুরো জায়গাটিই সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত শুধুমাত্র ক্লাব ৩৩ ছাড়া। খুব খুব রেস্ট্রিক্তেড করে রাখা হয়েছে ওই জায়গাটি। স্বয়ং ওয়াল্ট ডিজনি এই ক্লাবটির প্রতিষ্ঠাতা।
খুব আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, আপনি যদি আজকে আবেদন করেন এই ক্লাবটির সদস্য হতেই আপনার প্রায় ১৪ বছর সময় লাগবে।
বলতে পারেন কেউ, কী এমন আহামরি আছে এই ক্লাবে?
(০৮) Moscow Metro-2:
এটা রাশিয়ায় অবস্থিত। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আন্ডারগ্রউন্ড সিটি এটি। কিন্তু এখন পর্যন্ত রাশিয়ার সরকারের তরফ থেকে কখনোই এর অস্তিত্ব স্বীকার করে নেওয়া হয়নি। স্তালিনের আমলে এই শহর তৈরি করা হয়েছিল।
একটা বিশাল অংশের মানুষ মনে করে এটা ক্রেম্লিনের সাথে FSB Headquarter এর সংযোগ স্থাপন করেছে।পুরো একটি শহর এটা অথচ মানুষ এই জায়গায় যাওয়া তো দূরে থাক, এখনো এর সম্পর্কে ভালো করে কিছু জানেও না!
লেখকঃ অভিজিত মজুমদান।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
এটা রাশিয়ায় অবস্থিত। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আন্ডারগ্রউন্ড সিটি এটি। কিন্তু এখন পর্যন্ত রাশিয়ার সরকারের তরফ থেকে কখনোই এর অস্তিত্ব স্বীকার করে নেওয়া হয়নি। স্তালিনের আমলে এই শহর তৈরি করা হয়েছিল।
একটা বিশাল অংশের মানুষ মনে করে এটা ক্রেম্লিনের সাথে FSB Headquarter এর সংযোগ স্থাপন করেছে।পুরো একটি শহর এটা অথচ মানুষ এই জায়গায় যাওয়া তো দূরে থাক, এখনো এর সম্পর্কে ভালো করে কিছু জানেও না!
লেখকঃ অভিজিত মজুমদান।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন