এই পৃথিবীতেই আছে এমন আশ্চর্য কিছু জাদুঘর, যা দেখে আপনারা চমকে যেতে পারেন কিংবা শিউরেও উঠতে পারেন। আবার আশ্চর্য হয়ে ভাবতে বসে যেতে পারো, এ কোথায় এলাম! চলো তবে আমরা শুনি পৃথিবীর কিছু অদ্ভুতুরে জাদুঘরের কথা
চকলেট যাদুঘরঃ
চকলেট খেতে কেমন লাগে বলেন তো? দারুণ তাই না! সেই চকলেটের ইতিহাসটা শোনেন এবারে। কলম্বাস যখন আমেরিকা জয় করেন তখন তিনি সঙ্গে করে এনেছিলেন কোকো দানা। জানেনতো, কোকো থেকেই তৈরি হয় মজাদার সব চকলেট। সেই সময় কলম্বাস কোকো সঙ্গে আনলে কি হবে, কেউ তো জানতো না এ দিয়ে কি করতে হয়। প্রায় ১০০ বছর পরে স্পেনের এক ব্যক্তি গরম চকলেট পান করার পদ্ধতি বের করেন। আর শক্ত চকলেট বানানোর ইতিহাসটা কিন্তু এরও ৫০ বছর পরের ঘটনা। চিন্তা করেন তো, গোটা একটা জাদুঘর যদি হয় চকলেট নিয়েই তাহলে কেমন হয়! সেই জাদুঘরে গেলে চকলেটের সব ইতিহাস জানার পাশাপাশি পৃথিবীর যাবতীয় চকোলেটের নমুনাও নিজ চোখেই দেখে আসা যায়। এরকম কিছু চকলেট জাদুঘর হলো হেইন্ডল চকলেট জাদুঘর (ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া), ক্যাডবেরি চকলেট জাদুঘর (বার্মিংহাম, যুক্তরাজ্য), হার্শেই চকলেট ওয়ার্ল্ড (হার্শেই, যুক্তরাষ্ট্র)। এছাড়াও রয়েছে জার্মানির লিন্ডট চকলেট মিউজিয়াম এবং সুইজারল্যান্ডের আল্পরোজ শকোল্যান্ড চকলেট মিউজিয়াম। চাইলে এগুলো ঘুরে আসতেও বাধা নেই। এসব মিউজিয়ামের চকোলেট গুলো শুধু মজাদারই না আপনাদের মনটাই কেড়ে নেবে। আর যদি চকলেটের ইতিহাস জানার খুব বেশী ইচ্ছা থাকে তাহলে "চকোলেট" লেখাটি পড়ে দেখুন সব জানা হয়ে যাবে।
চকলেট খেতে কেমন লাগে বলেন তো? দারুণ তাই না! সেই চকলেটের ইতিহাসটা শোনেন এবারে। কলম্বাস যখন আমেরিকা জয় করেন তখন তিনি সঙ্গে করে এনেছিলেন কোকো দানা। জানেনতো, কোকো থেকেই তৈরি হয় মজাদার সব চকলেট। সেই সময় কলম্বাস কোকো সঙ্গে আনলে কি হবে, কেউ তো জানতো না এ দিয়ে কি করতে হয়। প্রায় ১০০ বছর পরে স্পেনের এক ব্যক্তি গরম চকলেট পান করার পদ্ধতি বের করেন। আর শক্ত চকলেট বানানোর ইতিহাসটা কিন্তু এরও ৫০ বছর পরের ঘটনা। চিন্তা করেন তো, গোটা একটা জাদুঘর যদি হয় চকলেট নিয়েই তাহলে কেমন হয়! সেই জাদুঘরে গেলে চকলেটের সব ইতিহাস জানার পাশাপাশি পৃথিবীর যাবতীয় চকোলেটের নমুনাও নিজ চোখেই দেখে আসা যায়। এরকম কিছু চকলেট জাদুঘর হলো হেইন্ডল চকলেট জাদুঘর (ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া), ক্যাডবেরি চকলেট জাদুঘর (বার্মিংহাম, যুক্তরাজ্য), হার্শেই চকলেট ওয়ার্ল্ড (হার্শেই, যুক্তরাষ্ট্র)। এছাড়াও রয়েছে জার্মানির লিন্ডট চকলেট মিউজিয়াম এবং সুইজারল্যান্ডের আল্পরোজ শকোল্যান্ড চকলেট মিউজিয়াম। চাইলে এগুলো ঘুরে আসতেও বাধা নেই। এসব মিউজিয়ামের চকোলেট গুলো শুধু মজাদারই না আপনাদের মনটাই কেড়ে নেবে। আর যদি চকলেটের ইতিহাস জানার খুব বেশী ইচ্ছা থাকে তাহলে "চকোলেট" লেখাটি পড়ে দেখুন সব জানা হয়ে যাবে।
চুলের জাদুঘরঃ
আপনারা তো চুল বড় হলে ফেলেই দেন। কিন্তু এই ফেলে দেওয়া চুল নিয়েও কিন্তু জাদুঘর তৈরি হয়েছে। দ্যা হেয়ার মিউজিয়াম নামের এই জাদুঘরটি তুরস্কের অ্যাভোনসে অবস্থিত। ১৯৭৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত এই জাদুঘরে বিভিন্ন ধরনের চুল সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। তুরস্কের পটার গালিপ করুকচু নামের এক ব্যক্তি মেয়েদের বিচিত্র চুল সংগ্রহ করার মাধ্যমে এই জাদুঘরটি চালু করেন। এখানে মোট ১৬ হাজার চুলের গুচ্ছ রাখা আছে। এই জাদুঘরের দেয়ালে ঝুলছে অসংখ্য চুল। এসব চুল সংগ্রহ করে তাদের নামধামও রেখে দেয় কর্তৃপক্ষ। প্রতিবছর ১০ জনকে ডেকে এখানে থাকারও সুযোগ দেয় তারা। আপনাদের মধ্যে যাদের আকর্ষনীয় চুল আছে তারা আশা করতেই পারেন, আপনার চুলও হয়তো এই জাদুঘরে ঠাঁই পেতে পারে।
আপনারা তো চুল বড় হলে ফেলেই দেন। কিন্তু এই ফেলে দেওয়া চুল নিয়েও কিন্তু জাদুঘর তৈরি হয়েছে। দ্যা হেয়ার মিউজিয়াম নামের এই জাদুঘরটি তুরস্কের অ্যাভোনসে অবস্থিত। ১৯৭৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত এই জাদুঘরে বিভিন্ন ধরনের চুল সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। তুরস্কের পটার গালিপ করুকচু নামের এক ব্যক্তি মেয়েদের বিচিত্র চুল সংগ্রহ করার মাধ্যমে এই জাদুঘরটি চালু করেন। এখানে মোট ১৬ হাজার চুলের গুচ্ছ রাখা আছে। এই জাদুঘরের দেয়ালে ঝুলছে অসংখ্য চুল। এসব চুল সংগ্রহ করে তাদের নামধামও রেখে দেয় কর্তৃপক্ষ। প্রতিবছর ১০ জনকে ডেকে এখানে থাকারও সুযোগ দেয় তারা। আপনাদের মধ্যে যাদের আকর্ষনীয় চুল আছে তারা আশা করতেই পারেন, আপনার চুলও হয়তো এই জাদুঘরে ঠাঁই পেতে পারে।
টয়লেট জাদুঘরঃ
নাম দেখেই বুঝতে পেরেছেন নিশ্চয়ই এটি আসলে টয়লেটের জাদুঘর। এই জাদুঘরটি ভারতে অবস্থিত, নাম সুলভ ইন্টারন্যাশনাল টয়লেট মিউজিয়াম। এখানে পৃথিবীর যাবতীয় টয়লেটের সংগ্রহ রয়েছে। কমোড থেকে শুরু করে কতো রকম টয়লেট যে হতে পারে তা এই মিউজিয়ামে না গেলে বোঝা যাবে না।
নাম দেখেই বুঝতে পেরেছেন নিশ্চয়ই এটি আসলে টয়লেটের জাদুঘর। এই জাদুঘরটি ভারতে অবস্থিত, নাম সুলভ ইন্টারন্যাশনাল টয়লেট মিউজিয়াম। এখানে পৃথিবীর যাবতীয় টয়লেটের সংগ্রহ রয়েছে। কমোড থেকে শুরু করে কতো রকম টয়লেট যে হতে পারে তা এই মিউজিয়ামে না গেলে বোঝা যাবে না।
বাজে ছবির জাদুঘরঃ
বোস্টনের এই জাদুঘরটি হলো যতো বাজে ছবির আখড়া। অর্থাৎ এই জাদুঘরে স্থান পাবার একমাত্র যোগ্যতা হলো ছবিটি খারাপ হতে হবে। আঁকা যতো খারাপ হবে ততই এই জাদুঘরে ঢোকা সহজ হবে। যেমন ধরেন মাথার সঙ্গে লাগিয়ে দিয়েছেন হাত, কিংবা পা আঁকতে চেয়ে কি এঁকেছেন ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। এইরকম কাকের ঠ্যাং বকের ঠ্যাং জাতীয় বিখ্যাত খারাপ ছবিগুলোই এই জাদুঘরে সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। চিন্তুা করে দেখেন খারাপ ছবি এঁকেও অনেকেই বিখ্যাত হয়ে গেছেন। আরো মজার বিষয় হলো, এই সব ছবিগুলোই হয় কারও দান করা নাহলে ময়লা আবর্জনার মধ্য থেকে নাকি কুড়িয়ে আনা। এবার চিন্তা করেন, আপনি যতো খারাপ শিল্পীই হন না কেনো তবুও আপনার আঁকা ছবি এই জাদুঘরে ঠাঁই পেতে পারে।
বোস্টনের এই জাদুঘরটি হলো যতো বাজে ছবির আখড়া। অর্থাৎ এই জাদুঘরে স্থান পাবার একমাত্র যোগ্যতা হলো ছবিটি খারাপ হতে হবে। আঁকা যতো খারাপ হবে ততই এই জাদুঘরে ঢোকা সহজ হবে। যেমন ধরেন মাথার সঙ্গে লাগিয়ে দিয়েছেন হাত, কিংবা পা আঁকতে চেয়ে কি এঁকেছেন ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। এইরকম কাকের ঠ্যাং বকের ঠ্যাং জাতীয় বিখ্যাত খারাপ ছবিগুলোই এই জাদুঘরে সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। চিন্তুা করে দেখেন খারাপ ছবি এঁকেও অনেকেই বিখ্যাত হয়ে গেছেন। আরো মজার বিষয় হলো, এই সব ছবিগুলোই হয় কারও দান করা নাহলে ময়লা আবর্জনার মধ্য থেকে নাকি কুড়িয়ে আনা। এবার চিন্তা করেন, আপনি যতো খারাপ শিল্পীই হন না কেনো তবুও আপনার আঁকা ছবি এই জাদুঘরে ঠাঁই পেতে পারে।
তেলাপোকার জাদুঘরঃ
তেলাপোকাদেরও কিন্তু জাদুঘর আছে। বিশ্বাস হচ্ছে না? এই জাদুঘর আছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে। এখানকার একজন, মাইকেল বাউডিন তেলাপোকার জন্য ভালোবাসা থেকে এই জাদুঘর বানিয়েছেন। এর নাম ‘ককরোচ হল অব ফেম মিউজিয়াম’। এই জাদুঘরে তিনি বেশ কিছু তোলাপোকাকে নাকি পোষা প্রাণীর মতো করে পালন করেন। তার এই পোষা তেলাপোকা থেকে তেলাপোকা মারা গেলে দ্রুত তিনি আরও কিছু সংগ্রহ করে জাদুঘর ভরপুর রাখেন।
তেলাপোকাদেরও কিন্তু জাদুঘর আছে। বিশ্বাস হচ্ছে না? এই জাদুঘর আছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে। এখানকার একজন, মাইকেল বাউডিন তেলাপোকার জন্য ভালোবাসা থেকে এই জাদুঘর বানিয়েছেন। এর নাম ‘ককরোচ হল অব ফেম মিউজিয়াম’। এই জাদুঘরে তিনি বেশ কিছু তোলাপোকাকে নাকি পোষা প্রাণীর মতো করে পালন করেন। তার এই পোষা তেলাপোকা থেকে তেলাপোকা মারা গেলে দ্রুত তিনি আরও কিছু সংগ্রহ করে জাদুঘর ভরপুর রাখেন।
পানির নীচের জাদুঘরঃ
শুধু কি পানির উপরে! পানির নিচেও কিন্তু জাদুঘর আছে। এই জাদুঘরের সংখ্যা কম না হলেও সবচে বড় জাদুঘরটি রয়েছে মেক্সিকোতে। এই জাদুঘরে ৪০০ ভাস্কর্য রয়েছে। এখানে যাবার জন্য অবশ্যই আপনাকে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে যেতে পারলে যে আপনার জন্য বিশেষ কিছু অপেক্ষা করছে এ নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না।
শুধু কি পানির উপরে! পানির নিচেও কিন্তু জাদুঘর আছে। এই জাদুঘরের সংখ্যা কম না হলেও সবচে বড় জাদুঘরটি রয়েছে মেক্সিকোতে। এই জাদুঘরে ৪০০ ভাস্কর্য রয়েছে। এখানে যাবার জন্য অবশ্যই আপনাকে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে যেতে পারলে যে আপনার জন্য বিশেষ কিছু অপেক্ষা করছে এ নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না।
ব্রিটিশ লনমোয়ার মিউজিয়াম, ইংল্যান্ডঃ
বাড়ির সামনের লনে ঘাস বড় হলে সেটাকে কি দিয়ে ছাটে বলেন তো! হ্যা, লন মোয়ার। আর এই লন মোয়ার নিয়েই গড়ে উঠেছে আস্ত একটা জাদুঘর। কোথায়? এই জাদুঘরটি ইংল্যান্ডে। এখানে যেমন প্রিন্স চার্লসের লনমোয়ার রয়েছে তেমনি রয়েছে আধুনিক কালের সৌরশক্তি চালিত রোবট লনমোয়ার।
লেখকঃ বাবু
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
বাড়ির সামনের লনে ঘাস বড় হলে সেটাকে কি দিয়ে ছাটে বলেন তো! হ্যা, লন মোয়ার। আর এই লন মোয়ার নিয়েই গড়ে উঠেছে আস্ত একটা জাদুঘর। কোথায়? এই জাদুঘরটি ইংল্যান্ডে। এখানে যেমন প্রিন্স চার্লসের লনমোয়ার রয়েছে তেমনি রয়েছে আধুনিক কালের সৌরশক্তি চালিত রোবট লনমোয়ার।
লেখকঃ বাবু
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন