বাংলাদেশের সর্বপ্রাচীন জাদুঘর ।। The Oldest Museum In Bangladesh

নাসিরুদ্দিন নসরত শাহের সময়কার (১৫২৪) পাথরে খোদাই আরবি লেখা
১৯১০ সালে ইতিহাস ও ঐতিহ্যানুরাগী তিন কৃতবিদ্য বাঙালির উদ্যোগে গড়া বরেন্দ্র জাদুঘরের শতবর্ষ পূর্ণ হলো। ১৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে এই জাদুঘরের দুষ্প্রাপ্য পুরাকীর্তির সংগ্রহ দেশের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত প্রাচীন বরেন্দ্রভূমি, ভূতত্ত্বের বিবেচনায় উপমহাদেশের প্রাচীনতম ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত। ইতিহাসে প্রমাণ মিলে বিলম্বে হলেও এই অঞ্চলকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল আর্যদের প্রাচীনতম উপনিবেশ। মুসলমান শাসকেরা বঙ্গের এই অঞ্চলকে দেখেছিলেন সর্বপ্রথম। বলা চলে, স্মরণাতীতকাল থেকে। প্রায় দেড় হাজার বছর নিরবচ্ছিন্নভাবে রাজনীতি আর সংস্কৃতির কেন্দ্রস্থল ছিল এই বরেন্দ্রভূমি।

hybridknowledge.info hybridknowledge.info

দুষ্প্রাপ্য সব পুরাকীর্তির সংগ্রহে সাজানো বরেন্দ্র জাদুঘরের একটি কক্ষ
বরেন্দ্র অঞ্চলের পুরাকীর্তি সংগ্রহ ও সংরক্ষণের লক্ষ্যে ১৯১০ সালে ইতিহাস ও ঐতিহ্যানুরাগী তিন কৃতবিদ্য বাঙালি দিঘাপতিয়ার রাজকুমার শরৎকুমার রায়, অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় এবং স্কুলশিক্ষক রমাপ্রসাদ চন্দের উদ্যোগে বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতি গঠিত হয়। পরে এই অনুসন্ধান সমিতির উদ্যোগেই প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের প্রাচীনতম সংগ্রহশালা—বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর। অনুসন্ধান সমিতি গঠিত হওয়ার পেছনে ছোট্ট একটি পটভূমি আছে।

বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতির প্রতিষ্ঠাতা কুমার শরৎকুমার রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখা শেষ করে ইউরোপ ও আফ্রিকা ভ্রমণে যান। তিনি বিশেষ করে পম্পেই, থিব্স, কায়রো প্রভৃতি নগরের ধ্বংসাবশেষ প্রত্যক্ষ করে নিজের দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে কৌতূহলী হন। দেশে ফিরে এসেই তিনি তালপাতা আর তুলট কাগজে লেখা প্রাচীন পুঁথি সংগ্রহের কাজ শুরু করেন।

অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়
সদস্যপদ গ্রহণ করেন বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের। এই পরিষদে তখন তাঁর গৃহশিক্ষক রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী ছাড়াও যুক্ত ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর, দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর, নবীন চন্দ্র সেন, বিনয়কৃষ্ণদেব বাহাদুর, সুরেশচন্দ্র সমাজপতি প্রমুখ। রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীর উদ্যোগে ও সভাপতিত্বে মালদহের কাশিমবাজারে ১৩১৪ বঙ্গাব্দের ১৮ কার্তিক তারিখে মহারাজা মনীন্দ্রচন্দ্র নন্দীর রাজবাড়িতে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম বঙ্গীয় সাহিত্য সম্মিলন। প্রিয় শিক্ষকের আহ্বানে রাজশাহী থেকে গিয়ে ওই সম্মিলনীতে অংশ নেন শরৎকুমার রায়। সঙ্গে নেন অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় এবং রমাপ্রসাদ চন্দকে। শরৎকুমারের প্রস্তাবে রাজশাহীতে সংগঠনের দ্বিতীয় সম্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। বিহারের ভাগলপুরে অনুষ্ঠিত সম্মিলনীতে গিয়ে শরৎকুমার ঐতিহাসিক নির্দেশন দেখে অভিভূত হন। অজান্তেই তাঁর মনে এক মহাপরিকল্পনার জন্ম নেয়। কুমারের পরিকল্পনার কথা শুনে অপর দুই সহযাত্রীও অনুপ্রাণিত হন। তাঁরা চিন্তা শুরু করেন কীভাবে পরিকল্পনাটির বাস্তব রূপ দেওয়া যায়? এঁদের উপলব্ধিতে আসে একটি জাতি যুগের পর যুগ সভ্যতায় ধর্মে-কর্মে, সমাজনীতি, রাজনীতি, অর্থনীতি প্রভৃতিতে কতটা উৎকর্ষ লাভ করেছিল এবং সেই জাতির বিপর্যয়ই বা কীভাবে সংঘটিত হয়েছে, অবিসংবাদিতরূপে একমাত্র ইতিহাসই পারে তার পূর্ণাঙ্গ পরিচয় প্রদান করতে। ইতিহাসের সেই উৎসমুখের অন্বেষায় তাঁরা রাজশাহী ফিরে এসে এক বৈঠকে মিলিত হন এবং একটি সমিতি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে মতৈক্যে পৌঁছেন।

শরত্কুমার রায়
কিছুদিন পর তাঁরা তিনজন বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের রামকমল সিংহ এবং কলকাতা জাদুঘরের অধীক্ষক রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে একটি ক্ষুদ্র অনুসন্ধানী দল গঠন করেন। অনুসন্ধানী দল রাজশাহী শহরের অদূরে দেওপাড়া, পালপাড়া, চব্বিশনগর, মান্ডৈল, কুমারপুর, বিজয়নগর, খেতুর, জগপুর, মালঞ্চ, প্রভৃতি জায়গা ঘুরে ৩২টি দুষ্প্রাপ্য পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন সংগ্রহ করে। শরৎকুমারের অনুসন্ধানী দল প্রাপ্ত পুরাকীর্তিসহ রাজশাহী ফিরলে বিরাট সমস্যা দেখা দেয় প্রত্নবস্তুগুলোর সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিয়ে। এই অবস্থায় অনুসন্ধানী দলের অন্যতম সদস্য রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় প্রস্তাব করেন, ওই সংগ্রহ থেকে উল্লেখযোগ্য নিদর্শন প্রদর্শনের জন্য তিনি কলকাতা জাদুঘরে নিয়ে যাবেন। সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের রামকমল সিংহও কিছু নিদর্শন পরিষদের জাদুঘরে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। কিন্তু রমাপ্রসাদ চন্দ প্রস্তাব দুটির ঘোর প্রতিবাদ করেন। রমাপ্রসাদের এই প্রতিবাদের সমর্থনে শরৎকুমারের কাছে জোরালো দাবি উত্থাপন করেন রাজশাহীর প্রবীণ জননেতা ভুবনমোহন মৈত্র, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের রাজশাহী শাখার অবৈতনিক সম্পাদক শশধর রায় প্রমুখ। শরৎকুমার রমাপ্রসাদ, অক্ষয়কুমার ও অন্যদের সঙ্গে কথা বলে স্থির করেন, সংগৃহীত পুরাকীর্তি কোথাও নিতে দেওয়া হবে না। এগুলো দিয়ে রাজশাহীতেই পুরাবস্তুর একটি অনুসন্ধান সংস্থা প্রতিষ্ঠা করা হবে।

বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর ভবন
সিদ্ধান্ত হলেও শরৎকুমার চিন্তা করলেন সংগৃহীত সামান্য এই ক-খানি পুরাকীর্তি দিয়ে এবং প্রশিক্ষণবিহীন একটি ক্ষুদ্র অনুসন্ধানী দলের দ্বারা অভিযান চালিয়ে কী করে একটি অভিজাত প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা সম্ভব! শরৎকুমারের মনে পড়ে ডা. বুকানন হ্যামিলটন, জেনারেল কানিংহাম, ওয়েস্টমেকট, রাভেনস, উইলিয়ম হান্টার, অধ্যাপক ব্লখমান প্রমুখের কথা, যাঁরা অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে এই অনুসন্ধানকাজে ব্রতী হয়েছিলেন; কিন্তু সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা এবং অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানভিত্তিক অভিজ্ঞতা না থাকায় তাঁরা সফল হতে পারেননি। এই অবস্থায় বর্তমান অভিযাত্রী দল যদি পুরাকীর্তির সংগ্রহ ও সংরক্ষণের জন্য একটি সংস্থা গড়ে তুলতে চায়, তাহলে তাদের সর্বাগ্রে প্রণয়ন করতে হবে একটি মহাপরিকল্পনা ও দক্ষ অনুসন্ধানী দল। এই উদ্দেশ্যেই তারা অগ্রসর হতে শুরু করে। ধারাবাহিক অনুসন্ধানের জন্য তারা প্রথম প্রত্নভূমি নির্বাচন করে বগুড়ার (বর্তমানে জয়পুরহাট জেলা) খঞ্জনপুর গ্রামকে। এ সময় খঞ্জনপুর খাসমহলের দায়িত্বে ছিলেন রায়সাহেব রাজেন্দ্রলাল আচার্য। রাজেন্দ্রলালের অতিথি হয়ে অভিযাত্রী দল পাহাড়পুর, ক্ষেতলাল, শিবপুর, মঙ্গলবাড়ী প্রভৃতি এলাকায় প্রত্নতাত্ত্বিক সফর করে। খঞ্জনপুর শিবিরেই ‘বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতি’ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা গৃহীত হয়। ১৯১০ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে রাজশাহীতে আনুষ্ঠানিকভাবে সমিতি গঠিত হয়। সমিতির সভাপতি হন শরৎকুমার নিজে এবং পরিচালক ও সম্পাদক মনোনীত হন যথাক্রমে অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় ও রমাপ্রসাদ চন্দ। ‘বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতি’ ১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দে রেজিস্ট্রিভুক্ত হয়। সমিতির সব আর্থিক দায়ভার শরৎকুমারকেই বহন করতে হয়েছিল।

প্রাচীন রৌপ্যমুদ্রা
অনুসন্ধান সমিতির সংগৃহীত পুরাকীর্তি প্রথমদিকে রাখা হয় রাজশাহী শহরের মিঞাপাড়ার সাধারণ পুস্তকালয়ে। উদ্যোগ নেওয়া হয় জাদুঘরের জন্য স্বতন্ত্র ভবন নির্মাণের। ১৯১৬ সালে ওই ভবনের ভিত্তি স্থাপন করেন বাংলার গভর্নর লর্ড কারমাইকেল, ভবন নির্মাণ শেষে দ্বারোদ্ঘাটন করেন আরেক গভর্নর লর্ড রোনাল্ডসে। বস্তুত দিঘাপতিয়ার রাজপরিবারের মুক্তহস্তদানে গৌড়ের প্রাচীন স্থাপত্যশৈলীর অনুসরণে নির্মিত হয় জাদুঘর ভবন।

১৯৬৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হিসেবে জাদুঘরটি আত্তীকৃত হয়। তার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানেই জাদুঘরটি পরিচালিত হচ্ছে।

দেওপাড়ায় প্রাপ্ত গঙ্গামূর্তি
উল্লেখযোগ্য সংগ্রহঃ
বৌদ্ধ-জৈন-শাক্ত-শৈবব-সৌর-শৈব-গাণপত্য শাখার রয়েছে পাথর ও ধাতুর তৈরি মূর্তি; মৃন্ময় মূর্তি-মৃৎভান্ড; শিলালিপি-তাম্রশাসন; মুদ্রা; তালপাতা-ভূর্যপত্র-তুলট কাগজে লেখা ও আঁকা হস্তলিখিত পুঁথি। জাদুঘরের পুরাকীর্তির সংগ্রহ ষোল হাজার পেরিয়ে গেছে অনেক আগেই। বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরের আরেক গৌরব এর পাণ্ডিত্যপূর্ণ প্রকাশনা। এর মধ্যে বিশেষভাবে নামোল্লেখ করা যায় রমাপ্রসাদ চন্দের গৌড়রাজমালা, হিন্দু আর্যজাতি, ইন্দো এরিয়ান রেসেস; অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়র গৌড়লেখমালা; লক্ষ্মণ সেনের আদেশ লিখিত পাণিনির টীকা পুস্তক ভাষাবৃত্তি, তারাতন্ত্রম, ধাতুপ্রদীপ, অলংকার কৌস্তব, সন্ধ্যাকর নন্দীর রামচরিতম, ননীগোপাল মজুমদারের ইনসক্রিপশন অব বেঙ্গল (ভলুম-৩), মৌলভী শামসুদ্দীন আহমদের ইনসক্রিপশন অব বেঙ্গল (ভলুম-৪), রাধাগোবিন্দ বসাকের ক্যাটালগ অব আরকোলজিক্যাল রেলিক্স, মুখলেসুর রহমানের স্কাল্পচারস ইন দ্য বরেন্দ্র রিসার্চ মিউজিয়ম: এ ডেসক্রিপটিভ ক্যাটালগ ইত্যাদি। দেশের প্রাচীনতম এই জাদুঘরের বিশ্বখ্যাতি বিশাল ভাস্কর্য সংগ্রহের জন্য। বলা হয়, পূর্বভারতে যে দুটি স্থানে পূর্বী ঘরানার ভাস্কর্য গড়ে উঠেছিল তার একটি ছিল মগধে আরেকটি ছিল এই বরেন্দ্রে। শিল্পশাস্ত্রের অনুশাসন মেনে নির্মিত বরেন্দ্রের ভাস্কর্যে রয়েছে কমনীয়তা, সজীবতা এবং প্রগাঢ় সংবেদনশীলতা। ভাস্কর্যগুলোর গঠনকৌশল, ভাবকল্পনা, ডৌল, মণ্ডল এবং কাঠামোবিন্যাসে অসাধারণ কিছু বৈশিষ্ট্য খুঁজে পেয়েছেন বিশ্বখ্যাত শিল্প-ইতিহাসবেত্তারা। বাংলাদেশে তো ভাস্কর্য তৈরির পাথর ছিল না। সেকালে শিল্প তৈরির জন্য পাথর আনা হয়েছে পার্শ্ববর্তী বিহারের ছোটনাগপুর ও রাজমহল পাহাড় থেকে। বরেন্দ্রে নির্মিত এই শিল্পকলা সম্পর্কে তথ্যনিষ্ঠ বর্ণনা দিয়েছেন লামা তারনাথ তাঁর তিব্বতি ভাষায় লেখা বইয়ে। তিনি লিখেছেন, বরেন্দ্রের শিল্পীরা শিল্পগ্রামে বসে পাথর আর ধাতু দিয়ে মূর্তি বানিয়েছেন, কেউ কেউ তালপাতায় চিত্রশিল্প এঁকেছেন। সেসব শিল্পের সিংহভাগই রয়েছে এই বরেন্দ্র জাদুঘরের সংগ্রহে—আর এ জন্যই জাদুঘরটির এত খ্যাতি।

দিনাজপুরে প্রাপ্ত পাথরের মূর্তি: জিন ঋষভনাথ
বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর পরিদর্শন করেছেন বিশ্বের বহু খ্যাতিমান ব্যক্তি। ১৯১৫ সালের ২৬ জানুয়ারি এই জাদুঘর দেখে মন্তব্য করেছিলেন বিশ্বখ্যাত শিল্পবেত্তা পারসি ব্রাউন। তিনি মন্তব্য বইয়ে লিখেছেন, এই জাদুঘর বঙ্গীয় শিল্পকলার সংগ্রহে সারা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

লেখকঃ ড. সাইফুদ্দীন চৌধুরী। (অধ্যাপক, ফোকলোর বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়)
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
hybridknowledge.info

২টি মন্তব্য:

জানার কোন অন্ত নাই, জানার ইচ্ছা বৃথা তাই, ভেবে যদি জানার ইচ্ছাকে দমন করে রাখা হয় তবে সে জীবনের কোন অর্থ নাই। কিন্তু সব জানতে হবে এমন কোন কথা নাই, তবে জানার ইচ্ছা থাকা চাই। আমাদের এই জানা জানির ইচ্ছকে সূত্র করে, আমাদের ছোট্ট একটি প্রয়াস ❝আমি জানতে চাই❞। আমাদের জানতে চাওয়ার ইচ্ছা পুরনের লক্ষে কখনো জেনেছি মহাকাশ নিয়ে, কখনো জেনেছি সমুদ্র নিয়ে, কখনো ডুব দিয়েছি কৌতুক এর মাঝে, আবার ভয়ে কেঁপেছি ভুতের গল্প পড়ে, কখনোবা শিউরে উঠেছি কিছু মানুষের কার্যকলাপ জেনে। কখনো জেনেছি নতুন আবিষ্কারের কথা, আবার জেনেছি আদি ঐতিহ্যের কথা, এত সব কিছু করেছি শুধু জানতে চাওয়ার ইচ্ছা থেকে।