যান্ত্রিক পেঙ্গুইন ।। Robot Penguin

সাধারন ইন্ডাস্ট্রিয়াল রোবটগুলো মূলত কোন গাড়ী ক্রেন ইত্যাদী ই হয়ে থাকে। তবে রোবটের বিশ্বয় যুগ শুরু হয় যখন রোবটগুলোকে প্রানীদের মত গড়ন দেয়া হয়। শুরু হয় সাধারনত মানবাকৃতির রোবট দিয়েই। প্রথমদিকে সাধারণ কিছু কাজেই সন্তুস্ট ছিল সেই রোবটগুলো। ধীরে ধীরে যখন এতে আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স কে সংযোজন করা হল তখন থেকে যেন প্রানের ছোঁয়া পেল এই রোবটগুলো। আজকাল ট্রান্সফরমার্স মুভি দেখলে আন্দাজ করা যায় আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স কি জিনিস! রোবোটে যেন আত্বার সংযোজন করা হয়েছে।

এরপর আসা শুরু করে বিভিন্ন প্রানীর শেপে রোবট। চিতা, কুকুর, চিল ইত্যাদি। ইউনিভার্সিটির “আঃ রব” স্যারের ম্যাথ ক্লাস করার সৌভাগ্য/দূর্ভাগ্য হয়েছে। তার কাছ থেকে একটা ইনফরমেশান জেনেছিলাম, তিনি ইউএস এর একটি রিসার্চ টিমের সাথে কাজ করেছেন। যাদের প্রেজক্ট ছিল পানীর নিচে সামূদ্রিক চিংড়ির চলাকে কাজে লাগিয়ে একটি অভিনব সাবমেরিন তৈরি করা। ভাবতাম চিংড়িও বাদ যায় নাই!!

তবে কিছুদিন আগে সমূদ্রের আরেকটি পরিচিত প্রানীর আদলে তৈরি করা হয়েছে আরেকটি আধুনিক রোবট। প্রানীটি আমাদের সবার পরিচিত পেঙ্গুইন এবং রোবটটির নাম রোবো পেঙ্গুইন। আজ টিউনার বন্ধুদের সেই রোবো পেঙ্গুইন এবং তারই কিছু ফিচারের সাথে পরিচয় করিয়ে দেব,


hybridknowledge.info hybridknowledge.info

রোবো পেঙ্গুইনঃ
ঠিক আমাদের পরিচিত পেঙ্গুইনের প্রমান সাইজেরই একটি বট, যা চলবে পানীর নিচে এবং সম্পূর্ন সেল্ফ নেভিগেশান সিস্টেমের মাধ্যমে। এই এ্যাকুয়া পেঙ্গুইনের প্রায় অনেকাংশই কন্ট্রোল করা হবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের মাধ্যমে।

স্টেট আর্টঃ


সাধারণ পেঙ্গুইনেরই ন্যাচারাল বডি আর্কিটাইপ থেকেই ডেভেলাপ করা হয়েছে এর হাইড্রোডিনামিক বডি এবং উইং প্রোপালশান সিস্টেম। এর মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে একটি হাই পাওয়ারফুল ইলেকট্রিক মোটর যার রোটেশনাল স্পিডই পেঙ্গুইনের পাখার ফ্লাপিং রেটকে কন্ট্রেল করে থাকে!

ইনোভেশানঃ


এর টর্সো (গ্রীবা) টা এমনভাবে ফিচার করা যা যে কোন দিকে মুভ করতে পারে এবং একে কন্ট্রোল করার পাল্স দেওয়া হয় এর লেজ থেকে।

ডায়নামিক গ্রুপিং


অটোনোমাস এই বায়োনিক পেঙ্গুইনগুলো আন্ডার ওয়াটার অপারেশানের সময় সাধারণত দলবদ্ধভাবে অপারেশানে নিয়োজিত থাকবে। তবে এরা তো আর বাস্তব পেঙ্গুইন নয় যে একে অপরের সাথে ধাক্কা লাগলে সমস্যা হবে না। একটা ক্ল্যাশ পুরো অপারেশান চৌপাট করে দিতে পারে। তাই ব্যবহার করা হয়েছে থ্রিডি সোনার সিস্টেম। যার সাহায্যে এরা গ্রুপের একে অপরকে চিনবে, যোগাযোগ রক্ষা এবং নির্দিস্টি দূরত্ব বজায় রেখে দেদারসে অপারেশান চালিয়ে যাবে!!

ফ্লিপার্সঃ


এর পশ্চাঃদেশে আছে ফ্লেক্সিবল longitudinal সিস্টেম এবং মেকানিক্যাল ড্র লাইন যা এই বটের স্টিয়ারিং এর কাজটি করে থাকবে।


উপরের ছবিতে এই রোবোটের রিসার্চ টিমের একজন মেম্বারকে দেখা যাচ্ছে। তাদের ইচ্ছা হল তারা এই প্রজেক্টকে পরবর্তিতে অটোনোমাস প্রোডাকশান সিস্টেমের আওতায় নিয়ে আসতে চায়। আবার রিসার্চ টিমের অনেকের মতে এটাকে আন্ডার ওয়াটার স্পাইয়ের কাজেও লাগানো হতে পারে।


এগুলো দেখে আসলে আমার হাত নিশপিশ করে। আমরাও হয়ত পারতাম, কিন্তু আমাদের রিসোর্স কে দেবে??

লেখকঃ দুঃসাহসী টিনটিন।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
hybridknowledge.info

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

জানার কোন অন্ত নাই, জানার ইচ্ছা বৃথা তাই, ভেবে যদি জানার ইচ্ছাকে দমন করে রাখা হয় তবে সে জীবনের কোন অর্থ নাই। কিন্তু সব জানতে হবে এমন কোন কথা নাই, তবে জানার ইচ্ছা থাকা চাই। আমাদের এই জানা জানির ইচ্ছকে সূত্র করে, আমাদের ছোট্ট একটি প্রয়াস ❝আমি জানতে চাই❞। আমাদের জানতে চাওয়ার ইচ্ছা পুরনের লক্ষে কখনো জেনেছি মহাকাশ নিয়ে, কখনো জেনেছি সমুদ্র নিয়ে, কখনো ডুব দিয়েছি কৌতুক এর মাঝে, আবার ভয়ে কেঁপেছি ভুতের গল্প পড়ে, কখনোবা শিউরে উঠেছি কিছু মানুষের কার্যকলাপ জেনে। কখনো জেনেছি নতুন আবিষ্কারের কথা, আবার জেনেছি আদি ঐতিহ্যের কথা, এত সব কিছু করেছি শুধু জানতে চাওয়ার ইচ্ছা থেকে।