জাদুঘরে যেতে তো আপনারা নিশ্চই পছন্দ করেন। জাদুঘরে গিয়ে একটা একটা করে জিনিস দেখতে দেখতে চিন্তা করতেই তো মজা লাগে। ভেবে দেখেন এখানকার কতো জিনিস আমাদের পূর্বপুরুষরা ব্যবহার করতেন। আর সেখানে কতো সুন্দর সুন্দর ইতিহাস জানা যায়। শুধু তাই নয় কোন কিছুর সত্যি ইতিহাস জানতে হলে তো জাদুঘর সবচাইতে ভালো জায়গা। আমাদের দেশেই কিন্তু অনেক গুলো জাদুঘর আছে। আজকে চলেন আমরা বাংলাদেশের কিছু জাদুঘর সম্পর্কে জেনে আসি।
জাতীয় জাদুঘরঃ
ঢাকা শহরের শাহবাগে অবস্থিত এই জাদুঘরটাই আমাদের দেশের জাতীয় ও প্রধান জাদুঘর। এই জাদুঘরটি স্থাপন করা হয়েছিলো ১৯১৩ সালে। অবশ্য এটি তৈরির প্রক্রিয়া আরো আগেই শুরু হয়েছিলো। ১৯০৯ সালে শিলং থেকে ঢাকায় কিছু পুরোনো আমলের ঐতিহাসিক মুদ্রা আনা হয়। কিন্তু আনার পর দেখা গেলো ঢাকায় তো কোনো জাদুঘরই নেই। মুদ্রা গুলো রাখা হবে কোথায়? তখনই চিন্তা করা হলো ঢাকায় একটা জাদুঘর স্থাপন করার কথা। বিখ্যাত বৃটিশ মুদ্রাগবেষক স্টেপলটন তখন ঢাকায়। তিনি গভর্নর লেন্সলেট হায়ারকে বললেন ঢাকায় তো একটা জাদুঘর স্থাপন করতে হয়। আর তখনই এই জাদুঘরটি স্থাপন করা হলো। তবে কিন্তু তখন তখনই সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হলো না। সেটা করা হলো ১৯১৪ সালে। তখন জাদুঘরটিতে প্রদর্শনীর সামগ্রী ছিলো ৩৭৯ টি। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই সময় কিন্তু জাদুঘরটি শাহবাগে ছিলো না। শুধু তাই নয়, নামটিও জাতীয় জাদুঘর ছিলো না। জাদুঘরটি ছিলো নিমতলীতে, এখন যেখানে রয়েছে এশিয়াটিক সোসাইটি। আর এর নাম ছিলো ঢাকা জাদুঘর। স্বাধীনতার পরে ১৯৮৩ সালে জাদুঘরটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হলো জাতীয় জাদুঘর। আর নিমতলী থেকে সরিয়ে এটাকে আনা হলো এখন যেখানে আছে, শাহবাগে। ৪ তলা জাদুঘরটিতে মোট গ্যালারি আছে ৪৩টি। বুঝতেই পারছেন, সব গুলো গ্যালারির নাম বলতে গেলে আপনাদের বিরক্তি লেগে যাবে। আর কি নেই জাদুঘরটিতে! বাংলাদেশের ফুল, ফল, পশু-পাখিদের প্রতিকৃতি, পুরানো দিনের আসবাবপত্র, অস্ত্র-শস্ত্র, হাতিয়ার, নকশী কাঁথা, আদিবাসীদের পরিচিতি, ভাস্কর্য, মূর্তি, মুদ্রা, আরো কতো কী! তবে এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় জিনিস কি কি জানেন? মসলিন কাপড়ের কথা তো আপনারা জানেনই। জাদুঘরে কিন্তু মসলিন শাড়িও আছে কয়েকটা। প্রায় ২৫ লাখ বছর পুরোনো গাছের ফসিলও রয়েছে। আছে ১০-১১ শতকের একটা কালো পাথরের দরজা, শের শাহর আমলের মুদ্রা ও টেরাকোটা। আর ১৯৪৫ সালে আমেরিকা যে জাপানে এটোম বোমা ফেলেছিলো সে কথা তো আপনারা জানেনই। সে বোমার কিছু উদ্ধারকৃত অংশও এখানে রাখা আছে।
ঢাকা শহরের শাহবাগে অবস্থিত এই জাদুঘরটাই আমাদের দেশের জাতীয় ও প্রধান জাদুঘর। এই জাদুঘরটি স্থাপন করা হয়েছিলো ১৯১৩ সালে। অবশ্য এটি তৈরির প্রক্রিয়া আরো আগেই শুরু হয়েছিলো। ১৯০৯ সালে শিলং থেকে ঢাকায় কিছু পুরোনো আমলের ঐতিহাসিক মুদ্রা আনা হয়। কিন্তু আনার পর দেখা গেলো ঢাকায় তো কোনো জাদুঘরই নেই। মুদ্রা গুলো রাখা হবে কোথায়? তখনই চিন্তা করা হলো ঢাকায় একটা জাদুঘর স্থাপন করার কথা। বিখ্যাত বৃটিশ মুদ্রাগবেষক স্টেপলটন তখন ঢাকায়। তিনি গভর্নর লেন্সলেট হায়ারকে বললেন ঢাকায় তো একটা জাদুঘর স্থাপন করতে হয়। আর তখনই এই জাদুঘরটি স্থাপন করা হলো। তবে কিন্তু তখন তখনই সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হলো না। সেটা করা হলো ১৯১৪ সালে। তখন জাদুঘরটিতে প্রদর্শনীর সামগ্রী ছিলো ৩৭৯ টি। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই সময় কিন্তু জাদুঘরটি শাহবাগে ছিলো না। শুধু তাই নয়, নামটিও জাতীয় জাদুঘর ছিলো না। জাদুঘরটি ছিলো নিমতলীতে, এখন যেখানে রয়েছে এশিয়াটিক সোসাইটি। আর এর নাম ছিলো ঢাকা জাদুঘর। স্বাধীনতার পরে ১৯৮৩ সালে জাদুঘরটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হলো জাতীয় জাদুঘর। আর নিমতলী থেকে সরিয়ে এটাকে আনা হলো এখন যেখানে আছে, শাহবাগে। ৪ তলা জাদুঘরটিতে মোট গ্যালারি আছে ৪৩টি। বুঝতেই পারছেন, সব গুলো গ্যালারির নাম বলতে গেলে আপনাদের বিরক্তি লেগে যাবে। আর কি নেই জাদুঘরটিতে! বাংলাদেশের ফুল, ফল, পশু-পাখিদের প্রতিকৃতি, পুরানো দিনের আসবাবপত্র, অস্ত্র-শস্ত্র, হাতিয়ার, নকশী কাঁথা, আদিবাসীদের পরিচিতি, ভাস্কর্য, মূর্তি, মুদ্রা, আরো কতো কী! তবে এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় জিনিস কি কি জানেন? মসলিন কাপড়ের কথা তো আপনারা জানেনই। জাদুঘরে কিন্তু মসলিন শাড়িও আছে কয়েকটা। প্রায় ২৫ লাখ বছর পুরোনো গাছের ফসিলও রয়েছে। আছে ১০-১১ শতকের একটা কালো পাথরের দরজা, শের শাহর আমলের মুদ্রা ও টেরাকোটা। আর ১৯৪৫ সালে আমেরিকা যে জাপানে এটোম বোমা ফেলেছিলো সে কথা তো আপনারা জানেনই। সে বোমার কিছু উদ্ধারকৃত অংশও এখানে রাখা আছে।
বরেন্দ্র জাদুঘরঃ
বরেন্দ্র জাদুঘর বাংলাদেশের প্রথম জাদুঘর। জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠার পেছনে রাজশাহী ও নাটোরের জমিদারদের ভূমিকা ছিলো প্রশংসনীয়। বিশেষ করে শরৎ কুমার রায় ও তার দুই সহযোগী অক্ষয় কুমার মৈত্র ও রামপ্রসাদ চন্দর কথা তো বলতেই হয়। ১৯১০ সালে রাখালদাস বন্দোপাধ্যায়কে নিয়ে তারা বাংলার বিভিন্ন জায়গা থেকে ৩২টি পুরোনো মূর্তি সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন রাজশাহীতে। রাজশাহীর মানুষ তো তাদের এ কাজে খুবই খুশি হলো। তারা বললো, এই মূর্তি রাজশাহীতেই রেখে দেয়া হোক। জমিদার শরৎ কুমার রায়েরও এ কথা খুবই মনে ধরে গেলো। তার হাত ধরে ১৯১০ সালে শুরু হলো জাদুঘরটির যাত্রা। নাম রাখা হলো বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতি। ১৯১৯ সালে শরৎ কুমারের দান করা জমিতে জাদুঘরটির নিজ ভবনও নির্মিত হলো। তাতে লাইব্রেরিও রাখা হলো। আর ১৯২৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ নওগাঁর পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের খনন কাজ শরু করলো। কিন্তু এক দফা খোঁড়াখুড়ি করেই সে কাজে ইস্তফা দিলো বিশ্ববিদ্যালয়টি। আর বাকি কাজ জাদুঘর কর্তৃপক্ষ একা একাই শেষ করলো। সেখান থেকে পাওয়া গেলো প্রায় ২৬৫টি ঐতিহাসিক জিনিসপত্র। ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ বিভাগের পর জাদুঘরটি ভীষণ বিপদে পড়লো। এবারে একে মেডিকেল স্কুলই বানিয়ে দেয়া হলো। ১৯৪৯ সাল থেকে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত জাদুঘরটির অর্ধেক ভবনকে মেডিকেল স্কুল হিসেবেই ব্যবহার করা হয়েছিলো। বলা হয়েছিলো জাদুঘরকে সরকারের হাতে ছেড়ে দিতে হবে। অবশেষে সরকারের সঙ্গে অনেক দর কষাকষির পর ১৯৬৪ সালে কর্তৃপক্ষ জাদুঘরটির দায়িত্ব ছেড়ে দেয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে। জাদুঘরটিতে আছে মোট ৭টি গ্যালারি। প্রথম গ্যালারিতে আছে পাহাড়পুর বিহার থেকে উদ্ধার করা ২৬৫টি ঐতিহাসিক সামগ্রী, যার মধ্যে আছে সংস্কৃত, আরবি ও ফার্সি ভাষায় লেখা অনেকগুলো স্ক্রিপ্ট। দ্বিতীয় গ্যালারিতে আছে হিন্দু ও বৌদ্ধদের তৈরি কাঠ ও পাথরের নানা ভাস্কর্য। তৃতীয় ও চতুর্থ গ্যালারিতে আছে বিভিন্ন দেব-দেবীর মূর্তি। পঞ্চম গ্যালারিতে আছে সব বৌদ্ধ ভাস্কর্য। ষষ্ঠ গ্যালারিতে আছে আরবি, ফার্সি, সংস্কৃত ও প্রাচীন বাংলায় বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনা লেখা পাথর আর মুসলিম শাসনামলে তৈরি পাথরের ভাস্কর্য। আর সপ্তম গ্যালারিটা একেবারেই নতুন। এই গ্যালারিতে রাজশাহীর আদিবাসী জনগোষ্ঠীর পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে।
বরেন্দ্র জাদুঘর বাংলাদেশের প্রথম জাদুঘর। জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠার পেছনে রাজশাহী ও নাটোরের জমিদারদের ভূমিকা ছিলো প্রশংসনীয়। বিশেষ করে শরৎ কুমার রায় ও তার দুই সহযোগী অক্ষয় কুমার মৈত্র ও রামপ্রসাদ চন্দর কথা তো বলতেই হয়। ১৯১০ সালে রাখালদাস বন্দোপাধ্যায়কে নিয়ে তারা বাংলার বিভিন্ন জায়গা থেকে ৩২টি পুরোনো মূর্তি সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন রাজশাহীতে। রাজশাহীর মানুষ তো তাদের এ কাজে খুবই খুশি হলো। তারা বললো, এই মূর্তি রাজশাহীতেই রেখে দেয়া হোক। জমিদার শরৎ কুমার রায়েরও এ কথা খুবই মনে ধরে গেলো। তার হাত ধরে ১৯১০ সালে শুরু হলো জাদুঘরটির যাত্রা। নাম রাখা হলো বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতি। ১৯১৯ সালে শরৎ কুমারের দান করা জমিতে জাদুঘরটির নিজ ভবনও নির্মিত হলো। তাতে লাইব্রেরিও রাখা হলো। আর ১৯২৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ নওগাঁর পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের খনন কাজ শরু করলো। কিন্তু এক দফা খোঁড়াখুড়ি করেই সে কাজে ইস্তফা দিলো বিশ্ববিদ্যালয়টি। আর বাকি কাজ জাদুঘর কর্তৃপক্ষ একা একাই শেষ করলো। সেখান থেকে পাওয়া গেলো প্রায় ২৬৫টি ঐতিহাসিক জিনিসপত্র। ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ বিভাগের পর জাদুঘরটি ভীষণ বিপদে পড়লো। এবারে একে মেডিকেল স্কুলই বানিয়ে দেয়া হলো। ১৯৪৯ সাল থেকে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত জাদুঘরটির অর্ধেক ভবনকে মেডিকেল স্কুল হিসেবেই ব্যবহার করা হয়েছিলো। বলা হয়েছিলো জাদুঘরকে সরকারের হাতে ছেড়ে দিতে হবে। অবশেষে সরকারের সঙ্গে অনেক দর কষাকষির পর ১৯৬৪ সালে কর্তৃপক্ষ জাদুঘরটির দায়িত্ব ছেড়ে দেয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে। জাদুঘরটিতে আছে মোট ৭টি গ্যালারি। প্রথম গ্যালারিতে আছে পাহাড়পুর বিহার থেকে উদ্ধার করা ২৬৫টি ঐতিহাসিক সামগ্রী, যার মধ্যে আছে সংস্কৃত, আরবি ও ফার্সি ভাষায় লেখা অনেকগুলো স্ক্রিপ্ট। দ্বিতীয় গ্যালারিতে আছে হিন্দু ও বৌদ্ধদের তৈরি কাঠ ও পাথরের নানা ভাস্কর্য। তৃতীয় ও চতুর্থ গ্যালারিতে আছে বিভিন্ন দেব-দেবীর মূর্তি। পঞ্চম গ্যালারিতে আছে সব বৌদ্ধ ভাস্কর্য। ষষ্ঠ গ্যালারিতে আছে আরবি, ফার্সি, সংস্কৃত ও প্রাচীন বাংলায় বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনা লেখা পাথর আর মুসলিম শাসনামলে তৈরি পাথরের ভাস্কর্য। আর সপ্তম গ্যালারিটা একেবারেই নতুন। এই গ্যালারিতে রাজশাহীর আদিবাসী জনগোষ্ঠীর পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরঃ
মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে আপনারা অনেক কিছুই জানেন। আর আপনাদের এ বিষয়ে আরো জানাতে ঢাকা শহরের সেগুনবাগিচায় ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আর সে সময়ের নানা দলিলপত্র, ছবি আর অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে সাজানো হয়েছে এই জাদুঘর। এই জাদুঘরটি অবশ্য সরকারি নয়। এখানে আছে মোট ৬টি গ্যালারি। প্রথম গ্যালারিতে আছে প্রাচীন বাংলার ইতিহাস, বৃটিশ শাসন ও পাকিস্তানের স্বাধীনতার কাহিনী। দ্বিতীয় গ্যালারিতে আছে পাকিস্তান আমলের কথা। ৩য় গ্যালারিতে আছে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, শরণার্থী ও অস্থায়ী সরকারের কথা। ৪র্থ গ্যালারিতে আছে মুক্তিযুদ্ধের বীরযোদ্ধাদের ব্যবহার্য জিনিসপত্র। ৫ম গ্যালারিতে আছে মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহার্য অস্ত্র আর তাদের আত্মত্যাগের কাহিনী। আর শেষ গ্যালারিতে আছে পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণ আর তার আগে তাদের এবং রাজাকারদের কাপুরুষোচিত হত্যাকাণ্ডের নিদর্শন। পুরো জাদুঘরটিতে একসঙ্গে প্রদর্শিত হয় প্রায় ১৩০০টি সামগ্রী। অথচ জাদুঘরের সংগ্রহে আছে প্রায় ১১০০০টি প্রদর্শনীর সামগ্রী। বুঝতেই পারছেন আরো অনেক বেশি জায়গার প্রয়োজন। আর সে জন্য মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নতুন ভবনের কাজ শুরু হচ্ছে। নতুন ভবনের কাজ শেষ হলে আপনারা সেখানে আরো ভালোভাবে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে পারবেন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরঃ
আপনাদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ বাড়াতে আর নানা মজার মজার সব বিষয় জানাতেই স্থাপন করা হয়েছে এই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর। ১৯৬৬ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার এই জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠা করেছিলো। এটি তখন ছিলো শাহবাগে, এখন যেখানে পাবলিক লাইব্রেরি আছে সেখানে। আর তারপর জাদুঘরটির ঠিকানা অনেক বারই পাল্টেছে। আর শেষ পর্যন্ত স্থায়ী ঠিকানা পায় ১৯৮১ সালে। আগারগাঁতে নিজ জায়গায় নিজ বনে থিতু হয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর। জাদুঘরটিতে এখন গ্যালারি আছে মোট ৫টি। প্রথমটি হলো ফিজিকাল সায়েন্স গ্যালারি। এই গ্যালারিতে আছে সিনেমাস্কোপ, শূণ্যে ভাসা বল, কনভেক্স ও কনকেভ আয়নাসহ আরো অনেক মজার মজার বিজ্ঞানের খুঁটিনাটি বিষয়। এছাড়া দুই মহান বাঙালি বিজ্ঞানী সত্যেন বোসের ব্যবহৃত এক্স-রে টিউব আর ড. কুদরত-ই-খুদার ব্যবহার করা বিভিন্ন জিনিসপত্রও আছে এই গ্যালারিতে। পরেরটি হলো ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি গ্যালারি। এখানে আছে আরো মজার মজার জিনিস। আছে সেই কবেকার পুরোনো প্রিন্টিং মেশিন, অনেক আগের প্লেনের ইঞ্জিন, সাগরের গভীরতা মাপার যন্ত্র ইকোগ্রাফ, গ্রামোফোন, রাডার আর রাডার ডিসপ্লে, কম্পাস, সোলার বিদ্যুতের প্যানেল, বলাকা বিমানের ইঞ্জিন, আরো অনেক কিছু! তারপরের গ্যালারিটা হলো বায়োলজি গ্যালারি। এখানে আছে অ্যামিবার মডেল, ব্যাক্টেরিয়ার কোষের স্ট্রাকচার, একটা সংরক্ষণ করা গ্যাংগেটিক ডলফিন বা শুশুক, একটা নীল তিমির কঙ্কাল, অনেক পুরানো একটা গাছের ফসিল। আবার মানুষের মগজ, কিডনি, হৃৎপিণ্ডের মডেলও আছে এখানে। চতুর্থ, আর পঞ্চম গ্যালারিটা জাদুঘর কর্তৃপক্ষ কিছুদিন আগে খুলেছে। চতুর্থ গ্যালারিটা হলো তথ্যপ্রযুক্তি গ্যালারি। এই গ্যালারিতে আছে বিভিন্ন প্রজন্মের কম্পিউটার। বাংলাদেশের প্রথম কম্পিউটার আইবিএম ১৬২০ ছাড়াও আইবিএম ১৪০১, হানিওয়েল ডিপিএস-৬, আইবিএম পিসিসহ বিভিন্ন প্রজন্মের আরো অনেকগুলো কম্পিউটার আছে এই গ্যালারিতে। আর পঞ্চম গ্যালারিতে আছে দেশের বিভিন্ন তরুণ বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন প্রজেক্ট। এছাড়াও জাদুঘরে একটা সায়েন্স পার্কও আছে। এখানে আছে মিউজিক্যাল টিউব, আর্কিমিডিয়ামের স্ক্রু, সিমপ্যাথেটিক সুইং, সুইং পেন্ডুলামসহ আরো অনেক মজার মজার খেলার ব্যবস্থা।
চারু ও কারু শিল্প জাদুঘরঃ
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন আমাদের দেশীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক একটি আলাদা জাদুঘর তৈরির চিন্তা করেছিলেন। তার উদ্যোগে ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় চারু ও কারু শিল্প জাদুঘর। আর জাদুঘরটি স্থাপনের জন্য তিনি বেছে নেন প্রাচীন বাংলার গুরুত্বপূর্ণ নগর ও মসলিনের সূতিকাগার ঢাকার অদূরবর্তী সোনারগাঁকে। জাদুঘরটিতে মোট গ্যালারি আছে ১১টি। এই গ্যালারিগুলোর মধ্যে আছে কারুপণ্যের গ্যালারি, মুখোশের গ্যালারি, নৌকার বিভিন্ন মডেলের গ্যালারি, স্থানীয় বাদ্যযন্ত্র, পট, টেরাকোটা আর টালির গ্যালারি, ধাতুর কারুপণ্যের গ্যালারি, লোহার কৃষি সরঞ্জামের গ্যালারি, দেশিয় গয়নার গ্যালারি আর বাঁশ, বেতের সরঞ্জাম আর শীতলপাটির গ্যালারি। বাকি তিনটা গ্যালারির দুটোতে গ্রামীণ সংস্কৃতি আর উপজাতীয় সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হয়েছে। অন্য গ্যালারিটি বিভিন্ন সময়ে বিশেষ প্রদর্শনী করার জন্য ব্যবহার করা হয়। জাদুঘরটি প্রায় ১৫০ বিঘা জমির উপর প্রতিষ্ঠিত, যেখানে ৫৫ বিঘার একটি কৃত্তিম লেকই আছে। এছাড়া পুকুর, লাইব্রেরি, রেস্টুরেন্ট, গ্রাম, রেস্ট হাউজ, গোডাউন আর ফুল, ফল ও ওষধি গাছের বাগানও আছে জাদুঘরটিতে।
মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে আপনারা অনেক কিছুই জানেন। আর আপনাদের এ বিষয়ে আরো জানাতে ঢাকা শহরের সেগুনবাগিচায় ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আর সে সময়ের নানা দলিলপত্র, ছবি আর অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে সাজানো হয়েছে এই জাদুঘর। এই জাদুঘরটি অবশ্য সরকারি নয়। এখানে আছে মোট ৬টি গ্যালারি। প্রথম গ্যালারিতে আছে প্রাচীন বাংলার ইতিহাস, বৃটিশ শাসন ও পাকিস্তানের স্বাধীনতার কাহিনী। দ্বিতীয় গ্যালারিতে আছে পাকিস্তান আমলের কথা। ৩য় গ্যালারিতে আছে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, শরণার্থী ও অস্থায়ী সরকারের কথা। ৪র্থ গ্যালারিতে আছে মুক্তিযুদ্ধের বীরযোদ্ধাদের ব্যবহার্য জিনিসপত্র। ৫ম গ্যালারিতে আছে মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহার্য অস্ত্র আর তাদের আত্মত্যাগের কাহিনী। আর শেষ গ্যালারিতে আছে পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণ আর তার আগে তাদের এবং রাজাকারদের কাপুরুষোচিত হত্যাকাণ্ডের নিদর্শন। পুরো জাদুঘরটিতে একসঙ্গে প্রদর্শিত হয় প্রায় ১৩০০টি সামগ্রী। অথচ জাদুঘরের সংগ্রহে আছে প্রায় ১১০০০টি প্রদর্শনীর সামগ্রী। বুঝতেই পারছেন আরো অনেক বেশি জায়গার প্রয়োজন। আর সে জন্য মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নতুন ভবনের কাজ শুরু হচ্ছে। নতুন ভবনের কাজ শেষ হলে আপনারা সেখানে আরো ভালোভাবে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে পারবেন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরঃ
আপনাদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ বাড়াতে আর নানা মজার মজার সব বিষয় জানাতেই স্থাপন করা হয়েছে এই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর। ১৯৬৬ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার এই জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠা করেছিলো। এটি তখন ছিলো শাহবাগে, এখন যেখানে পাবলিক লাইব্রেরি আছে সেখানে। আর তারপর জাদুঘরটির ঠিকানা অনেক বারই পাল্টেছে। আর শেষ পর্যন্ত স্থায়ী ঠিকানা পায় ১৯৮১ সালে। আগারগাঁতে নিজ জায়গায় নিজ বনে থিতু হয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর। জাদুঘরটিতে এখন গ্যালারি আছে মোট ৫টি। প্রথমটি হলো ফিজিকাল সায়েন্স গ্যালারি। এই গ্যালারিতে আছে সিনেমাস্কোপ, শূণ্যে ভাসা বল, কনভেক্স ও কনকেভ আয়নাসহ আরো অনেক মজার মজার বিজ্ঞানের খুঁটিনাটি বিষয়। এছাড়া দুই মহান বাঙালি বিজ্ঞানী সত্যেন বোসের ব্যবহৃত এক্স-রে টিউব আর ড. কুদরত-ই-খুদার ব্যবহার করা বিভিন্ন জিনিসপত্রও আছে এই গ্যালারিতে। পরেরটি হলো ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি গ্যালারি। এখানে আছে আরো মজার মজার জিনিস। আছে সেই কবেকার পুরোনো প্রিন্টিং মেশিন, অনেক আগের প্লেনের ইঞ্জিন, সাগরের গভীরতা মাপার যন্ত্র ইকোগ্রাফ, গ্রামোফোন, রাডার আর রাডার ডিসপ্লে, কম্পাস, সোলার বিদ্যুতের প্যানেল, বলাকা বিমানের ইঞ্জিন, আরো অনেক কিছু! তারপরের গ্যালারিটা হলো বায়োলজি গ্যালারি। এখানে আছে অ্যামিবার মডেল, ব্যাক্টেরিয়ার কোষের স্ট্রাকচার, একটা সংরক্ষণ করা গ্যাংগেটিক ডলফিন বা শুশুক, একটা নীল তিমির কঙ্কাল, অনেক পুরানো একটা গাছের ফসিল। আবার মানুষের মগজ, কিডনি, হৃৎপিণ্ডের মডেলও আছে এখানে। চতুর্থ, আর পঞ্চম গ্যালারিটা জাদুঘর কর্তৃপক্ষ কিছুদিন আগে খুলেছে। চতুর্থ গ্যালারিটা হলো তথ্যপ্রযুক্তি গ্যালারি। এই গ্যালারিতে আছে বিভিন্ন প্রজন্মের কম্পিউটার। বাংলাদেশের প্রথম কম্পিউটার আইবিএম ১৬২০ ছাড়াও আইবিএম ১৪০১, হানিওয়েল ডিপিএস-৬, আইবিএম পিসিসহ বিভিন্ন প্রজন্মের আরো অনেকগুলো কম্পিউটার আছে এই গ্যালারিতে। আর পঞ্চম গ্যালারিতে আছে দেশের বিভিন্ন তরুণ বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন প্রজেক্ট। এছাড়াও জাদুঘরে একটা সায়েন্স পার্কও আছে। এখানে আছে মিউজিক্যাল টিউব, আর্কিমিডিয়ামের স্ক্রু, সিমপ্যাথেটিক সুইং, সুইং পেন্ডুলামসহ আরো অনেক মজার মজার খেলার ব্যবস্থা।
চারু ও কারু শিল্প জাদুঘরঃ
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন আমাদের দেশীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক একটি আলাদা জাদুঘর তৈরির চিন্তা করেছিলেন। তার উদ্যোগে ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় চারু ও কারু শিল্প জাদুঘর। আর জাদুঘরটি স্থাপনের জন্য তিনি বেছে নেন প্রাচীন বাংলার গুরুত্বপূর্ণ নগর ও মসলিনের সূতিকাগার ঢাকার অদূরবর্তী সোনারগাঁকে। জাদুঘরটিতে মোট গ্যালারি আছে ১১টি। এই গ্যালারিগুলোর মধ্যে আছে কারুপণ্যের গ্যালারি, মুখোশের গ্যালারি, নৌকার বিভিন্ন মডেলের গ্যালারি, স্থানীয় বাদ্যযন্ত্র, পট, টেরাকোটা আর টালির গ্যালারি, ধাতুর কারুপণ্যের গ্যালারি, লোহার কৃষি সরঞ্জামের গ্যালারি, দেশিয় গয়নার গ্যালারি আর বাঁশ, বেতের সরঞ্জাম আর শীতলপাটির গ্যালারি। বাকি তিনটা গ্যালারির দুটোতে গ্রামীণ সংস্কৃতি আর উপজাতীয় সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হয়েছে। অন্য গ্যালারিটি বিভিন্ন সময়ে বিশেষ প্রদর্শনী করার জন্য ব্যবহার করা হয়। জাদুঘরটি প্রায় ১৫০ বিঘা জমির উপর প্রতিষ্ঠিত, যেখানে ৫৫ বিঘার একটি কৃত্তিম লেকই আছে। এছাড়া পুকুর, লাইব্রেরি, রেস্টুরেন্ট, গ্রাম, রেস্ট হাউজ, গোডাউন আর ফুল, ফল ও ওষধি গাছের বাগানও আছে জাদুঘরটিতে।
আহসান মঞ্জিল জাদুঘর
আহসান মঞ্জিল ছিলো বাংলার নবাব পরিবারের ভবন। এর জমি আগে ফরাসিরা তাদের বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করতো। ১৮৩০ সালে বাংলার নবাব পরিবারের খাজা আলিমুল্লাহ এ জমি তাদের কাছ থেকে কিনে নেন। আর ১৮৫৯ সাল থেকে বানানো শুরু করেন আহসান মঞ্জিল। কাজ শেষ হয় ১৮৭২ সালে। তার ছেলে খাজা আহসানউল্লাহর নামে এর নামকরণ করা হয়। ১৮৮৮ সালেই ঢাকার উপর দিয়ে বয়ে যায় এক প্রলয়ংকরী টর্নেডো। তাতে মঞ্জিলের অন্দর মহল বলা যায় ধ্বংসই হয়ে যায়। পুরো অন্দর মহলই আবার নতুন করে বানানো হয়। ১৮৯৭ সালে আবার ক্ষতিগ্রস্ত হয় আহসান মঞ্জিল, এবার ভূমিকম্পে। এবার মেরামত করেন খাজা আহসানউল্লাহ। মঞ্জিলটির ঐতিহাসিক ও স্থাপত্যগত গুরুত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার ১৯৮৫ সালে আহসান মঞ্জিলকে অধিগ্রহণ করে নেয়। অর্থাৎ, সরকার পুরো মঞ্জিল ও এর আশপাশের জায়গা নিজের দায়িত্বে নিয়ে নেয় এবং সংরক্ষণ করতে শুরু করে। আর প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ শেষ করে ১৯৯২ সালে এখানে চালু করা হয় আহসান মঞ্জিল জাদুঘর। এই জাদুঘরটি জাতীয় জাদুঘরের অধীনে ও তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়।
আহসান মঞ্জিল ছিলো বাংলার নবাব পরিবারের ভবন। এর জমি আগে ফরাসিরা তাদের বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করতো। ১৮৩০ সালে বাংলার নবাব পরিবারের খাজা আলিমুল্লাহ এ জমি তাদের কাছ থেকে কিনে নেন। আর ১৮৫৯ সাল থেকে বানানো শুরু করেন আহসান মঞ্জিল। কাজ শেষ হয় ১৮৭২ সালে। তার ছেলে খাজা আহসানউল্লাহর নামে এর নামকরণ করা হয়। ১৮৮৮ সালেই ঢাকার উপর দিয়ে বয়ে যায় এক প্রলয়ংকরী টর্নেডো। তাতে মঞ্জিলের অন্দর মহল বলা যায় ধ্বংসই হয়ে যায়। পুরো অন্দর মহলই আবার নতুন করে বানানো হয়। ১৮৯৭ সালে আবার ক্ষতিগ্রস্ত হয় আহসান মঞ্জিল, এবার ভূমিকম্পে। এবার মেরামত করেন খাজা আহসানউল্লাহ। মঞ্জিলটির ঐতিহাসিক ও স্থাপত্যগত গুরুত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার ১৯৮৫ সালে আহসান মঞ্জিলকে অধিগ্রহণ করে নেয়। অর্থাৎ, সরকার পুরো মঞ্জিল ও এর আশপাশের জায়গা নিজের দায়িত্বে নিয়ে নেয় এবং সংরক্ষণ করতে শুরু করে। আর প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ শেষ করে ১৯৯২ সালে এখানে চালু করা হয় আহসান মঞ্জিল জাদুঘর। এই জাদুঘরটি জাতীয় জাদুঘরের অধীনে ও তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়।
রংপুর জাদুঘর
রংপুরের অন্যতম ঐতিহাসিক ভবন হলো তাজহাট প্যালেস। মূল শহর থেকে ৩ কিমি দক্ষিণ-পূর্বে ভবনটি অবস্থিত। ভবনটি নির্মাণ করেন মহারাজা কুমার গোপাল লাল রায়, ২০ শতকের শুরুর দিকে। তিনি অবশ্য কোনো রাজা বা জমিদার ছিলেন না। তিনি ছিলেন একজন ধনী স্বর্ণকার। বলা হয়ে থাকে তিনি সবার সামনে আসতেন মাথায় একটা রত্নখচিত মুকুট বা তাজ পরে। আর তার সেই তাজ থেকেই ভবনটির নাম হয়েছে তাজহাট প্যালেস। ১৯৮৪ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ভবনটি রংপুর হাই কোর্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। ১৯৯৫ সালে আমাদের দেশের প্রত্নতত্ব বিভাগ ভবনটিকে সংরক্ষিত স্থাপনা হিসেবে চিহ্নিত করে। এর ১০ বছর পর ২০০৫ সালে বাংলাদেশ সরকার রংপুর জাদুঘরকে স্থানান্তর করে নিয়ে আসে এই ভবনের ২য় তলায়। জাদুঘরটির মূল ঘরে আছে ১০ থেকে ১১ শতকে নির্মিত অসংখ্য টেরাকোটা আর আরবি ও সংস্কৃত ভাষায় লেখা ম্যানস্ক্রিপ্ট, যেগুলোতে লেখা আছে মহাভারত, রামায়ণ আর কোরআনের কাহিনী। ধারণা করা হয় ম্যানস্ক্রিপ্টগুলোর অধিকাংশই মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের আমলের। এ ছাড়া পিছনের ঘরগুলোতে আছে কালোপাথরে তৈরি অনেক দেবদেবীর ভাস্কর্য। এ ভাস্কর্যগুলোর বেশিরভাগই দেবতা বিষ্ণুর।
উপজাতীয় সাংস্কৃতিক জাদুঘরঃ
বাংলাদেশের একমাত্র আদিবাসী জাদুঘরটি অবস্থিত রাঙামাটিতে। জাদুঘরটি স্থাপন করা হয় ১৯৭৮ সালে। জাদুঘরটি পরিচালনা করে উপজাতীয় সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউট। জাদুঘরটিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল আদিবাসীদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধারণ করা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে মোট আদিবাসী সম্প্রদায় আছে ১৩টি। এরা হলো চাকমা, মারমা, তঞ্চংগ্যা, ত্রিপুরা, রাখাইন, চাক, পাক্সেখা, ম্রো, বম, উসুই, খুমি, খিয়াং ও লুসাই। এদের সকলেরই ভিন্ন ভিন্ন ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি আছে। জাদুঘরটিতে তাদের ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসপত্র তো আছেই, আছে তাদের নিয়ে লেখা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধও। জাদুঘরটিতে প্রদর্শনীর জন্য সংরক্ষিত জিনিসপত্রের মধ্যে আছে বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায়ের ব্যবহৃত ঐতিহ্যবাহী পোশাক, অস্ত্র-শস্ত্র ও হাতিয়ার, মুদ্রা, মূর্তি ও ভাস্কর্য, বাদ্যযন্ত্র, কারুপণ্যসহ আরো অনেক কিছুই। এছাড়াও বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায়কে নিয়ে আঁকা অনেকগুলো ছবিও আছে জাদুঘরটিতে।
রংপুরের অন্যতম ঐতিহাসিক ভবন হলো তাজহাট প্যালেস। মূল শহর থেকে ৩ কিমি দক্ষিণ-পূর্বে ভবনটি অবস্থিত। ভবনটি নির্মাণ করেন মহারাজা কুমার গোপাল লাল রায়, ২০ শতকের শুরুর দিকে। তিনি অবশ্য কোনো রাজা বা জমিদার ছিলেন না। তিনি ছিলেন একজন ধনী স্বর্ণকার। বলা হয়ে থাকে তিনি সবার সামনে আসতেন মাথায় একটা রত্নখচিত মুকুট বা তাজ পরে। আর তার সেই তাজ থেকেই ভবনটির নাম হয়েছে তাজহাট প্যালেস। ১৯৮৪ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ভবনটি রংপুর হাই কোর্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। ১৯৯৫ সালে আমাদের দেশের প্রত্নতত্ব বিভাগ ভবনটিকে সংরক্ষিত স্থাপনা হিসেবে চিহ্নিত করে। এর ১০ বছর পর ২০০৫ সালে বাংলাদেশ সরকার রংপুর জাদুঘরকে স্থানান্তর করে নিয়ে আসে এই ভবনের ২য় তলায়। জাদুঘরটির মূল ঘরে আছে ১০ থেকে ১১ শতকে নির্মিত অসংখ্য টেরাকোটা আর আরবি ও সংস্কৃত ভাষায় লেখা ম্যানস্ক্রিপ্ট, যেগুলোতে লেখা আছে মহাভারত, রামায়ণ আর কোরআনের কাহিনী। ধারণা করা হয় ম্যানস্ক্রিপ্টগুলোর অধিকাংশই মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের আমলের। এ ছাড়া পিছনের ঘরগুলোতে আছে কালোপাথরে তৈরি অনেক দেবদেবীর ভাস্কর্য। এ ভাস্কর্যগুলোর বেশিরভাগই দেবতা বিষ্ণুর।
উপজাতীয় সাংস্কৃতিক জাদুঘরঃ
বাংলাদেশের একমাত্র আদিবাসী জাদুঘরটি অবস্থিত রাঙামাটিতে। জাদুঘরটি স্থাপন করা হয় ১৯৭৮ সালে। জাদুঘরটি পরিচালনা করে উপজাতীয় সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউট। জাদুঘরটিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল আদিবাসীদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধারণ করা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে মোট আদিবাসী সম্প্রদায় আছে ১৩টি। এরা হলো চাকমা, মারমা, তঞ্চংগ্যা, ত্রিপুরা, রাখাইন, চাক, পাক্সেখা, ম্রো, বম, উসুই, খুমি, খিয়াং ও লুসাই। এদের সকলেরই ভিন্ন ভিন্ন ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি আছে। জাদুঘরটিতে তাদের ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসপত্র তো আছেই, আছে তাদের নিয়ে লেখা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধও। জাদুঘরটিতে প্রদর্শনীর জন্য সংরক্ষিত জিনিসপত্রের মধ্যে আছে বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায়ের ব্যবহৃত ঐতিহ্যবাহী পোশাক, অস্ত্র-শস্ত্র ও হাতিয়ার, মুদ্রা, মূর্তি ও ভাস্কর্য, বাদ্যযন্ত্র, কারুপণ্যসহ আরো অনেক কিছুই। এছাড়াও বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায়কে নিয়ে আঁকা অনেকগুলো ছবিও আছে জাদুঘরটিতে।
ওসমানী জাদুঘরঃ
আমাদের মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক ছিলেন কর্নেল এম এ জি ওসমানী। তার স্মৃতি ও দেশের প্রতি তার অবদানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণের জন্য সিলেটে তার বাসভবনে স্থাপন করা হয়েছে ওসমানী জাদুঘর। জাদুঘরটি স্থাপন করা হয় ১৯৮৭ সালে। এর আগে থেকেই অবশ্য সিলেটে তার বাসভবন দেখতে যেতেন অনেকেই। সেখানে তার বাসার সামনে একটা পুকুরও আছে যেটা ওসমানী নিজেই খুঁড়েছিলেন। জাদুঘরটিতে জেনারেল ওসমানীর ব্যাক্তিগত ব্যবহার্য জিনিস, তার ছবি, তার ব্যবহৃত সামরিক জিনিসপত্রের পাশাপাশি তার উপরে নির্মিত নানা শিল্পসামগ্রীও প্রদর্শনীর জন্য সংরক্ষিত আছে।
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন সংগ্রহশালাঃ
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের খুব ইচ্ছা ছিলো তার জেলা ময়মনসিংহে একটা বেশ বড়োসড়ো ছবির প্রদর্শনী করার জন্য গ্যালারি বানানোর। তার উদ্যোগে স্থানীয় প্রশাসন গ্যালারি বানাতে রাজিও হয় এবং ১৯৭৫ সালে ময়মনসিংহে স্থাপিত হয় একটি আর্ট গ্যালারি। পরবর্তীতে এই গ্যালারিটিরই প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে একে জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয়। জাদুঘরটি জাতীয় জাদুঘরের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। জয়নুল আবেদীনের স্মৃতির স্মরণে এর নাম রাখা হয়েছে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন সংগ্রহশালা। শুধু তাই না, জয়নুল আবেদীনের অধিকাংশ ছবিই এই জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হয়েছে। সেই সাথে আছে তার স্মৃতি বিজড়িত আরো নানা জিনিস।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক ছিলেন কর্নেল এম এ জি ওসমানী। তার স্মৃতি ও দেশের প্রতি তার অবদানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণের জন্য সিলেটে তার বাসভবনে স্থাপন করা হয়েছে ওসমানী জাদুঘর। জাদুঘরটি স্থাপন করা হয় ১৯৮৭ সালে। এর আগে থেকেই অবশ্য সিলেটে তার বাসভবন দেখতে যেতেন অনেকেই। সেখানে তার বাসার সামনে একটা পুকুরও আছে যেটা ওসমানী নিজেই খুঁড়েছিলেন। জাদুঘরটিতে জেনারেল ওসমানীর ব্যাক্তিগত ব্যবহার্য জিনিস, তার ছবি, তার ব্যবহৃত সামরিক জিনিসপত্রের পাশাপাশি তার উপরে নির্মিত নানা শিল্পসামগ্রীও প্রদর্শনীর জন্য সংরক্ষিত আছে।
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন সংগ্রহশালাঃ
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের খুব ইচ্ছা ছিলো তার জেলা ময়মনসিংহে একটা বেশ বড়োসড়ো ছবির প্রদর্শনী করার জন্য গ্যালারি বানানোর। তার উদ্যোগে স্থানীয় প্রশাসন গ্যালারি বানাতে রাজিও হয় এবং ১৯৭৫ সালে ময়মনসিংহে স্থাপিত হয় একটি আর্ট গ্যালারি। পরবর্তীতে এই গ্যালারিটিরই প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে একে জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয়। জাদুঘরটি জাতীয় জাদুঘরের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। জয়নুল আবেদীনের স্মৃতির স্মরণে এর নাম রাখা হয়েছে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন সংগ্রহশালা। শুধু তাই না, জয়নুল আবেদীনের অধিকাংশ ছবিই এই জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হয়েছে। সেই সাথে আছে তার স্মৃতি বিজড়িত আরো নানা জিনিস।
বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরঃ
ঢাকায় ধানমন্ডির পুরোনো ৩২ নম্বর সড়কের বাসাটিতে ১৯৯৭ সালে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি রক্ষার জন্য গড়ে তোলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর। এই বাসাটিতে বঙ্গবন্ধু থাকতেন। সেখানে আছে তাঁর ব্যাক্তিগত ব্যবহার্য জিনিস আর ছবি। এই জাদুঘরে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে অনেক তথ্যই জানা যাবে। ১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিলো এই বাসাতেই। তার চিহ্ন এখনও বয়ে বেড়াচ্ছে এই বাসাটি। এর প্রত্যেকটি ঘরেই দেখা যায় সেই কালো রাতের চিহ্ন।
এর বাইরেও আমাদের দেশে আরো অনেক জাদুঘরই আছে। ঢাকার বিজয় স্মরণীতে সামরিক বাহিনীর নানা ঐতিহাসিক হাতিয়ার ও সশস্ত্র বাহিনীর পরিচিতিমূলক অনেক জিনিসই আছে সামরিক জাদুঘরে। মুক্তিযুদ্ধে মুজিবনগরে অস্থায়ী সরকার গঠনের ঘটনার ঐতিহাসিক স্থানে স্থাপন করা হয়েছে মুজিবনগর স্মৃতি জাদুঘর। নওগাঁর পাহাড়পুর, বগুড়ার মহাস্থানগড় আর কুমিল্লার ময়নামতিতেও সেসব স্থানের ইতিহাস আর উদ্ধার করা নানা ঐতিহাসিক দ্রব্যাদি নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে জাদুঘর। বরিশালে শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হকের বাসায় তার স্মৃতিতে গড়ে তোলা হয়েছে শের-ই-বাংলা জাদুঘর। কুষ্টিয়ায় শিলাইদহ কুঠিবাড়ি আর সিরাজগঞ্জে রবীন্দ্র কাছারিবাড়িতে তার স্মৃতিতে জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ঢাকার ঐতিহাসিক লালবাগ দূর্গেও আছে একটি জাদুঘর।
এবার আপনারাই সিদ্ধান্ত নেন, কোন জাদুঘরটায় আপনারা আগে যাবেন। জাদুঘর মানেই তো ইতিহাস সম্পর্কে জানা।
লেখকঃ নাবীল।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
ঢাকায় ধানমন্ডির পুরোনো ৩২ নম্বর সড়কের বাসাটিতে ১৯৯৭ সালে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি রক্ষার জন্য গড়ে তোলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর। এই বাসাটিতে বঙ্গবন্ধু থাকতেন। সেখানে আছে তাঁর ব্যাক্তিগত ব্যবহার্য জিনিস আর ছবি। এই জাদুঘরে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে অনেক তথ্যই জানা যাবে। ১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিলো এই বাসাতেই। তার চিহ্ন এখনও বয়ে বেড়াচ্ছে এই বাসাটি। এর প্রত্যেকটি ঘরেই দেখা যায় সেই কালো রাতের চিহ্ন।
এর বাইরেও আমাদের দেশে আরো অনেক জাদুঘরই আছে। ঢাকার বিজয় স্মরণীতে সামরিক বাহিনীর নানা ঐতিহাসিক হাতিয়ার ও সশস্ত্র বাহিনীর পরিচিতিমূলক অনেক জিনিসই আছে সামরিক জাদুঘরে। মুক্তিযুদ্ধে মুজিবনগরে অস্থায়ী সরকার গঠনের ঘটনার ঐতিহাসিক স্থানে স্থাপন করা হয়েছে মুজিবনগর স্মৃতি জাদুঘর। নওগাঁর পাহাড়পুর, বগুড়ার মহাস্থানগড় আর কুমিল্লার ময়নামতিতেও সেসব স্থানের ইতিহাস আর উদ্ধার করা নানা ঐতিহাসিক দ্রব্যাদি নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে জাদুঘর। বরিশালে শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হকের বাসায় তার স্মৃতিতে গড়ে তোলা হয়েছে শের-ই-বাংলা জাদুঘর। কুষ্টিয়ায় শিলাইদহ কুঠিবাড়ি আর সিরাজগঞ্জে রবীন্দ্র কাছারিবাড়িতে তার স্মৃতিতে জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ঢাকার ঐতিহাসিক লালবাগ দূর্গেও আছে একটি জাদুঘর।
এবার আপনারাই সিদ্ধান্ত নেন, কোন জাদুঘরটায় আপনারা আগে যাবেন। জাদুঘর মানেই তো ইতিহাস সম্পর্কে জানা।
লেখকঃ নাবীল।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন