জীবন্ত কবর

মৃত্যুর কস্ট কি ভীষন তা জীবিত কোনো মানুষের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। সাধারন এবং স্বাভাবিক মৃত্যু আমদের সবারই কাম্য। কিন্তু তারপরও অনেককেই পেতে হয় অস্বাভাবিকতা।

"লেখাটি অনেকের কাছেই ভয়ানক বলে মনে হতে পারে বলে আমি আগেই সবাইকে সতর্ক করছি"

মৃত্যু পরবর্তী কাজ হচ্ছে কবর দেয়া। কিন্তু আজব এ পৃথিবীতে অনেক কিছুই ঘটে। ভুলবশত জীবিত অবস্হায় কবর দেয়া হয়েছে এমন কিছু সত্যিকার কাহিনী নিয়ে পড়ুন।

ভার্র্জিনিয়া ম্যাকডোনাল্ড ১৮৫১, নিউইয়র্কঃ
অসুস্হ হয়ে মারা যাবার পর একে কবর দেয়া হয়। কিন্তু তার মা বিশ্বাস করতে পারছিলেন না যে ভার্র্জিনিয়ার মৃত্যু হয়েছে। তাকে কেউই মান ছিলেন না। সবাইকে অন্তত একবার কবর খোঁড়ার জন্য অনুরোধ করেন তিনি। অনেক চেস্টার পরে কবর খোঁড়া হয়। মায়ের বিশ্বাসই ঠিক হোলো! দেখা গেলো ভার্র্জিনিয়া কবরে তার কাপড় ছিঁড়ে ফেলেছে এবং নিজের হাত কামড়ে মাংস আলাদা করে ফেলেছে। তার কবরে ভেতরে এভাবেই মৃত্যু হয়।


ম্যাডাম ব্লানডেন ১৮৯৬, ইংল্যান্ডঃ
মৃত্যুর পর তাকে একটা স্কুলের পাশে সমাহিত করা হয়। পরদিন স্কুলে ছাত্ররা আসলে কবরের ভেতর থেকে গোঙানীর শব্দ শুনতে পায়। সাথে সাথে কবর খুঁড়ে ব্লানডেনকে বের করা হয় এবং সে তখনই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে। কবরের ভেতরে মৃত্যু যন্ত্রনায় সে নিজের হাত ও মুখ আঁচড়ে শেয করে ফেলেছিলো।

কলিনস ১৮৮৬, কানাডাঃ
এ মেয়েটাকে কবর দেয়ার কিছু দিন পরে মৃতদেহ অন্য জায়গায় সরানোর দরকার হয়। কবর খুঁড়ে দেখা যায় কলিনস মৃত্যু যন্ত্রনায় তার কাপড় ছিঁড়ে ফেলেছে, তার হাঁটু থুতনীর কাছে এনে রেখেছে এবং হাত দুটো মাথার পেছনে বাঁকা করে আটকে ফেলেছে।


জেনকিনস ১৮৮৫, নর্থ ক্যারোলাইনাঃ
অসুস্হ হয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে যায় তার এবং পুরো শরীর শক্ত হয়ে যাওয়ায় সবাই ভেবেছিলো বোধহয় মারা গেছে জেনকিনস। তাকে কবর দেয়া হয়। একটা গুজবের কারনে তার কফিন খোঁড়া হয়। লাশ বের করে দেখা যায় জেনকিনস এর হাতে তার ছেঁড়া চুল, তার নখে ও মুখে রক্তের দাগ। আর কফিনের গায়ে নখের আঁচড়। সম্ভবত মৃত্যু যন্ত্রনায় সে নখ দিয়ে কফিনের গায়ে আঁচড় কেটে তা খুলতে চেয়েছিলো।

ম্যাডাম ববিন, ১৯০১, আফ্রিকাঃ
এনার মৃত্যুর মত ভয়ানক মৃত্যু করে হয়েছে কিনা তা মনে হয় না। ইয়েলো ফিভারে আক্রান্ত ববিন ছিলেন অন্তঃসত্বা। হঠাৎ ভীষন অসুস্হ হয়ে যাওয়ায় তাকে মৃত ঘোষনা করে কবর দেয়া হয়। এক নার্সের কথায় ববিন এর বাবা তার কবর খোঁড়ার ব্যবস্হা করে। যা দেখা যায় তা বর্ণনাতীত। ববিনের কবরের মধ্যেই বাচ্চা হয়েছে এবং দুজনেই ওখানেই মৃত্যু বরন করেছে।

"আসুন সবাই স্বাভাবিক মৃত্যুর জন্য প্রার্থনা করি"

লেখকঃ জানা অজানার পথিক।
hybridknowledge.info

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

জানার কোন অন্ত নাই, জানার ইচ্ছা বৃথা তাই, ভেবে যদি জানার ইচ্ছাকে দমন করে রাখা হয় তবে সে জীবনের কোন অর্থ নাই। কিন্তু সব জানতে হবে এমন কোন কথা নাই, তবে জানার ইচ্ছা থাকা চাই। আমাদের এই জানা জানির ইচ্ছকে সূত্র করে, আমাদের ছোট্ট একটি প্রয়াস ❝আমি জানতে চাই❞। আমাদের জানতে চাওয়ার ইচ্ছা পুরনের লক্ষে কখনো জেনেছি মহাকাশ নিয়ে, কখনো জেনেছি সমুদ্র নিয়ে, কখনো ডুব দিয়েছি কৌতুক এর মাঝে, আবার ভয়ে কেঁপেছি ভুতের গল্প পড়ে, কখনোবা শিউরে উঠেছি কিছু মানুষের কার্যকলাপ জেনে। কখনো জেনেছি নতুন আবিষ্কারের কথা, আবার জেনেছি আদি ঐতিহ্যের কথা, এত সব কিছু করেছি শুধু জানতে চাওয়ার ইচ্ছা থেকে।

hybridknowledge.info hybridknowledge.info