"মঙ্গল গ্রহ" কেমন যেন আমাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনার সাথে মিশে আছে। আমরা অনেকেই মনে করি যে এই মঙ্গল গ্রহে একদিন বসতি গড়ে তুলবে মানুষ। সেখানেই ধীরে ধীরে বিবর্তন ঘটবে মানব সভ্যতার। কিন্তু আমাদের এই চিন্তা ভাবনা আসলেই কত টুকু বাস্তব সম্মত? আসলেই কি আমরা কোন দিন বসতি গড়তে পারব আমাদের স্বপ্নের এই মঙ্গল গ্রহে? আর কি কি বাঁধা আমাদের অতিক্রম করতে হবে যদি আমরা বসতি গড়তে চাই এই মঙ্গল গ্রহে। এসব নিয়েই আজ আমাদের আলোচনা আর সাথে আপনাদের ঘুরিয়ে নিয়ে আসব মঙ্গল গ্রহ থেকে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক আমাদের যাত্রা।
আমরা সকলেই ছোট বেলায় একটা কথা শুনেছি যে "আকাশের তারা কোন দিন গুনে শেষ করা সম্ভব না"। আর যারা শুনেন নাই তারাও জেনে নেন যে আসলেই আকাশের তারা আসলেই কোন দিন গুনে শেষ করা যাবে না। আর এই সব তারা গুলির মধ্যেই আছে আমাদের এই সৌর জগতের মত অসংখ্য সৌর জগত। আসলে সৌর জগত না বলে যদি বলি গ্যালাক্সি আছে তাও কিন্তু ঠিক। আর এত পরিমান গ্যালাক্সি আছে যে তা গুনে শেষ তো করাই যাবে না বরং যদি অলৌকিক ভাবে আপনি গুনে শেষ করেও ফেলেন, নতুন নতুন আরো লক্ষাধিক গ্যালাক্সি চলে আসবে আপনার সামনে। প্রতি মূহুর্তে আবিস্কৃত হচ্ছে নতুন নতুন গ্রহ নক্ষত্র আর তারকা মণ্ডলী।
এখন একটা প্রশ্ন কিন্তু চলেই আসে, এই সব গ্রহের মধ্যে কি আর একটা গ্রহ কি নেই যে গুলাতে প্রানের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া সম্ভব? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে জ্যোতিস বিজ্ঞানীরা কিন্তু প্রতি নিয়ত খুঁজে চলেছে নতুন নতুন গ্রহ। আর এর মাঝে ২০০৯ সালে আবিস্কৃত হয় "কেপলার ২২বি" নামের একটি গ্রহ। আর এই গ্রহটি আবিস্কারের পরে টানা দুই বছর গবেষনার পরে বিজ্ঞানিরা ঘোষনা দেন যে এই গ্রহটি হচ্ছে পৃথিবীর জমজ ভাই। এই গ্রহটি পৃথিবী থেকে ৬০০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত আর এর বায়ুমণ্ডলের গড় তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা প্রান ধারনের জন্য সম্পূর্ন উপযোগী।
আমরা সকলেই ছোট বেলায় একটা কথা শুনেছি যে "আকাশের তারা কোন দিন গুনে শেষ করা সম্ভব না"। আর যারা শুনেন নাই তারাও জেনে নেন যে আসলেই আকাশের তারা আসলেই কোন দিন গুনে শেষ করা যাবে না। আর এই সব তারা গুলির মধ্যেই আছে আমাদের এই সৌর জগতের মত অসংখ্য সৌর জগত। আসলে সৌর জগত না বলে যদি বলি গ্যালাক্সি আছে তাও কিন্তু ঠিক। আর এত পরিমান গ্যালাক্সি আছে যে তা গুনে শেষ তো করাই যাবে না বরং যদি অলৌকিক ভাবে আপনি গুনে শেষ করেও ফেলেন, নতুন নতুন আরো লক্ষাধিক গ্যালাক্সি চলে আসবে আপনার সামনে। প্রতি মূহুর্তে আবিস্কৃত হচ্ছে নতুন নতুন গ্রহ নক্ষত্র আর তারকা মণ্ডলী।
এখন একটা প্রশ্ন কিন্তু চলেই আসে, এই সব গ্রহের মধ্যে কি আর একটা গ্রহ কি নেই যে গুলাতে প্রানের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া সম্ভব? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে জ্যোতিস বিজ্ঞানীরা কিন্তু প্রতি নিয়ত খুঁজে চলেছে নতুন নতুন গ্রহ। আর এর মাঝে ২০০৯ সালে আবিস্কৃত হয় "কেপলার ২২বি" নামের একটি গ্রহ। আর এই গ্রহটি আবিস্কারের পরে টানা দুই বছর গবেষনার পরে বিজ্ঞানিরা ঘোষনা দেন যে এই গ্রহটি হচ্ছে পৃথিবীর জমজ ভাই। এই গ্রহটি পৃথিবী থেকে ৬০০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত আর এর বায়ুমণ্ডলের গড় তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা প্রান ধারনের জন্য সম্পূর্ন উপযোগী।
কিন্তু সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় এর দূরত্ব। ঐ যে ৬০০ আলোক বর্ষ। আচ্ছা আলোক বর্ষ সম্পর্কে আপনাদের কেমন ধারনা আছে? যদি থাকে তাহলেতো ভালই হল, তবে যাদের নেই তাদের এই আলোক বর্ষ সম্পর্কে একটু ধারনা দেই। এক আলোক বর্ষ বুঝাতে বুঝায় ১০ ট্রিলিয়ান কিঃমিঃ বা ৬ ট্রিলিয়ান মাইল। আচ্ছা এবার অংকের হিসাব বাদ দিয়ে একটু বাংলা হিসেবে বুঝাই। ১ আলোক বর্ষ মানে হল যে পরিমান দূরত্ব আলোর গতিতে ১ বছরে পার করা সম্ভব। অর্থাৎ আপনি যদি আলোর গতিতে ছুটতে সক্ষম হন তাহলে ১ বছর পরে আপনি যতটুকু দূরত্ব অতিক্রম করবেন ততটুকুই হচ্ছে ১ আলোক বর্ষ। আর পৃথিবীর জমজ ভাইয়ের অবস্থান পৃথিবী থেকে ৬০০ আলোক বর্ষ দূরে অর্থাৎ আপনি যদি আলোর গতীতে টানা ৬০০ বছর ধরে ছুটতে পারেন তাহলে আপনি ৬০০ বছর যাত্রা করে পৌছে যাবেন কেপলার ২২বি গ্রহটিতে।
কি অবাক হচ্ছেন? আরেকটু অবাক করে দেই। যেহেতু বিজ্ঞানীরা হিসেব করে দেখেন যে এই গ্রহের দূরত্ব ৬০০ আলোক বর্ষ তার মানে এই গ্রহ হতে আলো প্রতিফলিত হয়ে যে আলো পৃথিবীতে আসছে সেটাই আমরা দেখছি। অর্থাৎ ধরেন আজকে ঐ গ্রহে কি হয়েছে তা যদি দেখার কোন শক্তিশালী ক্যামেরা বা টেলিস্কোপ আমাদের থেকে থাকে তাহলে আমরা ঐ গ্রহের ৬০০ বছর আগের ছবি দেখতে পাচ্ছি। আর বর্তমানে অর্থাৎ আমরা যা দেখছি তার ৬০০ বছর পরে ঐ গ্রহ আদৌ টিকে আছে কিনা তা নিশ্চিত ভাবে বলা অসম্ভব। কি বুঝেন নাই? আচ্ছা আরেকটা উদাহরন দেই তাহলে আপনার বুঝতে সুবিধা হবে। ধরেন পৃথিবীর জমজ ভাই যে গ্রহ ঐ গ্রহেও আমাদের মত বুদ্ধিমান প্রানীর বসবাস। তারাও টেলিস্কোপ দিয়ে আমাদের পৃথিবী দেখছে। যদি তারা এই মূহুর্তেও পৃথিবী দেখতে থাকে তাহলে তারা দেখবে আমাদের এই পৃথিবী আজ থেকে ৬০০ বছর আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলি। কি এবার বুঝেছেন?
কি অবাক হচ্ছেন? আরেকটু অবাক করে দেই। যেহেতু বিজ্ঞানীরা হিসেব করে দেখেন যে এই গ্রহের দূরত্ব ৬০০ আলোক বর্ষ তার মানে এই গ্রহ হতে আলো প্রতিফলিত হয়ে যে আলো পৃথিবীতে আসছে সেটাই আমরা দেখছি। অর্থাৎ ধরেন আজকে ঐ গ্রহে কি হয়েছে তা যদি দেখার কোন শক্তিশালী ক্যামেরা বা টেলিস্কোপ আমাদের থেকে থাকে তাহলে আমরা ঐ গ্রহের ৬০০ বছর আগের ছবি দেখতে পাচ্ছি। আর বর্তমানে অর্থাৎ আমরা যা দেখছি তার ৬০০ বছর পরে ঐ গ্রহ আদৌ টিকে আছে কিনা তা নিশ্চিত ভাবে বলা অসম্ভব। কি বুঝেন নাই? আচ্ছা আরেকটা উদাহরন দেই তাহলে আপনার বুঝতে সুবিধা হবে। ধরেন পৃথিবীর জমজ ভাই যে গ্রহ ঐ গ্রহেও আমাদের মত বুদ্ধিমান প্রানীর বসবাস। তারাও টেলিস্কোপ দিয়ে আমাদের পৃথিবী দেখছে। যদি তারা এই মূহুর্তেও পৃথিবী দেখতে থাকে তাহলে তারা দেখবে আমাদের এই পৃথিবী আজ থেকে ৬০০ বছর আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলি। কি এবার বুঝেছেন?
আর যারা ভাবছেন আলোর গতিতেও এক দিন মানুষ ছুটে চলতে পারবে তাদের পাকা ধানেও একটু মই দেই। আলো একটা শক্তি আর কোন শক্তিই শুধু মাত্র পারবে এত গতিতে ছুটে চলতে। আর আপনি যখন কোন যান বানাবেন তার ভরের কারনে কোন ভাবেই তা আলোর গতি নিতে সক্ষম হবে না। এটা কিন্তু পদার্থ বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা। তবে আশার আলো হচ্ছে যিনি অর্থাৎ বিখ্যাত বিজ্ঞানী যিনি এই আলোর গতির সাথে মানুষের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন তিনিই আবার পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন "Worm Hole" এর সাথে। আর এ নিয়ে কোন আলোচনা নয়, এটা নিয়ে না হয় আরেক দিন আলোচনা করা যাবে। তাহলে আবার ফিরে যাওয়া যাক আমাদের মঙ্গল অভিযানে।
মঙ্গল গ্রহ নিয়ে এর আগে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছিল "মঙ্গল গ্রহ" লেখাটিতে তাই এখানে অযথা একই কথা বার বার উল্লেখ না করে নতুন কিছু তথ্য আপনাদের জানাই যা পূর্বের লেখায় উল্লেখ করা হয় নাই।
প্রথম কথা হচ্ছে, আমরা কেন মঙ্গলেই বসবাসের স্বপ্ন দেখছি? আসলে মঙ্গল গ্রহে বসবাসের মূল কারন এর পরিবেশ আর ২য়ত আমাদের ধারে কাছে পৃথিবীর সাদৃশ্য আর কোন গ্রহ নেই যেখানে আমাদেরর পক্ষে পদার্থ বিজ্ঞানের ব্যাখ্যায় শুধু মাত্র গতির উপর নির্ভর করে যেয়ে সেখানে বসতি স্থাপন করা সম্ভব।
এই মঙ্গল গ্রহের পরিবেশ আমাদের পৃথিবীর সাথে অনেকটা মিল থাকলেও তা কিন্তু কোন ভাবেই জীবন ধারনের উপযোগী না। আর মঙ্গল গ্রহকে বলা হয় "পৃথিবীর মৃত অবস্থা"। পৃথিবীর মৃত অবস্থা কেন বলছি এটাই ভাবছেন তাই না? আপনার সকলেই জানেন যে আমাদের পৃথিবীর কেন্দ্র লাভা দিয়ে তৈরি। আর এই লাভার কারনেই কিন্তু পৃথিবী এমন শক্তিশালী এক চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করতে পারে যা এই পৃথিবীর বায়ুমন্ডলকে যেমন ঘনত্ব দিতে সাহায্য করে তেমনি সূর্য থেকে আসা অতিবেগুনী রশ্মি থেকে আমাদের রক্ষা করে। কিন্তু মঙ্গল গ্রহের যে কেন্দ্র সময়ের সাথে সাথে অনেকটা কঠিন হয়ে গেছে এবং তা এখনও হচ্ছে। আর গ্রহের কেন্দ্রে যদি এই লাভার পরিমান কমতে থাকে তাহলে সেই গ্রহের চৌম্বক ক্ষেত্র সামানুপাতিক হারে কমতে থাকবে। অর্থাৎ বুঝতেই পারছেন যে মঙ্গল গ্রহের বায়ু মন্ডল পৃথিবীর মত ঘন না।
মঙ্গল গ্রহে কেন প্রানের অস্তিত্ব নেই তার মূল কারন গুলি নিয়ে আমি নিজেই ছোট একটি ভিডিও প্রতিবেদন তৈরি করেছি। এখানে আমি এমন কিছু জিনিষ বলার চেষ্টা করেছি যা হয়ত আপনার অজানা।
একটু বলে রাখি, ভিডিওটি একদম কাঁচা হাতের কাজ। অনেক ভুল হয়েছে করতে যেয়ে, কোন পূর্বের প্রস্তুতি ছাড়াই শুধু মাত্র আপনাদের বোঝাবার স্বার্থে এটি বানিয়েছি। আশা করব ভুল হলে সেটা কে এড়িয়ে আমি যে তথ্য গুলিকে জানাবার চেষ্টা করেছি সেগুলির উপর বেশি নজর দিবেন। তাহলে চলুন দেখে নেই ভিডিওটি,
মঙ্গল গ্রহ নিয়ে এর আগে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছিল "মঙ্গল গ্রহ" লেখাটিতে তাই এখানে অযথা একই কথা বার বার উল্লেখ না করে নতুন কিছু তথ্য আপনাদের জানাই যা পূর্বের লেখায় উল্লেখ করা হয় নাই।
প্রথম কথা হচ্ছে, আমরা কেন মঙ্গলেই বসবাসের স্বপ্ন দেখছি? আসলে মঙ্গল গ্রহে বসবাসের মূল কারন এর পরিবেশ আর ২য়ত আমাদের ধারে কাছে পৃথিবীর সাদৃশ্য আর কোন গ্রহ নেই যেখানে আমাদেরর পক্ষে পদার্থ বিজ্ঞানের ব্যাখ্যায় শুধু মাত্র গতির উপর নির্ভর করে যেয়ে সেখানে বসতি স্থাপন করা সম্ভব।
এই মঙ্গল গ্রহের পরিবেশ আমাদের পৃথিবীর সাথে অনেকটা মিল থাকলেও তা কিন্তু কোন ভাবেই জীবন ধারনের উপযোগী না। আর মঙ্গল গ্রহকে বলা হয় "পৃথিবীর মৃত অবস্থা"। পৃথিবীর মৃত অবস্থা কেন বলছি এটাই ভাবছেন তাই না? আপনার সকলেই জানেন যে আমাদের পৃথিবীর কেন্দ্র লাভা দিয়ে তৈরি। আর এই লাভার কারনেই কিন্তু পৃথিবী এমন শক্তিশালী এক চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করতে পারে যা এই পৃথিবীর বায়ুমন্ডলকে যেমন ঘনত্ব দিতে সাহায্য করে তেমনি সূর্য থেকে আসা অতিবেগুনী রশ্মি থেকে আমাদের রক্ষা করে। কিন্তু মঙ্গল গ্রহের যে কেন্দ্র সময়ের সাথে সাথে অনেকটা কঠিন হয়ে গেছে এবং তা এখনও হচ্ছে। আর গ্রহের কেন্দ্রে যদি এই লাভার পরিমান কমতে থাকে তাহলে সেই গ্রহের চৌম্বক ক্ষেত্র সামানুপাতিক হারে কমতে থাকবে। অর্থাৎ বুঝতেই পারছেন যে মঙ্গল গ্রহের বায়ু মন্ডল পৃথিবীর মত ঘন না।
মঙ্গল গ্রহে কেন প্রানের অস্তিত্ব নেই তার মূল কারন গুলি নিয়ে আমি নিজেই ছোট একটি ভিডিও প্রতিবেদন তৈরি করেছি। এখানে আমি এমন কিছু জিনিষ বলার চেষ্টা করেছি যা হয়ত আপনার অজানা।
একটু বলে রাখি, ভিডিওটি একদম কাঁচা হাতের কাজ। অনেক ভুল হয়েছে করতে যেয়ে, কোন পূর্বের প্রস্তুতি ছাড়াই শুধু মাত্র আপনাদের বোঝাবার স্বার্থে এটি বানিয়েছি। আশা করব ভুল হলে সেটা কে এড়িয়ে আমি যে তথ্য গুলিকে জানাবার চেষ্টা করেছি সেগুলির উপর বেশি নজর দিবেন। তাহলে চলুন দেখে নেই ভিডিওটি,
ভিডিওটি দেখে নিশ্চই মনে অনেক প্রশ্ন এসেছে, এবার তাহলে ধীরে ধীরে তার উত্তর দেওয়া শুরু করা যাক। তবে তার আগে একটু ভুল স্বীকার করে নেই। ভিডিওটি বলেছি পানি কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বাষ্পে পরিনত হবে আসলে তা সেকেন্ড না হয়ে হবে মিনিট। এ বাদে আর সব তথ্য আমার জ্ঞান অনুসারে ঠিক আছে। আর অন্য কোন গ্রহ যাতে আমাদের বসবাস করার পরিবেশ আছে সেই গ্রহ নিয়ে আগেই আলোচনা করে ফেলেছি। তাই নিচে এ নিয়ে আর কোন কথা বলব না।
ভিডিওটি শুরু হবার আগে আমি ২টি কারন উল্লেখ করেছিলাম, যার কারনে এই মঙ্গল গ্রহে আমারা মঙ্গল গ্রহে বসবাসের স্বপ্ন দেখছি। এখন বলব কেন এখন পর্যন্ত আমরা এই গ্রহে প্রান খুঁজে বেড়াচ্ছি।
"মংগল গ্রহে আবিস্কৃত পানি ধারা" লেখায় আপনাদের জানিয়েছিলাম সম্প্রতি আবিস্কৃত পানির ধারার কথা। আর এই পানির কারনেই বিজ্ঞানীদের ধারনা এখানে প্রান আছে। কেননা যেখানে তরল পানি থাকবে সেখানে প্রানের অস্তিত্ব থাকবেই থাকবে। তবে এক্ষেত্রে একটু ভিন্ন। বিজ্ঞানীদের ধারনা মঙ্গলের ভূগর্ভে হয়ত এমন কোন পকেট আছে যেখানে এখনো পানি সংরক্ষিত আছে। আর যেহেতু সেখানে তরল পানি আছে তাই সেখানে অনুজীব থাকলেও থাকতে পারে। আর এটাই আশার আলো বিজ্ঞানীদের কাছে। তবে এক্ষেত্রে কোন বুদ্ধিমান প্রানি খুঁজে পাওয়া যে সম্ভব নয় তা অনেকটাই স্বীকার করে নিয়েছেন বিজ্ঞানিরা। তবে অনুজীব পাবার আশা এখন পর্যন্ত তারা টিকিয়ে রেখেছে।
তবে যদি কোন ভাবে এই পানির পকেট গুলি মঙ্গল গ্রহের বাইরের পরিবেশে উন্মুক্ত হয় তাহলে তার পরিনতি হবে বাস্পে আর এই পানিকে খুঁজে বের করার মত প্রযুক্তি এখন পর্যন্ত পৃথিবী থেকে মঙ্গল গ্রহে পাঠানো সম্ভব হয় নাই তাই বর্তমানে এই সকল পানির পকেট খুঁজে বের করাটাও অসম্ভব।
আচ্ছা ধরুন আপনি কোন ভাবে পৌছে গেলেন মঙ্গল গ্রহে, আর এখানে যেয়ে আপনাকে যে স্যুট দেওয়া হল আপনাকে এই বৈরী পরিবেশ থেকে রক্ষার জন্য। আপনি কোন ভাবে শুধু মাত্র হেলমেট খুলে ফেললেন তাহলে কি হবে আপনার সাথে তার একটা ধারনা পাবেন নিচের ছবি থেকে।
ভিডিওটি শুরু হবার আগে আমি ২টি কারন উল্লেখ করেছিলাম, যার কারনে এই মঙ্গল গ্রহে আমারা মঙ্গল গ্রহে বসবাসের স্বপ্ন দেখছি। এখন বলব কেন এখন পর্যন্ত আমরা এই গ্রহে প্রান খুঁজে বেড়াচ্ছি।
"মংগল গ্রহে আবিস্কৃত পানি ধারা" লেখায় আপনাদের জানিয়েছিলাম সম্প্রতি আবিস্কৃত পানির ধারার কথা। আর এই পানির কারনেই বিজ্ঞানীদের ধারনা এখানে প্রান আছে। কেননা যেখানে তরল পানি থাকবে সেখানে প্রানের অস্তিত্ব থাকবেই থাকবে। তবে এক্ষেত্রে একটু ভিন্ন। বিজ্ঞানীদের ধারনা মঙ্গলের ভূগর্ভে হয়ত এমন কোন পকেট আছে যেখানে এখনো পানি সংরক্ষিত আছে। আর যেহেতু সেখানে তরল পানি আছে তাই সেখানে অনুজীব থাকলেও থাকতে পারে। আর এটাই আশার আলো বিজ্ঞানীদের কাছে। তবে এক্ষেত্রে কোন বুদ্ধিমান প্রানি খুঁজে পাওয়া যে সম্ভব নয় তা অনেকটাই স্বীকার করে নিয়েছেন বিজ্ঞানিরা। তবে অনুজীব পাবার আশা এখন পর্যন্ত তারা টিকিয়ে রেখেছে।
তবে যদি কোন ভাবে এই পানির পকেট গুলি মঙ্গল গ্রহের বাইরের পরিবেশে উন্মুক্ত হয় তাহলে তার পরিনতি হবে বাস্পে আর এই পানিকে খুঁজে বের করার মত প্রযুক্তি এখন পর্যন্ত পৃথিবী থেকে মঙ্গল গ্রহে পাঠানো সম্ভব হয় নাই তাই বর্তমানে এই সকল পানির পকেট খুঁজে বের করাটাও অসম্ভব।
আচ্ছা ধরুন আপনি কোন ভাবে পৌছে গেলেন মঙ্গল গ্রহে, আর এখানে যেয়ে আপনাকে যে স্যুট দেওয়া হল আপনাকে এই বৈরী পরিবেশ থেকে রক্ষার জন্য। আপনি কোন ভাবে শুধু মাত্র হেলমেট খুলে ফেললেন তাহলে কি হবে আপনার সাথে তার একটা ধারনা পাবেন নিচের ছবি থেকে।
হেলমেট খোলার সাথে সাথেই আপনার শরীর থেকে পানি বেড়িয়ে যেতে থাকবে কেননা এখানে বাতাসের কোন আদ্রতা নেই বললেই চলে আর ভূপৃষ্টে আশা অতিবেগুনী রশ্মি নিমিষের মধ্যেই আপনার DNA এর গঠন পরিবর্তন করে দিবে। অর্থাৎ শরীরের পানি শুকিয়ে যদি আপনি মমিতে রূপান্তরিত নাও হন তাহলে DNA এর এই পরিবর্তন আপনার শরীরে মারাত্মক ক্ষতি করবে। কিন্তু পৃথিবীতে এই অতিবেগুনী রশ্মী এমন একটা মাত্রায় প্রবেশ করে যে তা আপনার শরীরে "ভিটামিন ডি" তৈরি করতে সাহায্য করে কিন্তু মঙ্গলে করবে ঠিক তার উল্টা।
মঙ্গল গ্রহের বাতাসের গঠন |
কি এখন বুঝতে পারছেন এই মঙ্গল গ্রহে কেন কোন প্রান নেই আর কেননই বা আমরা লাল এই মৃত গ্রহের মধ্যে আজো প্রান খুঁজে বেড়াচ্ছি?
যা হোক এবার আপনাদের সাথে মঙ্গল গ্রহ নিয়ে অনেক কিছু আলোচনা করা হল কিন্তু যেটা হল না সেটা হল আপনাদের নিয়ে মঙ্গল গ্রহ যাত্রা। কি ভাবছেন কি ভাবে আবার নিয়ে যাব এই মঙ্গল গ্রহে? এর জন্য খুব ছোট একটা জিনিষ আপনার কম্পিউটারে ইন্সটল করা লাগবে। এটার নাম "Google Earth", আর এর মাধ্যমেই আপনি খুব সহজেই ঘুরে বেড়াতে পারবেন মঙ্গল গ্রহে। এর জন্য আপনি প্রথেম Google Earth ডাউনলোড করুন। আর এর পরে নিচে দেওয়া নির্দেশনা গুলি অনুসরন করুন আর মঙ্গল গ্রহে ঘুরে বেড়াবার আনন্দ উপভোগ করুন আমার মত।
মঙ্গল গ্রহতো এবার আপনার হাতের মুঠায়। তবে এই গ্রহের আসল সৈন্দর্য উপভোগ করতে পারবে হাবল টেলিস্কোপে তোলা মঙ্গল গ্রহের মনোমুগ্ধকর কিছু ছবি দেখে।
আমাদের ভবিষ্যতে কি আছে তা এখনই অনেকটা বলা সম্ভব হলেও এই মঙ্গলের ভবিষ্যতে আমরা আছি কিনা তা বলাটা অনেকটাই কঠিন। কেননা আমাদের বেঁচে থাকার মত পরিবেশ তৈরি করে সেখানে স্থায়ী ভাবে বসবাস করাটা অনেক কঠিন একটা কাজ। অবশ্য মানব সভ্যতা প্রমান করেছে যে তারা অসাধ্যকে সাধন করতে সক্ষম আর তার উপর দাঁড়িয়ে আমরাও আশা করতে পারি হয়ত ভবিষ্যতে আমরাও বিভিন্ন গ্রহে গ্রহে গড়ে তুলব মানব সভ্যতা। তবে আপাতত অপেক্ষা করা বাদে আর কিছুই করার নেই আমাদের।
লেখকঃ জানা অজানার পথিক।
আমাদের ভবিষ্যতে কি আছে তা এখনই অনেকটা বলা সম্ভব হলেও এই মঙ্গলের ভবিষ্যতে আমরা আছি কিনা তা বলাটা অনেকটাই কঠিন। কেননা আমাদের বেঁচে থাকার মত পরিবেশ তৈরি করে সেখানে স্থায়ী ভাবে বসবাস করাটা অনেক কঠিন একটা কাজ। অবশ্য মানব সভ্যতা প্রমান করেছে যে তারা অসাধ্যকে সাধন করতে সক্ষম আর তার উপর দাঁড়িয়ে আমরাও আশা করতে পারি হয়ত ভবিষ্যতে আমরাও বিভিন্ন গ্রহে গ্রহে গড়ে তুলব মানব সভ্যতা। তবে আপাতত অপেক্ষা করা বাদে আর কিছুই করার নেই আমাদের।
লেখকঃ জানা অজানার পথিক।
অনেক কিছু সম্পর্কে আমার কোন ধারনাই ছিল না। অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ সুন্দর করে ব্যাখ্যা করার জন্য।
উত্তরমুছুনধন্যবাদ... :)
মুছুন৬০০ আলোক বর্ষ দূরে মানে, আমরা টেলিস্কোপে অই গ্রহের ৬০০ বছর আগের অবস্থা দেখতে পাই, আর অই গ্রহ থেকে কেও যদি আমাদের পৃথিবীকে দেখে তাহলে জলন্ত গ্রহ দেখতে পাবে!!! কেন??? মাত্র ৬০০ বছর আগে কি আমাদের পৃথিবী জলন্ত অবস্থায় ছিলো? বিষয় টা কি একটু পরিস্কার করবেন?
উত্তরমুছুনকোন বস্তুর উপর যখন আলো পরে এবং তা প্রতিফলিত হয়ে আমাদের চোখে এসে পরে তখন আমরা তা দেখতে পারি। তাহলে যে বস্তু ৬০০ আলোক আলোক বর্ষ দূরে রয়েছে এবং তা আমরা বর্তমানে যা দেখতে পাচ্ছি সেই প্রতিফলিত আলো বর্তমান সময় থেকে ৬০০ বছর আগে প্রতিফলিত হয়েছে। আর সেই প্রতিফলিত আলো আমরা দেখছি।
মুছুননা ৬০০ বছর আগে মোটেও পৃথিবী জলন্ত অগ্নি কুন্ড ছিল না... কিন্তু ডাইনোসরের বিলুপ্তির সময়কার সাথে একটু মিলিয়ে দেখুন... বুঝতে পারবেন...
আমারো ভুল যেতে পারে... সময় নিয়ে একটু হিসাব করে ঠিক করে দিব... তবে ভুল হয়েছে সম্ভবত আমার... ধন্যবাদ... ভুল ধরিয়ে দেবার জন্য :)
valo bole6en
উত্তরমুছুনধন্যবাদ... :)
মুছুনnice
উত্তরমুছুনধন্যবাদ...
মুছুন