২০০৭ সালের ম্যাক্সিকো। একজন কৃষক তার ফার্ম ঘুরে দেখার সময় দেখতে পেল অদ্ভুদ দর্শনের দু'টি প্রানী। তাকে দেখে প্রানী দু'টি পালাবার সময় একটি ধরা পরল শিয়াল ধরার ফাঁদে। তিনি প্রানীটিকে ধরে ভয়ে অথবা অন্য যে কোন কারনে প্রানীটিকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করল। কৃষকের মতে প্রায় ঘন্টা খানেক পানিতে ঢুবিয়ে রাখার পরে প্রানীটি মারা যায়। এরপরে কৃষক প্রানীটির দেহ নিয়ে যায় বিজ্ঞানীদের কাছে। প্রথমে বিজ্ঞানীরা ভূয়া মনে করলেও পরে তারা জানতে পারে এটি সত্যিকার অর্থেই জীবন্ত কোন প্রানী ছিল। কেননা এটি Carbon Based Organism (প্রতিটি জীবন্ত প্রানী Carbon Based Organism), এমনকি তারা এই প্রানীর DNA সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। কিন্তু এই প্রানীর DNA পৃথিবীর কোন প্রানীর DNA এর সাথে মিলে না। এর DNA সম্পূর্ন আলাদা।
প্রানীটি মানুষ এবং গিরগিট প্রজাতির সংমিশ্রন। এর মাথার আকৃতি বড় থাকায় সহজেই ধরে নেওয়া যায় বেশ বুদ্ধিমান প্রানী এটি। এছাড়াও বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে দেখতে পান যে এই প্রানীটি অক্সিজেন ছাড়া কয়েক ঘন্টা বেঁচে থাকতে সক্ষম। পৃথিবীর বুকে এই বৈশিষ্টের কোন প্রানীর অস্তিত্ব এখন পর্যন্ত আবিস্কার করা সম্ভব হয়নি।
চলুন এবার প্রানিটিকে বানানো ছোট একটি ভিডিও প্রতিবেদন দেখে নেই,
রহস্যজনক ভাবে যে কৃষক এই প্রানীটির মৃত দেহ বিজ্ঞানীদের কাছে এনেছিলেন অর্থাৎ যিনি এই প্রানীকে ধরা এবং হত্যা করার জন্য দায়ি তিনি এক গাড়ি দূর্ঘটনায় মারা যান। তার গাড়ির আগুন নেভাবানোর দ্বায়িত্যে কর্তব্যরত অগ্নি নির্বাপন ব্যাবস্থার কর্মীদের মতে তার গাড়ির আগুনের তাপমাত্রা অন্যান্য আগুনের তাপমাত্রার তুলনায় অনেক বেশি ছিল। তাহলে কি বেঁচে যাওয়া আরেকটি প্রানী (এলিয়েন) তার সাথির হত্যার প্রতিশোধ নিল?! এর কোন সঠিক উত্তর কারো জানা নেই।
ভিডিও সংগ্রহেঃ জানা অজানার পথিক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন