জলপরী বা মৎস কন্যা যেটাই বলি না কেন, কয়েক শত বছর ধরে কল্প কাহিনীর এই চরিত্র গুলি আমাদের বরাবরই রোমাঞ্চিত করে এসেছে। অনেক আগের থেকেই অনেক নাবিকেরা বলত যে তারা গভীর সমুদ্রে এমন কিছু দেখেছে যার অর্ধেক মানুষ আর অর্ধেক মাছ। কেউ এটাকে পাত্তা দেয় নাই, দেবার কথাও না, কেননা ততদিনে এই জলপরী জায়গা করে নিয়েছে আমাদের কল্পনার জগতের কোন এক কল্প চরিত্রে।


কিন্তু আসলেই কি এই জলপরীদের অস্থিত্ব শুধু মাত্র আমাদের কল্পনায়? নাকি সত্যি সত্যি তাদের অস্তিত্ব রয়েছে আমাদের এই পৃথিবীতে। আজ আমি আপনাদের সামনে এমন কিছু ভিডিও ডকুমেন্টরি তুলে ধরব যা আপনাদের বাধ্য করবে বিশ্বাস করতে যে সত্যি সত্যি জলপরীর অস্তিত্ব রয়েছে এই পৃথিবীতে।
এই ডকুমেন্টারিটি বানিয়েছে Animal Planet নামে বিখ্যাত এক চ্যানেল। যেখানে রয়েছে এই জলপরীর অস্তিত্বের অকাট্য প্রমান। তাহলে আসুন প্রথমেই এই ভিডিওটি দেখে নেই। আরেকটি কথা ভিডিওটি সম্পূর্ন দেখবেন তা না হলে পরবর্তিতে আমার দেওয়া অন্যান্য তথ্য গুলি বুঝতে আপনার সমস্যা হতে পারে। আর একটি কথা তা হল এই ভিডিও আবার সব দেশে থেকে দেখা সম্ভব না। তাই আপনি দেখতে না পারলে দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই।
তাহলে আসুন এবার দেখে নেওয়া যাক Animal Planet এর বানানো Mermaid The Body Found অনুষ্ঠানটি,
কি অবাক হচ্ছেন? হবার কথা কেননা আমি নিজেও অবাক হয়েছি। যা হোক কিছু বিষয়ে আগে পরিস্কার করে দেই। আপনার এখানে অনেক বার শুনেছেন Sonar Weapon এর কথা। নিশ্চই মাথার মধ্যে ভন ভন করে ঘুরছে এই অস্ত্রের কাজ কি? আমি খুব বেশি জানি বলব না তবে যা জানি তা হল, সমুদ্রের প্রানীরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করার জন্য বা আসে পাশে সব কিছুর অবস্থান নির্ধারনের জন্য এক ধরনের তীব্র কম্পাংকের শব্দ তৈরি করে যা দিয়ে তারা যোগাযোগ রক্ষা তো করেই আবার অনেকটা বাদুড়ের মত চারিপাশের সব কিছুর অবস্থান জেনে নেই। আর Sonar Weapon হল এমন এক যন্ত্র বা অস্ত্র যা দিয়ে ঠিক একই কম্পাংকে শব্দকে এমন এক মাত্রায় নিয়ে যাওয়া যায় যে তার সংস্পর্শে যে জীবন্ত প্রানী আসবে তার মস্তিস্কের রক্তনালী গুলি ছিড়ে যাবে এবং সাথে সাথে মারা যাবে। তিমি গুলির অবস্থা নিশ্চই লক্ষ্য করেছে ভিডিওটিতে। তাদের কানের পর্দা ফেটে রক্ত বেড়িয়ে এসেছিল।
ভিডিওটির শেষের দিকে দেখা যায় দু'টি ছেলের সাথে সাক্ষাত করতে যান সমুদ্র জীব বিজ্ঞানী ড. ব্রাইন আর তার সহযোগি। সেখানে তারা সেই ছেলেদের সাথে সাথে যোগাযোগ করেন যারা সবার প্রথমে তিমিদের মৃত দেহের কাছে পৌছে ছিলেন। যাদের বাড়িতে নেভির লোকজন এসে বুঝিয়ে দিয়ে গেছে যে না ওটা ছিল একটা সাধারন সীল (সামুদ্রিক প্রানি)। নেভির লোকেরা সব প্রমান সরিয়ে নিলেও ছেলেটি তার ভিডিওর কথা সম্পূর্ন চেপে যায়। আর সালটা ছিল ১৯৯৯ তাই হয়ত নেভির লোকেরা ফোনে ভিডিও থাকার কথা চিন্তা করে নাই। এরপর এই ভিডিও চলে আসে ড. ব্রাইনের কাছে আর সেখান থেকে Animal Planet এর কাছে। চলুন ভিডিওটি আরেকবার দেখে নেওয়া যাক,
ভিডিওটি দেখার পর কিন্তু আমার বেশ ভয় লাগছে, আপনার কি অবস্থা? একানে একটা জিনিষ মাথায় রাখবেন, এই মারমেড কিন্তু Sonar Weapon দ্বারা আহত, আর তার মস্তিস্কের রক্ত নালী যদি ছিড়ে যেয়ে থাকে তাহলে সে মারা যাবে খুব তাড়াতাড়ি। এখানে ভিডিওটিতে জীবিত দেখলেও নেভিরা কিন্তু একে জীবিত পায় নাই। ঐ যে ছায়ার মধ্যে বসে থাকা নেভির লোকটি কিন্তু প্রথম ভিডিওতে অকপটে শিকার করেছেন যে তারা সেখান থেকে কোন জীবিত মারমেড পান নাই।
![]() |
এই সেই মারমেড যার ভিডিও উপরে দেখেছেন |
কি বুঝলেন? এখানেও দেখা গেল সেই মারমেড। দেখলেন এখানেও পূর্বের মত শব্দ শোনা যাচ্ছিল। এই মারমেডরা যে বেশ বুদ্ধিমান তা নিজেদের লুকিয়া রাখার ক্ষমতা মধ্যে দিয়ে আর শিকারের জন্য যে অস্ত্র বানিয়েছে তা দিয়ে বেশ ভাল মত প্রমান করেছে। আর সব থেকে অবাক করার বিষয় হচ্ছে এই ভিডিও প্রকাশ পাবার পরে ড্যানিসরা সমুদ্রের ঐ অঞ্চলে সব ধরের গ্যাস এবং তেল খোঁজ বন্ধো রেখেছে। জিনিষটা কিন্তু ভেবে দেখার মত। এবার আসি তৃতীয় ঘটনায়, সমুদ্র পাড়ের ধার ঘেষে পাহাড়ের উপরের দিয়ে হেঁটে যাবার সময় দু'জন মিলে সমুদ্রে পাথরের উপর কোন একটা অদ্ভুদ প্রানীকে দেখে ভিডিও করা শুরু করে। পরবর্তিতে দেখা যায় এটি একটি মারমেড। এটিই মারমেডের সর্বশেষ ভিডিও যা আমাদের হাতে রয়েছে।
মারমেড নিয়েতো মানুষে আসলে কল্পনা জল্পনার শেষ নেই। এই ভিডিও গুলি দেখার পরে মনে হচ্ছে যেন সত্যি মারমেড আছে। কিন্তু এত দিন যে চরিত্র গুলি গল্পতে পড়ে এসেছি তা হঠাত করে চোখের সামনে জীবন্ত হয়ে ওঠায় বিশ্বাস করতে বেশ কষ্টো হচ্ছে। এই মারমেড কে ঘিড়ে কিন্তু মানুষের জল্পনারও অভাব নেই। এরই মধ্যে নেটে খোঁজা খুজি করে বেশ ক'টি ভূয়া মারমেডের ছবিও পেয়েছি। নিচের ভিডিওটি দেখলে মোটামুটি একটা ধারনা পাবেন,
এই মারমেডের সত্যি না মিথা তা বিশ্বাস অবিশ্বাস করা এখন একান্ত আপনার নিজেস্ব বিষয়। তবে শত বছরের কল্প কাহিনীর এই মারমেড যদি সত্যি সত্যি থেকে থাকে তাহলে বিস্ময়ের কোন কমতি থাকবে না।
লেখকঃ জানা অজানার পথিক।