২০০৭ সালের মে মাস। চিলির 'পাতাগোনিয়ার ক্যাচেট-২' হ্রদটি আক্ষরিক অর্থেই অদৃশ্য হয়ে যায়। আর পিলে চমকানো এ ঘটনাটি ঘটে একদিনেরও কম সময়ে। হ্রদটি যেনতেন আকৃতির হ্রদ ছিল না, লম্বায় ছিল এটা ৫ মাইল! কিন্তু হ্রদটি অদৃশ্য হয়ে গেল, পেছনে নিজের অস্তিত্বের চিহ্ন হিসেবে রেখে গেল ৩০ মিটার গভীর খাদ, হিমশৈল ও শুকনো মাটি। ২০০৭ এর মার্চে যখন সর্বশেষ বিজ্ঞানীরা এটাকে দেখেন তখনো অদ্ভুত কিছু যে ঘটতে যাচ্ছে সেটা অনুমান করা যায় নাই। যাই হোক, ২ মাসের মাথায় এরকম একটি রহস্যময় ঘটনা ঘটলো যেটা হ্রদকেই শুধু অদৃশ্য করে দিল না, একই সাথে হ্রদ থেকে তৈরি হওয়া নদীটিকে একটি ক্ষুদ্র পানির ধারায় পরিণত করে। ভূ-তত্ত্ববিদরা অবাক হয়ে গেলেন যে, কেন এত বড় একটি হ্রদ মূহুর্তের তার ২০০ মিলিয়ন কিউবিক লিটার পানি নিয়ে মাটির মাঝে অদৃশ্য হয়ে গেল।


নাসা তার 'The Advanced Spaceborne Thermal Emission and Reflection Radiometer (ASTER)' যন্ত্র নিয়ে মাঠে নামলো ঘটনা অনুসন্ধানের জন্য। ২৩ জুন, ২০০৭ সালে নাসার টেরা উপগ্রহ হ্রদের উপরের পৃষ্ঠের ছবি তুলে। দেখা যায়, পানিতে নিমজ্জিত আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখের দাঁড়িয়ে থাকা এ হ্রদ শুকিয়ে গিয়েছে। প্রথমে এই জ্বালামুখটিকে দেখা যায় নাই, কারণ সেসময় দক্ষিণ গোলার্ধে সূর্য কিছুটা নিচু হয়ে আলো দিচ্ছিল, যেহেতু সময়টা ছিল শীতকাল। হ্রদটি টেম্পানোস ও বারনার্ডো নামে দুটি হিমশৈলের মাঝে অবস্থিত ছিল।
কোন একটি হ্রদের পুরোপুরিভাবে শুকিয়ে যাওয়ার ঘটনা বিরল। বিজ্ঞানীদের ধারণা হ্রদের নিচে ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্প হওয়াতে সেখানে মাটি ফাঁকা হয়ে যায়, ফলে হ্রদের পানি সেখান দিয়ে প্রবেশ করে ও হ্রদ শুকিয়ে যায়। আরেকটা ব্যাখ্যা ছিল, বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ার কারণে হ্রদের বরফাবৃত অংশ গুলো হঠাৎ করেই গলে যায়, বিপুল বন্যা বা স্রোত সৃষ্টি হয়ে পুরো পানি হ্রদের মূল অবস্থান ত্যাগ করে চলে যায়। ২০০৭ এর জুনে Centro de Estudios Cientificos (CECS) এর বিজ্ঞানীরা ও চিলির নৌবাহিনীর বিশেষজ্ঞরা এ ধারণাটিকে মেনে নেন।
কোন একটি হ্রদের পুরোপুরিভাবে শুকিয়ে যাওয়ার ঘটনা বিরল। বিজ্ঞানীদের ধারণা হ্রদের নিচে ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্প হওয়াতে সেখানে মাটি ফাঁকা হয়ে যায়, ফলে হ্রদের পানি সেখান দিয়ে প্রবেশ করে ও হ্রদ শুকিয়ে যায়। আরেকটা ব্যাখ্যা ছিল, বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ার কারণে হ্রদের বরফাবৃত অংশ গুলো হঠাৎ করেই গলে যায়, বিপুল বন্যা বা স্রোত সৃষ্টি হয়ে পুরো পানি হ্রদের মূল অবস্থান ত্যাগ করে চলে যায়। ২০০৭ এর জুনে Centro de Estudios Cientificos (CECS) এর বিজ্ঞানীরা ও চিলির নৌবাহিনীর বিশেষজ্ঞরা এ ধারণাটিকে মেনে নেন।
ভূমিকম্পের ধারণাটি খুব বেশি গ্রহণযোগ্য হয় নাই কারণ মে মাসে চিলিতে ভূমিকম্পের রেকর্ড তেমন নেই। অনেকের মতে, মাটির নিচ থেকে কোন ভিন গ্রহের যান উঠে এসেছিল, যেটা হ্রদের পুরো পানি শুষে নেয়। সে যাই হোক, এখনো হ্রদের অদৃশ্য হয়ে যাবার কোন যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা পাওয়া যায় নাই।
লেখকঃ জানা অজানার পথিক।
লেখকঃ জানা অজানার পথিক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন