মানুষ যে একটি বুদ্ধিমান প্রাণী, তার জন্য অনেকটাই দায়ী মানুষের মাথার খুলির আকৃতি। শরীরের তুলনায় বেশ ভালো একটা আকৃতির মাথা আছে আমাদের আর তার ভেতরে আছে তেমনই বড়সড় মস্তিষ্ক। স্বাভাবিক ভাবেই ধরে নেওয়া যায়, মস্তিষ্কের আকার আরও বড় হলে, মানুষের বুদ্ধি বাড়বে। এবার চিন্তা করুন তো, পেরুতে পাওয়া এসব লম্বাটে মাথার খুলি যেসব মানুষের ছিলো তাদের বুদ্ধিমত্তাও কি মানুষের চাইতে বেশী হবার কথা না? উচ্চমাত্রার বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন এসব মানুষেরা কি আসলেই মানুষের কোনো প্রজাতি ছিলো, নাকি ছিলো কোনো এলিয়েন?
পেরুর এই লম্বাটে, প্রায় কৌণিক আকৃতির খুলির অনেক ব্যাখ্যা দেন অনেকে। সবচাইতে প্রচলিত ব্যাখ্যা হলো, এটা হলো পেরুর প্রাচীন সভ্যতার একটি রীতির ফলাফল, যেখানে বাচ্চাদের মাথা শক্ত করে বেঁধে দেওয়া হতো এবং এর ফলে তাদের মাথা লম্বা হয়ে যেত। কিন্তু এসব খুলির আকার-আকৃতি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এগুলোকে বেঁধে এমন আকৃতি দেওয়া হয়নি। মানুষের খুলি বেঁধে এত বড় করে ফেলা সম্ভব নয়। ওই এলাকায় কোনও এক সময়ে মাথা বাঁধার প্রথা ছিলো বটে, কিন্তু এটা সম্ভব যে, এমন লম্বা খুলি যাদের ছিলো, তাদের মত চেহারা করার আশায় পরবর্তীতে মাথা বাঁধার প্রচলন হয়। এমন প্রাচীন লম্বা খুলি শুধু পেরুই নয়, পৃথিবীর অন্যান্য অনেক স্থানেই পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীরা মত দেন যে শিশুদের মাথা বাঁধার ফলে এমন বিকৃত হয়ে যেতে পারে। কিন্তু আসল প্রশ্ন হলো, ঠিক কি কারণে এসব সভ্যতার মানুষেরা মাথা বাঁধা শুরু করলো? সে সময়েই কি তাদের ধারণা ছিলো, যে এমন বড় মাথা বিশিষ্ট কোনও একটি উচ্চ বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন এলিয়েন প্রজাতি আছে এবং তাদের মত বুদ্ধিমত্তার অধিকারী হবার উদ্দেশ্যেই কি তারা এমনভাবে মাথার আকৃতি বিকৃত করতে শুরু করে?
পেরুর পারাকাস এলাকায় পাওয়া যায় এসব খুলি। একই এলাকায় রয়েছে রহস্যময় নাজকা লাইন সমূহ। এই খুলি গুলোর সাথে স্বাভাবিক মানুষের খুলির রয়েছে অনেক পার্থক্য। মানুষের খুলিতে থাকে দুইটি ক্রেনিয়াল প্লেট, ফ্রন্টাল প্লেট এবং দুইটি প্যারাইটাল প্লেট। কিন্তু পারাকাস খুলিতে দেখা যায় মাত্র দুইটি প্লেট, একটি ফ্রন্টাল এবং একটি প্যারাইটাল। সাধারণ মানুষের খুলির চাইতে এর আয়তন ২৫ শতাংশ বেশী। এর নাক ও চোখের কোটর স্বাভাবিকের চাইতে বড়। এছাড়াও খুলির পেছনে স্নায়ুর জন্য রয়েছে দুইটি ছিদ্র। সাধারণ একটি মানব খুলির হাড় এত পুরু হতে দেখা যায় না। এদের চোয়ালও অনেকটা বড় এবং দাঁতের সংখ্যা কম। এসব থেকে মোটামুটি নিশ্চিত হওয়া যায় যে এই খুলি মানব খুলি নয়। কিন্তু তার পরেও অনেক নৃবিজ্ঞানী এদেরকে এলিয়েন খুলি বলে মানতে নারাজ।
তবে ২০১১ সালে পেরুর 'কুজকোর প্রিভাদো আন্ডিনোস মিউজিয়াম' এর 'রেনাটো ডাভিলা রিকুয়েম' এমন কিছু পান যা দেখে আসলেই ধাঁধাঁয় পড়ে যান তিনি। 'আন্দাহুয়াইলিয়ান্স' নামের একটি গ্রামে তিনি খুঁজে পান দুইটি ছোট ছোট মমি। এক সময়ে ইনকা সাম্রাজ্যের মাঝে থাকা এই গ্রামটিতে পাওয়া মমি দুইটির শরীর একেবারে ছোট্ট আকৃতির, মাত্র ২০ ইঞ্চির মত। কিন্তু অবাক ব্যাপার হলো, এদের মাথার আকৃতি প্রায় পুরো শরীরটির সমান। এদের মস্তিষ্কে ফন্টানেলি নামের একটি ক্ষুদ্র ফাকা অংশ ছিলো যা থেকে বোঝা যায় এগুলো ছোট শিশুর মমি। কিন্তু এদের মুখে আবার ছিলো সম্পূর্ণ মোলার বা মাড়ির দাঁত যা বাচ্চাদের থাকার কথা না। হাইড্রোসেফালি নামের এক ধরণের সমস্যায় মস্তিষ্কে পানি জমে তার চাপে মস্তিষ্ক লম্বা হয়ে যেতে দেখা যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে অন্যান্য ব্যাপার গুলো ব্যাখ্যা করা যায় না। শুধু তাই নয়, স্পেন এবং রাশিয়ার নৃবিজ্ঞানীরা একে পর্যবেক্ষণ করে মত দেন, এই শরীর গুলো মানুষের নয়। এ থেকেই মূলত ধারনাটি শক্ত হয় যে, এগুলো প্রাচীন এলিয়েনের শরীর এবং তাদেরকে দেখে সে সময়ে কিছু কিছু জনগোষ্ঠীর মানুষের মাঝে মাথা বাঁধার প্রচলন হয়েছিলো।
তবে ২০১১ সালে পেরুর 'কুজকোর প্রিভাদো আন্ডিনোস মিউজিয়াম' এর 'রেনাটো ডাভিলা রিকুয়েম' এমন কিছু পান যা দেখে আসলেই ধাঁধাঁয় পড়ে যান তিনি। 'আন্দাহুয়াইলিয়ান্স' নামের একটি গ্রামে তিনি খুঁজে পান দুইটি ছোট ছোট মমি। এক সময়ে ইনকা সাম্রাজ্যের মাঝে থাকা এই গ্রামটিতে পাওয়া মমি দুইটির শরীর একেবারে ছোট্ট আকৃতির, মাত্র ২০ ইঞ্চির মত। কিন্তু অবাক ব্যাপার হলো, এদের মাথার আকৃতি প্রায় পুরো শরীরটির সমান। এদের মস্তিষ্কে ফন্টানেলি নামের একটি ক্ষুদ্র ফাকা অংশ ছিলো যা থেকে বোঝা যায় এগুলো ছোট শিশুর মমি। কিন্তু এদের মুখে আবার ছিলো সম্পূর্ণ মোলার বা মাড়ির দাঁত যা বাচ্চাদের থাকার কথা না। হাইড্রোসেফালি নামের এক ধরণের সমস্যায় মস্তিষ্কে পানি জমে তার চাপে মস্তিষ্ক লম্বা হয়ে যেতে দেখা যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে অন্যান্য ব্যাপার গুলো ব্যাখ্যা করা যায় না। শুধু তাই নয়, স্পেন এবং রাশিয়ার নৃবিজ্ঞানীরা একে পর্যবেক্ষণ করে মত দেন, এই শরীর গুলো মানুষের নয়। এ থেকেই মূলত ধারনাটি শক্ত হয় যে, এগুলো প্রাচীন এলিয়েনের শরীর এবং তাদেরকে দেখে সে সময়ে কিছু কিছু জনগোষ্ঠীর মানুষের মাঝে মাথা বাঁধার প্রচলন হয়েছিলো।
ব্যাপারটা শুধু পেরুর পারাকাস এলাকায় দেখা গেলে হয়তো জেনেটিক ত্রুটি বা রোগ বলে একে বাতিল করে দেওয়া যেত। কিন্তু শুধু পেরু নয় বরং বিভিন্ন প্রাচীন সভ্যতায় দেখা যায় বিকৃত এবং স্বাভাবিকের চাইতে বড় খুলির নমুনা। মায়ান সভ্যতা, মিশরীয় সভ্যতা, মেক্সিকান, ভূমধ্যসাগরীয়, মেলানেশিয়, এমনকি ভ্যাটিকান এলাকাতেও পাওয়া গেছে এমন বিকৃত খুলি। তাদের কোনটি শুধুই লম্বাটে, কোনটি বৃহৎ এবং গোলাকার, কোনটি কৌণিক। এসব খুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে অন্য কোনও সময়। কিন্তু প্রশ্ন অন্যখানে। এসব সভ্যতায় কি একই ধরণের বড় মাথাওয়ালা এলিয়েনের আগমন ঘটেছিলো যার ফলে এদের মাঝে মাথা বেঁধে আকার বড় করার প্রথা চলে আসে? যদি তাই হয় তবে ঠিক কি কারণে এসব এলিয়েনরা এসেছিলো পৃথিবীতে আর ঠিক কি করে রেখে গেছে তারা? হয়তো এমন এক দিন আসবে যখন আমরা জানতে পারবো এসব প্রশ্নের উত্তর। কিন্তু তার আগ পর্যন্ত এসব খুলির রহস্য ধোঁয়াশাতেই রয়ে যাবে আমাদের কাছে।
লেখকঃ দিয়া।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
লেখকঃ দিয়া।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন