আজ আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিব পানির নিচে থাকা কিছু অদ্ভুত ও বৈচিত্রময় কিছু জিনিষের সাথে। আপনাদের কাছে তুলে ধরব আমাদের এই ধরনীর ভিন্ন ভিন্ন কিছু জিনিষ যা কিছু মানুষের সৃষ্টি আর কিছু প্রকৃতির সৃষ্টি।
বাল্টিক সাগরের অভ্যন্তরের আশ্চর্য বস্তুটি আবার খবরের কাগজের শিরোনাম হল। যাকে অভিহিত করা হত “আশ্চর্য” ও “ রহস্যময় হিসেবে। গত এক বছর ধরে বাল্টিক সাগরে অভিযান চালিয়েছিল সুইডিশ অভিযাত্রী Peter Lindberg এর নেতৃত্বে Ocean X Team । পূর্বে মনে করা হত এটি হারিয়ে যাওয়া শহর আটলান্টিসের খণ্ডাংশ। যা পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল। Lindberg-এর ভাষ্যমতে এই আশ্চর্য বস্তুটির গঠন অদ্ভুত যা গঠিত হয়েছে বরফ যুগেরও পূর্বে। উল্লেখ্য যে পৃথিবীতে বরফ যুগ সংঘটিত আজ থেকে ২০০০০ পূর্বে। আবার তিনি বলেছেন এটা উল্কাও হতে পারে যা বরফ যুগে তুষারের স্তর ভেদ করে বাল্টিক সাগরের তলদেশে পতিত হয়েছিলো। অথবা এটি বাল্টিক সাগরের তলদেশে অবস্থিত কোন আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখে গঠিত কোন শিলা স্তর। কিন্তু মুদ্দা কথা হল এই অঞ্চলে সাগরের তলদেশে কোন সক্রিয় কিংবা মৃত আগ্নেয়গিরি নেই।


১৭ই ফেব্রুয়ারী ১৯৪৪ সালে ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় যখন মার্কিন বিমান বাহিনী প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপ নিউ গিনির কাছে জাপানী যুদ্ধজাহাজ Truk Atoll এর ৪০০ টন ক্ষমতা সম্পন্ন বোমা নিক্ষেপ করে সেই থেকে যেন এই অঞ্চলে স্কুবা ডাইভারদের জন্য তৈরি হয় অনন্য এক নিদর্শন। ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই অঞ্চলে ধ্বংস হয় ৪০টি যুদ্ধজাহাজ এবং ৩০০ টিরও বেশি যুদ্ধবিমান। প্রশান্ত মহাসাগরের নীল জলের নিচে ২৩০৫ বর্গকিলোমিটার জুড়ে এই অঞ্চলটি যেন সমারস্ত্রের যাদুঘর , যা ২য় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসলীলার সাক্ষ্য বহন করে। প্রাণে সাহস নিয়ে এই জায়গাটা ঘুরে বেড়ান স্কুবা ডাইভাররা। কারণ এখানে এখনও সক্রিয় আছে থর্পেডোর মত সামরিক অস্ত্র গুলো।
সমুদ্র সমতল থেকে ২০০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এই হ্রদটির নাম Kaindy Lake। এই হ্রদটি কাজাখস্তানের আলমাআতা (Almaty) শহর থেকে ৩২০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত। ৪০০ মিটার দৈর্ঘ্যের এই হ্রদের সর্বোচ্চ গভীরতা ৩০ মিটার। Kaindy শব্দের অর্থ full of Birch Trees। এই হ্রদের ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মানুষের দ্বারা রোপিত বার্চ গাছের বনাঞ্চল। কিন্তু তার চাইতেই বিস্ময় হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এই হ্রদের বার্চ গাছগুলো। ১৯১১ সালের সংঘটিত ভুমিকম্পে সৃষ্ট এই হ্রদটি প্রকৃতির এক আশ্চর্যজনক সংস্করণ। ভুমিধ্বসের কারণে সৃষ্ট এই হ্রদের গভীর থেকে দাঁড়িয়ে আছে ফার (fir) গাছগুলো। এত বছর পরেও যে গাছ গুলির কোন পচন ধরেনি। মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে হ্রদের উপরে।
Abrolhos Marine National Park (পর্তুগীজঃ Parque Nacional Marinho dos Abrolhos):
একটি সামুদ্রিক অভয়ারন্যাঞ্চল যা ব্রাজিলের উত্তর-পুর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ Bahia উপকূলে অবস্থিত। এই Marine Park-টি প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯৮৩ সালে। Abrolhos প্রবাল সমৃদ্ধ ৫ দ্বীপ পুঞ্জ। একমাত্র এখানেই সামুদ্রিক প্রবাল পাওয়া যায় যেগুলির আকার পৃথিবীর সর্ববৃহৎ। সমুদ্রের তলদেশে গজিয়ে উঠা এসব প্রবালের আকৃতি দেখতে ব্যাঙের ছাতার মত। ব্যাঙের ছাতার মত এসব প্রবালকে বলা হয় chapeiroes। সমুদ্রের তলদেশে এসব প্রবালের উচ্চতা সর্বোচ্চ ২০ মিটার এবং ছাতার ব্যাস প্রায় ৫০ মিটার। বর্তমানে পৃথিবীর উষ্ণানায়নে হুমকির সম্মুখীন এই প্রবাল গুলো।
একটি সামুদ্রিক অভয়ারন্যাঞ্চল যা ব্রাজিলের উত্তর-পুর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ Bahia উপকূলে অবস্থিত। এই Marine Park-টি প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯৮৩ সালে। Abrolhos প্রবাল সমৃদ্ধ ৫ দ্বীপ পুঞ্জ। একমাত্র এখানেই সামুদ্রিক প্রবাল পাওয়া যায় যেগুলির আকার পৃথিবীর সর্ববৃহৎ। সমুদ্রের তলদেশে গজিয়ে উঠা এসব প্রবালের আকৃতি দেখতে ব্যাঙের ছাতার মত। ব্যাঙের ছাতার মত এসব প্রবালকে বলা হয় chapeiroes। সমুদ্রের তলদেশে এসব প্রবালের উচ্চতা সর্বোচ্চ ২০ মিটার এবং ছাতার ব্যাস প্রায় ৫০ মিটার। বর্তমানে পৃথিবীর উষ্ণানায়নে হুমকির সম্মুখীন এই প্রবাল গুলো।
Yonaguni Monument বা Yonaguni Underwater Formations:
এই পাথরের স্থাপনা গুলো জাপানের Ryukyu দ্বীপের Yonaguni উপকুলে অবস্থিত। জাপানী ভাষায় যার নাম Yonaguni-jima Kaitei Chikei বা Yonaguni-jima Kaitei Iseki । Yonaguni উপকুল hammerhead হাঙ্গরের বিচরণক্ষেত্র। ১৯৮৭ সালে Yonaguni-Cho Tourism Association-এর পরিচালক Kihachiro Aratake যখন এই হাঙ্গর পর্যবেক্ষণের জন্য আরও উপযুক্ত জায়গা খুজছিলেন হঠাৎই তাঁর চোখে এই পাথুরে স্থাপনা গুলো চোখে পড়ে। এর পরপরই এই স্থান পরিদর্শন করেন University of the Ryūkyūs এর একদল বিজ্ঞানী যাদের নেতৃত্বে ছিলেন Masaaki Kimura। Masaaki Kimura এবং কিছু সংবাদ মাধ্যম এটা বিশ্বাস করে যে আজ থেকে ২০০০ বা ৩০০০ বছর আগে মানুষ পানির নীচে এই নগরী গড়ে তুলেছিল। এরপর স্কুবা ডাইভারদের কাছে তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠে এই Yonaguni Monument। কিন্তু University of the South Pacific এর Oceanic Geoscience –এর অধ্যপক Patrick D. Nunn বলেন এটি কোনভাবেই মানুষের তৈরি হতে পারেনা। এটি প্রাকৃতিকভাবেই তৈরি গত কয়েক হাজার বছরের সাগরতলের ভুমিকম্পের কারণে ভুগরভস্থ স্লেট গুলো উত্থিত হয়ে এই স্থাপনা গুলো তৈরি হয়েছে। এগুলো কোনভাবেই মানুষ দ্বারা কৃত্রিম উপায়ে তৈরি নয়। যাই হোক এই নিয়ে এখনও বিতর্ক চলছে। স্কুবা ডাইভারদের কাছে দারুণ জনপ্রিয় সাগরতলের এই অঞ্চলটি।
লেখকঃ মামুনুর রশিদ এবং রাজিব হুমায়ুন তন্ময়।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
এই পাথরের স্থাপনা গুলো জাপানের Ryukyu দ্বীপের Yonaguni উপকুলে অবস্থিত। জাপানী ভাষায় যার নাম Yonaguni-jima Kaitei Chikei বা Yonaguni-jima Kaitei Iseki । Yonaguni উপকুল hammerhead হাঙ্গরের বিচরণক্ষেত্র। ১৯৮৭ সালে Yonaguni-Cho Tourism Association-এর পরিচালক Kihachiro Aratake যখন এই হাঙ্গর পর্যবেক্ষণের জন্য আরও উপযুক্ত জায়গা খুজছিলেন হঠাৎই তাঁর চোখে এই পাথুরে স্থাপনা গুলো চোখে পড়ে। এর পরপরই এই স্থান পরিদর্শন করেন University of the Ryūkyūs এর একদল বিজ্ঞানী যাদের নেতৃত্বে ছিলেন Masaaki Kimura। Masaaki Kimura এবং কিছু সংবাদ মাধ্যম এটা বিশ্বাস করে যে আজ থেকে ২০০০ বা ৩০০০ বছর আগে মানুষ পানির নীচে এই নগরী গড়ে তুলেছিল। এরপর স্কুবা ডাইভারদের কাছে তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠে এই Yonaguni Monument। কিন্তু University of the South Pacific এর Oceanic Geoscience –এর অধ্যপক Patrick D. Nunn বলেন এটি কোনভাবেই মানুষের তৈরি হতে পারেনা। এটি প্রাকৃতিকভাবেই তৈরি গত কয়েক হাজার বছরের সাগরতলের ভুমিকম্পের কারণে ভুগরভস্থ স্লেট গুলো উত্থিত হয়ে এই স্থাপনা গুলো তৈরি হয়েছে। এগুলো কোনভাবেই মানুষ দ্বারা কৃত্রিম উপায়ে তৈরি নয়। যাই হোক এই নিয়ে এখনও বিতর্ক চলছে। স্কুবা ডাইভারদের কাছে দারুণ জনপ্রিয় সাগরতলের এই অঞ্চলটি।
লেখকঃ মামুনুর রশিদ এবং রাজিব হুমায়ুন তন্ময়।
সম্পাদনায়ঃ জানা অজানার পথিক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন